পাইপলাইন সংস্কার কার্যক্রমের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট সাত ঘণ্টা মিরপুরের কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ৭ (সাত) ঘণ্টা মিরপুর-১৪ এ অবস্থিত প্রিন্স বাজার সংলগ্ন সড়কে নবনির্মিত গ্যাস পাইপ লাইনের টাই-ইন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শতাব্দি সিএনজি, এমবিএম গার্মেন্টসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালি ডিওএইচএস, শাহীনবাগ, আরজতপাড়া, নাখালপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। এটাও স্মরণ করা দরকার, আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি। আমাদের এই সুযোগ যারা তৈরি করে দিয়েছেন, বীর শহীদরা, তাদের কাছে আমাদের ঋণ আছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই এই সুযোগ হাতছাড়া না হয়ে যায়।’ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে যখন ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন বাংলাদেশকে জর্জরিত করে ফেলেছিল, সে সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।বিচারিক এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে বিচার বহির্ভূতভাবে আপনাদের (জামায়াতে ইসলামী) নেতাকর্মীরা নিপীড়ন, অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। তারপরও আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সঙ্গে তা মোকাবিলা করেছেন, সেই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আপনাদের প্রতি আমাদের সবার সমর্থন থাকছে।’আলী রীয়াজ বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা সবাই একত্রে আছি। সকলে মিলে আমরা এই চেষ্টাটা করছি। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের একক বিষয় নয়, এটা সবার বিষয়। জাতির আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করার জন্য আমাদের চেষ্টা। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আমাদের সবার সাফল্য নির্ভর করছে সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্যে।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড.ইফতেখারুজ্জামান ও জামায়াতে ইসলামে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২ দিন আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব কোনো এজেন্ডা নেই। আমরা বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে ইনসাফভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তেমনি একটি ইনসাফপূর্ণ ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল এলাকার ইব্রাহিমপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছামত কেড়েও নেন। তিনিই মহান সত্তা, যিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন; আবার বেইজ্জতিও করেন। আমরা তা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি।তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেলজুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। বিগত সরকার মনে করেছিল, তাদের অপশাসন ও দুঃশাসন কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালেমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না। মূলত, আমাদের ওপর আল্লাহর সাহায্য এসেছে।স্বৈরাচারের সাজানো-গোছানো তখতে তাউস বালির বাঁধের মতো তছনছ হয়ে গেছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, এই বিজয়কে অর্থবহ ও টেকসই করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। মানুষের কল্যাণ ও মুক্তিই জামায়াতের রাজনীতির মূলনীতি। আল্লাহ আমাদের আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের দায়িত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সব স্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৪ দিন আগে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদফতরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ‘নিরব এলাকা’তে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, জনগণকে জানাতে হবে শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।তিনি বলেন, প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।তিনি আরো বলেন, রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন-এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন দফতরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ দিন আগে