ঈদুল আজহার ছুটি শেষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তাই রেল, সড়ক ও নৌ পথে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ একা। সবার সঙ্গে ছিল ব্যাগ, স্যুটকেস ও শিশুরা।রংপুর থেকে আসা যাত্রী সালমা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম, এখন ফিরতে হচ্ছে চাকরির কারণে। ভিড় একটু বেশি, তবে নিরাপদে এসেছি।নীলফামারী থেকে আসা আরেক যাত্রী হাসান জামিল বলেন, অফিস শুরু রোববার। কিন্তু ফিরতি টিকিট শুক্রবারেরটা পেয়েছিলাম। তাই আগেভাগেই আসতে হয়েছে।কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে ১০টা আন্তঃনগর ট্রেন কমলাপুরে ঢুকেছে। সব ট্রেন সঠিক সময়ে ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছেছে।এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। একই অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও।তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ট্রেনে বা স্টেশনে অনেককেই মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অবশেষে লন্ডনে দেখা মিলেছে সাবেক প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম।গণঅভ্যুত্থানের সময় পালিয়ে গেলেও দীর্ঘ ১০ মাস পর শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলের সামনে একটি দোকানে দেখা গেছে তাকে।হলুদ রঙের পোশাক পরা রেজাউল করিমের পাশে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন, তাতে অংশ নিতে শ ম রেজাউল করিম সেখানে অবস্থান করছিলেন।এদিকে, সাবেক শ ম রেজাউল করিম ছাড়াও সম্প্রতি লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের একাধিক সাবেক মন্ত্রী ও নেতাকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং সিলেট–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান।এর আগে মঙ্গলবার লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা যায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত সরকার এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরকে। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সরকার, যাকে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুর গ্রীন ফোর্সের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ই জুন) সকাল ১০টায়, গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের উদ্যোগে পিরোজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন শিক্ষার্থী সংসদে সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে করনীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা জেলা কমিটির সভাপতি মইনুল আহসান মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল কো -অর্ডিনেটর ড. এস এম হক ও ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর জাহিদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নারী নেত্রী খালেদা আক্তার হেনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলিপ শিকদার, ব্যবসায়ী আফজাল হুসাইন লাভলু, উন্নয়ন কর্মী মো নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক মোঃ নুরউদ্দিন, রুপসী বাংলার নির্বাহী পরিচালক আজাদ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ। সভা শেষে ৩১ সদস্য বিশিস্ট পুর্নাঙ্গ জেলা কমিটি অনুমোদিত হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১৩ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পুটাইল এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন—উত্তর পুটাইল এলাকার আ. রশিদ মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩০), পুটাইল এলাকার মৃত দোয়াত আলীর ছেলে মনতাজ উদ্দিন (৪৫) এবং মধ্য পুটাইল এলাকার কছিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে মোশারফ (৪৮)।জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের শরীর ও আশপাশ তল্লাশি করে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা।ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার প্রভাব বেড়ে চলছে। বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন হেলথ ডেস্কে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভারতের আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে আসা প্রত্যেক পর্যটককে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোভিড রোগীর জন্য। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি হেলথ ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে; এখানে স্বাস্থ্যকর্মী মোশারফ হোসেন বাবুল ও মঞ্জু আরা বেগম বসে আছেন। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের প্রত্যেককে থার্মাল স্ক্যানারে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে হেলথ ডেস্কে অবস্থানরত কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী মোশারফ হোসেন বেলাল ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সুমনকে বলেন, ‘ভারত থেকে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছি। তাছাড়া গলা ব্যাথা, শর্দি-কাশি আছে কিনা জানতে চাই। চলতি মাসের ৫ তারিখ চিঠি আসলে ৬ তারিখ অর্থাৎ ঈদুল আযহার আগের দিন থেকে হেলথ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই শিফটে ২জন করে ৪জন স্বাস্থ্যকর্মী হেলথ ডেস্কে কাজ করেন। দুপুর দেড়টায় শিফট পরিবর্তন হয়ে থাকে। যাত্রীদের সবাইকে মাস্ক পরিধান করার পরামর্শ দিচ্ছি।' হেলথ ডেস্কে থাকা অপর স্বাস্থ্য সহকারী মঞ্জু আরা বেগম জানান, গতকাল ভারত থেকে আসা ১৬২ জনকে এবং এর আগেরদিন ৯৯ জন যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।' এ ব্যাপারে বিডিআর ও