চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ে লিড পেয়েও অস্বস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে থামিয়ে দারুণ সূচনা করে টাইগাররা। এরপর ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৮ রান। সাদমান তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। বড় লিডের স্বপ্ন ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু শেষ সেশনে এসে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়তে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। কিন্তু দিনের শেষ ভাগে মাত্র ৩২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্যটাই কিছুটা হারিয়েছে বাংলাদেশ।মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ৯০.১ ওভারে ২২৭ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৬০ রানে শিকার করেন ৬টি উইকেট।এরপর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা করে দেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেন তারা।তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেননি দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিজয়। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ভাগ্যের সহায়তা না পেয়ে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিজয়কে।৩৯ রানের ইনিংসটিই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি করেন সাদমান। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শেষ বলে বেন কারেনের হাতে ক্যাচ হন মুমিনুল হক। এতে জুটি ভাঙে। ৬৪ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।পরের ওভারের প্রথম বলেই ব্রায়ান বেনেটের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সেঞ্চুরি সাদমান ইসলাম। টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে হাঁরিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বাঁহাতি টাইগার ব্যাটার করেন ১৮১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১২০ রান। এটি সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এরপর ঝলক দেখান অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ৮ রানের মধ্যে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকের আলীকে তুলে নেন তিনি। শান্তর আউট হওয়ার ধরন বরাবরের মতো প্রশ্নবিদ্ধ। শর্ট মিডউইকেটে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।এরপর জাকেরও মাসেকেসার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে ফিরতি ক্যাচ দেন। ১৩ বলে জাকের করেন ৫ রান। মাসেকেসার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কাটা পড়েছেন রানআউটে। মিডঅনে ঠেলে দিয়েই দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দেন মাদভেরে। ৫৯ বলে মুশফিকের ৪০ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার মার।মাসেকেসার তৃতীয় শিকার হন নাঈম হাসান। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি ৩ করেই। এরপর ৪ ওভার কাটিয়ে ১২ রান যোগ করেছেন মিরাজ আর তাইজুল।ভোরের আকাশ/এসআই
১৪ ঘন্টা আগে
চরম নাটকীয় ও ঘটনাবহুল ফাইনাল জিতে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের শিরোপা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে স্থগিত ফাইনালের বাকি ১৫ মিনিটের খেলায় কোনো গোল না হলে টাইব্রেকার কিংস ৫-৩ গোলে হারায় আবাহনীকে।গত ২২ এপ্রিল ফাইনালটি শেষ হতে পারেনি আলোকস্বল্পতার কারণে। তখন ম্যাচ বাকি ছিল অতিরিক্ত সময়ের শেষ ১৫ মিনিট। এক সপ্তাহ পর সেই ১৫ মিনিটের ম্যাচে আবাহনী গোল করতে পারেনি ১০ জনের কিংসের বিপক্ষে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। গোলরক্ষক শ্রাবণ একটি শট ফিরিয়ে দিয়ে কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।টাইব্রেকারেও ছিল নাটকীয়তা। আবাহনীর হয়ে চতুর্থ শট নেন মিরাজুল ইসলাম। তার নেওয়া শট কিংসের গোলরক্ষক মেহদী হাসান শ্রাবণ সেভ করেন। কিংস টাইব্রেকারে এক গোলের লিডে ছিল। চতুর্থ শট আবাহনী মিস করলে কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রাবণের সেভের সঙ্গে সঙ্গে কিংস উল্লাস শুরু করে।রেফারি অবশ্য আগেই ফাউলের পতাকা তুলেছিলেন। রেফারির এই সিদ্ধান্ত কিংসের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন মানতে পারেননি। রেফারি সায়মন সানি টাইব্রেকার পর্বে এসেও হলুদ কার্ড দেখান কিংসের গোলরক্ষক কোচকে।মিরাজুল পুনরায় শট নেন। সেই শট অবশ্য শ্রাবণ ঠেকাতে পারেননি। কিংসের হয়ে পঞ্চম ও শেষ শট নিতে আসেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল। তার নেয়া শট জালে প্রবেশ করলে কিংস পুনরায় উল্লাস করে। ফেডারেশনের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পুনরায় তাদের ট্রফি নিজেদের কাছেই রাখতে পারল।পাশাপাশি ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ারে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারার একটা মধুর প্রতিশোধও নিল। সেই ম্যাচে আবাহনী দশ জন নিয়ে খেলে ম্যাচ জিতেছিল। এই ম্যাচে কিংস দশ জন নিয়ে জিতল।ভোরের আকাশ/এসআই
১৬ ঘন্টা আগে
