সম্প্রতি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) বন্ধের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। এমন সিদ্ধান্তের ফলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বিগ্নের কথা জানায় সংগঠনটি।এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি মনে করে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কোনো কারণে যৌক্তিক সমাধান না হলে, অংশীজন প্রতিষ্ঠান এবং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়।তারা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল। এখানে সময়ের মূল্য অপরিসীম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত অধ্যবসয়ের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য; অন্যথায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশ-বিদেশে আমাদের ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের সুনাম সুপ্রতিষ্ঠিত। যেকোনো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কিংবা প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে অধ্যবসায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা প্রকাশ করে যে, উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সহনশীল, আইনানুগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। ভোরের আকাশ/এসআই
১৮ ঘন্টা আগে
কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, এখানে কাঠামোগত সংস্কারের দরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার। সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষকের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিউ টেকনোলজির অভাব রয়েছে। এসব দূর করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে আরও যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।তিনি বলেন, শিক্ষালাভ করেও অনেকে বেকার রয়েছে, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, তার বিকল্প হিসেবে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে।জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে অনেকের আচরণে পার্থক্য থাকবে। সবার কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ আশা করা যাবে না। এক্ষেত্রে তাদের বুঝিয়ে আদর করে পাঠদান করতে হবে।তিনি আরও বলেন, আমরা একটি জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দাবি-দাওয়াগুলো সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আলাপ- আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.খ ম কবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান(সচিব) মিজ নাসরিন আফরোজ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) টোকেন সিস্টেমে নির্দিষ্ট গ্যারেজে সাইকেল রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা টোকেন সিস্টেমে বজলুর রহমান ভবন সংলগ্ন (কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে) সাইকেল গ্যারেজে সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের সাইকেল নিরাপদে রাখতে পারবে। নির্ধারিত স্থান ছাড়া ক্যাম্পাসে অন্য কোথাও সাইকেল না রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে এবং অন্যত্র রাখা সাইকেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে না।সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে, চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতির সম্মুখীন হন। যা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভোরের আকাশ/এসআই
১ দিন আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ২৫৯ জন নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং ৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক ড.মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখ রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে, একই দিন দিবাগত রাত ১২টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলি বর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বেলা ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ জন শিক্ষক, ২ জন কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।একইসাথে ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যূত্থান চলাকালীন চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় প্রাণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খালি করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কার দায় কতোটুকু, তা যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাময়িক বহিস্কার করে অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
১ দিন আগে