বন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি। আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, 'ভারত থেকে আসা যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' তিনি সবাইকে আরও বেশি সতর্ক ও সচেতন থাকার আহবান জানান। উল্লেখ্য, গত ৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে ইমিগ্রেশন এবং আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি ‘কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবি’ আগের চেয়ে বেশি ভয়ংকর। যদিও এখনো বাংলাদেশে এই ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত হননি, তবে আগাম সতর্কতার জন্য জনসাধারণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কোভিড-ওমিক্রন এক্সবিবির উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে- জ্বর, কাশি ছাড়াও মাথাব্যথা, গলা ও জয়েন্টে ব্যথা, নিউমোনিয়া, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ভয়ংকর এবং মৃত্যুহারও বেশি। আখাউড়া স্থলবন্দরে ঈদুল আযহার আগের দিন থেকে স্বাস্থ্যসেবা শুরু হবার পর থেকে গতকাল শুক্রবার (১৩জুন) পর্যন্ত ৪৯৮ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার দুপুর (১৪জুন) পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।ভোরের আকাশ/আজাসা
কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারকালে প্রায় ৮ লাখ টাকার ২৯১ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৯ হাজার ৭২টি ‘রয়েল টাইগার’ এনার্জি ড্রিংকসসহ ৬ জন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। শনিবার সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে কোস্ট গার্ডের একটি দল কক্সবাজারের নাজিরারটেক সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় একটি সন্দেহজনক ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোটকে থামার সংকেত দেয়া হলে সেটি দ্রুতগতিতে গভীর সমুদ্রের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া করে বোটটি আটক করা হয়।তল্লাশিতে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৪১০ টাকা মূল্যের ২৯১ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৯ হাজার ৭২টি রয়েল টাইগার ড্রিংকস পাওয়া যায়। আটককৃত ৬ জনই কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা। পরে জব্দকৃত সার ও এনার্জি ড্রিংকস কক্সবাজার কাস্টমসে এবং আটককৃত পাচারকারী ও বোট কক্সবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।কোস্টগার্ড কর্মকর্তা আরও বলেন, চোরাচালান ও অপরাধ দমনসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল জারি রেখেছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
দেশে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত একটি নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নবনির্বাচিত সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। গত সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে একটি তত্ত্বাবধায়ক (অন্তর্র্বর্তীকালীন) সরকার রয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণে অর্থনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। যারা নতুন শিল্প স্থাপন বা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তারাও একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের জন্য অপেক্ষা করছেন।বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, যত দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি বৈধ সরকার গঠিত হবে, তত দ্রুত দেশের অর্থনৈতিক গতি ফিরে আসবে, বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।এই শিল্প মালিক জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় তার একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প খাতে নিয়োজিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।মতবিনিময় সভায় সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বারের সভাপতি শহিদুজ্জামান তোরিক, জামান গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান আসাদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচিসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল ফিতরের ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেও দেশে রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছে। গত মার্চে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা এক মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মে মাসেও এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। এমনকি জুন মাসের শুরুতেই এই ধারা বজায় রয়েছে। জুনের প্রথম তিন দিনে এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ আয়। এদিকে দ্বিতীয় মাসের মতো সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। মাঝে বেশ কিছু মাস এটি যুক্তরাষ্ট্রের দখলে থাকলেও পূর্বে সৌদি আরব থেকেই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসত।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ২১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে মাত্র এক অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এই প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী এ সংখ্যা ২০ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।