দেশের বাজারে ফের কমল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দামে কমেছে এক হাজার ৫০ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ টাকায়। রোববার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
শনিবার (১০ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম হ্রাসের তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম।
দাম ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮৪৬ টাকা; ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৩৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দামে কমেছে এক হাজার ৫০ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ টাকায়। রোববার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।শনিবার (১০ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম হ্রাসের তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম।দাম ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮৪৬ টাকা; ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৩৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহও বাড়ছে। এই সূচক দুটি স্থিমিত হয়ে পড়া অর্থনীতিতে গতি ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদগণ।ব্যাংক খাতে আমানত ও ঋণের যে হালনাগাদ প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, মার্চে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশে উঠেছে। আগের মাসে তা ছিল ইতিহাসের সর্বনিম্ন, ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। একই সময়ে আমানতের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের চেয়ে বেড়ে মার্চে সাড়ে ৮ শতাংশ পার হয়েছে। গত ৯ মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে আমানত বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ; আর জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরুর মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ হলেও সরকার পতনের মাস আগস্টে তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। পরের মাস সেপ্টেম্বরে তা আরও কমে হয় ৯ দশমিক ২০ শতাংশ, যেটি ছিল তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। নিম্নমুখী এ হার পরের মাসে কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৩০ শতাংশে। আর নভেম্বরে আরও কমে হয় ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে কোভিড মহামারির মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমেছিল।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলা কমেছে ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়ে রাখার যে নীতি ঠিক করেছে, ঋণ প্রবৃদ্ধি এরই মধ্যে তার চেয়ে নিচে নেমে গেছে। সংকোচনমূলক নীতি বজায় রাখার ধারায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল।ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মূল্যস্ফীতি কমা না পর্যন্ত নীতি সুদহার ১০ শতাংশে রাখা হবে। মূল্যস্ফীতি কমলে নীতিসুদহার কমানো হবে।এদিকে আমানতের হিসাবে হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের মার্চে আমানতের মোট পরিমাণ বেড়ে ১৮ লাখ ১৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। আর জানুয়ারি শেষে ছিল ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ওই মাসে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।এর আগে ব্যাংক খাত আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখেছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, সেবার ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। মার্চের ধারাবহিকতায় শিগগিরই আমানত বৃদ্ধির হার দশ শতাংশ পার হবে বলে জানিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।জানা গেছে, আমানতে ভালো সুদ হার, ব্যাংক খাতে চলমান সংস্কারের ফলে আস্থা বৃদ্ধি ও রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুনে ব্যাংক খাতে আমানত প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে এরপর থেকেই এই প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০২৩ সালের আগস্টে তা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা ছিল আগের ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এই হার ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এবং তার ধারাবাহিকতায় মার্চ মাসে ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।ব্যাংক খাতের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংক খাত থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার বেশকিছু ঘটনা নজরে আসার পর গ্রাহকদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকগুলো থেকে গ্রাহকরা তাদের জমা রাখা টাকা ঠিকমতো ফেরত না পাওয়া তা তাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয়। তবে গত আগস্ট থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে শুরু করে। তার নেতৃত্বে অন্তত ১৩টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন, টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা, এবং বেনামী ঋণ বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যদিও এসব উদ্যোগে সব দুর্বল ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি না হলেও অবনতি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।গভর্নরের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসলামী ও ইউসিবি ব্যাংকের অবস্থান আগের তুলনায় কিছুটা ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে ভালো অবস্থানে থাকা ব্যাংকগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায় সেগুলোতে আমানতও বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া, অনেক ব্যাংক আমানত টানতে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদহার অফার করছে, যা গ্রাহকদের আরও আকৃষ্ট করছে।ব্যাংক কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন, মার্চ মাসে আমানত ও বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও, এটি এখনও বলা সম্ভব নয় যে, প্রবৃদ্ধির ধারা স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কিনা। তবে এটি অবশ্যই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমানত বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী বলেন, মার্চ মাসে ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি বাড়ার চারটি প্রধান কারণ রয়েছে।প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিগত সুদের হার বাড়ানোর পর ব্যাংকগুলোও আমানতের বিপরীতে তুলনামূলক উচ্চ সুদহার দিতে শুরু করেছে। এতে গ্রাহকরা বেশি রিটার্ন পাওয়ার আশায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে আগ্রহী হচ্ছেন।