× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
Image

আইএমএফের ঋণ অনিশ্চিত


আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের সাথে বাংলাদেশের ঋণ চুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত একটি শর্তে ঋণ প্রক্রিয়াটি আটকে গেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। আইএমএফ কর্তৃপক্ষ শর্ত পূরণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে অনড় অবস্থান বজায় রেখেছে। এমন অবস্থায় ঋণ সংক্রান্ত আলোচনায় সমাধানে পৌঁছানো ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আইএমএফের সঙ্গে বিদ্যমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা ছিল আগামী জুনের শেষে।বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভায় যোগ দিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গভর্নর সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই সভার অবসরে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠকে বসেন উপদেষ্টা ও গভর্নরসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল।জানা গেছে, কোনো সমাধান ছাড়াই দুটি বৈঠক শেষ হয়। অথচ এই বৈঠকেই বাংলাদেশের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সুরাহা হওয়ার কথা ছিল। এই সময়ে শ্রীলঙ্কাকে ঋণের পঞ্চম কিস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি। প্রাথমিক চুক্তিও (স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট) হয়েছে দেশটির সঙ্গে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত ঋণের কোনও কিস্তি পায়নি বাংলাদেশ। ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরে। শর্ত পূরণ না হওয়ায় সেটি মার্চে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মার্চেও মেলেনি কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। বেশ কিছু শর্তে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে জুনে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থাটি।জানা গেছে, আগামী জুন মাসে আইএমএফের পর্ষদ সভায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিদ্যমান ঋণ চুক্তির কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন হবে। এর এক মাস আগেই পর্ষদ সভার এজেন্ডায় ঋণ প্রস্তাবগুলো উঠতে হবে। ঋণ প্রস্তাব উঠতে হলে স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট করতে হবে বাংলাদেশকে। এ ধরনের কোনও চুক্তি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে করেনি সংস্থাটি।বৈঠক সূত্র জানায়, দুই দফার আলোচনায় আইএমএফ বেশিরভাগ শর্তে ছাড় দিতে নমনীয়তা দেখায়। পাশাপাশি বাংলাদেশও কিছুটা সময় নিয়ে মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করাসহ রাজস্ব ও আর্থিক খাতের সংস্কারে রাজি হয়। তবে ডলার বিনিময় হার সংক্রান্ত আরেকটি শর্তে এসে আলোচনা আটকে যায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই শর্তে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তবে সমঝোতা ছাড়াই আলোচনা শেষ হলেও ওই শর্তটিতে রাজি হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ওই সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশ মত পাল্টালে আইএমএফের সঙ্গে স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট হতে পারে।আইএমএফের ঋণ বাংলাদেশের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ :  আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তি না পেলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। যদিও গণমাধ্যমের কাছে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এই ঋণ না পেলে বাংলাদেশের কোনও সমস্যা হবে না। তবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, রিজার্ভের চাপ এবং আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্যহীনতার প্রেক্ষাপটে আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়া বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।অর্থনীতিবিদদের মতে, সংস্থাটি ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাংলাদেশের ঋণমান (ক্রেডিট রেটিং) কমে যেতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেন ব্যাহত হতে পারে। আমদানি-রপ্তানি ঋণপত্রের (এলসি) খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহ অন্যান্য দাতা সংস্থা থেকে ঋণ প্রাপ্তি কঠিন হতে পারে।দেখা গেছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২১ সালে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেও বর্তমানে তা ২৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে আছে। আইএমএফের ঋণ রিজার্ভ বাড়িয়ে আমদানি ও বিদেশি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বাড়াবে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি আইএমএফের ঋণ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকার কাছে বাংলাদেশের সুনাম বাড়ায়।