× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার
জাতীয়

মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার

আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে সিনহা হত্যামামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি গ্রহন করবে হাইকোর্ট। সোমবার (২১ এপ্রিল) দৈনন্দিন কার্যতালিকায় এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা হতে মূলতবি/ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডেথ রেফারেন্স (১৪/২০২২) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচদিন পর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন।২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র‌্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

‘পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’

‘পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’

সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদ যেন প্রতিষ্ঠা না পায়: আলী রীয়াজ

সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদ যেন প্রতিষ্ঠা না পায়: আলী রীয়াজ

লক্ষাধিক টাকা সম্মানি ফিরিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

লক্ষাধিক টাকা সম্মানি ফিরিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার

রুদ্ধ হতে পারে রাজনীতির পথ

রুদ্ধ হতে পারে রাজনীতির পথ

সম্পাদকীয়

ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গ কর্তন!

ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড ও অঙ্গ কর্তন!

সম্পাদকীয়

আ.লীগ থেকে কী শিক্ষা নেবে অন্য দলগুলো?

আ.লীগ থেকে কী শিক্ষা নেবে অন্য দলগুলো?

সম্পাদকীয়

  • মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার

    মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার

  • কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

    কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

  • কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

  • পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

    পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

  • এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

    এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

  • মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

    মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

  • বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

    বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

সব খবর

  • মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার

    মেজর সিনহা হত্যা মামলা : আপিল শুনানি বুধবার

  • কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

    কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

  • কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

  • পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

    পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

  • এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

    এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

  • মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

    মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

  • বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

    বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

সব খবর

আন্দোলনের ছবি তুললেই লাঠিপেটা করছেন রিকশাচালকরা

আন্দোলনের ছবি তুললেই লাঠিপেটা করছেন রিকশাচালকরা

রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর রোড এলাকায় লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। রিকশা চালানোর দাবিতে তারা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে। আজ আন্দোলন চলাকালে যারা ছবি-ভিডিও ধারণ করেন তাদের ওপর চালকরা হামলা করেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বনানী ১১ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।বনানী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গুলশান সোসাইটি ঘোষণা করে ওই এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু সোসাইটির এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি রিকশাচালকরা। তারা গত কয়েকদিন ধরে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। আজ সোসাইটির লোকজন গুলশানের শেষ মাথায় এবং বনানী এলাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করছিল। এতে চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তারা বনানী ১১ নম্বর এলাকায় আন্দোলন শুরু করেন। এসময় যারা আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও তুলতে আসেন তাদের লাঠিপেটা করেন তারা।বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বর্তমানে বনানী ১১ নম্বর রোডে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতা গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতা গ্রেপ্তার

ফকিরাপুলে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ফকিরাপুলে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

রাজধানীতে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ নেতা গ্রেফতার

রাজধানীতে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৬ নেতা গ্রেফতার

রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

রাজবাড়ীর বা‌লিয়াকা‌ন্দি উপ‌জেলায় বজ্রপা‌তে এক কৃষ‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। এ ঘটনায় আহত হ‌য়ে‌ছে আরও একজন। সোমবার সকা‌ল ১০টার দিকে উপ‌জেলার জামালপুর ইউনিয়নের খালকুলা মা‌ঠে এ ঘটনা ঘ‌টে ব‌লে বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামালউদ্দিন জানান। নিহত ওই কৃষ‌কের নাম কামাল শেখ। তিনি খালকুলা পশ্চিমপাড়া গ্রা‌মের আবু সাইদ শেখের ছেলে।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুকুল সিকদার জানান, সকালে কামাল তার বাবা সাইদ ও ভাগিনা রাজুকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে মরিচ খেতে কৃষিকাজ করতে যান। এ সময় হঠাৎই বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হলে তারা তিনজন খেত থেকে দৌড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই কামাল মারা যান। রাজু অজ্ঞান হয়ে গেলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

মানিকগঞ্জ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

মানিকগঞ্জ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ

গাইবান্ধায় কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত

গাইবান্ধায় কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী

মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী

ফুলছড়িতে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফুলছড়িতে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

এনসিপি নেতাদের সঙ্গে আনফ্রেলের মতবিনিময়

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (আনফ্রেল)-এর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা।সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সভায় এনসিপির পক্ষ থেকে ‘আগে মৌলিক সংস্কার, পরে নির্বাচন’ এই অবস্থানটি তুলে ধরা হয়। দলটির প্রতিনিধিরা নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য করার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচিত হয় নাগরিকদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানোর উপায়, বিশেষত তরুণদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করার বিষয়ে।এনসিপির পক্ষে সভায় অংশ নেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং মাহবুব আলম। আনফ্রেলের পক্ষে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্দু আবেরাথনা, প্রোগ্রাম কনসালটেন্ট মে বুথয় এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

জুলাই আগস্টের ত্যাগেও কাঙ্ক্ষিত দেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল

জুলাই আগস্টের ত্যাগেও কাঙ্ক্ষিত দেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল

ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব: আমির খসরু

ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব: আমির খসরু

দেশে কেমন একটা অস্থিরতা চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশে কেমন একটা অস্থিরতা চলছে: মির্জা ফখরুল

বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হন বলিউড অভিনেত্রী

বলিউডের ব্যবসাসফল সিনেমার অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম দিব্যা দত্ত। নিজের অভিনয় জীবনে অনেক হিট সিনেমায় কাজ করেছেন। ‘বীর-জারা’, ‘আজা নাচলে’ সহ বহু ছবিতে নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের মন জয় করেছেন। শাহরুখ খান ও প্রীতি জিনতা থেকে শুরু করে ইরফান খানের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন দিব্যা। যদিও নায়িকা নয়, নজর কেড়েছেন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেই।সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইন বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শৈশবের একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন দিব্যা। জানান, ছোটবেলায় বাথরুমেই বসে পড়াশোনা করতে হতো তাকে! এই অদ্ভুত অভ্যাসের পেছনে রয়েছে মজার একটি কারণ। দিব্যা জানান, ছোটবেলায় শুয়ে শুয়ে পড়ার অভ্যাস ছিল তার। ফলে প্রায়ই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যেতেন। একদিন মা রেগে গিয়ে বলেন, এভাবে পড়লে চলবে না, সোজা হয়ে চেয়ারে বসে পড়তে হবে। তখন দিব্যা মজার ছলেই বলেন, তাহলে আমাকে বাথরুমেই চেয়ার-টেবিল দিয়ে দাও। মায়ের কাছে কথাটি ছিল মজার না, বরং কার্যকর এক কৌশল। সত্যিই তিনি বাথরুমে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে দেন! এরপর থেকে বাথরুমেই পড়তে বসতেন দিব্যা। কারণ সেখানে ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ ছিল না।হাসতে হাসতে দিব্যা বলেন, সেই বছরই আমি ক্লাসে ফার্স্ট হয়েছিলাম। আজও এ ঘটনা মনে পড়লে মজা পাই। যদিও তখন এটাকে শাস্তিই মনে হতো।ভোরের আকাশ/এসএইচ

নতুন করে শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা রক ফেস্ট’

নতুন করে শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা রক ফেস্ট’

অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতৃত্বে আজাদ-অপু

অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতৃত্বে আজাদ-অপু

দোহায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস

দোহায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস

কস্টিউমের ভেতরে আরও দুইটা জামা পরেছিলাম: মাহি

কস্টিউমের ভেতরে আরও দুইটা জামা পরেছিলাম: মাহি

কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

কলকাতাকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিলো গুজরাট

ইডেন গার্ডেন্সে সফরকারী দল গুজরাট টাইটান্সের টপ অর্ডার ঝলক দেখালেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের পুরো ব্যাটিং লাইনআপ ব্যর্থ। প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। রশিদ খান ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা জোড়া উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মিতব্যয়ী বোলিং করে রেখেছেন দারুণ অবদান। কলকাতার মাঠে গুজরাটের ৩৯ রানের জয়ের ভিত অবশ্য গড়ে দেন দুই ওপেনার শুবমান গিল ও সাই কিশোর। দুজনেই ফিফটি করেন।গিল ও সুদর্শন ৭৪ বলে ১১৪ রানের জুটি গড়ে দিয়ে যান। সুদর্শন ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫২ রানে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। তারপর গিল ও জস বাটলারের ঝড়ো ৫৮ রানের জুটি। ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন গিল। ৫৫ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৯০ রান করে আউট হন তিনি।শেষ দিকে ২৩ বলে ৮ চারে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় স্কোরবোর্ড জাঁকালো করেন বাটলার। ৫ বলে ১১ রান করে অবদান রাখেন শাহরুখ খান। লক্ষ্যে নেমে কেবল আজিঙ্কা রাহানের ব্যাট হেসেছে। দুই প্রান্ত থেকে রশিদ ও প্রসিদ্ধ কলকাতাকে চেপে ধরেন। দুজনে মিলে ৮ ওভারে মাত্র ৫০ রান দেন, ভাগাভাগি করেন চার উইকেট।৩৬ বলে ৫০ রান করেন রাহানে। শেষ দিকে আংক্রিশ রাঘুবংশী ১৩ বলে ২৭ রান করে স্কোর দেড়শ পার করেন। এছাড়া ২১ রান আসে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে। ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে কলকাতা। রশিদ ও প্রসিদ্ধ সমান ২৫ রান দেন, নেনও দুটি করে উইকেট। সাই কিশোর ৩ ওভারে ১৯ রান খরচায় এক উইকেট নিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো কলকাতা। যদিও সপ্তম স্থানেই আছে তারা। আর গুজরাট আট ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ 

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই

ইতিহাস গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী

ইতিহাস গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী ইতিহাস গড়লেন বৈভব সূর্যবংশী

