রাজধানীর মিরপুরে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বাসটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এ হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে মিরপুর সেনপাড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়েছে ‘আলিফ পরিবহন’-এর একটি যাত্রীবাহী বাস।বাসের চালকের ভাষ্যমতে, তিনি প্রতিদিনের মতো বাসটি চালিয়ে সেনপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে বাস থামানোর ইশারা দেন। চালক বাস থামালে তারা বাসে উঠে তাকে এবং হেলপারকে মারধর করে জোর করে নামিয়ে দেয়।এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েন এবং দ্রুত বাস থেকে নেমে যান। পরে হামলাকারীরা বাসটির সামনের কাচ লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে, যাতে কাচ ভেঙে যায়। এরপর তারা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসিনা ফেরদৌস জানান, বাসটির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই দ্বন্দ্ব থেকেই এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে আমরা বাসটি জব্দ করেছি এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের প্রাথমিক পর্যায়ে বিবেচিত হয়েছে। তবে দলটির পছন্দের তালিকায় প্রথম প্রতীক ছিল ‘শাপলা’। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এ প্রতীক না থাকায় বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইসি।এই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে কমিশনের সংরক্ষিত প্রতীক তালিকা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিয়ে লিখিতভাবে জানাতে এনসিপিকে অনুরোধ করেছে ইসি।চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, এনসিপি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। আবেদনপত্রে দলটি ক্রমানুসারে শাপলা, কলম ও মোবাইল প্রতীক চেয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী শাপলা প্রতীক তালিকায় নেই। তাই আইনি বিধান অনুসারে কমিশনের অনুমোদিত প্রতীকগুলোর মধ্য থেকেই বেছে নিতে হবে।ইসি আরও জানায়, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নিতে দ্রুত একটি প্রতীক বেছে নেওয়া জরুরি। এজন্য ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে হবে।এনসিপিকে ৫০টি প্রতীক থেকে বেছে নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ–পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।তবে এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (গণমাধ্যম) আরিফুর রহমান তুহিন বলেন, “যেহেতু শাপলা দিতে আইনগত কোনো বাধা নেই, তাই আমরা শাপলাই চাই। বিকল্প কোনো প্রতীক আমরা ভাবছি না। কমিশন স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে এবং নিরপেক্ষ নেই। একটি বিশেষ দলের ইঙ্গিতে আমাদের পছন্দের প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না।”তিনি আরও বলেন, “প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকলে কমিশন চাইলে সেটি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। এটি তো সামান্য সময়ের বিষয়। কিন্তু তারা তা না করে আমাদের ওপর প্রতীক চাপিয়ে দিচ্ছে। আমরা শাপলা প্রতীকেই অটল আছি।”ভোরের আকাশ // হ.র
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তুরাগ নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিখোঁজ শিশুদের নাম তন্ময় ও অঙ্কিতা। তারা কালিয়াকৈর উপজেলার দক্ষিণ হিজলতলী গ্রামের বাসিন্দা।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের সময় একটি শ্যালো নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইঞ্জিনচালিত নৌকার। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকায় তখন প্রায় ১৮–২০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অধিকাংশই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার আহাম্মেদ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, “নৌকাডুবির ঘটনায় দুটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আমাদের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে।”ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে গাইবান্ধায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক দলের নেতা আব্দুল বারী মন্ডল দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন জামায়াত কার্যালয়ে সদস্য ফরম পূরণের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন।এ উপলক্ষ্যে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতের মনোহরপুর ইউনিয়ন শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মনোহরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আসাদ আলী।বক্তাব্য রাখেন গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) জামায়াতের একক প্রার্থী অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম (লেবু মাওলানা), বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা সেক্রেটারী আব্দুল হাসান প্রমুখ।মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, আব্দুল বারী মন্ডল প্রায় ১৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক পদে আছেন এবং বর্তমান মনোহরপুর ইউপি সদস্য। এর আগে তিনি দপ্তর সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।জামায়াতের পক্ষ থেকে যোগদানকৃতদের ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেন এবং নেতাকর্মীদের কয়েকটি বই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।