উল্লেখ্য, এই হিসাব পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়বদ্ধ ও অলভ্যাংশ বাদ দিয়ে কেবল প্রকৃত রিজার্ভ দেখানো হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের জন্য বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠিয়ে থাকেন, যাতে দেশে তাদের প্রিয়জনেরা উৎসব আনন্দে অংশ নিতে পারেন। এই উৎসবকালীন প্রেরণায় প্রবাসী আয় অনেক সময় দ্বিগুণ হয়ে যায়। মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছেন ২৯৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে প্রাপ্ত মোট ২৯৭ কোটি ডলারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার এসেছে সৌদি আরব থেকে, যা প্রায় ১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত (৩৫ কোটি ১৫ লাখ ডলার) ও তৃতীয় যুক্তরাজ্য (৩৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার)। এরপর রয়েছে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর। অপরদিকে, মার্চে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ৫৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এরপরে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (৫০ কোটি ৮৩ লাখ), সৌদি আরব (৪৪ কোটি ৮৪ লাখ), যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।রেমিট্যান্সের প্রকৃত উৎস নির্ধারণ : বিগত বছরগুলোতে রেমিট্যান্সের উৎস হিসেবে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র, আমিরাত বা যুক্তরাজ্যকে শীর্ষে দেখা গেলেও বাস্তবে অনেক সময়ই এগুলো ছিল ‘ক্লিয়ারিং দেশের’ ভিত্তিতে।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স মূলত আনুষ্ঠানিক চ্যানেল হিসেবে ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে দেশে আসে। এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে সংগৃহীত রেমিট্যান্স স্থানীয় ব্যাংকগুলো কিনে নেয় এবং সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা পরিশোধ করে। দেশের মোট রেমিট্যান্সের বড় অংশই আসে এই এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে। যেসব দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ নিবন্ধিত, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সবচেয়ে এগিয়ে। ফলে প্রবাসীরা পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই টাকা পাঠান না কেন, অনেক সময় সেই অর্থ ক্লিয়ার হয় ওই নিবন্ধিত দেশ থেকেই।উদাহরণস্বরূপ, কেউ সৌদি আরব থেকে অর্থ পাঠালেও, যদি তা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে পাঠানো হয়, তাহলে তা রেকর্ড হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রেরিত রেমিট্যান্স হিসেবে। এই প্রক্রিয়ার কারণে বেশ কিছু বছর ধরে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশ হিসেবে প্রকৃত উৎস নয়, বরং এক্সচেঞ্জ হাউস- নিবন্ধনের দেশগুলোর নাম উঠে আসছে। কারণ, বেশির ভাগ ব্যাংক ক্লিয়ারিং-এর দেশকেই রেমিট্যান্সের উৎস দেশ হিসেবে দেখিয়ে রিপোর্ট করত, প্রকৃত উৎস নয়। এই ভুল রিপোর্টিংয়ের কারণে প্রায় তিন বছর ধরে শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশ হিসেবে অনেক সময় প্রকৃত দেশ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম প্রকাশ পেয়েছে।এ পরিস্থিতির পরিবর্তনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে, যাতে প্রতিটি ব্যাংক প্রকৃত উৎস দেশ অনুযায়ী রেমিট্যান্স হিসাব করে রিপোর্ট প্রদান করে। এই নির্দেশনা কার্যকর হওয়ায় এখন রেমিট্যান্সের সঠিক উৎস দেশ চিহ্নিত হচ্ছে এবং তথ্য উপস্থাপনেও স্বচ্ছতা ফিরেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রতিমাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মার্চে, রেকর্ড পরিমাণ ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে। এটি ওই মাসে সর্বোচ্চ উৎস দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী আয়ের এই জোয়ারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আগের মতো ডলার সংকটে নেই, আর বাজারে অস্থিরতা অনেকটাই কমেছে। আমদানি দায় পরিশোধ, এলসি খোলা কিংবা রিজার্ভ ব্যবস্থাপনাতেও এখন তুলনামূলক স্বস্তি দেখা যাচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতেই রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, যা একটি ইতিবাচক মাইলফলক হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান গণমাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ৫ শতাংশ রেমিট্যান্স কর বাংলাদেশসহ অনেক দেশের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। এ ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর হলে আগামী দিনে প্রবাসীরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেল এড়িয়ে অনানুষ্ঠানিক বা হুন্ডি চ্যানেলের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ বাড়বে।তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যাংকিং সেবা সহজ ও কার্যকর করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ানো এবং কম খরচে দ্রুত টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে সক্রিয় যোগাযোগ জরুরি, যাতে তারা এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত থাকেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্ববাজারে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে সোনার বাজার। মার্কিন-চীন বাণিজ্যে শুল্ক নিয়ে ইতিবাচক আলোচনায় বিশ্ববাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমছে।সপ্তাহের শুরুর তুলনায় মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বর্ণের দামে হালকা পতন দেখা গেছে। তবে দাম এখনও তুলনামূলকভাবে উচ্চ পর্যায়েই রয়েছে।খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনের শুরুতে দুবাইয়ের বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি গ্রাম ৩৯৮.৫০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছিল। ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেটের দাম ছিল যথাক্রমে ৩৬৯, ৩৫৪ এবং ৩০৩ দিরমা। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ৩ হাজার ৩০৮.০৫ ডলার যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ০.৭৭ শতাংশ কম।বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক চাকরির বাজার সংক্রান্ত তথ্য, সুদের হার নিয়ে রাজনৈতিক চাপ ও ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণ- সব মিলিয়ে সোনার দামে সাময়িক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।এদিকে শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সুদের হার ১ শতাংশ কমানো দরকার এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল দেশের ক্ষতি করছেন। তার এই বক্তব্য বাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।বেলবারকা বলেন, ফেড অতীতেও রাজনৈতিক চাপ সামলেছে, কিন্তু এখন বাজার ভাবছে-ফেড আদৌ কতটা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই অনিশ্চয়তা স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে, কারণ অনেকেই এখন এটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন।তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে সোনার দাম কিছুটা ওঠানামার মধ্যে আছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্যের কারণে সুদের হার না কমার সম্ভাবনা বাড়লেও, অনেকে এখনও হার কমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য প্রকাশ না হওয়ায় দাম মূলত বাজারের মনের ওপর নির্ভর করছে।তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ট্রাম্প আবার উত্তেজনাপূর্ণ কিছু বলেন বা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে টানাপোড়েন বাড়ে, তাহলে সোনার দাম ৩ হাজার ৩৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। আর ফেড যদি কড়া অবস্থান নেয়, তাহলে দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলারের আশেপাশে স্থির থাকতে পারে।ভোরের আকাশ/আজাসা
লর্ডসের সবুজ গালিচায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ব্যাট হাতে যেন ইতিহাসই লিখে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। কঠিন উইকেটেও অসাধারণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক শিরোপার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন তিনি। সঙ্গী অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও খেলছেন আস্থার প্রতীক হয়ে।অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এখন জয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান। অপরাজিত রয়েছেন মার্করাম (১০২) ও বাভুমা (৬৫)।প্রথম দুই দিনে যেখানে ২৮টি উইকেট পড়েছিল, সেখানে তৃতীয় দিনে প্রোটিয়া ব্যাটারদের এমন দৃঢ়তা চমকে দিয়েছে সবাইকে। এক সময় যেখানে মনে হচ্ছিল এই উইকেটে রান করাই অসম্ভব, সেখানেই দৃঢ়তা আর মেজাজে অজি বোলারদের জবাব দিয়েছেন এই দুই ব্যাটার।দিনের শুরুতে প্রোটিয়ারা অবশ্য ভালো শুরু পায়নি। ওপেনার রায়ান রিকেল্টন মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৯ রানে। এরপর উইয়ান মুল্ডার কিছুটা সময় মার্করামের সঙ্গে জুটি গড়েন। ৫০ বলে ২৭ রান করে স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মুল্ডার।সেখান থেকে শুরু মার্করাম-বাভুমা ম্যাজিক। অজি বোলারদের সামনে একরকম প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান দুজন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে এসেছে ১৪৩ রান। ২৩২ বল স্থায়ী এ পার্টনারশিপেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।মার্করাম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হ্যাজেলউডকে চার মেরে। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট শতক। ইনিংসটি সাজানো ১১টি বাউন্ডারিতে। বাভুমাও অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে, ১২৫ বল মোকাবিলায় ৫টি চার মেরে।এর আগে দিনের শুরুতে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্রুতই আউট হয়ে যান লায়ন। এরপর স্টার্ক ও হ্যাজেলউড শেষ উইকেটে ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। স্টার্ক করেন ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত মার্করামের বলে হ্যাজেলউড আউট হলে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করে ২১২ রান, জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৩৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় অজি শিবির। এখন ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। ভোরের আকাশ/হ.র
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ওই রায়ের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।এর আগে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।রায়ের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ফাইল করি। ৪৪টি মামলা ছিল। এগুলোর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি দেন) করেন। সে সব আপিলের শুনানি শেষে আজকে রায় হয়। রাষ্ট্র চালানোর জন্য ট্যাক্স আহরণ দৈনন্দিন কাজ। অর্ডিন্যান্স অনুসারে সবার জন্য ট্যাক্স ধার্য করা আছে। ব্যক্তিবর্গের জন্য ২৫ শতাংশ। সেখানে তাদের (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়) কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এটার সঙ্গে ছাত্রদের সম্পর্ক নেই। ভ্যাট হলে ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতো। এখন ট্যাক্স ওনাদের (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে), মালিকদের দিতে হবে। আয়ের ওপরে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুন মাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আয়কর আদায় থেকে বিরত থাকতে আপিল বিভাগের আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে আয়কর আদায় নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দায়ের করা ৪৬টি রিট হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানির আদেশ বহাল রাখা হয়।