নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. সাব্বির আহমদ নির্ঝর (২৮), মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক কামরুল আহসান নিশাদ (২৮), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালু (২৫), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন ওরফে জীবন (৩০), ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওহিদ এম আর রহমান (৫০), আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি শামীম শাহরিয়ার (৫৮), ডেমরা থানার পাইটি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস কাঞ্চন (৬৪), ৩৩ নম্বর বংশাল ইউনিট যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাছুম (৫৮), ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুল হাসান রতন (৩৪) ও উত্তর বাড্ডা এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী রবিন দেওয়ান (২৯)।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
৭২ বছর বয়সে যদি আমাকে সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে গভীর দুঃখের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তার ফেসবুক প্রোফাইলে ‘উপদেষ্টার রোজনামচা, চালকের হেলমেট নাই, ও সেফ এক্সিট’ শিরোনামে করা এক পোস্টে এ কথা লিখেন তিনি।মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান লিখেন, ‘গতকাল আমি সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনযোগে ভৈরব যাই। আমার সঙ্গে ছিলেন যাতায়াত খাত বিশেষজ্ঞ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. মইনুদ্দিন, রেল ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, জেলা ও উপজেলা পরিষদ ও পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।’‘ট্রেনে ওঠার আগে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করি ও ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করি। ১০টা ১৫ মিনিটে ভৈরব পৌঁছাই ও সেখান থেকে গাড়িতে গিয়ে “আশুগঞ্জ” ট্রেন স্টেশন পরিদর্শন করি। সেখানে পৌঁছে বিএনপি, জামায়াতসহ স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলি। তাদের দাবি স্টেশনটিকে পূর্বের ন্যায় বি-শ্রেণিভুক্ত করতে হবে। স্টেশনটির বেহাল অবস্থা। উঁচুতে অবস্থিত স্টেশনটিতে নারী ও বয়োবৃদ্ধদের ওঠার ব্যবস্থা কঠিন। সিগন্যালিংসহ স্টেশনটির অন্যান্য ত্রুটি নিরসন ও দীর্ঘমেয়াদে কী করা যায় সে বিষয়ে রেলের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিই,’ বলেও লিখেন তিনি।মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট না থাকা প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘সেখান থেকে সরাইলের পথে রওনা হই। সাত/আট কিলোমিটার পথে এক ঘণ্টা অবস্থানের পরেও অগ্রগতি না হওয়ায় প্রথমে পায়ে হেঁটে ও পরে মোটরসাইকেলযোগে রওনা দিই। মোটরসাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, চালক কিংবা যাত্রী কারোরই হেলমেট নাই। আট-দশটা মোটরবাইক খুঁজে একটিমাত্র হেলমেট পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও অপেক্ষার পরও চালকের জন্য হেলমেট না পেয়ে সবার পরামর্শে একমাত্র হেলমেটটি নিজে পরে রওনা দেই। হেলমেটবিহীন বাইকচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে পরামর্শ ও বিআরটিএ, জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।’সরাইল বিশ্বরোডে যানজট প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘যানজটের মূল কারণ সরাইল চৌরাস্তার নির্মাণকাজ হলেও, পথে দেখতে পাই যে মূলত চালকদের শৃঙ্খলাবোধ ও হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থাপনার অভাবে যাত্রায় বিলম্ব ঘটছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের ঠিকাদার চলে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে এনে এখন পুনরায় কাজ শুরু করা হয়েছে। দুই লেনের মূল রাস্তার ডানপাশে দুই লেন ও বামপাশে একটি সার্ভিস লেন আছে। যেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করা হলে এত যানজট হওয়ার কথা নয়। মূল রাস্তার দুই পাশে ডিভাইডার স্থানে স্থানে ভেঙে ফেলেছে। পাশ থেকে গাড়ি উঠে দুই লেন কোথাও তিন-চার লেনে পরিণত হয়েছে। ফলে সবাই আগে যেতে চাচ্ছে, কেউই আগাতে পারছে না। হাইওয়ে পুলিশ তৎপর থাকলে এটা হতো না। এ বিষয়ে পুলিশের আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে, আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলবো।’প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার বিষয়ে ছয়টি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোপূর্বেই নির্মাণকাজ তদারকির জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ ১২ জন কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদস্থ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি দ্রুত এ রাস্তায় চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হবে,’ বলে লিখেন তিনি।‘ফেরার পথে এক সাংবাদিক উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়টি উত্থাপনকারী, প্রাক্তন উপদেষ্টা ও বর্তমান এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনা হিসেবে শ্রদ্ধার পাত্র। তাই তার বক্তব্যের ওপর আমার মন্তব্য করা শোভন নয়। তাছাড়া আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করি না।’তিনি লিখেন, ‘উপদেষ্টা হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমার রোজনামচা এমনই। গতকালও রাত আটটায় বাসায় ফিরেছি। নিজে পদে থেকে অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাউকে ব্যবসা বা চাকরি দেই নাই। নিজের সীমিত সামর্থ্যের সবটুকু ব্যবহার করে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছি। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার নিশ্চিত সুযোগ গ্রহণ করিনি।’দুঃখ প্রকাশ করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান লিখেন, ‘তাই, আজ ৭২+ বছর বয়সে আমাকে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়!!!’ভোরের আকাশ/মো.আ.
