কুলার থেকে ঠান্ডা বাতাস না পেলেও চিন্তার কিছু নেই, মেনে চলুন সহজ এই উপায়
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শহর থেকে গ্রাম—প্রচণ্ড রোদের কারণে দিনে-রাতে সবার যেন এক অবস্থা। এই সময়ে এসি সবার নাগালের মধ্যে না থাকলেও অনেকেই বাঁচছেন ঘরের এয়ার কুলারের উপর নির্ভর করে।
তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক সময় কুলার চালিয়েও ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না, বরং কুলার থেকেও গরম বাতাস বেরোচ্ছে!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরম ও বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেলে কুলারের কার্যকারিতা অনেকাংশে কমে যায়। তবে একটি সহজ ঘরোয়া কৌশল মেনে চললেই কুলার থেকেও পাওয়া যেতে পারে এসির মতো ঠান্ডা বাতাস।
কী করবেন?
একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় বা তোয়ালে** নিন। সেটিকে কিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর হালকা চেপে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে দিন এবং কুলারের তিন পাশে থাকা নেটের সঙ্গে কাপড়টি আটকে দিন। এরপর কুলার চালিয়ে দেখুন—আপনার ঘর হবে অনেকটা শীতল ও স্বস্তিদায়ক।
এই পদ্ধতিটি কার্যকরভাবে কুলারের শীতলতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন বাইরের গরমে সাধারণভাবে কুলারও উষ্ণ বাতাস দিতে থাকে।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ:
* দিনে অন্তত একবার কুলারের পানি পরিবর্তন করুন
* কুলারের ভেতরের প্যাডগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন
* ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করলেও শীতলতা আরও বাড়ানো সম্ভব
তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে এই সহজ কৌশল আপনিও মেনে দেখতে পারেন!
ভোরের আকাশ।।হ.র
সংশ্লিষ্ট
ভারতে আগামী দুই মাসের মধ্যেই চালু হতে যাচ্ছে এলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। সম্প্রতি সরকারি লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি দেশটিতে তাদের কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে।স্টারলিংক ইতোমধ্যেই ভারতের বাজারের জন্য তাদের মূল্য কাঠামো নির্ধারণ করেছে। সেবাটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় স্যাটেলাইট ডিশের দাম রাখা হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।এছাড়া আনলিমিটেড ডেটা সুবিধাসহ মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার রুপি, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪,২৮০ টাকা।গ্রাহক আকৃষ্ট করতে, উদ্বোধনী কৌশলের অংশ হিসেবে প্রতিটি ডিভাইসের সঙ্গে এক মাসের ফ্রি ট্রায়াল অফার করছে স্টারলিংক। এতে গ্রাহকরা কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি ছাড়া প্রথম মাসে ইন্টারনেট সেবাটি ব্যবহার করে দেখার সুযোগ পাবেন।বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংকের এই সেবা ভারতের দুর্গম, প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলিতে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঐতিহ্যগত ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো যেখানে পৌঁছাতে ব্যর্থ, সেখানে স্টারলিংকের পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো থেকে সরাসরি ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে।ভারতে নির্ধারিত এই মূল্য কাঠামো পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ ও ভুটানের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে একই দামে স্টারলিংক ডিভাইস বিক্রি হচ্ছে।বিশ্লেষকদের ধারণা, স্টারলিংকের আগমন ভারতীয় টেলিকম খাতে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং গ্রামীণ অঞ্চল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দূরবর্তী এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে।দেশটি যখন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং উন্নত ইন্টারনেট অবকাঠামো গঠনে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, ঠিক তখনই স্টারলিংকের আগমন এই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।সূত্র: এনডিটিভিভোরের আকাশ।।হ.র