২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায়ের দুই প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ আপিল নিষ্পত্তি না পর্যন্ত এ আয়কর আদায় থেকে বিরত থাকতে এনবিআরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৮ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয় যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তাদের উদ্ভূত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পুনর্নির্ধারণ করা হলো। ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।২০১০ সালের ১ জুলাই এনবিআরের আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা শুধু তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজের উদ্ভূত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়করের হার হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিয়ে মানেই সবকিছু সহজভাবে চলবে— এমনটা ভাবা ভুল। জীবনের অন্যান্য সম্পর্কের মতো বৈবাহিক জীবনেও ওঠানামা, দূরত্ব বা মানসিক চাপ আসতেই পারে। কাজের ব্যস্ততা, সংসারের দায়িত্ব কিংবা সন্তানের দেখভাল— সব মিলিয়ে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এই ব্যবধান অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। উভয়ের সচেতন প্রচেষ্টাতেই সম্পর্ক আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতে পারে।বিয়ের কয়েক বছর পর অনেকেই মনে করেন, আগের মতো টান কিংবা আবেগ আর নেই। কিন্তু এমনটা একদিনে হয় না— ধীরে ধীরে ভালোবাসার প্রকাশ কমে যায়। একইভাবে আবার নতুন করে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতেও সময় দিতে হবে। ধৈর্য ধরে একসঙ্গে কাজ করলেই সম্পর্কে আবার উষ্ণতা ফিরতে পারে।একসঙ্গে সময় কাটানদাম্পত্যে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একান্তে সময় কাটানো। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন শুধু দু’জনের জন্য বরাদ্দ রাখুন— যেখানে সন্তান, পরিবার বা কাজের চাপের স্থান নেই। এটা হতে পারে একটি নিরিবিলি রাতের খাবার, কাছাকাছি কোথাও হালকা ঘোরাঘুরি বা বাসায় সিনেমা দেখা। এমন সময়গুলোতে পরস্পরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং বন্ধনটাকে আরও গভীর করা সম্ভব।খোলামেলা কথা বলুনপরস্পরের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনের বিকল্প নেই। ভালোবাসার টান কমে আসার অন্যতম কারণ হলো অনুভূতি প্রকাশের অভাব। নিজের আবেগ, চাহিদা বা উদ্বেগগুলো সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিন। তবে খেয়াল রাখুন, কথাগুলো বলার জন্য পরিবেশ এবং সময় যেন উপযুক্ত হয়। পাশাপাশি সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তার দৃষ্টিভঙ্গিকেও মূল্য দেওয়া— সম্পর্ককে মজবুত করে।মমতা দেখান প্রতিদিনভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন ছোট ছোট ভালোবাসার প্রকাশ খুব জরুরি। একটি হাসি, স্পর্শ, আলিঙ্গন কিংবা প্রশংসার একটি বাক্য— এসবই সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। “ভালোবাসি” কথাটি বারবার বলার মধ্যে এক ধরনের মানসিক সংযোগ তৈরি হয়। এসব ছোট অভ্যাসই একদিন বড় ভালোবাসায় রূপ নেয়।দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ধরে রাখতে বয়স বা সময় কোনো বাধা নয়, দরকার শুধু আন্তরিকতা, সম্মান আর প্রতিদিনের যত্ন। ভোরের আকাশ/হ.র
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় নতুন মোড় নিয়েছে পরিস্থিতি। ইরানের হামলায় ইসরায়েলের দুইটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘মেহের’।তাসনিম নিউজের বরাতে জানা গেছে, ভূপাতিত যুদ্ধবিমানগুলোর একটির নারী পাইলটকে আটক করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, তাদের কোনো বিমান ভূপাতিত হয়নি এবং কোনো সেনাসদস্য নিখোঁজ বা বন্দি হননি।এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইসরাইলি বিমানবাহিনী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি বড় ধরনের অভিযান চালায় ইরানে। এতে দেশটির বেশ কয়েকটি পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কারখানা এবং সামরিক কমান্ড সেন্টারে হামলা চালানো হয়। এই অভিযানের জবাবে ইরানও হামলা শুরু করে। পালটা আক্রমণে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা, যার কিছু ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানে।টাইমস অব ইসরাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ইরানে মোসাদ এজেন্টরা গোপনে একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন। সেখান থেকেই পরিচালিত হয় হামলা। এতে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়।ইসরাইলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২৯ জন আহত হয়েছেন। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড পরিচালিত সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বাস্তব হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।সৌদি আরব, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে এ সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে তা পুরো অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ ঘণ্টা আগে