আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫ ০৫:২৮ পিএম
উত্তেজনা বাড়িয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তান একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। ইনডাস্ট মহড়ায় শনিবার (৩ মে) প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ভূমি থেকে ভূমিতে ৪৫০ কিলোমিটার দূরপাল্লার বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম এবং উন্নত ম্যানুভারেবিলিটি বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যাচাই করা। সেনাবাহিনীর কৌশলগত বাহিনী কমান্ডের কমান্ডার, কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পাকিস্তানের কৌশলগত সংস্থাগুলোর বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা প্রত্যক্ষ করেছেন।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি যাচাই এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও গতিশীলতা পরীক্ষা করা। এর সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনা, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তবে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে।
তবে ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে দেখছে ভারত। অথচ, গেল সপ্তাহে ভারতও একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভোরের আকাশ/এসআই