বার্সেলোনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আর্সেনাল
পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত নারী উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনাল।
এস্টাডিও হোসে আলভালাডে অসাধারণ ডিফেন্স রক্ষা করে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী বার্সেলোনার জালে একমাত্র গোলটি জড়িয়ে দেন স্টিনা ব্ল্যাকস্টেনিয়াস। দ্বিথীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হিসেবে মাঠে নামা বেথ মিডের দুর্দান্ত পাসে বার্সার জালে বল জড়াতে সক্ষম হন স্টিনা।
১৮ বছর আগে প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিলো আর্সেনাল। প্রায় দেড়যুগ পর আবারও শিরোপা উঠলো লাল-সাদাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে। তবে মজার বিষয় হলো, আর্সেনালই একমাত্র ইংলিশ ক্লাব, যারা নারী উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে মেতে ওফে আর্সেনালের ফুটবলাররা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা এবং স্ট্যান্ডের কর্নারের সামনে উদযাপন করতে দৌড়ে যায়। সেখানে কয়েক হাজার সমর্থক অবিশ্বাস্য এই জয়ে আনন্দ করছিল।
জয়ের পর আর্সেনাল অধিনায়ক কিম লিটল বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল, বার্সেলোনাকে হারাতে হলে আমাদের আরও নিখুঁত হতে হবে। আজ আমাদের খেলোয়াড় যারা মাঠে নেমেছিল তাদের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।’
পোডিয়ামে কিম লিটল এবং লিয়া উইলিয়ামসন ট্রফি তুলে ধরেন। এ সময় পোডিয়ামের পেছন থেকে কনফেত্তির ঝড় বইতে শুরু করে। এ সময় দারুণ এক দৃশ্য দেখা যায়। গত মৌসুম পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলা আর্সেনালের ফরোয়ার্ড মারিওনা ক্যালডেন্টি বার্সা তারকা আইতানা বনমাতিকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ১৮ বছর পর আর্সেনালের প্রথম শিরোপা হলেও ক্যালডেন্টির এটা ছিল চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দারুণ ফেবারিট ছিলো বার্সেলোনা। গত ৪ মৌসুমে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার নিয়ে ৫ মৌসুমে ছিল ৪র্থ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু আর্সেনালের কাছে হেরে সেই শিরোপা জয় সম্ভব হলো না।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত নারী উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনাল।এস্টাডিও হোসে আলভালাডে অসাধারণ ডিফেন্স রক্ষা করে ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী বার্সেলোনার জালে একমাত্র গোলটি জড়িয়ে দেন স্টিনা ব্ল্যাকস্টেনিয়াস। দ্বিথীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হিসেবে মাঠে নামা বেথ মিডের দুর্দান্ত পাসে বার্সার জালে বল জড়াতে সক্ষম হন স্টিনা।১৮ বছর আগে প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিলো আর্সেনাল। প্রায় দেড়যুগ পর আবারও শিরোপা উঠলো লাল-সাদাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে। তবে মজার বিষয় হলো, আর্সেনালই একমাত্র ইংলিশ ক্লাব, যারা নারী উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে মেতে ওফে আর্সেনালের ফুটবলাররা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা এবং স্ট্যান্ডের কর্নারের সামনে উদযাপন করতে দৌড়ে যায়। সেখানে কয়েক হাজার সমর্থক অবিশ্বাস্য এই জয়ে আনন্দ করছিল।জয়ের পর আর্সেনাল অধিনায়ক কিম লিটল বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিল, বার্সেলোনাকে হারাতে হলে আমাদের আরও নিখুঁত হতে হবে। আজ আমাদের খেলোয়াড় যারা মাঠে নেমেছিল তাদের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।’