বাফুফের নতুন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আমিরুল

বাফুফের নতুন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আমিরুল

কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের

কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা বাংলাদেশের

পাহাড়ে সাতরঙা উৎসব

পাহাড়ে সাতরঙা উৎসব

নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে প্রতিবছর ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকেন পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠেী। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়িদের প্রধান এ সামাজিক উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে এরই মধ্যে বৈসাবি উৎসবের রং লেগেছে। বর্ণিল সাজে সেজেছে পাহাড়। ঘরে ঘরে আনন্দের ধ্বনি। বসেছে আনন্দ-উল্লাস আর নাচ-গানের আসর।পুরনো বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমনের উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলার মধ্য দিয়ে জেলায় জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, জায়া-জননীরা মিলেমিশে প্রাণের এ উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে।  শনিবার রাজধানীতে বৈসাবি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। বেইলি রোডের পার্বত্য কমপ্লেক্স হতে রমনা পার্কের লেকে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা মেতে উঠবে ‘বৈসাবি’ উৎসবে। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা তরুণ-তরুণীদের রং-বেরঙের সাজ আনন্দ বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। জনশ্রুতি রয়েছে, বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়া একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়-যা ‘সংক্রান’ নামে পরিচিত।ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে। একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ হয়েছে।চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। বৈশাখ মাসে তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয়। পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর সবাই নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এ সময়টিতে। বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের আদ্যক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের ‘বিঝু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’-এই তিন উৎসব সমন্বয়ে ‘বৈসাবি’। তবে শুধু বৈসাবি পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির অনুষ্ঠানের বহুমাত্রিকতাকে প্রকাশ করে না।বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসবকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর লোকজন ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে। চাকমারা বিঝু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিসু হিসেবে পালন করে ‘বৈসাবি’ উৎসবকে। বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়। বিঝু চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। ১২ এপ্রিল পালন করা হয় ফুলবিঝু।এদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগৃহীত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয়, আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিঝু। এদিন সকালে বুদ্ধমূর্তি স্নান করিয়ে পূজা করা হয়। ছেলে-মেয়েরা তাদের বৃদ্ধ ঠাকুরদা-ঠাকুরমা এবং দাদু-দিদাকে স্নান করায় এবং আশীর্বাদ নেয়। এদিন ঘরে ঘরে পোলাও, পায়েস, পাচনসহ (বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণে তৈরি এক ধরনের তরকারি) অনেক সুস্বাদু খাবার রান্না করা হয়।১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পালন করা হয় গোজ্যেপোজ্যে দিন (অবসর বা বিশ্রাম নেয়ার সময়)। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এ দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। বড় কোনো গাছ থাকলে তার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে সম্মান জানানো হয় এ দিনে। বিঝু উৎসব চলাকালে কোনো জীবিত প্রাণী হত্যা করা নিষেধ রয়েছে চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে।চৈত্র মাসের শেষ দুইদিন এবং বৈশাখ মাসের প্রথম দিন এই তিন দিনব্যাপী পালিত হয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব বৈসু। প্রথম দিনকে বলা হয় হারি বৈসু, দ্বিতীয় দিনকে বৈসুমা এবং তৃতীয় বা শেষ দিনটিকে বলা হয় বিসি কতাল। মূলত আগামী দিনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয়ে থাকে এ দিনে। হারি বৈসুতে ভোরবেলায় গাছ থেকে ফুল তোলার হিড়িক পড়ে যায়। সেই ফুল দিয়ে বাড়িঘর সাজানো ও পবিত্র স্থানগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বৈসাবি উৎসবের জনপ্রিয় খাবার ‘গণত্মক বা পাচন’ রান্না হবে প্রায় সব ত্রিপুরাদের ঘরে। ২৫ থেকে ৩০ ধরনের সবজির মিশ্রণে রান্না করা হয় এ বিশেষ সবজি।এছাড়া পিঠা, সেমাই, মুড়ি-মুড়কি, চানাচুর, বিভিন্ন ধরনের ফল ও ঠাণ্ডা পানীয় তো থাকছেই। ত্রিপুরা ও মারমাদের পানি উৎসব প্রায় কমবেশি অনেকের কাছে জনপ্রিয়। এটি বৈসাবি উৎসবেরই একটি অংশ। এই উৎসবে সবাই পরস্পরের দিকে পানি ছুঁড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন, যেন গত বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ও পাপ ধুয়ে যায়। এর আগে হয় জলপূজা। এর মাধ্যমে পরস্পরের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তাদের প্রিয় মানুষটির দিকে পানি ছিটানোর মাধ্যমে সবার সামনে ভালোবাসা প্রকাশ করা হয়। ভালোবাসার এমন বর্ণাঢ্য উচ্ছ্বাস ও অনুভূতি ‘গান্ধর্ব্য’ কেবল বৈসাবি উৎসবেই শোভা পায়।বান্দরবানের তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বিষু উৎসব পালন করে থাকে। এদিন সাংগু নদীতে কলাপাতায় ভক্তি ও শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর পূজা করে থাকেন তারা। ঘিলা খেলার মাধ্যমে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর বিষু উৎসব শুরু হয়। সঙ্গে থাকে ২০ থেকে ৩০ পদের সবজি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাচন রান্না আর ভোজন। বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় এবার চার দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবের আয়োজন করেছে।উৎসবকে ঘিরে দুদিনব্যাপী পানিখেলা, পিঠা তৈরি, বলীখেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন চলবে। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ-মৈত্রী পানিবর্ষণ জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মারমা তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠবে জলকেলি বা পানি ছিটানো খেলায়। এছাড়া দিনব্যাপী চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৌদ্ধ বিহারসমূহে (ক্যায়াং) অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন। এই সময় হাজার হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে পাহাড়ি নারী-পুরুষরা প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করবেন। অসমের জাতীয় উৎসব হলো বিহু। বিহু সমাজের সবাই এই উৎসব উদযাপন করে থাকে। এর মূল অংশ হলো কৃষি ভিত্তিক উৎসব। বি শব্দটির অর্থ প্রার্থনা এবং শু শব্দের অর্থ শান্তি ও সমৃদ্ধি। বিশু শব্দ থেকে বিবর্তনের ধারায় বিহু শব্দের উৎপত্তি। জনশ্রুতি আছে বিহু মূলত আসামের চুটিয়া উপজাতিদের মধ্যে প্রচলিত।এক্ষেত্রে হু শব্দটি তারা দান অর্থে ব্যবহার করে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অসম জাতি চৈত্র সংক্রান্তিতে বিহু উৎসব উদযাপন করে থাকে। বান্দরবানে ম্রো সম্প্রদায় চৈত্র সংক্রান্তিতে পালন করে চাংক্রান উৎসব। প্রতিবছর বর্ষবরণ উপলক্ষে ম্রো সম্প্রদায়ের পিঠা উৎসব, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও তাদের তৈরি বিশাল আকারের বাঁশের প্লোং বাঁশি বাদ্যযন্ত্র উৎসবের আকর্ষণকে বহুমাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে।এছাড়া উৎসব ঘিরে পানিখেলা, তৈলাক্ত বাঁশে বেয়ে ওঠা, লাঠি দিয়ে শক্তি প্রদর্শন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার

