সৌদি পৌঁছেছেন ৩২ হাজার ৫৮৮ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু
চলতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। হামিদা বানু (৫৮) নামে একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মদিনায়। তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় সদরে। তিনি সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন।
বুধবার (৭ মে) সকালে হজ পোর্টালে ‘পবিত্র হজ-২০২৫ প্রতিদিনের বুলেটিন’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেলো।
হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, ৭ মে ২০২৫ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জন হজযাত্রীর জন্য কোটা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হজযাত্রী ইতোমধ্যেই সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে হজযাত্রীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মো. খলিলুর রহমান (৭০), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ফরিদুজ্জামান (৫৭) এবং পঞ্চগড় সদরের নারী হজযাত্রী আল হামিদা বানু (৫৪)। তারা সবাই সৌদি আরবে স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
চলতি বছর হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হয় ২৯ এপ্রিল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে। ওই ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত।
হজ ফ্লাইট পরিচালনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত ৩১টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। সৌদি এয়ারলাইন্স চালিয়েছে ২৩টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আগামী ৫ জুন ২০২৫ তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে, যা ১০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাগ মানুষের এক প্রাকৃতিক অনুভূতি হলেও, অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় রাগ সমাজ ও পারিবারিক জীবনে বড় ধরনের অশান্তি ডেকে আনে। ইসলাম রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং কুরআন-হাদিসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়।হাদিসে বলা হয়েছে, অহেতুক রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। এটি আগুনের মতো, যা সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। আগুন যেমন বস্তু জ্বালিয়ে দেয়, তেমনি রাগ মানুষের মনুষ্যত্ব, পারিবারিক সম্পর্ক ও সামাজিক বন্ধনকে ভেঙে দিতে পারে। এ কারণে ইসলাম রাগ দমন করতে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে।রাগ কমাতে কী করণীয়?হজরত আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: “যদি তোমাদের কেউ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় রাগান্বিত হয়, তাহলে সে যেন বসে পড়ে। যদি এতে রাগ চলে যায়, তাহলে ভালো। আর যদি না যায়, তাহলে শুয়ে পড়ে।”— (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১৩৪৮)অন্য একটি হাদিসে, সাহাবি আবু ওয়াইল আল-কাস (রহ.) বর্ণনা করেন, একবার উরওয়াহ ইবন মুহাম্মাদ আস-সাদী (রহ.)-কে কেউ রাগিয়ে দিলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে গিয়ে অজু করেন। এরপর বলেন, “আমার দাদা আতিয়্যাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, রাগ হলো শয়তানী প্রভাবের ফল। শয়তান আগুন থেকে সৃষ্টি হয়েছে, আর আগুন নিভে যায় পানি দিয়ে। অতএব, কেউ যদি রাগান্বিত হয়, সে যেন অজু করে নেয়।”— (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)রাগ নিয়ন্ত্রণে রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা:হাদিসের আলোকে রাগ কমানোর জন্য নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে—রাগ উঠলে দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়াবসেও রাগ না কমলে শুয়ে পড়াএরপরও রাগ না কমলে অজু বা গোসল করাবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই উপায়গুলো শুধু ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও কার্যকর। আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে আবেগ নিয়ন্ত্রণের এ পদ্ধতি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়।রাগ যখন মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী চললে রাগ কমে, সম্পর্ক টিকে থাকে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত রাগ দমনে হাদিসের পরামর্শ অনুসরণ করা এবং নিজেকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করা।ভোরের আকাশ//হ.র