আইএমএফের শর্ত পূরণ করলে এসব সংস্থা থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়। এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, আইএমএফের ঋণ স্বল্পমেয়াদে সহায়তা করলেও এর শর্ত যেমন বিভিন্ন খাতে সরকারি ভর্তুকি কমানো, সুদের হার বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে কষ্টে ফেলতে পারে। তারা সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছেন, ইন্দোনেশিয়া ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ আইএমএফের ঋণ নেওয়ার পর সংকটে পড়েছিল, যা বাংলাদেশকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিতে গেলে তারা যে শর্তগুলো দেয়, তা সাধারণ মানুষের বিপক্ষে যায়। কারণ তারা ভর্তুকি কমাতে বলে, সুদের হার বাড়াতে বলে। সরকারের অন্যান্য গণমুখী নীতি থেকে বের হয়ে সরকারের ব্যয়ের চাপ কমাতে বলে। বাংলাদেশকে কিন্তু ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইএমএফের ঋণ নিতে হয়নি। নিরুপায় হয়ে ২০২৩ সালে ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ।তিনি বলেন, আইএমএফের ঋণে সংকট কাটানোর উদাহরণ তেমন একটা নেই। যেমন ইন্দোনেশিয়া বিপদে পড়ে আইএমএফের ঋণ নিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে আইএমএফের প্রেসক্রিপশন তাদের অর্থনীতিকে ওলট-পালট করে দিয়েছিল। অনেক পরে এখন তারা সংকট কাটিয়ে উঠেছে। একই অবস্থায় পড়েছিল আর্জেন্টিনা। যে কারণে ১৯৯৭ সালে সংকটে পড়েও মালয়েশিয়া এই সংস্থাটির ঋণ নেয়নি। নিজেরাই সংস্কার করে সংকট কাটিয়ে উঠেছিল।আইএমএফের ঋণ নিয়ে উপকৃত হয়েছে এমন রেকর্ড খুঁজে পাওয়া কষ্টকর উল্লেখ করে অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, তাদের ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে অনেক দেরি হয়। কারণ, আইএমএফের প্রেসক্রিপশনের প্রধান উদ্দেশ্য কোনো দেশকে সংকট থেকে উদ্ধার করা নয়। তাদের এজেন্ডার মধ্যে ‘প্রো-ক্যাপিটালিস্ট’ বায়াস থাকে। এর প্রভাবে মানুষের আয় বৈষম্য বাড়ে, ধনীদের সম্পদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। তিনি বলেন, আইএমএফের মূল দৃষ্টি থাকে যেই ঋণ আমরা নিচ্ছি, সেটা যেন ফেরত দিতে পারি।এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ওয়াশিংটনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আইএমএফের ঋণ এখন দেশের অর্থনীতির জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয় নয়। তাদের ঋণের কিস্তি না পাওয়া গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। দেশের অর্থনীতি যেমন আছে, তেমনই চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তুজাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর এসব কথা বলেছেন।আহসান মনসুর জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য নিজস্ব আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার স্বাধীনভাবে বাস্তবায়ন করা।তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান সংস্কার নিয়ে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বে একটা ঝড় বইছে। এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে এবং বাংলাদেশে কতুটুক পড়বে, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এ জন্য আইএমএফও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এসব কারণে তাদের সঙ্গে সমাধানের গন্তব্যে এখনও যাওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু জায়গায় তাদের আরও কাজ করতে হবে। তাদের সঙ্গে দরকষাকষি বা নীতি আলোচনা চলছে। কিস্তি পাওয়া গেলে ভালো। না পেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। তাদের সঙ্গে এখনও ঐকমত্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পৌঁছাতে না পারলে খুব একটা অসুবিধা হবে, তাও নয়। বাংলাদেশের অবস্থা ভঙ্গুর নয়। যদি ঋণ না হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।গভর্নরের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, গভর্নর যেটা বলেছেন সেটাই হয়তো ঠিক। কোনো আর্থিক সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এতে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবে। কারণ শর্ত পূরণ করতে না পারায় বাংলাদেশ ঋণ পায়নি এটি ভালো দেখাবে না।তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি বিনিয়োগ সম্মেলন হয়ে গেল, সরকার যেটিকে সফল হিসেবে দাবি করেছে। এখন যদি আইএমএফের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয় তাহলে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত হতে পারে।আইএমএফের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, চতুর্থ কিস্তিতে অর্থ পেতে বাংলাদেশের জন্য শর্ত ছিল চারটি। সেগুলো হলো- অর্থনীতির বহিঃচাপ সামাল দিতে রাজস্ব আদায় জোরদার করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে নীতিমালার বাস্তবায়ন।এর মধ্যে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণ নিয়ে শর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে ওই সময় আইএমএফ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। পরে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পেতে আরও কিছু শর্ত জুড়ে দেয় সংস্থাটি। এর মধ্যে চারটি শর্তের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। এগুলো হলো, রাজস্ব আয়ের ভালো প্রবৃদ্ধি না হওয়া, বিনিময় হার বাজারভিত্তিক না হওয়া, ভর্তুকি না কমা এবং ব্যাংক খাতের আশানুরূপ উন্নতি না হওয়া। এসবের বাইরেও আরেকটি অপ্রকাশিত শর্ত নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে সংস্থাটি। ওই শর্তে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি অনমনীয়। শেষ পর্যন্ত ওই শর্তের জালেই আটকে যেতে পারে আইএমএফের ঋণের অর্থ। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাংলাদেশ যদি নিজেদের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ঋণের অর্থ আদায় করে নিতে পারে, সেটি বড় সাফল্য হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