ভুয়া ভিডিও রুখতে বড় পদক্ষেপ নিলো ইউটিউব

ভুয়া ভিডিও রুখতে বড় পদক্ষেপ নিলো ইউটিউব

রুদ্ধ হতে পারে রাজনীতির পথ

রুদ্ধ হতে পারে রাজনীতির পথ

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কূটনৈতিক দলসহ ভারত সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। সোমবার (২১ এপ্রিল) মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন তিনি।দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন এমন একটি বাণিজ্যচুক্তি করতে চায়, যা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই লাভবান হবে।সম্প্রতি বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তির জন্যেই এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।গণতান্ত্রিক বিশ্বের রক্ষক হওয়ার সুবাদে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে বরাবরই নিজেদের বিশেষ অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে বলেছে যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি।অবশ্য সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যালোচনা করে অনেক কূটনীতি বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, চীনের সাম্প্রতিক ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাণিজ্যচুক্তি ইস্যুতে ভারতের কোনো ‘তাড়া’ নেই।নয়াদিল্লির এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভ্যান্সের এবারের সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন খাতের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

গাজায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত

বিয়ের আসরে হবু শাশুড়িকে দেখে পালালেন বর

বিয়ের আসরে হবু শাশুড়িকে দেখে পালালেন বর

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর পর্দা প্রথার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর পর্দা প্রথার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