যোগদান বিষয়ে আব্দুল বারী মন্ডল বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমি জামায়াতকে ভালোবাসি। আমি দীর্ঘদিন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও কাজকর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলটিতে যোগ দিয়েছি।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার আমির আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের দলের আদর্শ ও কাজকর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মো আবদুল বারী মন্ডল ও তার অনুসারী বিএনপির অঙ্গ সংগঠন থেকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন।পলাশবাড়ী উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক মো. হযরত আলী বলেন, আব্দুল বারী মন্ডলের দল পরিবর্তনের খবর মানুষের মুখে শুনেছি। রাজনীতি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। কেউ চাইলে দল পরিবর্তন করতেই পারেন। কিন্তু আব্দুল বারী মন্ডল লিখিত ভাবে বিষয়টি আমাদের জানায়নি।ভোরের আকাশ/জাআ
গাজীপুরের শ্রীপুরে হিন্দু মুসলিম ঐক্যে ডাক দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজাবাড়ী বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।ভাওয়াল রাজাবাড়ী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বাবু অরুণচন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রাকিব মোড়ল ও লিটন ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মোতালেব, যুগ্ম আহ্বায়ক মোসলেউদ্দিন মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস. এম. মাহফুল হাসান হান্নান, রাজাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল হুদা শাহিন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল বারীক, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হোসেন প্রমুখ। এসময় পূজা মন্ডপ আয়োজিত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে হিন্দু মুসলিম ঐক্যের ডাক দেন ডা. বাচ্চু।অনুষ্ঠান শেষে পারুলী নদীতে একসাথে ২২টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তেতুলবাড়ি খাল থেকে মানিক বিশ্বাস (৩২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এসময় লাশের পাশে খালের ভিতর থেকে একটি মটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের তেতুলবাড়ি খালে লাশটি ভেসে থাকতে দেখে ভাঙ্গারহাট নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে বিষয়টি জানায় স্থানীরা। লাশটি তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। লাশের পাশে থাকা এফ জেট (ঢাকা মেট্রো -ল ৬৪-২১৭৪) মটর সাইকেলটি জব্দ করে ভাঙ্গারহাট ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।নিহত মানিক মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামের নলীনী বিশ্বাসের ছেলে।নিহতের দুলাভাই ও কদমবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস বলেন, মানিক ঢাকায় উবার চালক। দুর্গাপূজায় বাড়িতে এসে নিজের মটর সাইকেল নিয়ে বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামে খালা বাড়িতে ঘুরতে যায়। রাতেই খালাবাড়ি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসে। এদিকে বাড়িতে না আসায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আমরা খোঁজাখুঁজি করি। বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পেয়ে আমরা লাশ শনাক্ত করি। ধারণা করছি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইসহ খালে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাটা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা প্রথমে খালে একটি মটর সাইকেল পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিকেল ৪ টার দিকে মটর সাইকেলের পাশে একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে আমাদের জানায়। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানায় পাঠাই ও লাশের পাশে থাকা মটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।কোটালিপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মানিক বিশ্বাস মটরসাইকেলসহ খালে পড়ে যেতে পারে। এ ব্যপারে কোটালীপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। একই সঙ্গে ফেসবুক পেজের প্রোফাইল ও কভার ছবি চেঞ্জ করে একটি হুমকিপূর্ণ বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ব্যাংকটির অফিসিয়াল পেজের এক পোস্ট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হ্যাকার গ্রুপ।এদিন ব্যাংকটির ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখা যায়, পেজটির নাম পরিবর্তন করা হয়নি। এর প্রোফাইল ও কভার ফটো পরিবর্তন করে হ্যাকার গ্রুপটির ছবি দেওয়া হয়েছে।হ্যাকার গ্রুপ দাবি করেছে, ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে সাইবার আক্রমণ চালানো হবে। বার্তায় ‘Team MS 47OX’-এর নামও উল্লেখ করা হয়েছে।হ্যাক হওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, আজকে ভোরে ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংকের আইটি বিভাগ কাজ করছে।এদিকে এ ঘটনার পর ব্যাংকের গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ওই সময় ব্যাংকের ফেসবুক পেজে অস্বাভাবিক কিছু পোস্ট দেখা গেছে। তবে এ ঘটনায় ব্যাংকের অনলাইন সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দেশের মানুষের সুষম উন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যমান আঞ্চলিকসহ বিভিন্ন বৈষম্য দূরীকরণে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত ও গতিশীল করতে বাজেট বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে সরকার। সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দপ্তর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে।এছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেসব দ্রুত দূর করার এবং বাস্তবায়ন কর্মকাণ্ড মনিটরিং জোরদার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোন ধরনের দুর্নীতি যাতে না হয়- সে ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে বাজেট বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে চেয়ে চিঠিতে বাস্তবায়নের আনুপাতিক হার বাড়াতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এবং প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়কে ভর্ৎসনা করা হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে কোন কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন ও দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটের শতভাগ যথাযথ বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী-বাজেট বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করা না হলে সরকার সেই অর্থ ফিরিয়ে নেয়। সরকার বাজেট বাস্তবায়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে কঠোরতা অবলম্বন করবে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে বাজেট বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে বাজেটের অর্থ খরচে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে বেশি পিছিয়ে রয়েছে, সেসব বিভাগে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের আকাশকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে চায় এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন বিলম্ব, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক সঙ্কট এবং ভূমি অধিগ্রহণের মতো সমস্যার কারণে অনেক সময় বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলো।তিনি জানান, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যর্থতার জন্য শাস্তির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে, সবাই জারিকৃত পরিপত্রের বিষয়গুলো অনুসরণ করবে এবং ঠিক মতো বাজেট বাস্তবায়ন করতে তৎপর হবে।সম্প্রতি অর্থ বিভাগের এক পরিপত্রে বলা হয়- অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের (৯ মাস) মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারলে শেষ অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকের অর্থছাড় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উদ্দেশে এই পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।পরিপত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বর্তমানে এমনভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করছে যাতে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজেট বাস্তবায়নের গতি বেশ ধীর, যার ধারাবাহিকতা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকেও থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের হার বেশি দেখা যায় চতুর্থ অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে গিয়ে। এ কারণে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই পরিপত্রে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে বাজেট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতির চিত্রও জানতে চাওয়া হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনার মধ্যে রাজস্ব আহরণ, কেনাকাটা, খরচ এবং বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে হবে। প্রথম প্রান্তিকের সবকিছু ঠিকঠাকভাবে শেষ করতে না পারলে দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে অর্থছাড় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।এ বিষয়ে সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, এবারের পরিপত্রে অবশ্য একটি নতুন দিক লক্ষ্য করা গছে, যা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চতুর্থ প্রান্তিকের অর্থছাড় না করা-এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। তবে এভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার একটি ঝুঁকির দিকও আছে। তখন তাড়াহুড়া করে সরকারি কেনাকাটার প্রবণতাও তৈরি হতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে- যাতে কোনরকম দুর্নীতি-অনিয়মের সুযোগ তৈরি না হয়।সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘদিনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও জেঁকে বসা ‘অনিয়ম-দুর্নীতির চক্র’ এখনও পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি না অন্তর্বর্তী সরকার। প্রশাসনের কোনো কোনো স্তরে এখনও দুর্নীতিবাজ ও অদক্ষ কর্মকর্তারা সক্রিয় রয়েছেন বলে মনে করছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়। এ কারণে বাজেট বাস্তবায়নের হার এখনও বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত কঠোর বার্তা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি, যা গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিমাণের দিক থেকে জুলাইয়ে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মতো কম।সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৩২টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দের পরিমণ প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্ত প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এই বিপুল বরাদ্দের এক টাকাও খরচ করতে পারেনি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংসদবিষয়ক সচিবালয়। অর্থাৎ এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার ‘শূন্য’।