স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৫ ০৮:১৫ পিএম
অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর, উদ্বেগ দেখছে না বিসিবি
সাবেক এক বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা ভারত নিয়ে মন্তব্য করার পর দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা এবার সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে উপমহাদেশের ক্রিকেট সূচিতে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুক্রবার (২ মে) এনিয়ে উদ্বেগ নাকচ করে দিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, আগস্টে ছয় ম্যাচের সাদা বলের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ভারতের। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমানের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি মন্তব্য করেন, যা কূটনৈতিক উত্তেজনায় ঘি ঢেলে দেয়। তিনি বলেন, ‘যদি ভারত পাকিস্তানে হামলা করে, তাহলে বাংলাদেশকে ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করে নিতে হবে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থার কথাও বিবেচনায় আনা উচিত।’
এই বক্তব্য ভারতীয় গোয়েন্দা মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সরকারের উচ্চপর্যায়েও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, ‘সূচি অনুযায়ী ভারতীয় দল বাংলাদেশে খেলতে আসবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সফর হওয়া প্রায় অসম্ভব। সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে আলোচনা চলছে সফর বাতিলের ব্যাপারে।’
বিসিসিআই অবশ্য এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নীরব। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডও কোনও বিতর্কিত বক্তব্য এড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুক্রবার এনিয়ে উদ্বেগ নাকচ করে দিয়েছে।
আগামী আগস্টে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর কর্মসূচি অনুযায়ী এই সিরিজ হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এটি হবে ভারতের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
২০২৩ সালের এশিয়া কাপেও ভারত শুধু শ্রীলঙ্কায় খেলে, পাকিস্তানে না গিয়ে। এবার যদি একই ধাঁচে আয়োজন হয় বা ভারত সরাসরি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে এশিয়া কাপের আকর্ষণ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। ক্রিকেট উপমহাদেশে কেবল একটি খেলা নয়, বরং জাতীয় আবেগ, মর্যাদা আর পরিচয়ের জায়গা। কিন্তু যখন রাজনীতি এসে খেলার মাঠকে দখল করে নেয়, তখন হারিয়ে যায় সেই বহুল প্রতীক্ষিত ব্যাট-বলের রোমাঞ্চ। ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ ও এশিয়া কাপ—দুটোর ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।
ভোরের আকাশ/ এসআই
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
অনিশ্চয়তায় ভারত ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর, উদ্বেগ দেখছে না বিসিবি
সাবেক এক বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা ভারত নিয়ে মন্তব্য করার পর দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা এবার সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে উপমহাদেশের ক্রিকেট সূচিতে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুক্রবার (২ মে) এনিয়ে উদ্বেগ নাকচ করে দিয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া এদিন এক প্রতিবেদনে জানায়, আগস্টে ছয় ম্যাচের সাদা বলের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ভারতের। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ এল এম ফজলুর রহমানের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি মন্তব্য করেন, যা কূটনৈতিক উত্তেজনায় ঘি ঢেলে দেয়। তিনি বলেন, ‘যদি ভারত পাকিস্তানে হামলা করে, তাহলে বাংলাদেশকে ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করে নিতে হবে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থার কথাও বিবেচনায় আনা উচিত।’
এই বক্তব্য ভারতীয় গোয়েন্দা মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সরকারের উচ্চপর্যায়েও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে ক্রিকেটীয় সম্পর্কও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, ‘সূচি অনুযায়ী ভারতীয় দল বাংলাদেশে খেলতে আসবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সফর হওয়া প্রায় অসম্ভব। সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও ক্রিকেট বোর্ডের ভেতরে আলোচনা চলছে সফর বাতিলের ব্যাপারে।’
বিসিসিআই অবশ্য এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নীরব। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডও কোনও বিতর্কিত বক্তব্য এড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুক্রবার এনিয়ে উদ্বেগ নাকচ করে দিয়েছে।
আগামী আগস্টে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর কর্মসূচি অনুযায়ী এই সিরিজ হবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এটি হবে ভারতের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
২০২৩ সালের এশিয়া কাপেও ভারত শুধু শ্রীলঙ্কায় খেলে, পাকিস্তানে না গিয়ে। এবার যদি একই ধাঁচে আয়োজন হয় বা ভারত সরাসরি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে এশিয়া কাপের আকর্ষণ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে। ক্রিকেট উপমহাদেশে কেবল একটি খেলা নয়, বরং জাতীয় আবেগ, মর্যাদা আর পরিচয়ের জায়গা। কিন্তু যখন রাজনীতি এসে খেলার মাঠকে দখল করে নেয়, তখন হারিয়ে যায় সেই বহুল প্রতীক্ষিত ব্যাট-বলের রোমাঞ্চ। ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ ও এশিয়া কাপ—দুটোর ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।
ভোরের আকাশ/ এসআই