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। শহর থেকে গ্রাম—প্রচণ্ড রোদের কারণে দিনে-রাতে সবার যেন এক অবস্থা। এই সময়ে এসি সবার নাগালের মধ্যে না থাকলেও অনেকেই বাঁচছেন ঘরের এয়ার কুলারের উপর নির্ভর করে। তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক সময় কুলার চালিয়েও ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যাচ্ছে না, বরং কুলার থেকেও গরম বাতাস বেরোচ্ছে!বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র গরম ও বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেলে কুলারের কার্যকারিতা অনেকাংশে কমে যায়। তবে একটি সহজ ঘরোয়া কৌশল মেনে চললেই কুলার থেকেও পাওয়া যেতে পারে এসির মতো ঠান্ডা বাতাস।কী করবেন?একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় বা তোয়ালে** নিন। সেটিকে কিছুক্ষণ ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর হালকা চেপে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে দিন এবং কুলারের তিন পাশে থাকা নেটের সঙ্গে কাপড়টি আটকে দিন। এরপর কুলার চালিয়ে দেখুন—আপনার ঘর হবে অনেকটা শীতল ও স্বস্তিদায়ক।এই পদ্ধতিটি কার্যকরভাবে কুলারের শীতলতা বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন বাইরের গরমে সাধারণভাবে কুলারও উষ্ণ বাতাস দিতে থাকে।বিশেষজ্ঞ পরামর্শ:* দিনে অন্তত একবার কুলারের পানি পরিবর্তন করুন* কুলারের ভেতরের প্যাডগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন* ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করলেও শীতলতা আরও বাড়ানো সম্ভবতীব্র গরমে স্বস্তি পেতে এই সহজ কৌশল আপনিও মেনে দেখতে পারেন!ভোরের আকাশ।।হ.র
তথ্য আদান-প্রদান কিংবা অফিসিয়াল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ই-মেইলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সহজ, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য এই মাধ্যমটিতে কখনো কখনো অসাবধানতাবশত ভুল মেইল পাঠিয়ে বিপাকে পড়তে হয় অনেককেই। কখনো ভুল ঠিকানায় চলে যায় মেইল, কখনো প্রয়োজনীয় সংযুক্তি (attachment) দিতে ভুলে যান প্রেরক, আবার কখনো প্রাপকের নাম থেকেই যায় বাদ।এই ধরনের ভুল শুধরাতে অনেকেই আবার আলাদা করে মেইল পাঠান, যা পেশাদার যোগাযোগে কিছুটা অস্বস্তিকরও হতে পারে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এই সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে—বিশেষ করে জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য।জিমেইলে রয়েছে 'আনডু সেন্ড' ফিচার, যার সাহায্যে পাঠানো মেইল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত আনা সম্ভব।কীভাবে সক্রিয় করবেন এই ফিচারটি?১. প্রথমে যেকোনো ব্রাউজার থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।২. ডান পাশে ওপরের কোণে থাকা ‘সেটিংস’ (গিয়ার আইকন)-এ ক্লিক করুন।৩. এরপর ‘See all settings’ অপশনটি সিলেক্ট করুন।৪. খোলা পেজের ‘General’ ট্যাবে গিয়ে নিচের দিকে ‘Undo Send’ নামক একটি অপশন পাবেন।৫. এখান থেকে Send cancellation period নামে একটি সময় নির্ধারণ বক্স দেখতে পাবেন।৬. সেটি থেকে আপনি ৫, ১০, ২০ অথবা সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড বেছে নিতে পারবেন।৭. পছন্দমতো সময় বেছে নেওয়ার পর পেজের নিচে গিয়ে ‘Save Changes’ অপশনে ক্লিক করুন।এরপর থেকে আপনি কোনো ই-মেইল পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে নিচে ‘Undo’ অপশন দেখতে পাবেন, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কার্যকর থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে ক্লিক করলেই মেইলটি পাঠানো বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনি তা সম্পাদনা করে আবারও পাঠাতে পারবেন।ভোরের আকাশ//হ.র
দেশে টেলিকম সাইটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ৫ হাজারের বেশি সাইট ডাউন হয়ে গেছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানান তিনি। নিম্নচাপ জনিত ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রভাবে সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানান তিনি।ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ‘নিম্নচাপ জনিত ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত। নেটওয়ার্ক রিস্টোর করতে নিরলস কাজ করছেন পল্লি বিদ্যুৎ সহ টেলিযোগাযোগ সেবাকর্মীরা।’ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে টেলিকম সাইটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ৫ হাজারের বেশি সাইট ডাউন হয়ে গেছে। বর্তমানে বরিশাল, সিলেট দক্ষিণ, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’বিপর্যয়ের একটি একটি সংক্ষিপ্ত চিত্রও তুলে ধরেছেন ফয়েজ আহমদ- ‘মোট মেইনস বিকল : ৮২৬২ (৪৪ শতাংশ), মোট চালু সাইট : ৬৪.২ শতাংশ, মোট সাইট ডাউন : ৫৯০৪ (৩৫.৮ শতাংশ), (পিজি) পোর্টেবল জেনারেটর সংযুক্ত : ৬২৪ ও পিজি পথে রয়েছে : ৫০৪।’বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন স্থলভাগে উঠে এসে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতেই এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে দেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ধীরে ধীরে এটি দুর্বল হতে থাকে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এর প্রভাবে দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ শনিবারও এর প্রভাবে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