পর্দা — একটি শব্দ, যার ভেতর লুকিয়ে রয়েছে মানব সমাজের নৈতিকতা, সৌন্দর্যবোধ, আত্মমর্যাদা এবং শালীনতার নিপুণ পরিচায়ক। ইসলাম এই পর্দা প্রথাকে শুধু একটি আচার বা ঐতিহ্যগত নিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং এটিকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনের শান্তি ও সুস্থতার অপরিহার্য শর্ত হিসেবে নির্দেশ করেছে। কুরআন ও সুন্নাহয় স্পষ্টভাবে নারীর পর্দা পালনের নির্দেশনা এসেছে, যা কেবল ইহকালীন সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষাই নয়, বরং আত্মশুদ্ধি এবং পরকালীন মুক্তির মাধ্যমও।ইসলামে নারীর মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। পবিত্র কুরআনে নারীকে সম্মান, অধিকার এবং মর্যাদার যে আসন প্রদান করা হয়েছে, তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে অনন্য। নারীর শালীনতা ও সম্মান রক্ষায় ইসলাম পর্দা প্রথাকে অপরিহার্য বিধান হিসেবে নির্ধারণ করেছে। পর্দা নারীকে লাঞ্ছনা, অসম্মান এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি, এটি পুরুষের দৃষ্টিশুদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চর্চাও নিশ্চিত করে।পবিত্র কুরআনে পর্দা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: “মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। এতে তাদের জন্য রয়েছে পরিশুদ্ধি। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের কর্মসমূহ সম্যক জানেন। এবং মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, যা নিজে থেকেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে তা ছাড়া।” (সূরা আন-নূর, ২৪:৩০-৩১)এই আয়াত দ্ব্যর্থহীনভাবে বুঝিয়ে দেয়, পর্দা শুধুমাত্র নারীর জন্য নয়, পুরুষের জন্যও দায়িত্ব। পর্দা মানে কেবল পোশাকের সীমারেখা নয়, বরং দৃষ্টির সংযম, আচরণে শালীনতা, এবং হৃদয়ের পবিত্রতা। পর্দা মানে নিজেকে এমনভাবে সংরক্ষণ করা, যাতে অন্যের কাছে প্ররোচনা বা লোভের বস্তু হয়ে না দাঁড়ায়।ইসলামে পর্দা শুধু নারী-পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্য আড়াল করার মাধ্যম নয়, বরং এটি চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষার প্রতীক। পোশাকের মধ্যে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তির পরিচয়, মনস্তত্ত্ব এবং জীবনদর্শন। একজন নারীর পর্দাশীল জীবনাচার তার ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করে, সমাজে তাকে মর্যাদাশীল অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করে এবং তাকে হয়রানি, কু-প্রস্তাব ও লাঞ্ছনা থেকে নিরাপদ রাখে।রাসূলুল্লাহ (স.) এর জীবনে পর্দা প্রথার গুরুত্বরাসূলুল্লাহ (স.) নারীর মর্যাদা ও পর্দা প্রসঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা।” (বুখারি ও মুসলিম) নারীর লজ্জাশীলতা তার পর্দাশীলতার অন্যতম অভিব্যক্তি। ইসলামের দৃষ্টিতে লজ্জা একটি পূর্ণাঙ্গ নৈতিক গুণ, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের চরিত্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু নারীর জন্য এটি তার নিজস্ব অস্তিত্বের অংশ। কারণ, নারীর দেহের গঠন এবং সৌন্দর্য সহজাতভাবে পুরুষকে আকর্ষণ করে, যা সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইসলাম নারীর জন্য পর্দাকে বাধ্যতামূলক করেছে।পর্দা প্রথার সামাজিক তাৎপর্যএকটি সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্দা প্রথা এক অপরিহার্য উপাদান। পর্দাহীনতা কেবল ব্যক্তিগত অবক্ষয়ই নয়, সামাজিক নৈতিকতাকেও ভেঙে দেয়। ইসলাম চায় একটি সুন্দর, নিরাপদ এবং সদাচারপূর্ণ সমাজ, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েই মর্যাদাশীল অবস্থায় বসবাস করবে। পর্দা সমাজে পবিত্রতা, সৌহার্দ্য এবং শালীনতার আবহ তৈরি করে।যদি একজন নারী নিজেকে পর্দার মধ্যে রাখেন, তবে তার প্রতি অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি সম্মানজনক হয়। একইভাবে, একজন পুরুষ যদি তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে, তাহলে সমাজে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। দুই পক্ষের সম্মিলিত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে একটি সুস্থ, নৈতিক সমাজ ব্যবস্থা।পর্দার মানসিক ও আত্মিক গুরুত্বপর্দা শুধুমাত্র বাহ্যিক নয়, এটি মানসিক এবং আত্মিক পর্দাও বটে। একজন মুমিন নারী যখন নিজেকে শালীন পোশাকে ঢেকে রাখেন এবং বিনয় ও সংযমের আচরণ চর্চা করেন, তখন তার অন্তরের পর্দাও দৃঢ় হয়। এতে করে সে নিজেকে অহঙ্কার, অসততা, কামনা-বাসনা ইত্যাদি আত্মিক ব্যাধি থেকে রক্ষা করতে পারে।অপরদিকে, বাহ্যিক পর্দার অভাব ধীরে ধীরে আত্মিক দূষণ সৃষ্টি করে। কারণ, যখন দৃষ্টিশীলতা ও আচরণে শালীনতা লুপ্ত হয়, তখন মনও কলুষিত হয়ে পড়ে। আর এই অভ্যাসই একসময় সমাজে চরিত্রহীনতার প্রসার ঘটায়।পর্দা: নারী স্বাধীনতার প্রতিকূল নয়বর্তমানে অনেকে মনে করেন, পর্দা নারীর স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। বরং পর্দা নারীকে তার প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাধীনতা দেয়। পর্দাশীল নারী নিজেকে বাজারের পণ্যের মতো উপস্থাপন করতে বাধ্য হয় না। সে নিজের ইচ্ছা ও মর্জি অনুযায়ী সম্মান বজায় রেখে সমাজে অবাধ চলাফেরা করতে পারে। পর্দা নারীর ব্যক্তিত্বের সম্মান রক্ষা করে এবং তাকে পুরুষতান্ত্রিক লোলুপতার শিকার হওয়া থেকে বাঁচায়। ইসলাম নারীর জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, গবেষণা, ব্যবসা, সমাজসেবা সবকিছুর অনুমোদন দিয়েছে; তবে তা শালীনতা, সম্মান ও নিরাপত্তার শর্ত সাপেক্ষে। আর এই শালীনতার সবচেয়ে বড় প্রহরী হলো পর্দা।পর্দার সুফলপর্দার সুফল কেবল একজন নারী বা তার পরিবার পর্যন্ত সীমিত থাকে না; বরং একটি জাতি ও সমাজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে নারীর পর্দাশীলতার উপর। একজন পর্দানশীন মা তার সন্তানকে শালীনতা, নৈতিকতা ও আদর্শের শিক্ষা দিতে পারেন। পর্দাশীল সমাজে লাম্পট্য, যৌন হয়রানি, ব্যভিচার, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মতো সামাজিক ব্যাধি কমে আসে। এতে পরিবার হয় দৃঢ়, সমাজ হয় নিরাপদ এবং রাষ্ট্র হয় নৈতিকতাসম্পন্ন।ইসলাম নারীর জন্য পর্দা প্রথাকে বাধ্যতামূলক করে তাকে অসম্মান বা অবহেলার শিকার করেনি, বরং তার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। পর্দা নারীর আত্মমর্যাদার ঢাল, তার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি এবং সমাজে তার সম্মানের বাহক। পর্দা শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতার পরিচায়ক। এটি একদিকে যেমন নারীকে রক্ষা করে, তেমনি পুরুষকেও সংযত রাখে। ইসলামী সমাজব্যবস্থায় পর্দা প্রথা একটি অপরিহার্য অনুশীলন, যা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের শান্তি, স্থিতি ও কল্যাণের জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করে।আজকের বিশ্ব যখন পর্দাহীনতার নামে নারী স্বাধীনতার অপব্যাখ্যা করছে, তখন ইসলামের এই চিরন্তন পর্দা প্রথা মানব জাতির জন্য আদর্শ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পর্দা নারীকে যেমন আত্মিক শক্তি দেয়, তেমনি সমাজকেও করে নৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। তাই ইসলামী পর্দা প্রথার গুরুত্ব ও তাৎপর্য মানবজীবনে অপরিসীম।লেখক: গণসংযোগ কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন  ভোরের আকাশ/মি 