দ্বিতীয়ত, যেসব ব্যাংকের এডিআর অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল, তারা নতুন করে আমানত সংগ্রহের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর ফলে এসব ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণে নতুন আমানত টানতে সক্ষম হয়েছে।তৃতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনসহ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রভাবে ব্যাংকিং খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।চতুর্থত, মার্চ মাসে রেকর্ড ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আসার পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। সাধারণত গ্রাহকরা পুরো অর্থ একসঙ্গে তুলে না নিয়ে একটি অংশ জমা রেখেই দেন। ফলে মার্চ মাসে আমানত প্রবৃদ্ধি বাড়ার পেছনে এটি একটি বড় অবদান রেখেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয় বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গত এক দশক ধরে আধিপত্য বাড়াচ্ছে- চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া সব কয়েকটি দেশ। এতে এই বাজারে সামনে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে পারেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, নতুন মার্কিন শুল্ক কাঠামো প্রবর্তনের পর এই বাণিজ্য প্রতিযোগিতা তীব্রতর হতে পারে। কারণ চীনের ওপর উচ্চ হারের শুল্ক আরোপের ফলে দেশটি এখন তাদের তৈরি পোশাকের নতুন গন্তব্য হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে বেছে নিতে পারে।পাশাপাশি ৯০ দিনের শুল্ক অবকাশ শেষ হওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন যদি বাকি দেশগুলোর ওপর উচ্চ হারের শুল্ক বহাল করে তাহলে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো বাংলাদেশের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিরাও ইউরোপের বাজারে তাদের আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে বড় প্রতিযোগিতা ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ তৈরি পোশাক বা গার্মেন্ট খাত। এজন্য এখুনি সরকারি ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রস্তুতির পরামর্শ বাণিজ্য বিশ্লেষকদের।ইউরোপের বাজারের ২০১২ থেকে ২০২৩ সালের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১২ সালে চীনের মোট পোশাক রপ্তানির ৫৬ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে গিয়েছিল। ১১ বছরের ব্যবধানে এখানে ১২ শতাংশ বেড়েছে চীনের রপ্তানি। ২০২৩ সালে দেশটির ৬৮ শতাংশ পোশাক রপ্তানি হয়েছে ইউরো ব্লকে। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পোশাক রপ্তানি ১২ শতাংশ কমেছে। মার্কিন মুল্লুকে দেশটির রপ্তানি ৪৪ শতাংশ থেকে কমে ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে। একইভাবে, ২০২৩ সালে ভিয়েতনামের মোট পোশাক রপ্তানির ৩২ শতাংশ ইইউতে (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) গেছে, যা ২০১২ সালে ছিল ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির হার ৭৪ শতাংশ থেকে কমে ৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।কম্বোডিয়ার রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশটির মোট রপ্তানিকৃত পোশাকের ৬৩ শতাংশ ইইউতে গেছে, যা ২০১২ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১২ সালে তাদের পোশাক রপ্তানির ৬০ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও ২০২৩ সালে তা কমে ৩৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একইভাবে ২০১২ সালে পাকিস্তানের মোট পোশাক রপ্তানির ৫২ শতাংশ ইইউতে গিয়েছিল, যা ২০২৩ সালে বেড়ে ৭১ শতাংশে পৌঁছেছে।একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির হার ৪৮ শতাংশ থেকে কমে ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার পোশাক রপ্তানির ৪৬ শতাংশ ইইউতে এবং ৫৪ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও ২০২৩ সালে এই হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- ৫৭ শতাংশ ও ৪৩ শতাংশে। এই দেশগুলোর রপ্তানি ইউরোপে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও ভারতের ক্ষেত্রে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।২০১২ সালে তাদের মোট পোশাক রপ্তানির ৪৮ শতাংশ ইইউতে এবং ৫২ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও ২০২৩ সালে এই হার চার শতাংশ পরিবর্তন হয়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- ৪২ শতাংশ ও ৫৮ শতাংশে। এদিকে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশেরও অংশীদারত্ব বেড়েছে। তবে একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির হার ২৮ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক বলেন, মার্কিন বাজারের বাইরেও বড় চিন্তার বিষয় রয়েছে। মার্কিন শুল্কের কারণে সরবরাহকারীরা তাদের পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সরিয়ে নিতে বাধ্য হতে পারে। এতে বাংলাদেশ বড় প্রতিযোগিতায় পড়বে- চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো তৈরি পোশাকের উৎপাদনকারীদের সঙ্গে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলো ইউরোপের বাজারে পণ্যের দাম কমিয়ে দিলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরাও দাম কমিয়ে দিতে বাধ্য হবেন। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ওপর পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিদেশি প্রতিযোগীদের পাশাপাশি স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্যও ইউরোপের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করে বসলে তখন আমাদের যারা যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে তারাও ইউরোপের বাজারে নতুন করে প্রবেশ করতে পারে। এতে প্রতিযোগী দেশগুলোর উৎপাদকদের পাশাপাশি দেশীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও অস্বাস্থ্যকর মূল্য প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে। এতে সামগ্রিক শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেন এই উদ্যোক্তা।এদিকে রপ্তানিকারকরা বিভিন্ন সময়ে দাবি করে আসছেন, তারা স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাকের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না এবং কিছু ক্ষেত্রে তারা ব্যবসা চালু রাখা ও শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে অর্ডার নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে মূল্য প্রতিযোগিতা শুরু হলে এই খাতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৪.৮৬ শতাংশ বেড়ে ১৯.৭৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই বাজারের ২০ শতাংশই বাংলাদেশের দখলে। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের যে পরিমাণ তৈরি পোশাক প্রয়োজন হয় তার ২০ ভাগ সরবরাহ করে বাংলাদেশ।