শনিবার সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
আসন্ন ঈদ-উল-আজহার দীর্ঘ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করতে শনিবার (২৪ মে) সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। সরকারের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, এই দিনটিতে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ মে’র মতো ২৪ মে শনিবারও কর্মদিবস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
নির্দেশনা জারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা মন্ত্রণালয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, এনসিটিবি ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথারীতি কার্যক্রম চলবে। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগীয় প্রধানদের কাছে পৌঁছে গেছে।
এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানায়, শনিবার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে এবং স্বাভাবিক পাঠদান চলবে।
এ সিদ্ধান্তে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও, শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন ঈদ-উল-আজহার দীর্ঘ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করতে শনিবার (২৪ মে) সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। সরকারের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, এই দিনটিতে দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় ১৭ মে’র মতো ২৪ মে শনিবারও কর্মদিবস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।নির্দেশনা জারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা মন্ত্রণালয়,প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, এনসিটিবি ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে যথারীতি কার্যক্রম চলবে। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগীয় প্রধানদের কাছে পৌঁছে গেছে।এদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানায়, শনিবার দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে এবং স্বাভাবিক পাঠদান চলবে।এ সিদ্ধান্তে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও, শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশের এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানে এতদিন মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।১৫ মে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক স্তরে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না। তবে এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ নারী কোটায় নির্ধারিত এ পদগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের সুপারিশ করত না। এবার সে বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হল।বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সবশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী- সব কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র ৭ শতাংশ কোটা রাখা হবে। এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ৭ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের তৃতীয় পর্যায়ের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০টি গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ২ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে গবেষকদের হাতে চেক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর গবেষণার পরিমাণ ও গুণগত মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণার বরাদ্দও ক্রমাগত বাড়ছে, যা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনেই এখন গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গবেষকদের অনেক গবেষণা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। এসব গবেষণার শোকেসিং হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, উন্নত বিশ্বে শিক্ষা ও গবেষণায় বরাদ্দ অনেক বেশি। আমাদের সীমিত সম্পদের মাঝেও গবেষকরা যে মানসম্পন্ন গবেষণা করছেন, তা প্রশংসনীয়। দেশের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি গবেষণার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলাম, বরাদ্দপ্রাপ্ত গবেষকদের মধ্য থেকে গণিত ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সরদার ফিরোজ আহম্মেদ ও সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রভাষক নিশানা আফরিন নিশু প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্রের রিসার্চ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন তুহিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, শিক্ষক ও অনুদানপ্রাপ্ত গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসআই
শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে এবার পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। বুধবার বিকালে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২২ মে) পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া।এর আগে, কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. হযরত আলীর পদত্যাগের একদফা ঘোষণাসহ তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন কুয়েট শিক্ষক সমিতি।এদিকে, বৃহষ্পতিবার সকালেও কুয়েটের ভিসির দায়িত্ব থেকে প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলীর পদত্যাগ, যোগ্য ভিসি নিয়োগ ও দ্রুত কুয়েতের অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এ মানববন্ধনে যোগ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর গোলাম কাদের।ইউজিসির সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি প্রফেসর ড. হযরত আলী পদত্যাগ করে তার মূল কর্মস্থল চুয়েটে ফিরে গেছেন। বুধকার পদত্যাগ করার পর কুয়েট ভিসির ব্যক্তিগত গাড়িটি তিনি ফিরিয়ে দেন। টানা আড়াই মাস ছাত্র আন্দোলনের মুখে কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মাসুদকে সরিয়ে দেয়ার পর গত ০১ মে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। এরপর শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে যায় একাডেমিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে যোগ দেয়। বুধবার ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনরত শিক্ষকরা। উত্তপ্ত এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি কুয়েট ত্যাগ করে ঢাকা চলে যান। কুয়েটের চলমান অচল অবস্থা নিরশনে এখনো পর্যন্ত নতুন কাউকে ভিসি ও প্রো-ভিসি হিসেবে দায়িত্ব হয়নি।ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা চলছে। তাদের আল্টিমেটামের কারণে অর্ন্তর্বতীকালীন ভিসি প্রফেসর ডঃ হযরত আলী পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন।কুয়েটের রেজিস্টার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভূঞা জানান, অর্ন্তর্বতীকালীন ভিসি পদত্যাগ করেছেন এ বিষয়টি তিনি টেলিফোনে নিশ্চিত হয়েছেন।এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভোরের আকাশ/এসআই