ডিউক বল বিতর্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০৭:৩৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডিউক বল নিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম হয়েছে। মাত্র ১০.৩ ওভার পর দ্বিতীয় নতুন বল বদলানোয় অসন্তুষ্ট হয় ভারতীয় শিবির। বিশেষ করে, প্রথম দফায় নতুন বলে যশপ্রীত বুমরার দুর্দান্ত বোলিং প্রথম ১৪ ডেলিভারিতে ৩ উইকেট এর পর বল বদলের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন ভারতীয়রা। বল বদলের পর পুরো সেশনেই ইংল্যান্ডের ৭ ও ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি ভারত।
বলের কার্যকারিতা নিয়ে অসন্তোষ: ইএসপিএনক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, পুরোনো বলটি গড়পড়তা ১.৮৬৯ ডিগ্রি সুইং ও ০.৫৭৯ ডিগ্রি সিম মুভমেন্ট করছিল। বদলি বলের সুইং কমে দাঁড়ায় মাত্র ০.৮৫৫ ডিগ্রি, যদিও সিম কিছুটা বেড়ে হয় ০.৫৯৪ ডিগ্রি। মূলত বলটি দ্রুত নরম হয়ে যাওয়াতেই ভারতের অসন্তোষ। অধিনায়ক শুভমন মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, দাবি করেন আম্পায়ারদের বেছে নেওয়া বলটি আগেরটার চেয়ে বেশি পুরোনো ছিল। ৮ ওভার পর সেই বলও আবার বদলানো হয়।
সাবেক ক্রিকেটারদের ক্ষোভ: ধারাভাষ্যকক্ষে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার বলেন, এটা কোনো ১০ ওভার বয়সী বল নয়, অন্তত ২০ ওভার খেলা বলের মতো লাগছে। যদি ভারতে এমন হতো, ব্রিটিশ মিডিয়া বিশাল কাণ্ড বাঁধিয়ে দিত। ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ২০২০ সালেই অভিযোগ তুলেছিলেন, প্রায় প্রতিটি ইনিংসেই বল বদলাতে হচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ডিউকসের সত্যিই একটা সমস্যা আছে, ওদের এটা ঠিক করতে হবে।
স্কাই স্পোর্টসে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হুসেইন বলেন, ডিউকস বল নিয়ে গুরুতর সমস্যা আছে। কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে, বল খুব তাড়াতাড়ি আকার হারাচ্ছে। এখন খুব সহজেই বল বদলে ফেলি, অথচ একটু পুরোনো বা নরম হওয়া স্বাভাবিক।
বিতর্কের মূল কারণ: বল দ্রুত নরম হয়ে যাওয়া, আকৃতি পরিবর্তন এবং কার্যকারিতার ঘাটতি। আম্পায়ারদের বেছে দেওয়া বদলি বলের মান নিয়ে প্রশ্ন। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মতে, ডিউক বলের মানোন্নয়ন জরুরি একটা বল ৮০ ওভার টিকে থাকার কথা, ১০ ওভার নয়।
এই বিতর্কে ক্রিকেটবিশ্বে ডিউক বলের মান ও ব্যবহার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধান দাবি করছেন খেলোয়াড় ও বিশ্লেষকরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