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র পর এবার গাজার পথে ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক নৌবহর ফ্রিডম ফ্লোটিলাও। ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিনস’ নামে অভিযানে অংশ নেওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলার নয়টি জাহাজের সবকটিই আটক করে ফেলেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।এসব জাহাজ এবং তাতে থাকা শতাধিক অধিকারকর্মীকে ইতোমধ্যে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরায়েলের বন্দরে। এই অধিকারকর্মীদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমও।বুধবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ তথ্য। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র মতো আরেকটি ফ্লোটিলা, যা আইন ভেঙে গাজার সমুদ্রবন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ করে দিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ফ্লোটিলার সমস্ত জাহাজ এবং যাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাদেরকে একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আইনগত নৌবন্দর ভেঙে যুদ্ধে প্রবেশের আরও একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। জাহাজ এবং যাত্রীদের একটি ইসরায়েলি বন্দরে নেওয়া হয়েছে। সকল যাত্রী নিরাপদ এবং সুস্থ অবস্থায় আছেন। তাদের দ্রুত বহিষ্কৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন কর্তৃক আয়োজিত এই ৯ জাহাজের অভিযানে সবচেয়ে বড় জাহাজটির নাম কনশানস (Conscience)। জাহাজটিতে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জাহাজগুলো ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করে।কনশানসের আয়োজকরা বুধবার সকালে জানিয়েছেন, আমাদের জাহাজ বর্তমানে একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টারের দ্বারা আক্রমণ করা হচ্ছে, অন্য ৮টি জাহাজও অবৈধভাবে আটক ও জব্দ করা হচ্ছে।সেইসঙ্গে কর্মীদের প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী জাহাজগুলোতে চড়ে অভিযান চালাচ্ছে।এছাড়া, একই সময় বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন যেখানে তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। এদিকে গাজাগামী ফিডম ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। একইসঙ্গে ফ্লোটিলায় থাকা মালয়েশীয় কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজা অভিমুখী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী, লেখক ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় এ কথা জানান শহিদুল আলম নিজেই।পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি শহীদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখে থাকেন, তাহলে এতক্ষণে আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে। আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।এর আগে মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, বুধবার ভোর নাগাদ ‘রেড জোন’ তথা বিপজ্জনক অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারেন।পোস্টে রেড জোন বলতে শহিদুল আলম বুঝিয়েছেন, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা সম্প্রতি সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরকে আটকে অধিকারকর্মীদের আটক করেছেন।শহিদুল আলম সেই পোস্টে লেখেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছি। কারণ ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস’ নৌবহরে থাকা ছোট ও ধীরগতির নৌযানগুলো যেন পেছনে পড়ে না যায়, তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এসব জাহাজও এফএফসির (ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন) অংশ। তবে আমরা সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের চেয়ে অনেক দ্রুত এগিয়েছি। ওই নৌবহর প্রচণ্ড বাতাস ও ঝড়ের কারণে সাময়িকভাবে থেমে গিয়েছিল।’শহিদুল আলম লিখেন, ‘ধীরগতির নৌযানগুলো (থাউজেন্ড ম্যাডলিনস) এখন আমাদের সমকাতারে এসেছে। আমরা এখন ‘রেড জোন’ থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। এটি সেই অঞ্চল যেখানে আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী অবৈধভাবে ফ্লোটিলার নৌযানগুলোকে আটক করেছিল।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে জনগণের ভোটে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি।সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই নির্বাচিত হোক না কেন, তাদের সঙ্গেই কাজ করবে ভারত।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, আমরা তাকেই সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। সম্পর্ক ঠিক রাখতে উভয় পক্ষেরই প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা উচিত। এখনও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ সময় ভিসা বিধিনিষেধ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, যদিও ভিসা কার্যক্রম এখন সীমিত, তবুও ঢাকা বিশ্বব্যাপী ভারতীয় ভিসার সবচেয়ে বড় উৎস। ভারত সবসময় দুই দেশের জনসাধারণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ককে মূল্য দেয়।আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেয় ভারত। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। এই অঞ্চলে চরমপন্থার উত্থান রোধ করতে চাই আমরা। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ঢাকার অনুরোধের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে। জবাবে বিষয়টিকে একটি আইনি সমস্যা বলে অভিহিত করেন তিনি এবং এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি এবং তিস্তা নদী প্রকল্প সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.