পোডিয়ামে কিম লিটল এবং লিয়া উইলিয়ামসন ট্রফি তুলে ধরেন। এ সময় পোডিয়ামের পেছন থেকে কনফেত্তির ঝড় বইতে শুরু করে। এ সময় দারুণ এক দৃশ্য দেখা যায়। গত মৌসুম পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলা আর্সেনালের ফরোয়ার্ড মারিওনা ক্যালডেন্টি বার্সা তারকা আইতানা বনমাতিকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ১৮ বছর পর আর্সেনালের প্রথম শিরোপা হলেও ক্যালডেন্টির এটা ছিল চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দারুণ ফেবারিট ছিলো বার্সেলোনা। গত ৪ মৌসুমে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এবার নিয়ে ৫ মৌসুমে ছিল ৪র্থ শিরোপার দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু আর্সেনালের কাছে হেরে সেই শিরোপা জয় সম্ভব হলো না।ভোরের আকাশ/জাআ
টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্বে এসেছে নতুন যুগ। ইংল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত ১৮ সদস্যের স্কোয়াডে অধিনায়ক করা হয়েছে শুভমান গিলকে। ঋষভ পান্ত হয়েছেন সহ-অধিনায়ক ও উইকেটকিপার। শনিবার দল ঘোষণা করেন নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগারকার।রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এসেছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দায়িত্ব পেয়ে গিল হলেন ভারতের পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়ক।প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব বেশি অধিনায়কত্ব না করলেও, আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের সফল নেতৃত্বে নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। আগারকার বলেন, "গিল অসাধারণ প্রতিভাবান। আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"দলে ফিরেছেন করুণ নায়ার ও কুলদীপ যাদব। প্রথমবার ডাক পেয়েছেন সাই সুদর্শন ও আর্শদীপ সিং। ওপেনিংয়ে যশস্বী ও রাহুল; রিজার্ভ হিসেবে ঈশ্বরন। শার্দুল, জাদেজা, সুন্দর ও নিতীশ অলরাউন্ড বিভাগে আছেন। চোটের কারণে বাদ মোহাম্মদ শামি।পূর্ণ স্কোয়াড:শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পান্ত (সহ-অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরন, করুণ নায়ার, নিতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, জাসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, আকাশ দীপ, অর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব।সিরিজটি শুরু হবে ২০ জুন, হেডিংলিতে। বাকি ম্যাচগুলো হবে এজবাস্টন, লর্ডস, ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ও দ্য ওভাল-এ।ভোরের আকাশ//হ.র
আসন্ন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫ ঘিরে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে দিনদিন। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব ও তারকাদের এক মঞ্চে দেখতে প্রস্তুত ফুটবলপ্রেমীরা।এর মধ্যেই এক চমকপ্রদ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো—এই টুর্নামেন্টে দেখা যেতে পারে কিংবদন্তি ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।সম্প্রতি মার্কিন ইউটিউবার আইশোস্পিডের একটি লাইভে অতিথি হিসেবে যোগ দেন ইনফান্তিনো। সেখানেই ক্লাব বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রোনালদো ক্লাব বিশ্বকাপের কোনো দলে খেলতে পারেন। কিছু ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে তাকে দলে নিতে পারে। এটা দারুণ মজার একটা ব্যাপার হবে।”ইনফান্তিনোর এমন মন্তব্যে ভক্তদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উদ্দীপনা ও কৌতূহল বেড়ে গেছে। ৩৯ বছর বয়সেও সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন রোনালদো। তার অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও গোল করার ধারাবাহিকতা এই টুর্নামেন্টের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।