চলতি মৌসুমে অন্তত একটি ট্রফি জেতার আশা বাঁচিয়ে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি। এফএ কাপের সেমিফাইনালে রোববার নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে সিটিজেনরা। এতে করে টানা তৃতীয়বার প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে পৌঁছে গেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এদিন ১৪টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে ছিল ম্যান সিটির। বিপরীতে গোলের দিকে ৮টির মধ্যে কেবল একটি শট লক্ষ্যে রাখতে পারে নটিংহ্যাম। দারুণ এক আক্রমণে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। মাতেও কোভাচিচের পাস বক্সের সামান্য দূর থেকে পান রিকো লুইস। নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। ১৯৮১তে স্টিভ ম্যাকেঞ্জির পর সিটির সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ওয়েম্বলিতে গোল করলেন ২০ বছর বয়সী লুইস। বিরতির আগ পর্যন্ত একের পর আক্রমণে ছড়ি ঘোরায় শেষ চার বারের প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়নরা। তবে এ সময়ের মধ্যে গোলের দিকে নেয়া পাঁচটি শটের মধ্যে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ওমর মারমুশ-জ্যাক গ্রিলিশরা।অন্যদিকে ১৯৯১-এর পর প্রথমবার এফএ কাপের সেমিতে ওঠা নটিংহ্যাম বিরতির আগ পর্যন্ত গোলের দিকে কোনো শটই নিতে পারেনি। মাঠে ফিরে ষষ্ঠ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়োস্কো গাভার্ডিওল। মারমুশের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান এই ক্রোয়াট ডিফেন্ডার। ৬৬তম মিনিটে নটিংহ্যামের দারুণ একটি প্রচেষ্টা নষ্ট হয় ক্রসবারে লেগে। মিনিট চারেক পর গোলের পথে ফের বাঁধ সাধে গোলপোস্ট। এবারও ভাগ্যের কাছে হার মানেন মর্গান গিবস-হোয়াইট। ৮১তম মিনিটে যেন হতাশার কালো মেঘ ছেয়ে ধরে নটিংহ্যামকে। দলের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড তাইয়ো আয়োনির শট ফিরে আসে সেই ক্রসবারে লেগেই। ফিরতি বলে গিবস-হোয়াইটের শট ফিরিয়ে দেন সিটিজেন গোলকিপার স্টেফান ওর্তেগা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয় ম্যান সিটির ফাইনাল।২০২৩-এ ক্লাবের সপ্তম এফএ কাপ জেতে সিটিজেনরা। পরের বছর তাদের শিরোপা হারাতে হয় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। টানা তৃতীয়বারের ফাইনালে এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের হাতছানি আকাশি-নীলদের সামনে। শেষ চারের আরেক ম্যাচে শনিবার অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২০১৬’র পর প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। আগামী ১৭ই মে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামেই ফাইনালে মুখোমুখি হবে সিটি ও প্যালেস।ভোরের আকাশ/এসআই
২১ ঘন্টা আগে
তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে পহেলা মে বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য গত শনিবার স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। আর তারুণ্যে ঠাসা ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কিউইদের এই সফর মূলত গত বছরের সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নিরাপত্তা শঙ্কায় সিরিজটি স্থগিত হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নতুনভাবে সিরিজের সময়সূচি ঠিক করা হয়। সাদা ও লাল বলের সিরিজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত ব্ল্যাক ক্যাপসরা।বাংলাদেশ সিরিজে ১৫ সদস্যের দলে থাকা ৯ ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তারকাদের। কদিন আগে পাকিস্তান সফরে খেলে আসা নিক কেলিকে সাদা বলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের লাল বলের অধিনায়ক জো কার্টার। এই দলে আছেন মিচেল হে, মুহাম্মদ আব্বাস, বেন লিস্টারের মতো তারকারা। বাকিদের যারা আছেন তারাও ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা ফর্মে আছেন।সফরে কোচ হিসেবে থাকছেন বব কার্টার। উপমহাদেশ সফর নিয়ে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত, বাংলাদেশ সফর নিয়ে আমরা ভাবছি। গ্রীষ্মকালের যারা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন, তাদের জন্য সফরটি উপহারস্বরূপ। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের জন্য এটি হতে যাচ্ছে উপমহাদেশে প্রথম ট্যুর। তাদের দক্ষতা প্রমাণের জন্য এই কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ পাওয়া দারুণ কিছু। এনামুল-মোস্তাফিজদের বিপক্ষে আগামী ৫ মে সিলেটে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। একই মাঠে ৭ মে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ‘এ’ দল। ১০ মে শেষ ওয়ানডে সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজ শেষেই শুরু হবে দুটি চারদিনের ম্যাচ। ১৪ মে সিলেটে শুরু হবে সিরিজের প্রথম চারদিনের ম্যাচ। সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২১ মে, মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।বাংলাদেশ ‘এ’ দল: পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়, সাইফ হাসান, মাহিদুল ইসলাম, ইয়াসির আলি, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, নাইম হাসান, নাসুম আহমেদ, তানভীর ইসলাম, রেজাউর রহমান রাজা, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল: নিক কেলি (সাদা বলের অধিনায়ক), মুহাম্মদ আব্বাস, আদি অশোক, ম্যাট বয়েল, জো কার্টার (লাল বলের অধিনায়ক), ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক, জশ ক্লার্কসন, জ্যাক ফুলকস, ডিন ফক্সক্রফ্ট, মিচ হে, কার্টিস হিফি, জেডেন লেনক্স, বেন লিস্টার, রিস মারিউ ও ডেল ফিলিপস। ভোরের আকাশ/এসআই
২১ ঘন্টা আগে