মার্চ ফর গাজা : খতিবদের যে অনুরোধ জানালেন আজহারি

মার্চ ফর গাজা : খতিবদের যে অনুরোধ জানালেন আজহারি

আজ চাঁদ উঠলে সৌদি আরবে কাল ঈদ

আজ চাঁদ উঠলে সৌদি আরবে কাল ঈদ

পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ

পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

ইউক্রেনের হামলায় আশুগঞ্জের তরুণ নিহত

ইউক্রেনের হামলায় আশুগঞ্জের তরুণ নিহত ইউক্রেনের হামলায় আশুগঞ্জের তরুণ নিহত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার এক তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার এক সহযোদ্ধা গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন।নিহত মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫) উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। সংসারের হাল ধরতেই রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।জানা গেছে, আকরামের এক বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তার বাবা মোরশেদ মিয়া। পরে ছেলে আকরাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার আমতলীর একটি ট্রেনিং সেন্টারে ওয়েল্ডারের কাজ শেখেন। পরে ঋণ করে প্রায় আট মাস আগে তাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়। খরচ হয় সাড়ে ছয় লাখ টাকা। রাশিয়ায় যাওয়ার পর গত আট মাস সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করেন। প্রতি মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ করে টাকা দেশে পাঠান তিনি। আড়াই মাস আগে রাশিয়াতেই দালালের খপ্পড়ে পড়ে আকরাম দেশটির সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে যুক্ত হন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নেন। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন আকরাম।নিহত আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া বলেন, ছেলে জানিয়েছিলেন- রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কথা না শুনলে মারধর করতেন। গত কয়েক দিন আগে ছেলে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ায় তার ব্যাংক হিসাবে ৪ লাখ টাকা জমা হয়েছে। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। পরিস্থিতি ভালো না বলে জানিয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর রাশিয়া থেকে ফোন করে একজন জানান, ইউক্রেনের হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। লাশ দেশে ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মোরশেদ মিয়া।আকরামের মা মোবিনা বেগম বলেন, ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ১৩ এপ্রিল থেকে পরিবারের সঙ্গে আকরামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় পরিচিতজনেরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।আকরামের পরিবারের বরাত দিয়ে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাশিয়ার সরকার তাকে নাগরিকত্ব দিয়েছিল। তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে পাঠায়।রাশিয়া থেকে মুঠোফোনে তার এক সহযোদ্ধা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা আকরামের লাশ দেশে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

ওয়াটসনে ফেডারেল লিবারেল পার্টির প্রার্থী জাকির আলমের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

ওয়াটসনে ফেডারেল লিবারেল পার্টির প্রার্থী জাকির আলমের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আনবে, প্রত্যাশা আমিরাত প্রেসিডেন্টের

অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় নির্বাচনে লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী বাংলাদেশি লেনিন

অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় নির্বাচনে লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী বাংলাদেশি লেনিন

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কূটনৈতিক দলসহ ভারত সফরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। সোমবার (২১ এপ্রিল) মোদির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন তিনি।দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন এমন একটি বাণিজ্যচুক্তি করতে চায়, যা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের জন্যই লাভবান হবে।সম্প্রতি বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে লাভজনক বাণিজ্য চুক্তির জন্যেই এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।গণতান্ত্রিক বিশ্বের রক্ষক হওয়ার সুবাদে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে বরাবরই নিজেদের বিশেষ অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে বলেছে যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে একটি।অবশ্য সাম্প্রতিক ঘটনাবলী পর্যালোচনা করে অনেক কূটনীতি বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, চীনের সাম্প্রতিক ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ ঘোষণার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাণিজ্যচুক্তি ইস্যুতে ভারতের কোনো ‘তাড়া’ নেই।নয়াদিল্লির এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভ্যান্সের এবারের সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখী বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন খাতের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