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর। একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তারা একসঙ্গে থাকেন। আবার একসঙ্গে থাকতে থাকতে দুজনের সম্পর্ক অনেক সময় বন্ধুর মতো হয়ে যায়। এতে একজন আরেকজনকে নাম ধরে ডাকাও শুরু করেন অনেকসময়। অনেকেই আবার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা নিয়ে অনেক মন্তব্য করেন।স্বামীর নাম ধরে ডাকার বিষয়টি নির্ভর করে দেশীয় সংস্কৃতি ও রেওয়াজের ওপর। বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে সাধারণত স্বামীর নাম ধরে ডাকাকে অসম্মানজনক ও বেয়াদবি মনে করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা হলো, রেওয়াজ থাকলে এবং প্রয়োজন হলে যে কোনো সময় স্বামীর নাম উচ্চারণ করা যাবে।এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামিতে বর্ণিত আছে, ছেলে কর্তৃক তার বাবাকে এবং স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) ওই বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘বরং এমন শব্দের মাধ্যমে ডাকা উচিত- যেটা সম্মান বোঝাবে। যেমন- হে আমার সর্দার, অমুকের বাবা ইত্যাদি অথবা সম্মানসূচক পেশার সঙ্গে সংযুক্ত করে ডাকবে। যেমন- ইমাম সাহেব, ডাক্তার সাহেব ইত্যাদি)। কেননা বাবা ও স্বামী- তাদের উভয়ের হক একটু বেশি। (রাদ্দুল মুহতার আলাদ দুররিল মুখতার : ০৬/৪১৮)ইবরাহিম (আ.) যখন তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশুপুত্র ইসমাঈলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তার স্ত্রী তাকে এভাবে ডাকেন—হে ইবরাহিম! পুরো ঘটনা সহিহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে আছে—ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবরাহিম (আ.) ও তার স্ত্রী (সারার) মধ্যে যা হওয়ার তা হয়ে গেল, তখন ইবরাহিম (আ.) (শিশুপুত্র) ইসমাঈল ও তার মাকে নিয়ে বের হলেন। তাদের সঙ্গে একটি থলে ছিল, যাতে পানি ছিল।ইসমাঈল (আ.)-এর মা মশক থেকে পানি পান করতেন। ফলে শিশুর জন্য তার স্তনে দুধ বাড়তে থাকে। অবশেষে ইবরাহিম (আ.) মক্কায় পৌঁছে হাজেরাকে একটি বিরাট গাছের নিচে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। অতঃপর ইবরাহিম (আ.) নিজ পরিবারের (সারার) কাছে ফিরে চললেন। তখন ইসমাঈল (আ.)-এর মা কিছু দূর পর্যন্ত তাকে অনুসরণ করেন। অবশেষে যখন কাদা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তিনি পেছন থেকে ডেকে বলেন, হে ইবরাহিম! আপনি আমাদের কার কাছে রেখে যাচ্ছেন? ইবরাহিম (আ.) বলেন, আল্লাহর কাছে। হাজেরা (আ.) বলেন, আমি আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩৬৫)ভোরের আকাশ//হ.র
মানুষের জীবনে মৃত্যু এক অবধারিত ও অনস্বীকার্য সত্য। কিন্তু মৃত্যুর মুহূর্তে মানুষ কী অনুভব করে? ইসলামিক বর্ণনায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানা যায়, মুমিন ও অমুসলিম বা পাপীর মৃত্যুর সময়কার অভিজ্ঞতা একেবারে ভিন্ন।মুমিনের মৃত্যু, শান্ত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত: বারা ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, একজন মুমিন ব্যক্তি মৃত্যুর সময় যখন আল্লাহর সাক্ষাতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকে, তখন আকাশ থেকে শুভ্র ও উজ্জ্বল চেহারার ফেরেশতারা জান্নাতের সুগন্ধি ও কাফন নিয়ে নেমে আসেন।মালাকুল মাওত তখন বলেন, ‘হে প্রশান্ত আত্মা! আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টির দিকে বেরিয়ে এসো।’ তখন তার আত্মা শরীর থেকে পানির ফোঁটার মতো সহজে বের হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৫৫৭)পাপীর মৃত্যু—যন্ত্রণাদায়ক ও ভয়ংকর: অন্যদিকে বদকার বা পাপী ব্যক্তির মৃত্যু হয় কঠিন ও কষ্টকর। কালো মুখাবয়বের ফেরেশতারা এসে বলেন, ‘হে অপবিত্র আত্মা! আল্লাহর গজব ও ক্রোধের দিকে বের হয়ে আয়।’ তখন তার আত্মা ছটফট করতে করতে কষ্টে বের হয়।মৃত্যুর পর রুহ কোথায় যায়?হাদিসে এসেছে, মানুষ মারা যাওয়ার পর সকাল-সন্ধ্যায় তার পরকালের গন্তব্যস্থান তার সামনে তুলে ধরা হয়। সহিহ বুখারির হাদিসে (৩২৪০) বর্ণিত, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, “যদি মৃত জান্নাতবাসী হয়, তবে তাকে জান্নাতের বাসস্থান দেখানো হয়, আর যদি জাহান্নামবাসী হয়, তবে তাকে জাহান্নামের বাসস্থান দেখানো হয়।”কোরআনের বক্তব্য: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের কর্মের পুরোপুরি প্রতিদান কিয়ামতের দিনই দেওয়া হবে। অতঃপর যাকেই জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে-ই প্রকৃত সফল।’(সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮৫)আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "ভালো ও নেক কাজ খারাপ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ নিবারণ করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক আয়ু বাড়ায়।" (তাবরানি কাবির: ৮০১৪)মৃত্যু নিশ্চিত, তবে জান্নাতের চিরসুখের ঠিকানা অর্জনের জন্য জীবদ্দশাতেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ইবাদত, নেক আমল এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রচেষ্টা।ভোরের আকাশ//হ.র
বর্তমান সময়ে খুন-হত্যা যেন এক ভয়াবহ ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশী শক্তি দেখিয়ে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। এমনকি স্বার্থের দ্বন্দ্বে অন্ধ হয়ে অনেকেই খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করছে, যা সমাজে এক ভয়ঙ্কর বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।এই নিষ্ঠুর প্রবণতার বিপরীতে সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা অন্যের জীবন রক্ষা করতে নিজেকে বিলিয়ে দেন। তারা কারও রক্ত দেখে আনন্দ পান না, বরং কারও প্রাণ রক্ষা করাকে নিজের জীবন থেকেও বড় মনে করেন। এ ধরনের মানুষের প্রশংসা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই করেছেন পবিত্র কোরআনে।সুরা মায়েদার ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “এই কারণেই আমি বনী ইসরাঈলের ওপর নির্দেশ দিয়েছি, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে, সে যেন গোটা মানবজাতিকে হত্যা করল। আর যে একজন প্রাণ বাঁচাল, সে যেন গোটা মানবজাতির প্রাণ রক্ষা করল।” (সুরা মায়েদা, আয়াত ৩২)তাফসিরকারকদের ব্যাখ্যায় জানা যায়, এ আয়াতে যে ‘প্রাণ রক্ষা’ বলা হয়েছে তা বোঝায়— কোনো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা না করা, বরং তাকে নিরাপত্তা দেওয়া। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, “আল্লাহ যাদের হত্যা করা হারাম করেছেন, সেই ধরনের মানুষকে হত্যা না করাই জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। এতে পুরো মানবজাতির জন্য বাঁচার সুযোগ তৈরি হয়।” (তাবারী)শুধু কোরআনেই নয়, হাদিসেও রয়েছে এমন মহৎ কাজের অসাধারণ মর্যাদা।হজরত সাঈদ ইবনে জায়দ (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি নিজের মাল রক্ষায় যুদ্ধ করে মারা যায়, সে শহীদ। যে পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা যায়, সেও শহীদ। যে তার দ্বিন রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সেও শহীদ। আর যে নিজ প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সেও শহীদ।” (নাসায়ি, হাদিস : ৪০৯৫)এই আয়াত ও হাদিসের আলোকে স্পষ্ট, যারা অন্যায় থেকে বিরত থাকে এবং অন্যের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসে, তারা শুধু একজন মানুষের নয়, বরং পুরো মানবতার রক্ষক হিসেবে গণ্য হন।বর্তমান সমাজে এমন সহানুভূতিশীল ও মানবিক মানুষ দরকার, যারা অন্যের প্রাণ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে—কারণ এক প্রাণ রক্ষা মানেই যেন পুরো মানবজাতির রক্ষা।ভোরের আকাশ//হ.র