ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়া, হোটেল বুকিং ও যাতায়াত সংক্রান্ত নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ১৪৪৭ হিজরি ওমরাহ মৌসুম থেকে এই নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট ওমরাহ এজেন্সি বা কোম্পানির লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল হওয়ার পাশাপাশি আরোপ হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানা।মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর পূর্বেই অনুমোদিত হোটেল ও যাতায়াতের ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়ের ইলেকট্রনিক পোর্টালের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে বুক করতে হবে। হাজিদের চলাচল ও আবাসন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্ভুলভাবে সিস্টেমে রেকর্ড করতে হবে এবং তা বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হোটেল পরিদর্শন করা হবে। একইসঙ্গে শহরের মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াতও নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবে।এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ভিসা পেতে খরচ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। কেননা এখন থেকে শুধু অনুমোদিত হোটেলেই বুকিং ও অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তদুপরি, যেসব কোম্পানির অনুমোদিত হোটেলের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে, কেবল তারাই ওমরাহ ভিসা ইস্যু করতে পারবে। এতে ছোট এজেন্সিগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।মন্ত্রণালয় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। সেই সঙ্গে গুণতে হতে পারে বিপুল অঙ্কের আর্থিক জরিমানা এবং ভবিষ্যতে ওমরাহ ভিসা ইস্যুর অনুমতিও বাতিল হতে পারে।ভোরের আকাশ।।হ.র
৩ দিন আগে
চলতি বছর গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর তীব্র তাপমাত্রার মধ্যেও সৌদি আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৭ লাখ হজযাত্রী নিরাপদে হজ পালন করেছেন।সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার হজে গরমজনিত কারণে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি গরমের কারণে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাও গত বছরের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ কম।গালফ নিউজ-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার সৌদি হজ মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানায়, এই সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রেখেছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থা।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এবার হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ছায়াযুক্ত জায়গার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে উন্নত কুলিং সিস্টেম এবং বাড়ানো হয়েছে অবকাঠামোগত সুবিধা। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়, যার ফলেই এবারের হজ অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হয়েছে।সৌদি ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলাই অন্যতম লক্ষ্য। এ বছর হজ ব্যবস্থাপনায় সেই লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন দেখা গেছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। তারা জানায়, “আমরা চাই প্রত্যেক হজযাত্রী যেন নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হজ সম্পন্ন করতে পারেন।”উল্লেখ্য, মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে জুন মাসে তাপমাত্রা প্রায়ই ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এমন তীব্র গরমে ২০২৪ সালের হজে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ১,৩০০ হজযাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও হাজার হাজার মানুষ।তবে এবারের হজ শুরু হয় ৪ জুন এবং শেষ হয় ৬ জুন, যেখানে সৌদি পরিসংখ্যান সংস্থা গাস্তাত জানায়, মোট ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন মুসল্লি হজ করেছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন ছিলেন সৌদি নাগরিক, বাকিরা বিদেশি।ভোরের আকাশ।।হ.র
৫ দিন আগে
