রাশিয়ায় ভূমিকম্পের জেরে জাপানেও সুনামি আঘাত হেনেছে। দেশটির উপকূলে সুনামির প্রথম ঢেউ আঘাতের পর আরও শক্তিশালী ঢেউ এগিয়ে আসছে। জাপানের কিছু অংশ ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের কবলে পড়তে পারে। এবার এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সি পাপুয়া অঞ্চলের জন্য সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। দ্রুত এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।সতর্কতায় বলা হয়েছে, আজ বিকেলের মধ্যে ০.৫ মিটার (১.৬ ফুট) এর কম উচ্চতার সুনামির ঢেউ ইন্দোনেশিয়ার কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। পাপুয়া অঞ্চল, উত্তর মালুকু প্রদেশ এবং গোরোন্তালো প্রদেশের কিছু উপকূলীয় শহর সুনামির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।এর আগে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, হোক্কাইডোর উত্তরাঞ্চলসহ দেশটির কিছু অংশে আজ বুধবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ৩ মিটারের (৯ দশমিক ৮ ফুট) বেশি উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে। ধীরে ধীরে তা দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূ–কম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।ইউএসজিএস শুরুতে জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ৮। পরে তা দুই দফায় সংশোধন করে ৮ দশমিক ৭ করা হয়। সুনামি সতর্কতা জারির পর স্থানীয় শাখালিন অঞ্চলের ছোট একটি শহর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে জাপানের পাশাপাশি সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৫ ঘন্টা আগে
রাশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। এরপর একাধিক দেশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে নিজেদের পূর্ব উপকূলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে জাপানও। বুধবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপের উপকূলে বুধবার (৩০ জুলাই) ভোরে এ শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ ৩ থেকে ৪ মিটার (১০-১৩ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছে কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করে। কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদভ জানিয়েছেন, এটি সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ (ইইএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটি ছিল অগভীর এবং উপকূলবর্তী পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে প্রায় ১২৫ কিমি দূরে। রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপান ও হাওয়াইয়ের উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জাপানে কিছু এলাকার জন্য ৩ মিটার পর্যন্ত সুনামির পূর্বাভাস দিয়ে মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। সেভেরো-কুরিলস্ক শহরের জন্য সরাসরি সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাখালিন গভর্নর।উল্লেখ্য, কামচাটকা ও রাশিয়ার দূর-পূর্ব অঞ্চল প্রশান্ত মহাসাগরীয় 'রিং অব ফায়ার'-এ অবস্থিত, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক বেশি ঘটে থাকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ ঘন্টা আগে
তুরস্ক তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বোমা ‘গাজাপ’ প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এনেছে। ইস্তাম্বুলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পমেলা ২০২৫-এ এই বোমাটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শন করা হয়। প্রায় ৯৭০ কেজি ওজনের এই বিধ্বংসী বোমাটি তৈরি করেছে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র।বোমাটির বিষয়ে তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, বোমাটি প্রতি মিটারে ১০ দশমিক ১৬টি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। বিপরীতে একটি সাধারণ বোমা তিন মিটার ব্যবধানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিপরীতে একটি সাধারণ বোমা তিন মিটার ব্যবধানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এর ধ্বংস ক্ষমতা অনেক বেশি। তিনি বলেন, বোমাটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এই বোমাটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা যায়।ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আরঅ্যান্ডডি সেন্টার বিস্ফোরক ও ফিলার ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছে। বোমাটির গুণগত যাচাই ও সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এবং এটি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানকে তুরস্কের আকাশ পাহারার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে তুরস্কের হাতেই রয়েছে। বিশ্বজুড়ে মাত্র ৫টি দেশ রয়েছে যারা স্থানীয়ভাবে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে, তুরস্ক তার অন্যতম। বিভিন্ন প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, তুরস্কের কাছে বর্তমানে ২৩০ থেকে ২৭০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৭ ঘন্টা আগে
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, অতীতের সম্মেলনগুলোর সময়কার বাস্তবতা এখন আর প্রযোজ্য নয় এবং ভবিষ্যতে কোনো আলোচনাই দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে পারবে না। এই পরিবর্তিত বাস্তবতা যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে—এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পিয়ংইয়ং।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভাইয়ের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ‘খারাপ নয়’। তবে ওয়াশিংটন যদি এই সম্পর্ককে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে সেটিকে কেবল ‘উপহাস’ হিসেবেই দেখা হবে।তিনি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র যদি এখনও সেই পুরনো, ব্যর্থ কৌশল নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক তাদের জন্য শুধু এক অপূর্ণ বাসনা হিসেবেই রয়ে যাবে।"কিম ইয়ো জং বলেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অনুষ্ঠিত তিন দফা শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা ও ভূরাজনৈতিক অবস্থান ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক রাষ্ট্রের মর্যাদাকে অস্বীকার করার যেকোনো প্রয়াস ‘পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত’ হবে।এদিকে, কেসিএনএর আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে জোরদার হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার দীর্ঘ সময় পর পিয়ংইয়ং-মস্কো রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে কিম ও ট্রাম্পের প্রথম বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় বৈঠক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে ভেস্তে যায়।ট্রাম্প বরাবরই দাবি করেছেন, কিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘চমৎকার’। হোয়াইট হাউসও ইঙ্গিত দিয়েছে, রহস্যময় উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ যোগাযোগে আগ্রহ রয়েছে।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
১৪ ঘন্টা আগে