রপ্তানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এদিকে ইউরোপের বাজারে নতুন ঝুঁকির মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে তৃতীয় হলেও প্রবৃদ্ধির হিসাবে শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেখানে এক হাজার ৭৫৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২২৩ মিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিও বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক আমদানি করেছে ২০ হাজার মিলিয়ন ডলারের। গত বছর একই সময়ে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৬৯ মিলিয়ন ডলার। সংস্থাটির হিসাবে, বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। এই সময়ে চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার বেড়েছে ২০ শতাংশ, ভারতের ২৪ শতাংশ, মেক্সিকোর ২ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও কোরিয়ার ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুধু হন্ডুরাসের পোশাক রপ্তানি ১০ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে।এই তিন মাসে চীনকে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ভিয়েতনাম। দেশটি ৩ হাজার ৮৭৫ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন ৩ হাজার ৫৯৬ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যার মোট পরিমাণ ২০ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় যার প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।এ বিষয়ে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, ওটেক্সার প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির গতিশীল পরিস্থিতি এবং শিল্পের ক্রমবিকাশমান প্রবণতাগুলোকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নিলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে আমদানি ও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যয় বৃদ্ধির ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন তারা। তাই পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে এখুনি বিকল্প সরবরাহ উৎস খুঁজে বের করার প্রতি জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।পাশাপার্শি সংঘর্ষে জড়িয়ে যাওয়া দেশ দুটির আন্তর্জাতিক কার্যাদেশ বাংলাদেশ বাগিয়ে নিয়ে কিভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে পারে সেটিও খতিয়ে দেখার পরামর্শ তাদের। তবে যুদ্ধের ঝুঁকি কিংবা বিকল্প উৎস নিরূপণে সরকার কিংবা বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও বৈঠক হয়নি বলে জানা গেছে। ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে সপ্তাহ দুয়েক আগে এক ভয়াবহ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করার পর বুধবার ভোররাতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে দুই পরমাণুশক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সংঘাত ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রাকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বল করেছে। আক্রমণের শিকার হওয়ায় পাকিস্তানের শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নেমেছে। তবে উল্টো বেড়েছে ভারতের শেয়ারবাজার। এই সংঘাতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করেছে। কারণ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আকাশপথে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় বুধবার রাতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে রুট পরিবর্তন করে অন্য দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, এই দ্বিপক্ষীয় সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানি করে এবং যুদ্ধের কারণে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের জন্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। বাংলাদেশের মোট আমদানির প্রায় ১৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে।এর মধ্যে বেশিরভাগই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য ও শিল্পের কাঁচামাল। এছাড়া সংকট কাটাতে বর্তমানে পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ। তাই দেশ দুটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ালে খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।অর্থনীতি বিশ্লেষক মো. মাজেদুল হক ভোরের আকাশ’কে বলেন, যেকোন যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর পড়ে। পশ্চিমের যেকোন দেশ থেকে পণ্য আমদানি কিংবা এসব দেশে রপ্তানি করতে গেলে ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত পাড় হতে হয়। এমনকি পণ্যবাহী বিমান কিংবা জাহাজ এসব দেশে ট্রানজিট নেয়। তাই দেশ দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে। বাংলাদেশের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এর প্রভাবে শিল্প কারখানায় উৎপাদনও ব্যহত হবে।তিনি বলেন, দেশ দুটির মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বেশিদিন চললে শিপমেন্ট বাতিল হতে পারে। নতুন রুটে শিপমেন্ট করতে হলে পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের বিনিময় ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টে বড় ধাক্কা খেতে হবে যদি যুদ্ধ লেগে যায়, বলেন এই অর্থনীতিবিদ।বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সাংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশ’কে বলেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়ালে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। আমাদের শিল্পের অনেক কাঁচামাল ভারত থেকে আসে। দেশটি যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে আমাদের শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই আমাদের এখুনি বিকল্প উৎস নিয়ে ভাবতে হবে। বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসার কথা জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের সুতা, কাপড়সহ নানা কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানি বিঘ্নিত হবে, যার সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের শিল্প খাতে।বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশে আমদানি বিপাকে পড়তে পারে। কারণ দেশটি ভারত থেকে প্রচুর শিল্প খাতের মধ্যবর্তী পণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানি করে। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ব্যবসায়ী ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের বিকল্প সরবরাহ উৎস খোঁজার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।তিনি বলেন, যুদ্ধরত দেশ থেকে রপ্তানি কার্যাদেশ সরিয়ে নিতে পারে বিশে^র অনেক দেশ। ওই কার্যাদেশগুলো যাতে বাংলাদেশ নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারে সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে আমাদের।ভোরের আকাশ/এসএইচ