শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়াসহ ১১ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পোস্টে উপাচার্যের পদত্যাগপত্র এবং ১০ জন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকের সই সম্বলিত পদত্যাগপত্রের ছবি শেয়ার করা হয়েছে।উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি এ চিঠি লিখছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় আমি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি আপনি আমার পদত্যাগপত্র সদয়ভাবে গ্রহণ করবেন।অন্যদিকে উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকসহ যে ১০ কর্মকর্তা। পদত্যাগপত্রে তারা লিখেছেন, কিছু শিক্ষার্থীর অন্যায় দাবি-দাওয়ার প্রতিবাদে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীরা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করছি।উপাচার্য ছাড়াও দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক এম রিজওয়ান খান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নুরুল হুদা, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মো. ওমর ফারুক, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক হাসান সারওয়ার, আইরিকের পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ইইই বিভাগের প্রধান মো. কে. মাশুকুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান তাহমিনা ফয়েজ, সিডিআইপির পরিচালক সুমন আহমেদ, ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক জান্নাতুন নূর, বিজিই প্রোগ্রামের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও আইএনএসের পরিচালক অধ্যাপক আবু সাকলায়েন।এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁদের আন্দোলন শুরু হয়। পরে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো-১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ ছাড়াও ইউআইউ রিফর্ম ১.০ ও জুলাই বিপ্লবে বাধা দেওয়া, এক ছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার কাছে কাউন্সিলর থেকে ডেড সার্টিফিকেট চাওয়া, আইসিইউ ফেরত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো, বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগ।২. মিডটার্ম পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।৩. ইউআইউ রিফর্ম ১.০-এ যেসব দাবি মানা হয়েছিল, সব দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষভাবে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি মিড টার্মে কোর্সপ্রতি ২ হাজার টাকা ও ফাইনাল পরীক্ষায় ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসআই
২ দিন আগে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ এবং সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে তাঁদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।এর আগে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৫ দিন আগে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা ৩৭ জন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে খুলে দেওয়া হয়েছে ৭টি আবাসিক হল। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে সভাটি শুরু হয়। কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করেছেন।সভা শেষে উপাচার্যের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম চালু এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খোলার কথা ছিল। তবে আজ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হলগুলো বিকেলে খোলার সিদ্ধান্ত হয়।উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনার জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল কুয়েট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ এপ্রিল ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ দিন আগে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মোহাম্মদ মাছুদকে চাপ দিয়ে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। আমরা এসবের বিচার দাবি করছি।এ সময় কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ দিন আগে