লাইভে কথা বলার সময় ইনফান্তিনো মেসি-রোনালদো বিতর্ক নিয়েও নিজের মতামত দেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি পর্তুগিজ হন, তাহলে রোনালদোকে ভালোবাসবেন; আপনি যদি আর্জেন্টাইন হন, তাহলে মেসিকে।তবে আপনি যদি একজন সত্যিকারের ফুটবল ভক্ত হন, তাহলে দুজনকেই দেখতে চাইবেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই মেসি ও রোনালদো একসঙ্গে খেলুক। কল্পনা করুন, দুই কিংবদন্তি এক দলে—অসাধারণ হবে ব্যাপারটা।”জবাবে স্পিড মজা করে বলেন, “আমার মনে হয়, এটা একদিন হবে!” উত্তরে ইনফান্তিনো হেসে বলেন, “হয়তো ফিফা দলের হয়ে!”যদি রোনালদোর ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ বাস্তবে রূপ নেয়, তবে সেটি হবে বিশ্ব ফুটবলের আরেকটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। আর মেসিও যদি সেই সময় একই টুর্নামেন্টে অংশ নেন, তাহলে দুই মহাতারকার দ্বৈরথ আবারো ফিরে আসবে, এইবার যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে।ফুটবলবিশ্ব এখন অপেক্ষায়—রোনালদো কি সত্যিই ফিরবেন ক্লাব বিশ্বকাপে, নাকি এটি কেবল ফিফা সভাপতির কল্পনার ইঙ্গিত? সময়ই বলে দেবে শেষ কথা।ভোরের আকাশ//হ.র
একটি হার অনেক সময় চোখে জল এনে দেয়, কিন্তু কিছু হার থাকে, যেগুলো বুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বাংলাদেশের টানা হার তেমনই এটা শুধু স্কোরলাইনে লেখা একটি সিরিজের পরাজয় নয়, এটি এক জাতির ক্রিকেট স্বপ্নের চরম ব্যর্থতার দলিল। এমন হার আমাদের ভাবিয়ে তোলে এই দলটি কি আসলেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে? এই দলটির পেছনে যে বোর্ড, যে কাঠামো, যে কোচিং স্টাফ তারা কি আদৌ জানেন কীভাবে একটি জাতীয় দল পরিচালনা করতে হয়?একটি দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত আত্মসমর্পণ: প্রথম ম্যাচে ২০৫ রান করে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ধস, তৃতীয় ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের চরম ঘাটতি সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দল যেন ম্যাচ খেলতে নয়, ম্যাচ ‘পুরণে’ নেমেছিল। একটি ম্যাচ হারা যেতে পারে, কিন্তু একই দলের কাছে টানা দুটি ম্যাচ হার মানে শুধুই ব্যর্থতা নয়, এটা একটি ধসে পড়া মানসিক কাঠামোর প্রকাশ। যে মানসিকতা একসময় হাবিবুল বাশার, মাশরাফি বিন মর্তুজা, কিংবা শফিকুল হকের দলের মাঝে দেখা যেত, আজ তা নিখোঁজ।পরিকল্পনার অভাব ও চেতনার সংকট: বাংলাদেশ দলের বোলিং লাইনআপে ছিল না কোনো নতুনত্ব, ছিল না কৌশলগত চিন্তা। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিপক্ষে একঘেয়ে লেন্থে বল করে গেছে পুরো সিরিজজুড়ে। বোলিংয়ে না ছিল আগ্রাসন, না ছিল ম্যাচ রিডিং করার চেষ্টা। পুরো সিরিজে একটি সঠিক ইয়র্কার পর্যন্ত চোখে পড়েনি। কোথাও যেন ‘জেতার পরিকল্পনা’ই ছিল না। তার থেকেও হতাশাজনক ছিল খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা। মাঠে তাদের উপস্থিতি ছিল প্রাণহীন, যেন কোনো চাকরির অংশ হিসেবে তারা মাঠে এসেছে। না ছিল আগ্রাসী মনোভাব, না ছিল লড়াইয়ের স্পৃহা। তারা যেন খেলছিল না, শুধুই উপস্থিত ছিল।দলের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতা ও নেতৃত্বের সংকট: জাকের আলীর মত একজন ব্যাটার যখন অষ্টম উইকেট জুটিতে স্ট্রাইক না নিয়ে একজন পেসার তানজিমকে স্ট্রাইক দেন, তখন প্রশ্ন ওঠে গেম সেন্স নিয়ে। দলীয় সমন্বয়, পরস্পরের বোঝাপড়া, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত সব কিছুতেই রয়েছে বড় ধরনের ঘাটতি। মাঠে একেকজন যেন একেকদিকে টানছে, নেতৃত্বে নেই নির্ভরতা, আর খেলোয়াড়দের মধ্যে নেই আত্মবিশ্বাসের যোগসূত্র।