মানব দেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ মস্তিষ্ক। মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য ও ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও অজানা অনেক কিছু। এই অজানাকে জানতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গোলকধাঁধায় পথ খোঁজার চেষ্টায় কয়েক‘শ বিজ্ঞানী মিলে মানব মস্তিষ্কের ‘মানচিত্র’ তৈরি করেছেন এই খবর ও পুরনো। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মানব-মস্তিষ্কের কোষকে কীভাবে আবার প্রোগ্রাম করা যায়, এমন মস্তিষ্কের কোষ তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভিনের বিজ্ঞানীরা। এই কোষের মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের মধ্যে আলঝেইমার চিকিৎসায় নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এসব কোষ মস্তিষ্কের রোগাক্রান্ত কোষের অবস্থা শনাক্ত করতে পারে এবং সেগুলো পরিষ্কার করতে পারে। আপাতত বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের স্মৃতি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে পারে, এমন কোষ নিয়ে পরীক্ষা করছেন। আবার প্রোগ্রাম করা কোষ সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি না করেই মস্তিষ্কের ত্রুটি বা রোগ সারাতে সক্ষম। নতুন কোষ মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করেছে। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ক্যানসার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।আলঝেইমারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ লাখ আলঝেইমারের রোগী রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত চিকিৎসা শুধু উপসর্গকে ধীর করতে পারে। আর তাই চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও নতুন পদ্ধতি আপাতত ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মূলত মাইক্রোগ্লিয়া তৈরির একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন, যা মস্তিষ্কের অবস্থাকে আরও খারাপ করে না। কৃত্রিম ওষুধ বা ভাইরাল ভেক্টর ব্যবহার করার পরিবর্তে মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধক কোষকে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।সূত্র: ডেইলি মেইল ভোরের আকাশ/এসআই
১৯ ঘন্টা আগে
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং সকলের অন্তর্ভুক্তি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। একজন মানুষ কতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ আছে কেউ জানে না। সুস্থ থাকার জন্য আমরা ব্যায়াম করি, জগিং করি, অন্যান্য অনেক শরীরচর্চা আরও কত কিছুই না করি। তার পরেও আমাদের প্রেসার, ওজন বেশি, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের সমস্য লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা পান করুন। শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান দেবে ভেষজ গুণে ভরা মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা।আচ্ছা মোরিঙ্গা চেনেন তো, এটি হচ্ছে শজনেপাতার গুঁড়া। ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। শজনে গাছের পাতা ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিলেই আপনার ম্যাজিক চা পাতা তৈরি। আর এক কাপ পানি ফুটিয়ে এক চা চামচ চা পাতা দিয়ে দুই মিনিট পর ছেঁকে নিলেই তৈরি সবুজ মোরিঙ্গা চা। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ১. ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই মোরিঙ্গা চা পান করলে ২. বাড়তি ওজন ঝরে ৩. প্রচুর অ্যানার্জিও পাওয়া যায়৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে৫. টাইপ টু ডায়াবেটিসে সুগারের মাত্র বশে থাকে৬. কোলেস্টেরল কমায়৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমে৮. অবসাদ দূর করে ৯. শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়১০. সম্পূর্ণ ভেষজ হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বুঝতেই পারছেন, কেন আপন করতে হবে এই ম্যাজিক চা। চাইলে তো ঘরেই চা পাতা তৈরি করতে পারেন। আর যদি কষ্ট করতে না চান, তাহলে অনলাইনে অর্ডার করে আনিয়ে নিন। ভোরের আকাশ/এসআই
১৯ ঘন্টা আগে
হাতপাখা তৈরি ও ব্যবহারের ইতিহাস বহু প্রাচীন। গ্রীষ্মকালে প্রশান্তির জন্য ব্যবহৃত হাতে চালিত পাখা। শুরু হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। প্রাচীন মিশরে ফেরাউনদের রাজসভায় দাঁড়িয়ে থাকা দাসেরা সোনার কাঠামোতে বাঁধা ময়ূর পালকের পাখা দুলিয়ে রাজাকে শীতল রাখত। চীনের হান রাজবংশ কিংবা জাপানের হেইয়ান যুগেও হাতপাখা ছিল সম্মানের প্রতীক। ভারতের মন্দির-আশ্রমেও দেবতাদের উদ্দেশ্যে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করার প্রচলন ছিল। সময়ের স্রোতে বদলেছে সভ্যতা, পাল্টেছে প্রযুক্তি, কিন্তু হাতপাখা তার সরল রূপ ধরে রেখেছে আপন মহিমায়। বদলেছে কেবল তার ভূমিকা, নির্মাণশৈলী ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের ধরণ। একবার পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায় হাতপাখার এক দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় অভিযাত্রা।হাতপাখার ব্যবহার: ধারনা করা হয়, হাতপাখার ব্যবহার শুরু হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। তৎকালীন রাজাদের সিংহাসনের দুই পাশে ডানে-বাঁয়ে দাঁড়িয়ে বাতাস করার প্রচলন ছিল। অনেকেই শৌখিন বেশে কাছারিঘরে ছাদ বরাবর কড়িকাঠে ঝুলিয়ে রাখতেন। প্রচীন কালে চিন ও জাপান থেকে ইউরোপীয় বণিকরা প্রথম হাতপাখা নিয়ে আসেন। সেই হাতপাখাগুলিতে মণিমুক্তো, সোনারুপো, হাতির দাঁত, বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক ঘটনা, ধর্মীয় কাহিনি, ফুল, ফল, পাখি, নানা নিয়মাবলী আঁকা থাকত। কারণ এইসব চিত্র দেখেই সাধারণ মানুষ বর্তমান সমাজ সম্বন্ধে কিছুটা ধারনা পেতেন। প্রথমদিকে পাখাগুলি একটি ভাঁজের হলেও পরবর্তীতে পাখা ভাঁজে ভাঁজে তৈরি হতে শুরু হয়। আঠারো শতকের প্রথম দিকে ইউরোপের হাত ধরে হাতপাখা তৈরির শুভসূচনা হলেও, চিনের পাখার বাজার কিন্তু রমরমিয়ে চলতে শুরু করে। পুরনো দিনের সেই পাখাগুলির বেশ কিছু নমুনা এখনও সংগ্রহশালায় রয়েছে। জানা যায়, হেলেন অফ ট্রয়, আইভরি পার্ল ফন্টেজ, ট্রাইফোল্ড-এর মতো প্রায় ৩৫০০ বেশি দুষ্প্রাপ্য পাখা লন্ডনের গ্রিনউইচ জাদুঘরের সংগ্রহশালায় দেখতে পাওয়া যায়।বাংলার হাতপাখার ব্যবহার: শুধু বিশ্বের দরবারে নয়, হাতপাখার প্রচলন কিন্তু গ্রাম বাংলায় সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। অতীতকাল থেকে বর্তমানকালেও এই হাতপাখার ব্যবহার রয়ে গিয়েছে। গ্রাম বাংলার বেশ কিছু ঘরের আজও নিয়মিত হাতপাখার ব্যবহার লক্ষ করা যায়। অতীতে রাজা-মহারাজাদের রাজপ্রাসাদে কিংবা আদালতে বিচারকের কক্ষে এই হাতপাখা ব্যবহার করা হত। ক্লান্ত পথিক, পরিশ্রান্ত শ্রমিক বাড়ি ফিরে হাতপাখার হাওয়া খেয়ে তার ঘর্মাক্ত শরীরকে একটু বিশ্রাম দিত। কিন্তু বর্তমানে পাখার ব্যবহার এতটা না হলেও, বেশ কিছু বিশেষ কাজে যেমন- ষষ্ঠী, ঠাকুর বরণ ইত্যাদি কাজগুলোতে পাখার সম্পূর্ণ ব্যবহার রয়েছে।