দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশে গত বছর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
আর সেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রায় ২০ বছর নির্বাসনে জীবন কাটাচ্ছেন। ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে কার্যত দলটির প্রধান নেতা। বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদীয় নির্বাচনে তারা জিততে পারে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এরই মধ্যে বলেছেন, সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই ফিরে আসব। হয়ত কিছু ব্যক্তিগত কারণে এখনো ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হয়, সময় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচন, যার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছিল, আমি এই সময় নিজেকে দূরে রাখতে পারব না। ২০২৬ সালের এ নির্বাচনকে দেশটির জন্য অন্যতম ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই আন্দোলন ও তৎকালীন সরকারের দমন অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।
শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পলে ফলে দেশে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়। এ সময় এ শূন্যতা পূরণে দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। পরে আওয়ামী লীগকে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়।
তারেক রহমান, যিনি জনপ্রিয়ভাবে তারেক জিয়া নামে পরিচিত, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে তিনি নির্বাসিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে একাধিক মামলায় তাকে দণ্ডিত করা হয়। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমান নিজেকে দোষী হিসেবে স্বীকার করেননি। গত বছর শেখ হাসিনার উৎখাতের পর তার উপর থাকা সব অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পান।
তারেক রহমানের মা, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং এখনো নিশ্চিত নয় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন কি না।
তারেক রহমান বলেন, তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন এবং অসুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছেন, তিনি যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু… যদি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তিনি অবশ্যই নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
ভোরের আকাশ/মো.আ.