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাই মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগের বছরগুলোর মতো এবারও প্রস্তাবিত এডিপির ১৫টি খাতের মধ্যে পাঁচটি খাতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই পাঁচ খাত হলো-পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি এবং স্বাস্থ্য।সূত্র জানায়, বাজেট বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় চলতি মাসের মধ্যে সবাইকে বাজেট বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে হবে এবং প্রথম প্রান্তিক শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে সবাইকে বাজেট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনও অর্থ মন্ত্রলণালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সময়মতো বিভিন্ন পরিষেবা (ইউটিলিটি বিল) পরিশোধ, মেরামত, সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত, মালামাল ক্রয় ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো অর্থবছরের শেষ দিকে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে-যা অগ্রহণযোগ্য। এসব কর্মকান্ড দুনীতি-অনিয়মকে উৎসাহিত করে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব কারণে প্রতিবছরের শেষে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ও মাথায় বহন করতে হয়। অথচ যথাযথ আগাম পরিকল্পনা করা থাকলে এসব অপরিকল্পিত ঋণ এড়ানো এবং ঋণজনিত ব্যয় অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা কম ব্যয় হচ্ছে। অর্থাৎ বাজেটের অর্থ ব্যয় করতে পারছে না সরকার। অর্থ বিভাগের ১০ বছরের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, প্রতিবারই বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। আগের ধরাবাহিকতা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এজন্য বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এডিপি বাস্তবায়নের হার না বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করছে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া সরকারি কোনো প্রকল্পের কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে অর্থছাড় প্রক্রিয়া সহজ করা হলেও বরাদ্দ পাওয়া অর্থ বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাযথভাবে খরচ করতে পারছে না।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রতিবছর রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশাল বাজেট প্রণয়ন করলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়া তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেককে ‘তুষ্ট’ করতে তারা বাজেটে বড় ধরণের অপ্রয়োজনীয় বরাদ্দও রাখতো। যা মুলত অনিয়ম ও দুণীতি বৃদ্ধিকে তরান্বিত করেছিল। বর্তমান সরকার এ ধরণের প্রকল্পকে প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।এছাড়া ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। কিছু প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরনো প্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, তারপরেও বাজেট বাস্তবায়ন আশাব্যঞ্জক নয়। এ অবস্থায় বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যয়-সংকোচন নীতি ও কম গুরুত্বের প্রকল্পে কাটছাঁটের ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা কমিশন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করে। এটি গত অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম।পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যয়-সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এবং আগের সরকারের রেখে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছাঁটাই করায় এবারের প্রস্তাবিত এডিপির আকার তুলনামূলকভাবে ছোট।এ ব্যাপারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশর চেয়ারম্যান ও সিইও এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, প্রস্তাবিত এডিপি চলতি বছরের মূল এডিপির চেয়ে ১৩ শতাংশ কম এবং সংশোধিত এডিপির তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ বেশি, যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তিনি বলেন, বড় এডিপি অনেক সময় মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে।তুলনামূলকভাবে ছোট এডিপি অভ্যন্তরীণ চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং রাজস্ব নীতির সঙ্গে সরকারের কৃচ্ছতাসাধন ও দুণীতি বন্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, নতুন এডিপিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও কমানো হয়েছে, যা বেশ ইতিবাচক। এ অবস্থায় এডিপি বাস্তবায়নে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদন বিলম্ব, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা জটিলতা এবং ভূমি অধিগ্রহণের মতো নানা প্রতিবন্ধকতায় কোন কোন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগুলো বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে খরচ করতে পারে না। এ কারণে শতভাগ বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এ বং প্রায় প্রতিবছরই বরাদ্দকৃত অর্থেও শতভাগ ব্যয় করা বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এজন্য সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জগুলো আগেই চিহ্নিত করে সেসব দূর করার জন্য সরকারের ‘বিশেষ উদ্যোগ’ জরুরি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংকের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ৯৭৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিএসইসি।তথ্য অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ১ হাজার কোটি টাকার, ইউসিবির ৮০০ কোটি টাকার এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন করেছে বিএসইসি।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, কুপন বিয়ারিং, ফ্লোটিং রেট বিশিষ্ট সোশ্যাল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকটি এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে আড়াই শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে নির্ধারণ করা হবে।বন্ডের পুরো অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন দিয়ে ব্যাংকের ‘টিয়ার-২’ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই বন্ডটি অনুমোদনের শর্ত হিসেবে পুঁজিবাজারের অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ট্রাস্ট ব্যাংকের আনসিকিউরিড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট বিশিষ্ট সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিশন। এই বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংকটি ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এর কুপন রেট রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে নির্ধারণ করা হবে। বন্ডের পুরো অর্থ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১ লাখ টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন দিয়ে ব্যাংকের ‘ব্যাসেল-৩’ এর অধীনে ‘টিয়ার-২’ মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে।এতে বলা হয়, বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। এর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এই বন্ডটি অনুমোদনের শর্ত হিসেবে পুঁজিবাজারের অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত হতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইউসিবির আন-সিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেট এই বন্ডটির প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এ বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ লাখ টাকা। রেফারেন্স রেটের সাথে ৩ শতাংশ ক্যুপন মার্জিন যোগ হয়ে বন্ডটির ক্যুপন রেট নির্ধারিত হবে। বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দ্বারা ব্যাংকটি তার টায়ার-২ মূলধনের ভিত্তি আন্ডার ব্যাসেল ৩ শক্তিশালী করবে। লোচিত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর এর অ্যারেঞ্জারের দ্বায়িত্বে থাকবে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বন্ডটি অল্টার্নেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর এবার আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দেশগুলো। সে ধারাবাহিকতায় অক্টোবর উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এর আগে আগস্টেই ম্যাচ দুটির ভেন্যু ও সময় ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার কোচ কার্লো আনচেলত্তি দলও ঘোষণা করেছেন।রিও ডি জেনেইরোতে বুধবার ঘোষিত ২৬ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গোয়েস। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা হয়নি নেইমার জুনিয়রের, ফলে তাকে এবারও রাখা হয়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় দল থেকে চোটের কারণে ছিটকে পড়ার পর থেকে ব্রাজিলের জার্সিতে তাকে আর দেখা যায়নি। সম্প্রতি বাঁ পায়ের উরুর ইনজুরি নতুন করে তাকে মাঠের বাইরে রেখেছে।শুধু নেইমারই নন, বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার, ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস ও ফরোয়ার্ড রাফিনিয়াও। লিভারপুলের হয়ে খেলার সময় চোট পান অ্যালিসন, অন্যদিকে বার্সেলোনার দেওয়া তথ্যে রাফিনিয়া হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগছেন। মার্কিনিয়োসও ইনজুরির কারণে বাইরে। এ ছাড়া আগের স্কোয়াড থেকে আন্দ্রে সান্তোস ও আলেসান্দ্রো রিবেইরোকেও বাদ দিয়েছেন আনচেলত্তি।এদিকে আনচেলত্তির অধীনে এ পর্যন্ত ব্রাজিল চারটি ম্যাচ খেলেছে—যেখানে দুই জয়, একটি ড্র ও একটি হার তাদের ঝুলিতে গেছে। বর্তমানে ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা বাছাই টেবিলে ব্রাজিল আছে পঞ্চম স্থানে।আগামী ১০ অক্টোবর সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর টোকিওতে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামবে সেলেসাওরা।ব্রাজিলের স্কোয়াড (প্রীতি ম্যাচের জন্য)গোলরক্ষক: বেন্তো, এডারসন, হুগো সোसाডিফেন্ডার: কাইয়ো হেনরিক, কার্লোস আগুস্তো, ডগলাস সান্তোস, এডার মিলিতাও, ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো, গাব্রিয়েল মাগালায়েস, বেরালদো, ভ্যান্ডারসন, ওয়েসলিমিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গুইমারেস, ক্যাসেমিরো, জোয়েলিন্টন, জোয়াও গোমেস, লুকাস পাকেতাফরোয়ার্ড: এস্তেভাও উইলিয়ান, গাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, ইগর জেসুস, লুইস হেনরিক, মাথিউস কুনহা, রিসার্লিসন, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রভোরের আকাশ // হ.র