গাজায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত

বিয়ের আসরে হবু শাশুড়িকে দেখে পালালেন বর

বিয়ের আসরে হবু শাশুড়িকে দেখে পালালেন বর

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

সব বিভাগের খবর

সুফল মিলছে না

সুফল মিলছে না সুফল মিলছে না

বাজেট ব্যয়ের বড় চাপে পড়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নেই মাসে লাখ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে সরকারকে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের পরও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব ঘাটতি ছাড়িয়ে গেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার নিরিখে পিছিয়ে আছে প্রায় ২১ শতাংশ।এদিকে বিপুল ব্যয়ের চাপ থাকলেও পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান নেই সরকারের। রাজস্ব আদায়ে গতি শ্লথ। বিদেশি উৎস থেকে কাক্সিক্ষত ঋণ মিলছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও টাকা ছাপিয়ে সরকারকে দিচ্ছে না। উল্টো আগের দেওয়া টাকা ফেরত নিচ্ছে। জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ায় মানুষ সঞ্চয়পত্র কেনার পরিবর্তে ভাঙাচ্ছে বেশি। এতে বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে সরকার। হু হু করে বাড়ছে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ হার।ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদি ও বন্ডের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাংক ঋণ সংগ্রহ করে সরকার। বিল ও বন্ডে বাড়তি সুদ পেয়ে ব্যাংকগুলোও এখন সরকারকে ঋণ দিতে উৎসাহী হচ্ছে। এই খাতটি নিরাপদ ও লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে শিল্পোদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া একপ্রকার বন্ধই রেখেছে ব্যাংকগুলো। এতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। কমেছে বেসরকারি বিনিয়োগ। সংকুচিত হয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ।অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশের কম বাজেট বাস্তবায়ন করতে পেরেছে সরকার। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার কোটি। বাজেট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে হলে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসে বাকি ৪ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। এত প্রতি মাসে ব্যয় করতে হবে ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার মতো। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। এটি মূল বাজেটের থেকে ৫৩ হাজার কোটি টাকা কম।অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতে, বছরের শেষ সময়ে একসঙ্গে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি অপচয়, দুর্নীতি ও গুণগত মান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে। অর্থ বিভাগ এ শঙ্কার কথা জানিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শেষ সময়ে মন্ত্রণালয়গুলোর অস্বাভাবিক খরচের কারণে সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। এছাড়া রাজস্ব আহরণ ও ব্যয়-এ দুয়ের মধ্যে কোনো পরিকল্পনা থাকছে না। এতে অপরিকল্পিত ঋণ গ্রহণ এবং ঋণসংক্রান্ত ব্যয়ের দায়ভার বহন করতে হয় সরকারকে যা আর্থিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে দিচ্ছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সরকার পরিচালনায় ৫ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বাজেট বাস্তবায়নে প্রথম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অর্থায়নের সমস্যা। গত সপ্তাহে বাজেট সংক্রান্ত এক সভায় এই পর্যবেক্ষণ এসেছে অর্থ বিভাগ থেকে। বাজেট প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়নের তদারকি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগটি।রাজস্ব আদায়ে সুখবর নেই : জুলাই-আগস্টের তুমুল আন্দোলন, সহিংসতা ও ক্ষমতার পালাবদলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নামে। এর জের টানতে গিয়ে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যে রাশ টেনেও আহরণের ক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।এনবিআরের হালনাগাদ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা; অর্থাৎ এ সময়ে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় তিন হাজার ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে; যা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। রাজস্বের এ ঘাটতি কাটাতে সরকার সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। পরে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের বাধা ও দাবির মুখে বহু পণ্যেই সেখান থেকে ফিরে আসার তথ্যও দিয়েছে এনবিআর।২০২৪ সালের জুনে বাজেট ঘোষণার পর মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতনসহ অর্থনীতিতে নানা সংকট শুরু হয়। বাজেট পাসের দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং এর ধারাবাহিকতায় গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলনের ধাক্কা ও সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার প্রেক্ষাপটে আমদানি, রপ্তানি ও উৎপাদনসহ অর্থনীতির সব সূচক ধীর হয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণ কমার ধারাও অব্যাহত থাকে। তবে ডিসেম্বরে এসে একক মাসের হিসাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে দেখা গেছে রাজস্ব আহরণ। পরের মাস জানুয়ারিতেও তা বজায় ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখলেও এ হার আবার ধীর হয়ে পড়েছে।মিলছে না কাক্সিক্ষত বাজেট সহায়তা : চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ ছাড় ও প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অপরদিকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের প্রতিশ্রুতি ৬৭ শতাংশের বেশি কমেছে। এই সময়ে ২৩৫ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে।গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছিল ৭২০ কোটি ডলারের। প্রতিশ্রুতি নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশে। এসময় চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলো কোনো ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে ৪১৩ কোটি ডলার ছাড় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৯৯ কোটি ডলার। এই হিসাবে অর্থছাড় কমেছে ১৭ শতাংশের বেশি। ঋণ কম আসলেও সরকারকে পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি। আলোচ্য আট মাসে সরকারকে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বাড়াতে হয়েছে ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরে যেখানে ২০৩ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল, এবার সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৪ কোটি ডলারে।ব্যাংক ঋণেই ভরসা সরকারের : অর্থ সংস্থানের উৎস সংকুচিত হওয়ায় ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারকে। যে কারণে সরকারের ব্যাংকঋণ বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ৯৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে কোন ঋণ দেয়নি। উল্টো আগের দেওয়া ঋণের ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করেছে সরকারের কাছ থেকে। মূলত টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। তাই মূল্যস্ফীতির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবার সরকারকে ঋণ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করা ঋণের হিসাব বাদ দিলে মার্চ শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেওয়া নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে নিট ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত দুই মাসে সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ সাড়ে তিনগুণের বেশি বেড়েছে।চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। পরবর্তিতে সেই লক্ষ্যমাত্রা ২৭ শতাংশ কমিয়ে ৯৯ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত ঋণের চাহিদা কম থাকায় এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হয়। তবে এখন চাহিদা বাড়তে থাকায় সরকারের ব্যাংক ঋণ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আটকে রাখা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।এদিকে সরকার ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মূলত স্বল্প মেয়াদি ট্রেজারি বিল ও দীর্ঘ মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড বিভিন্ন সময়ে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেয় সরকার। এই বিলের বিপরীতে সরকারের থেকে সুদ পায় ব্যাংকগুলো। আবার জরুরি প্রয়োজনে এসব বিল বা বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে জমা রেখে নগদ অর্থ নিতে পারে ব্যাংকগুলো। তাই শিল্পবাণিজ্য ঋণের ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ খাতে ঝুঁকেছে দেশের ব্যাংকগুলো।যে কারণে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমেছে ইতিহাসের সর্বনিম্ব অবস্থানে, ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সরাসরি সম্পৃক্ত। আর বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়া। এদিকে সরকারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিলামে বেশি সুদ দাবি করছে ব্যাংকগুলো। সরকারের সামনে বিকল্প উৎস না থাকায় বাড়তি সুদেই ঋণ নিচ্ছে ব্যাংক থেকে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চের ২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ট্রেজারি বিলের নিলামে ৯১ দিনের বিল ১০.৯০ শতাংশ হারে, ১৮২ দিনের বিল ১১.২৫ শতাংশ হারে ও ৩৬৪ দিনের বিল ১১.৩০ শতাংশ সুদহারে বিক্রি হয়েছে। এর পরের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে এপ্রিলের ১৫ তারিখ। ওই দিন ৯১ দিনের বিল ১১.৪৫ শতাংশ হারে, ১৮২ দিনের বিল ১১.৭৫ শতাংশ হারে ও ৩৬৪ দিনের বিল ১১.৮৬ শতাংশ সুদহারে কিনেছে সরকার। একইভাবে বেড়েছে ট্রেজারি বন্ডের সুদ হারও। ১৬ এপ্রিল ৩ বছর ও ৫ বছর মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার বেড়ে দাঁয়িছে ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশে। এর আগের সর্বশেষ নিলামে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। পাশাপাশি পাঁচ বছর মেয়াদি বন্ড বিক্রি হয়েছে ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ হারে পূর্বে যা ছিল ১১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।ভোরের আকাশ/এসএইচ