এ বছর হজে কেউ মারা যায়নি। ব্যাপক গরমের মধ্যে হজ করেছেন সৌদি আরব এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা। তবে গতবারের তুলনায় এবারের হজে গরমের কারণে কারও মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি, গরমজনিত অসুস্থতাও ছিল গত বছরের চেয়ে ৯০ শতাংশ কম। খবর গালফ নিউজের।শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।বিবৃতিতে এ অর্জনের কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা দফতর, ডাক্তার, নার্স এবং সম্পর্কিত অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে।আরও বলা হয়েছে, ছায়াযুক্ত এলাকার আয়তন বাড়ানো, হজযাত্রীদের গরমজনিত কষ্ট লাঘবে কুলিং সিস্টেমসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে অবকাঠামোগত সুবিধা এবং সর্বোপরি সচেতনতার কারণে এবার গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরম সত্ত্বেও হাজিদের মধ্যে অস্বস্তির পরিমাণ ছিল কম।বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যমাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও দক্ষ ও সক্রিয় করা এবং হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ পরিষেবা প্রদান করা। এ দু’টি ক্ষেত্রেই আমাদের চলতি বছরের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক। আমরা চাই প্রত্যেক হজযাত্রী যেন নিরাপদে এবং স্বস্তির সঙ্গে তাদের হজ সম্পূর্ণ করতে পারেন।মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে জুনমাসে ভরপুর গ্রীষ্মকাল থাকে। এ সময় দিনের বেলা প্রায়েই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যায়।গত বছর হজ হয়েছিল জুনের মাঝামাঝি। অসহনীয় গরমে সেবার প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৩ শতাধিক মুসল্লি, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও কয়েক হাজার।চলতি ২০২৫ সালে হজ শুরু হয়েছে ৪ জুন, শেষ হয়েছে ৬ তারিখ। সৌদির পরিসংখ্যান দফতর গাস্তাতের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজ করেছেন মোট ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন মুসল্লি। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন ছিলেন সৌদির, বাকিরা বিদেশি।ভোরের আকাশ/জাআ
১ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবসভ্যতার ইতিহাসে রাসুলুল্লাহ সা:-এর বিদায় হজের ভাষণের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। রিলিজিয়াস পয়েন্ট অব ভিউ থেকেই নয়, হিউম্যান সিভিলাইজেশনের সামগ্রিক সবকিছুর বিবেচনাতেই এটি তাৎপর্যপূর্ণ।উপদেষ্ট তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আচ্ছা, বিদায় হজের ভাষণ আমাদের পড়াশোনার ভেতর তেমন চর্চিত হয় কি? মানবসভ্যতার ইতিহাসে যেই ভাষণ বা বক্তৃতাগুলোর কালজয়ী বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। আমার মূল্যায়নে সেগুলোর ভেতর শীর্ষস্থানীয় একটা হলো বিদায় হজের ভাষণ। আমি কিন্তু শুধু রিলিজিয়াস পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বলছি না, হিউম্যান সিভিলাইজেশনের সামগ্রিক সবকিছুর বিবেচনাতেই কথাটা বলছি।’উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বর্তমান জেনারেশনের বহু মানুষ হয়ত বিদায় হজের এই ভাষণের নামটাও জানে না, আবার স্রেফ নাম জানলেও, এই ভাষণের কনটেন্ট কী ছিল, সে সম্পর্কে হয়তো কোনদিনই জানার চেষ্টা করে না। সাধারণ মানুষের কথা বাদই দিলাম, মুখে মুখে ধর্ম চর্চা করা বহু তথাকথিত ধার্মিকেরাও এই ভাষণের শিক্ষা ধারণ করার চেষ্টা ঠিকঠাক করে বলে মনে হয় না।’ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘দশম হিজরিতে (৬৩২ খ্রিস্টাব্দ) রাসুলুল্লাহ সা. প্রায় সোয়া লাখ সাহাবিকে সাথে নিয়ে হজ পালন করেন। এই হজই ছিল নবীজি সা:-এর জীবনে পূর্ণাঙ্গ প্রথম হজ এবং এটাই ছিল তার জীবনের শেষ হজ। এর মাত্র দু’মাস কয়েকদিন পর ১২ রবিউল আউয়াল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই কারণে এই হজ ইতিহাসে ‘বিদায় হজ’ নামে পরিচিত। ওই বছর হজে রাসূল সা: সেখানে সমবেত প্রায় সোয়া লাখ সাহাবির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা বিদায় হজের ভাষণ নামে পরিচিত। এটি ছিল তাঁর জীবনের সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণ, যা তিনি দশম হিজরি সনের নবম জিলহজ আরাফার দিনে মসজিদে নামিরাতে ও জাবালে রহমতের ওপরে এবং পরদিন দশম জিলহজ ঈদ ও কোরবানির দিন মিনাতে প্রদান করেছিলেন। রাসূল সা: ভাষণ শুরুই করেছিলেন এভাবে- ‘হে জনতা, আমার কথাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনো, আমি জানি না, এবারের পর তোমাদের সাথে এই জায়গায় আর একত্র হতে পারব কিনা।’ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘এই বাক্যটি ভালোমতো বিশ্লেষণ করলেই বুঝবেন, রাসুলুল্লাহ সা: অনেকটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি হয়তো এরপর আর বেশি দিন বাঁচবেন না।’অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাসূল সা:-এর ইতিহাস প্রসিদ্ধ ওই ভাষণ থেকে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা পয়েন্ট খুবই সংক্ষিপ্তকারে নিচে তুলে ধরছি’-১. হে মানবমণ্ডলী, স্মরণ রাখো, আল্লাহ এক,তাঁর কোনো শরিক নেই। মনে রেখো, একদিন তোমরা আল্লাহর নিকট হাজির হবে, সেদিন তোমাদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে।২. কোনো অনারবের ওপর আরবের কিংবা কোনো আরবের ওপর কোনো অনারবের কোনোই শ্রেষ্ঠত্ব নেই। ঠিক একইভাবে শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের এবং কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই।৩. জাহেলি যুগের সুদ রহিত করা হলো। এখন থেকে সকল ধরনের সুদ হারাম করা হলো।৪. জাহেলি যুগের যত রক্তের দাবি, তা সব রহিত করা হলো। সর্বপ্রথম আমি রবিয়া ইবনে হারিস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের শিশুপুত্রের রক্তের দাবি রহিত করলাম।৫. তোমাদের কারো কাছে যদি কোনো আমানত গচ্ছিত থাকে, তা তার প্রাপকের কাছে অবশ্যই পৌঁছে দেবে। কারো কাছে ঋণ থাকলে, সেই ঋণ অবশ্যই পূরণ করবে।৬. স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা, আল্লাহর আমানতস্বরূপ তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ। নিশ্চয়ই তোমাদের স্ত্রীদের ওপর তোমাদের অধিকার রয়েছে এবং তোমাদের ওপরও তাদের অধিকার আছে।৭. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক প্রাপকের জন্য তার অংশ (উত্তরাধিকার সম্পত্তি) নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেগুলো আদায় কোরো। একজন মুসলিম অন্য একজন মুসলিমের ভাই স্বরূপ। কারো হক নষ্ট করোনা, কারো প্রতি জুলুম করো না।৮. তোমাদের অধীনস্থদের প্রতি খেয়াল রাখবে, তোমরা যা খাবে, তাদেরকেও তা-ই খাওয়াবে, তোমরা যা পরিধান করবে, তাদেরকেও তা-ই পরাবে।৯. আমি তোমাদের কাছে এমন দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা দৃঢ়ভাবে ধারণ করলে পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হলো আল্লাহর কিতাব আর অন্যটি হলো আমার সুন্নাহ।১০. হে মানবজাতি, ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। কেননা, অতীতের অনেক জাতি এ বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়েছে। নিজের ধর্মকে অন্যদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে না।আরো কিছু কিছু ব্যাপারে আলোচনা ছিল। আমি সংক্ষিপ্ত আকারে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টা মেইন পয়েন্ট আলোচনায় তুলে ধরলাম বলে উল্লেখ করেছেন আসিফ নজরুল।রাসূল সা: এই আহ্বান জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন- ‘উপস্থিত ব্যক্তিদের দায়িত্ব হবে আমার এ কথাগুলো অনুপস্থিত লোকদের কাছে পৌঁছে দেয়া। হয়তো অনেক অনুপস্থিত লোক উপস্থিত এই শ্রোতাবৃন্দ অপেক্ষাও অধিক হেফাজতকারী হবে।’ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘একটু ভালোমতো লক্ষ্য করে দেখুন, শুধুমাত্র ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই যে এই ভাষণ গুরুত্ববহ ছিল, এমনটা নয়। বর্তমান পৃথিবীর আদর্শিক জায়গা থেকে হিউম্যান রাইটসের কথাই বলুন, সাম্যের কথা বলুন কিংবা পারস্পরিক দায়বদ্ধতা ও সহমর্মিতার কথাই বলুন-প্রতিটা সেক্টরকেই এই ভাষণ কাভার করে। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক প্রতিটা পরিমণ্ডলেই তাই এই বিদায় হজের ভাষণের একটা ইউনিক ও চমকপ্রদ তাৎপর্য আছে। একটা পুরো হিউম্যান সিভিলাইজেশন কীভাবে স্মুথলি ফাংশন করতে পারে তার পূর্ণাঙ্গ বেসিক এসেন্স এই ভাষণে অন্তর্নিহিত আছে।’ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘বিদায় হজের ভাষণের যে মাল্টিডিসিপ্লিনারি তাৎপর্য আছে, সেটা কি সবাই ঠিকমতো অনুধাবন করে কিংবা ঠিকমতো জানার সুযোগ পায়? ইতিহাস এবং ধর্মীয় শিক্ষার বইতে তো বটেই, আমার মনে হয় এই ভাষণের কপি প্রিন্ট করে প্রতিটা মসজিদে টাঙিয়ে রাখা উচিত ছিল। অন্তত আমাদের এই বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে প্রতিটা সেক্টরেই ঘুষখোর, সুদখোর, ভণ্ড, প্রতারক, ধর্মব্যবসায়ী কিংবা বিদ্বেষী আর অন্যের হক মেরে খাওয়া লোকজন দিয়ে ঠাঁসা চারদিক!’ভোরের আকাশ/জাআ
১ সপ্তাহ আগে