ফাইল ছবি
দলের ভেতরে সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলা চরমভাবে লঙ্ঘন করায় বিএনপির ৫ নেতাকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কারকৃত নেতারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম মিয়াজী, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লক ধরা পড়েছে। এনজিওগ্রাম করার পর চিকিৎসকরা বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে শফিকুর রহমানের এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তার হৃদপিণ্ডে তিনটি মেজর ব্লক শনাক্ত হয়। চিকিৎসকরা এনজিওপ্লাস্টির পরিবর্তে বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন।জামায়াত আমীরের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। এরপর থেকে তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছিল। এনজিওগ্রামের ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা বাইপাস সার্জারিকে জরুরি বলে মত দিয়েছেন।তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও শফিকুর রহমান নিজেই তা নাকচ করেছেন। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর তার ‘পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।বর্তমানে তার সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। জামায়াত নেতার পরিবার দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছে।এর আগে, গত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ মঞ্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জামায়াত আমিরকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও ফলোআপে থাকেন। এনজিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হার্টে গুরুতর ব্লক ধরা পড়ে।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।মঈন খান বলেন, ৫ আগস্ট যদি সত্যিই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়, তবে সেটা যে মাসেই নির্বাচনের সময় দিক-না কেন, তা নিয়ে এত ভাবনার কারণ নাই।দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে। পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পিআর পদ্ধতির গভীরে গেলে দেখা যাবে জনগণ একটি দলকে ভোট দিচ্ছে একজন ব্যক্তিকে নয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সংগতিপূর্ণ হবে না।তিনি বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এক নয়, তাই পিআর পদ্ধতি এখানে কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন তখনই সার্থক হবে, যখন গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্পন্ন হবে। যদি গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব না হয়, তাহলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যারা আজকে বিভিন্ন অজুহাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন বা বাধা দিচ্ছেন, তারা পক্ষান্তরে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষেই অবস্থান নিচ্ছেন।বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আকন্দের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিক, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়সার লিংকন, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রায় ১৬টি বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা আজকে স্বৈরতন্ত্রের পতনে বিএনপির ভূমিকাকে খাটো করে দেখছেন, তাদের বলব বিএনপি যখন আন্দোলন শুরু করেছিল, যাদের বয়স এখন ২৬ থেকে ২৮ এর মধ্যে, তারা তখন শিশু ছিল। হিসাব করলে দেখা যাবে, তাদের ভাতও মায়েরা খাইয়ে দিতেন। কিন্তু তারা যখন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে অস্বীকার করছেন, তখন বুঝতেই হবে, এরা অহঙ্কারী হয়ে পড়েছে।প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন করে ছাত্র প্রতিনিধি রেখেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটা ছেলে প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ নিয়ে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৫০ লাখের ১০ লাখ টাকা নিয়ে এসেছে। যখন আরও ৪০ লাখ টাকা আনতে গেছিল, তখন সে ধরা পড়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে, পুলিশকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা তো আপনি জানেন। এই যে আপনি ছাত্রদেরকে আপনার মুরুব্বি বানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বানিয়েছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আপনি ধ্বংস করে ফেলেছেন, এর একটু দায় আপনারও নেওয়া উচিত।তিনি আরও বলেন, আমরা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সমালোচনা করি, আপনি যাতে একটি ভালো নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে সহায়তা করেন। না হলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। সে জন্য যেকোনোভাবে, যেকোনো উপায়ে আপনাকে ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনসম্পন্ন করতে হবে, আর তা যদি সম্ভব না হয়, বাংলাদেশে কোনো স্বৈরতন্ত্র কিন্তু ভালো নির্বাচন ছাড়া রেহাই পায়নি। এখনো পর্যন্ত আপনার পথ খোলা আছে। আপনি ভালো নির্বাচন দেবেন, এটা জাতি প্রত্যাশা করে, আমরাও প্রত্যাশা করি।চাঁদাবাজদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, দল গঠন করছেন এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন, তাদের আমি বলব, এই সময় সময় না, আরও সময় আছে। আপনাদের পরিণতি কী হবে, সেটা যদি না ভাবেন, তাহলে ভুল হয়ে যাবে। এটা একবার মাথার মধ্যে নেন। এখন আপনাদেরকে ব্যবহার করে যারা উপদেষ্টামণ্ডলী সদস্য এবং ক্ষমতা ব্যবহার করছেন, তারা কিন্তু আপনাদেরকে সেই সময়ে সহায়তা করবে না, এটাই বাস্তব।ভোরের আকাশ/আআ
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দুই কোটি টাকার চাঁদাবাজদের ধরেছেন, ভালো কথা। কিন্তু ২ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজদের খবরও আপনাদের কাছে আছে। তাদের নাম প্রকাশ করুন অতিসত্বর। গত ১১ মাসে কে কী করেছে, সেটাও প্রকাশ করুন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় আসার ১১ মাস পার হলেও এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি, যা জনগণের প্রত্যাশার পরিপন্থি।বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।সংগঠনের সভাপতি ডা. এম ইসলাম বাদল তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনিরসহ প্রমুখ।ফারুক বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রামগঞ্জ, চা দোকান, মহল্লায় এখন একটি প্রশ্ন– আপনারা তো কারো পক্ষের লোক না, তাহলে কেন এখনো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না? শাহাবুদ্দিন আহমেদ মাত্র তিন মাসের মাথায় এরশাদের ১০ বছরের দমন-নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ১১ মাসেও নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে।তিনি বলেন, আমরা তো রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের নেতা শহীদ জিয়া দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। আমাদের নেত্রী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। স্বাধীনতার ঘোষকের সন্তান ১৬টি বছর দেশের বাইরে থেকে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্মের নেতাদেরকে দিয়ে আন্দোলন সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে আপনাদেরকে সহায়তা করে হাসিনাকে বিদায় করেছে। সেই বিদায়ের ফল কি আজকে ১১ মাসে আমরা পেয়েছি?বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, জামায়াতে ইসলামী, আপনারা কোনো একসময় আমাদের বন্ধুও ছিলেন। অবহেলা করি না, করতেও চাই না। কিন্তু মনে দুঃখ হয়, যখন দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সে লড়াইয়েও আপনারা এক সময় আমাদের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু ঠিক যেই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, ঠিক সেই মুহূর্তে কিছু রাজনৈতিক দল নানা অজুহাত দিচ্ছে। কখনো বলছে পিআর, কখনো বলছে সংবিধান সংশোধন না হলে নির্বাচনে যাবে না। এসব অজুহাত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।ফারুক বলেন, বিএনপি কোনো অন্যায়ের পক্ষপাতী নয়। আমাদের কর্মীরা যদি ভুল করে, তারেক রহমান নিজে ব্যবস্থা নিয়েছেন, বহিষ্কারাদেশ দিয়েছেন। তারপরও আমাদের বদনাম দেওয়া হচ্ছে। অথচ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