শুধু অজুহাত দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না: হারের পর অধিনায়ক যখন শিশিরের কথা বলেন, তখন সেটি কেবল দায়িত্ব এড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। একটি পেশাদার আন্তর্জাতিক দলের উচিত পরিবেশ অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। শিশির যদি সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি প্রতিপক্ষের জন্যও সমান প্রযোজ্য। এই অজুহাত শোনার পর দর্শক বুঝে যায় এই দল শুধুই মাঠে হারে না, তারা মানসিকভাবে পরাজিতও।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিভ্রান্তি ও দিশাহীনতা: এই পরাজয়ের দায় শুধু খেলোয়াড়দের নয়। বরং বড় দায় পড়ে সেই কাঠামোর ওপর, যারা এই খেলোয়াড়দের তৈরি করে, পরিচালনা করে এবং মাঠে পাঠায়। বিসিবির ভেতরে বর্তমানে চলছে চরম নেতৃত্ব সংকট। কে হবেন পরবর্তী সভাপতি, কে থাকবেন পরিচালনা পর্ষদে এসব নিয়ে বিভক্ত মতামত ও গ্রুপিং মাঠের ক্রিকেটের চেয়েও বেশি আলোচিত। ৫ আগস্টের পর বোর্ডে বড় পরিবর্তনের পরও মাঠে তার কোনো ইতিবাচক প্রতিফলন নেই। বরং মিডিয়া ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের দুই চেয়ারম্যানের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য বোঝায় বোর্ড নিজেরাই জানে না তারা কোন পথে হাঁটছে।কোচ, কাঠামো ও খেলোয়াড় তিন স্তরেই ব্যর্থতা: দেশি-বিদেশি ব্যাটিং কোচ, টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট সব কিছু থাকার পরও ব্যাটিং ব্যর্থতা বছরের পর বছর ধরে একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাহলে সমস্যা কোচিংয়ে, না খেলোয়াড়দের শেখার আগ্রহে? মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার মিঠু বলেন, শেখানোর ঘাটতি নেই, মাঠে প্রয়োগ নেই। ব্যাটাররা না আছে উইকেট মূল্যায়নে দক্ষ, না আছে ইনিংস গড়ার ধৈর্য। দলের মধ্যে নেই নেতৃত্বের দৃঢ়তা, নেই ধারাবাহিকতা। এক ম্যাচ ভালো খেললে তিন ম্যাচ গড়বড় এমন পারফরম্যান্স দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকা যায় না।এই কি সেই বাংলাদেশ দল: আমরা একদিন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি, ভারতকে কাঁপিয়েছি, ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করেছি। কিন্তু আজ আমরা সেই সব দিনের মতো গর্বের কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। আজকের দল যেন শুধু ‘জার্সি পরা’ লোকদের একটি দল যারা কাজ শেষ করতে মাঠে যায়, দেশের জন্য লড়াই করতে নয়। যেন একদল কর্মচারী মাঠে আসেন মাস শেষের বেতন পেতে।এখনই সময় চোখে চোখ রাখার: আমরা যদি এখনই আত্মসমালোচনা না করি, তবে এমন হারই আমাদের ভবিষ্যৎ হবে। এই পরাজয় কেবল স্কোরবোর্ডে লেখা ২-১ সিরিজ নয় এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসের অপমৃত্যু। এখনই সময় বোর্ড, খেলোয়াড়, মিডিয়া ও সমর্থকদের এক হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন করে গড়ে তোলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন এক সংকটময় বাঁকে দাঁড়িয়ে। এই দল, এই বোর্ড, এই কাঠামো সবকিছুকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে, ভবিষ্যতের ক্রিকেট ইতিহাসে ২০২৫ সালের আমিরাত সিরিজ এক বিভীষিকার নাম হয়ে থাকবে। আমিরাতের কাছে এইভাবে হার শুধুমাত্র একটি ম্যাচ হার নয় এটি আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা এবং জাতিগত ক্রিকেট চেতনার এক ভয়াবহ ক্ষয়। এখনই সময় প্রশ্ন তোলার বাংলাদেশ ক্রিকেট কোথায় যাচ্ছে? এবং সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে জেগে ওঠার।ভোরের আকাশ/এসএইচ