২৩ ঘন্টা আগে

Image

ভিয়েতনাম থেকে দেশে এলো আরও ২০ হাজার টন চাল


ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে এমভি থাই বিন ০৯ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে স্বাক্ষরিত জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) চুক্তির আওতায় মোট ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ চাল দেশে এসে পৌঁছেছে। বন্দরে পৌঁছানোর পর জাহাজে সংরক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।ভোরের আকাশ/এসআই

১ দিন আগে

Image

বিজিএমইএ নির্বাচন ২৮ মে


বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে মোট ৯৩ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ মে, দুই অঞ্চলে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্বচ্ছতার স্বার্থে দুই অঞ্চলেই বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনের বাইরে নিরপেক্ষ কোন ভেন্যুতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্র এখনো ঠিক হয়নি।শনিবার (২৬ এপ্রিল) নির্বাচনের এই তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচিত ৩৫ জন পরিচালক ১১ জুন ভোটের মাধ্যমে একজন সভাপতি ও সাতজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। ৬ মে পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মে।বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন-বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল এবার নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ল ফার্ম সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যাবস্থাপনা অংশিদার ব্যারিস্টার সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন এবং ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ এ বোর্ডের সদস্য। অন্যদিকে নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এপেক্স ফুটঅয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরকে। এ বোর্ডের দুই সদস্য হচ্ছেন বার্জার পেইন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ এন এম কুদরত-ই-খ্দুা।দুই একটি ব্যতিক্রম বাদে সাধারণত, দুটি প্যানেল ‘সম্মিলিত পরিষদ’ এবং ‘ফোরাম’ বিজিএমইএ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এবারের নির্বাচনেও দুই পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্যানেল লিডারের নাম ঘোষণা করেছে। ফোরামের প্যানেল লিডার নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি ও রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু। সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার হয়েছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম।গত বছর ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। ওই সময়  নির্বাচনে ভোটারের যোগ্যতা নিয়ে আপত্তি তোলে ফোরাম। অবশ্য নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয় তারা। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পর্ষদ ভেঙ্গে দেওয়ার দাবি জানানো হয় ফোরামের পক্ষ থেকে। সমঝোতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়। এতেও ফোরামের আপত্তি থাকায় পর্ষদ ভেঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। ভোরের আকাশ/এসআই