বেড়েছে তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

বেড়েছে তেল, পেঁয়াজ ও সবজির দাম, কমেছে মুরগির

জীবনযাত্রায় ব্যয় আরো বাড়লো

জীবনযাত্রায় ব্যয় আরো বাড়লো জীবনযাত্রায় ব্যয় আরো বাড়লো

ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের

ফের দাম বাড়লো স্বর্ণের

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ছয় দফা দাবি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে না মানলে ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’।রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে হওয়া মহাসমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি নিশান রহমান।মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হোন। এ সময় তারা ৬ দফা দাবি পূরণে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে একত্রিত হোন শেরে বাংলানগর মহিলা পলিটেকনিক এর সামনে।শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। তবে তারা রাস্তায় থেকে যানজট তৈরি করতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘ আট মাস ধরে আন্দোলন করলেও সরকার আমলে নিচ্ছেন না। তাদেরকে সরকার রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে তারা আর সময় দেয়ার পক্ষে নয়। খুব শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।তারা আরও জানান, শিক্ষার্থীরা যানজট বা জনদুর্ভোগ চায় না। কিন্তু দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে আসবেন না। সমাবেশে কুমিল্লায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদও জানানো হয়।এর আগে সকাল থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার পর থেকে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।  ভোরের আকাশ/এসএইচ

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ শুরু

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ শুরু

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

কারিগরি শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার

ঝিনাইদহে ১৬০০ কৃষক পেলেন আউশ ধানের বীজ ও সার

ঝিনাইদহে ১৬০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।সোমবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসে দুইদিন ব্যাপী বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী'র সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মীর রাকিবুল ইসলাম।দুই দিনে প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হবে। সদর উপজেলায় ১৬০০ কৃষকের মধ্যে মোট ৮ মেট্রিক টন বীজ ও ৩২ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ 

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তুরিন আফরোজ

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তুরিন আফরোজ

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখান।এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর থানাধীন গোল চত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখান। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ৮ এপ্রিল তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্তর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ

নতুন মামলায় আমু-আনিসুল-শাজাহানসহ গ্রেপ্তার ৭

নতুন মামলায় আমু-আনিসুল-শাজাহানসহ গ্রেপ্তার ৭

চাঁনখারপুল গণহত্যা মামলা: ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা, আসামি ৮

চাঁনখারপুল গণহত্যা মামলা: ট্রাইব্যুনালে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা, আসামি ৮

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন: চিফ প্রসিকিউটর

নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ, ৭০ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

নসরুল হামিদের ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট জব্দ, ৭০ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে

আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা

আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার

ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে কাজ করছে সরকার

দেশে ইন্টারনেটের দাম আরও কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।তিনি বলেন, এরইমধ্যে সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইথের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব।সোমবার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলতে চাই বর্তমান সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট শাটডাউন করবে না। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়াতে দেশীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের সরকার শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে বলেও জানান আহমেদ তৈয়্যব।তিনি বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন চূড়ান্ত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ

ভুয়া ভিডিও রুখতে বড় পদক্ষেপ নিলো ইউটিউব

ভুয়া ভিডিও রুখতে বড় পদক্ষেপ নিলো ইউটিউব