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পঞ্চম দিনে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এসব সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দি দেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় তাদের জেরা হয়নি।এদিন সাক্ষীদের সাক্ষ্য উঠে আসে শেখ হাসিনার স্বামী মরহুম ডা. এম এ ওয়াজেদ মিয়া থেকে থেকে পাওয়া তার সম্পত্তির তথ্য। মৃত্যুর পর স্বামীর ধানমন্ডির সুধাসদনের বসতবাড়ির সম্পত্তি থেকে নিজ অংশ বুঝে নেন শেখ হাসিনা। পরে সেই সম্পত্তি দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হেবা (দান) করেন তিনি। ঢাকা শহরে তাদের এসব সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নামে কোনো সম্পত্তি নেই উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা।আজকের সাক্ষীরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মোটর ক্লিনার মোহাম্মদ উজ্জ্বল হোসেন, গাজীপুরের কালীগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান, সদর রেকর্ডরুমের সাব রেজিস্ট্রার মাহবুবুর রহমান, ঢাকার মেট্রোপলিটনের সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট এম মেজবাহউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক তৈয়বা রহিম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুদ্রাক্ষরিক কামরুন্নাহার, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মুক্তি তরফদার। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।দুদক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷ তিনি বলেন, আদালত থেকে নয়জন সাক্ষীকে সমন পাঠানো হয়েছিলে। সাক্ষীরা আদালতে এসে জবানবন্দি দিয়েছেন।এসব মামলার একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি।এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অপরদিকে বাকি ৩ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসব মামলায় একটিতে শেখ রেহানা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। আরেকটিতে আজমিনা, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় রাদওয়ান, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
লাইফস্টাইল ডেস্কবারবার চেষ্টা করেও কি ওজন কমাতে পারছেন না? ডায়েট শুরু করলেও কিছুদিন পরেই ছেড়ে দেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাত্র এক মাসে ৩ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এজন্য তিনটি সহজ অভ্যাস মেনে চলতে হবে।১. প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তাদিনের শুরুটা হোক প্রোটিনভিত্তিক খাবার দিয়ে। ডিম, টক দই কিংবা ফলের সঙ্গে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবারের প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোটিন বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙনে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণও কমায়।২. পর্যাপ্ত পানি পানপ্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পানি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। খাবারের আগে এক গ্লাস পানি ক্ষুধা কমায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত এবং সব ধরনের চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিয়ে কেবল বিশুদ্ধ পানি খাওয়াই শ্রেয়।৩. নিয়মিত ব্যায়ামওজন কমানো ও সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হলো শারীরিক ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা-ফুলকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়, সাইকেল চালানো বা ঘরে বসে জাম্পিং জ্যাক ও প্ল্যাঙ্ক করলে কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়ে। সকালের ব্যায়াম সারা দিনের রক্তে শর্করা ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রোটিনভিত্তিক নাস্তা, যথেষ্ট পানি পান আর নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস যদি একসাথে করা যায়, তবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।ভোরের আকাশ//হ.র
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে সেটিকে প্রতিহত করা হবে জানিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) একটি নৌকা ছাড়া বাকি সব নৌকা আটক করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে আসা হচ্ছে।ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির অনুমান অনুযায়ী, আটক হওয়া লোকজনের সংখ্যা প্রায় ৪৪৩। নৌযান দখলের সময় অনেকের ওপর জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।যদিও দখলদার ইসরায়েল জানিয়েছে, আটককৃত সবাই নিরাপদে আছেন এবং কারও কোনো সমস্যা হয়নি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে যাত্রীদের আটক করার পর কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হয়নি। আটক কর্মীদের আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং দ্রুতই তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ শেষ হয়েছে। হামাস-সুমুদের কোনো উস্কানিমূলক নৌকা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেনি বা ‘বৈধ নৌ অবরোধ’ ভাঙার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব যাত্রীকে নিরাপদে ইসরায়েলে আনা হচ্ছে এবং সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে। তবে একটি জাহাজ, যেটিতে যান্ত্রিক সমস্যা থাকতে পারে, তা গাজা থেকে কিছুটা দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছে। যদি সেটি সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ বা অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও প্রতিহত করা হবে।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ/মো.আ.
১২ ঘণ্টা আগে