২ দিন আগে

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিতে জোর বিশ্ব সংস্থাগুলোর


বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও বটে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা খর্ব করতে তৈরি করা হয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কাগজপত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন থাকলেও এতে ভাগ বসায় ২০১২ সালে তৈরি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগটি। ফলে একটি দেশের আর্থিক খাতের দুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাঁড়িয়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত।বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আর্থিক খাতের দুটি বিশ্ব সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে। আর্থিক খাতে সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করতে বলেছে বিশ্ব ব্যাংক। নানামুখী চ্যালেঞ্জে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে ১০ দফা সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসনের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে।বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। এখানে লিজ দেওয়ার পদ্ধতিতে চলেছে লুটপাট ও অর্থপাচার। আর এই পথ সুগম করতে দিন দিন দুর্বল করা হয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংককে। এজন্য তৈরি করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কাগজপত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন থাকলেও এতে ভাগ বসায় ২০১২ সালে তৈরি করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগটি। ফলে একটি দেশের আর্থিক খাতের দুটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাঁড়িয়ে যায়। এর আগে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেও এমন একটি বিভাগ সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার যা পরে বিএনপি সরকার বাতিল করেছিল।অর্থ মন্ত্রণালয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সৃষ্টি করে সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয় এই বিভাগকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা কার্যক্রমেও হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয় বিভাগটির মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংককে দুর্বল করার পর পরই আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় শুরু হয় ব্যাংক লুটপাট, যার শুরু হয়েছিল সোনালী ব্যাংকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির মধ্য দিয়ে। লুটেরাদের বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও নতুন নতুন লুটেরাদের আকৃষ্ট করে এই খাতে। ক্রমে প্রতাপশালী সকল স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর চাপে কোনঠাসা হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে চাপে ও লোভে নৈতিক পদস্খলনও ঘটে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তার।শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির হিসাবে, গত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে লুটপাট সবচেয়ে বেশি হয়েছে ব্যাংক খাতে। তাদের প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য ঋণ কেলেঙ্কারি, প্রতারণা, ভুয়া ঋণ ও ঋণের অপব্যবহারের বিভিন্ন ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের লুটপাটের টাকা দিয়ে ১৪টি মেট্রোরেল ও ২৪টি পদ্মা সেতু করা যেত। সেই হিসাবে দেশের আর্থিক খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে লুটের পরিমাণ ৭ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ব্যাংক খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে যে অর্থ লুট করা হয়েছে, তার বড় অংশই পাচার হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এসব কারণে গত বছর ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সবদিক থেকে জোর দাবি ওঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সত্যিকারের পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার। একই সাথে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করে এটিকে একটি সেল হিসেবে রাখার পরামর্শ আসে।অন্তর্বর্তী সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব দেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুরকে। তিনিও শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার কথা বার বার বলে আসছেন। একই কথা বলছে দুটি বিশ্ব সংস্থা, আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংস্কারের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসনের বিষয়টি জোর দিয়ে তুলে ধরেছে বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থা দুটি।সম্প্রতি ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করে গেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। ওই আলোচনাতেও আর্থিক খাতে সংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমএফ। ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে আইনগত সংস্কার ও কার্যকর সম্পদ মান যাচাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসন জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করে সংস্থাটি।পাশাপাশি অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবিলায় জোরালো ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আবার খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি ব্যাংক খাতে দুর্বল তদারকি রোধ এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতার ঘাটতি দূর করার কথাও বলেছে। দুই সপ্তাহের সফর শেষে গত ১৭ এপ্রিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল সাংবাদিকদের সামনে যে ব্রিফিং করেছিল সেখানে এই বিষয়গুলো উঠে আসে। আইএমএফের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সায়ত্বশাসন নিশ্চিত করতে বলেছে বিশ্ব ব্যাংক। নানামুখী চ্যালেঞ্জে জর্জরিত বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল ও টেকসই করতে ১০ দফা সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বায়ত্বশাসনের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে।সংস্থাটির মতে, দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব ও রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে ব্যাংক খাত এখন গুরুতর ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বুধবার প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সুপারিশগুলো তুলে ধরেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বর্তমানে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি, পরিচালন অদক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাবে ঋণ বিতরণসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। এ অবস্থায় ব্যাংক খাতের দুর্বলতা দূর করতে সুসংগঠিত ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।বিশ্বব্যাংকের ১০ দফা সুপারিশ হলো: ব্যাংক খাতের নীতি কাঠামো উন্নত করতে অগ্রাধিকার দেওয়া। আমানত সুরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন আনা। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক পুনর্গঠন করা। খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনায় শক্ত কাঠামো তৈরি। সমন্বিত দেউলিয়া আইন প্রণয়ন করা। ব্যাংকিং আইন ও নীতির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। জরুরি তারল্য সহায়তার জন্য নীতি কাঠামো তৈরি করা। ব্যাংক তদারকিতে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুনের শেষে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের মোট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা দেশের আর্থিক খাতের ৮৮ শতাংশ এবং মোট জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ রয়েছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের, ২৫ শতাংশ রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের এবং ৪ শতাংশ বিদেশি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে।বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ, পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ প্রদান এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার মতো ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলমান। ২০২৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে এক পরিবারের সদস্যদের পর্ষদে থাকার মেয়াদ ১২ বছরে উন্নীত করায় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আটটি ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে পারস্পরিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার, যা প্রমাণ করে ব্যাংক খাতে কীভাবে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে উঠেছে।বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, ব্যাংক খাতের অস্থিরতা কেবল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করে না, বরং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করে এবং জিডিপির প্রায় ৭ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫১টি ব্যাংকিং সংকট বিশ্লেষণ করে এমনটাই উঠে এসেছে। সংস্থাটি মনে করে, অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এই উদ্যোগকে কার্যকর করতে হলে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কার্যকর নীতিনির্ধারণ প্রয়োজন।বিশ্বব্যাংক জোর দিয়ে বলেছে, ব্যাংকিং খাতের সংকট মোকাবিলায় যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা ততই হ্রাস করা সম্ভব হবে। এ জন্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সহ দশ দফা সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।ভোরের আকাশ/এসএইচ

৩ দিন আগে

জনজীবন সহজ করাই লক্ষ্য, বাড়তি করের বোঝা চাপবে না

জনজীবন সহজ করাই লক্ষ্য, বাড়তি করের বোঝা চাপবে না

২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৫ এএম

কাজের সুযোগ কমছে বিদেশি নাগরিকদের

কাজের সুযোগ কমছে বিদেশি নাগরিকদের

২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪১ এএম

ডলারের পতনে স্বর্ণের উত্থান

ডলারের পতনে স্বর্ণের উত্থান

২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২১ এএম

দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড

দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড

২২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫০ এএম

সুফল মিলছে না

সুফল মিলছে না

২১ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২১ এএম

বেড়েছে তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

বেড়েছে তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৮ পিএম

জীবনযাত্রায় ব্যয় আরো বাড়লো

জীবনযাত্রায় ব্যয় আরো বাড়লো

১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৫ এএম

ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের

ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের

১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৩ এএম

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫৯ পিএম

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ ঘোষণা

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ ঘোষণা

১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫০ পিএম

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে

১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২২ এএম