বাংলার আবহাওয়ার দাবদাহের সঙ্গে তাল মেলাতে তালপাতা, খেজুরপাতা, কিংবা বাঁশের সাহায্যে স্থানীয়ভাবে হাতপাখা তৈরি শুরু হয়। এই হাতপাখা হয়ে ওঠে প্রতিটি ঘরের নিত্যসঙ্গী। দুপুরের কড়াচড়া রোদ কিংবা বিদ্যুৎহীন রাত হাতপাখার নরম বাতাসে ঘুমিয়ে পড়ত মানুষ। শুধু ব্যবহারিক চাহিদা মেটানো নয়, হাতে বোনা এই পাখাগুলো কখনো কখনো হয়ে উঠত স্নেহের বাহকও।সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হাতপাখায় যুক্ত হতে থাকে শিল্পের ছোঁয়া। সাধারণ তালপাতার পাখা ছাড়াও দেখা যায় বাঁশের চিকন বুননে তৈরি পাখা, যার গায়ে আঁকা রঙিন ফুল, পাখি, নকশা। গ্রামীণ মেলায়, বৈশাখী উৎসবে কিংবা বিয়ের উপহার সামগ্রী হিসেবে বাহারি হাতপাখার সমারোহ চোখে পড়ে। একরকম হাতপাখা হয়ে দাঁড়ায় ব্যক্তিগত রুচি ও সৌন্দর্যবোধের প্রকাশ।বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে যখন ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা পৌঁছাতে শুরু করল, হাতপাখার প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকে। এসির ঠান্ডা বাতাসের আরামে মানুষ হাতপাখাকে ভুলতে শুরু করে। শহরাঞ্চলে তো বটেই, গ্রামেও আজ বিদ্যুৎ থাকায় আগের মতো প্রতিটি বাড়িতে হাতপাখার ঝুলন্ত সারি দেখা যায় না। তবুও বিদ্যুৎ চলে গেলে কিংবা খুব গরমের দিনে অথবা বিশেষ কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এখনো হাতপাখার টুকটুকে বাতাসের কদর অক্ষুণ্ন। গ্রামবাংলার চাষের মাঠে বিশ্রামরত কৃষকের হাতে এখনো চোখে পড়ে পুরোনো হাতপাখার দোলা।যদিও ব্যবহারিক গুরুত্ব কমেছে, হাতপাখা আজও হারিয়ে যায়নি। বরং হস্তশিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নতুন পরিচয় পেয়েছে। বিভিন্ন মেলায়, হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে বা ঘরের দেয়াল সাজানোর উপকরণ হিসেবে হাতপাখা নতুন জীবন পেয়েছে। নস্টালজিয়ার টানেই হোক বা ঐতিহ্য সংরক্ষণের চেষ্টা, হাতপাখা আজও টিকে আছে বাংলার মাটির সুবাস নিয়ে।হাতপাখা ইতিহাসের জীবন্ত সঙ্গী, সংস্কৃতির বুনন ও ভালোবাসার স্মারক। আধুনিক জীবনের চাকচিক্যের মাঝেও হাতপাখার দোল মনে করিয়ে দেয়, আমরা একদিন তালপাতার বাতাসে স্বপ্ন দেখতাম, মাটির ঘ্রাণে জীবন খুঁজে পেতাম।ভোরের আকাশ/এসআই
১ দিন আগে
মানুষ সামাজিক জীব, সঙ্গ তার চাই-ই চাই। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন মানুষ নানা সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে-পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী কিংবা প্রতিবেশী। কিন্তু জীবনের নানা পর্যায়ে কোনো না কোনো কারণে সেই সম্পর্কগুলোতে ফাঁক তৈরি হয়, কিছু সম্পর্ক ভেঙে যায়, কেউ কেউ দূরে সরে যায়। নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্ব মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।একাকিত্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার পর ডিজিস কন্ট্রোল বা সিডিসি বলছে, একাকীত্বের কারণে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে ২৯ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে- ৩২ শতাংশ। দীর্ঘদিনের একাকীত্ব মস্তিষ্কের কিছু মনে রাখতে না পারার মারাত্মক অসুখ ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তাই একাকিত্ব দূর দূর করা উচিত।তবে আশার কথা হলো, একাকীত্ব কোনো চিরস্থায়ী অবস্থা নয়। চাইলে সচেতনভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। জেনে নিন এমন কিছু কার্যকর উপায়-পছন্দের কাজ করুন: ভালো লাগে এমন কিছু করার মতো খুঁজে বের করুন। এমন কিছু করুন যাতে খারাপ চিন্তা থেকে মনোযোগ সরে যায়।বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন: একাকীত্ব দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। বন্ধু তৈরি করা, পরিবারকে সময় দেওয়া কিংবা পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করা মানসিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে।অচেনা মানুষকে চেনা মানুষে পরিনত করুন: অনেক সময়েই আমাদের পড়াশোনা বা কাজের জন্য কাছের মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হিসাব-নিকাশ ছাড়া, অচেনা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলাটা বেশ কার্যকর। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হলে কথা বললে একাকিত্ব সহজেই দূর হয়ে যায়।অনুভূতি প্রকাশ করুন: কথা চেপে না রেখে কথা বলার চেষ্টা করুন, আপনার অনুভূতি সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সাথে কথা বলুন।নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন: শখ মানুষের মনকে প্রশান্ত রাখে। আপনি যদি বাগান করা, ছবি আঁকা, গান গাওয়া, রান্না করা কিংবা অন্য কোনো সৃজনশীল কাজে আগ্রহী হন, তাহলে তা নিয়মিতভাবে চর্চা করুন। এগুলো মনকে ব্যস্ত রাখে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।বই পড়ুন: বইকে বলা হয় নীরব বন্ধু। একাকীত্বের সময় বই পড়া হতে পারে আপনার সঙ্গী। আত্মউন্নয়নমূলক, কল্পকাহিনি, ইতিহাস কিংবা প্রিয় লেখকের বই পড়ে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারেন।ঘুরতে যান: বেশিরভাগ সময় যারা একাকীত্বে ভোগে তারা কাজের বাহিরে তেমন কোথাও ঘুরতে যান না। কিন্তু আপনি যখন কোথাও ঘুরতে যাবেন তা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই চেষ্টা করবেন সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়ার। এতে করে আপনি একা থাকলেও প্রকৃতির সঙ্গে আপনার সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে।সৃজনশীল কাজ করুন : অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করলে আত্মতৃপ্তি আসে এবং নিজের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। বিভিন্ন সংগঠন বা সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিলে আপনি নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন এবং নিজেকে আরো মূল্যবান মনে হবে।বেশি পরিশ্রম করুন : মানুষ যখন কাজে খুব ব্যস্ত থাকে তখন সে এমনিতেই কাজের বাহিরে অন্য কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। তাই আপনি আপনার একাকীত্ব দূরীকরণে নিজের পেশাগত কাজের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারেন ।মনোচিকিৎসকের সহায়তা নিন: যদি আপনি একাকীত্ব থেকে নিজে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হন, তবে দ্বিধা না করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। মানসিক সুস্থতা ঠিক রাখার জন্য এটি একটি বুদ্ধিমানের কাজ।একাকীত্বকে উপেক্ষা করলে তা ধীরে ধীরে মানুষের আত্মাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে। তাই সময় থাকতে এর প্রতিকার করা প্রয়োজন। নিজের যত্ন নেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা এবং অন্যদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা – এই কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তুললে একাকীত্ব আপনাকে কাবু করতে পারবে না। ভোরের আকাশ/এসআই
১ দিন আগে