৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙতে অনীহা মুল্ডারের, মুখ খুললেন ব্রায়ান লারা
দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার টেস্টে অপরাজিত ৩৬৭ রান করেই ইনিংস ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনার জন্ম দেন। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার ঐতিহাসিক ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পেলে সেটা না করার কারণও তিনি প্রকাশ করেছিলেন। তবে লারা বলছেন, মুল্ডারকে অবশ্যই নিজের খেলার ধরন কাজে লাগিয়ে রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করা উচিত ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটিয়া তারকা মুল্ডারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপের কথা উল্লেখ করে লারা সংবাদমাধ্যম সুপারস্পোর্টসকে বলেন, “আমি নিজস্ব লিগ্যাসি তৈরি করেছি এবং সে অনুযায়ীই এগোতে হবে। রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্য। আশা করি, মুল্ডার যদি সুযোগ পায়, আমার চেয়েও বড় স্কোর করবে।”
গত ৭ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলায় মুল্ডার ৩৬৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন, যা একদিকে বিস্ময় সৃষ্টি করলেও অন্যদিকে ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও হয়। কারণ লারার ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার জন্য মাত্র ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল। সেই সময় প্রোটিয়া দলের রান ছিল ৬২৬/৫।
মুল্ডার ইনিংস ঘোষণা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “আমার মনে হয়েছিল আমরা যথেষ্ট রান পেয়েছি এবং বল করা দরকার। ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি, তার রেকর্ড থাকা উচিত।”
তিনি আরও জানান, কোচ শুকরি কনরাডের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এবং কোচ বলেছেন, “কিংবদন্তির রেকর্ড যেন বজায় থাকে।” মুল্ডার বলেন, “আমি মনে করি লারার কাছেই এই রেকর্ড থাকা উচিত।”
অন্যদিকে, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিস গেইল মুল্ডারের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ করেননি। একটি রেডিও শোতে গেইল বলেন, “সে ভয় পেয়ে ভুল করেছে। ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সে লারাকে সম্মান দেখানোর কথা বলেছে, কিন্তু টেস্টে ৪০০ রান করার সুযোগ জীবনে একবারই আসে। সেটি হারানো হত।”
২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে ৪০০ রান করে লারা ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেন, যা এখনও অক্ষুণ্ণ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বৃষ্টিভেজা ক্যারিয়াচিকার ক্লেবার আন্দ্রাদে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে এক অন্যরকম ফুটবল রাত উপহার দিলেন ব্রাজিল ফুটবলের রাজপুত্র নেইমার। দীর্ঘদিনের বিরতির পর ফিরে আসা এই তারকা নতুন হেয়ারস্টাইলে মাঠে নামেই দেখিয়ে দিলেন, তার জাদু এখনও অক্ষুণ্ণ।ভিটোরিয়া কাপের সান্তোস বনাম দেসপোর্তিভা ফেরোভিয়ারিয়ার প্রীতি ম্যাচে নেইমার প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে দুর্দান্ত একটি গোল করেন, এরপর আরও একটি গোল ও একটি চোখ ধাঁধানো ‘নাটমেগ’ উপহার দেন দর্শকদের। প্রথমার্ধের শেষে স্কোরবোর্ডে ছিল সান্তোসের ২-০ লিড।নেইমারের উপস্থিতি ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ তোলে, স্টেডিয়াম ছিল প্রায় হাউসফুল। মাঠে তার প্রতিটি স্পর্শ এবং চাল ছিল ভক্তদের জন্য এক উদযাপন।২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পর এটি ছিল নেইমারের প্রথম ম্যাচ। শুরু থেকেই তিনি জানান—এই দলেই তার হৃদয়। গোল করা, খেলা নিয়ন্ত্রণ করা আর ভক্তদের মাতানো তারই ধরন।নেইমারের পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন গিলহেরমে, যিনি এবার সান্তোসের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৩ গোল)। দুইজনের মধ্যে এক নতুন আগুন ছড়িয়েছে মাঠে।বৃষ্টি সত্ত্বেও স্ট্যান্ড ভর্তি ছিল উন্মুখ দর্শক নিয়ে, যারা পেয়েছেন এক অনন্য ফুটবল সন্ধ্যা—গোল, নাটমেগ এবং নেইমারের মায়াময় ছোঁয়া।আগামী ১৬ জুলাই সান্তোস মুখোমুখি হবে ফ্লামেঙ্গোর, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি। অপরদিকে, দেসপোর্তিভার সামনে রয়েছে ১৩ জুলাই রিও ব্রাঙ্কোর বিপক্ষে কোপা এসপিরিতু সান্তোর কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি ম্যাচ।ভোরের আকাশ//হ.র
দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার উইয়ান মুল্ডার টেস্টে অপরাজিত ৩৬৭ রান করেই ইনিংস ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনার জন্ম দেন। ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার ঐতিহাসিক ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পেলে সেটা না করার কারণও তিনি প্রকাশ করেছিলেন। তবে লারা বলছেন, মুল্ডারকে অবশ্যই নিজের খেলার ধরন কাজে লাগিয়ে রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করা উচিত ছিল।দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটিয়া তারকা মুল্ডারের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপের কথা উল্লেখ করে লারা সংবাদমাধ্যম সুপারস্পোর্টসকে বলেন, “আমি নিজস্ব লিগ্যাসি তৈরি করেছি এবং সে অনুযায়ীই এগোতে হবে। রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্য। আশা করি, মুল্ডার যদি সুযোগ পায়, আমার চেয়েও বড় স্কোর করবে।”গত ৭ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলায় মুল্ডার ৩৬৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন, যা একদিকে বিস্ময় সৃষ্টি করলেও অন্যদিকে ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও হয়। কারণ লারার ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ড ভাঙার জন্য মাত্র ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল। সেই সময় প্রোটিয়া দলের রান ছিল ৬২৬/৫।মুল্ডার ইনিংস ঘোষণা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “আমার মনে হয়েছিল আমরা যথেষ্ট রান পেয়েছি এবং বল করা দরকার। ব্রায়ান লারা একজন কিংবদন্তি, তার রেকর্ড থাকা উচিত।”তিনি আরও জানান, কোচ শুকরি কনরাডের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এবং কোচ বলেছেন, “কিংবদন্তির রেকর্ড যেন বজায় থাকে।” মুল্ডার বলেন, “আমি মনে করি লারার কাছেই এই রেকর্ড থাকা উচিত।”অন্যদিকে, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ক্রিস গেইল মুল্ডারের এই সিদ্ধান্ত পছন্দ করেননি। একটি রেডিও শোতে গেইল বলেন, “সে ভয় পেয়ে ভুল করেছে। ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সে লারাকে সম্মান দেখানোর কথা বলেছে, কিন্তু টেস্টে ৪০০ রান করার সুযোগ জীবনে একবারই আসে। সেটি হারানো হত।”২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো ব্যাটার হিসেবে ৪০০ রান করে লারা ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় সৃষ্টি করেন, যা এখনও অক্ষুণ্ণ।ভোরের আকাশ//হ.র
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়ালেন সাকিব আল হাসান হলে; হলেন ম্যাচসেরা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্টসের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ২২ রানের জয় পায় সাকিবের দল দুবাই ক্যাপিটালস। ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৭ বলে হার না মানা ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ১৩ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘(দুবাই ক্যাপিটালসে সুযোগ পাওয়া) লাস্ট মিনিট কল ছিল। তাদের একজন প্লেয়ার চোটে ছিল। বদলে হিসেবে আমাকে আসতে হয়েছে। আমি দারুণ গর্বিত দুবাই ক্যাপিটালস দলের অংশ হতে পেরে।’ক্যারিবিয়ানের কন্ডিশন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমি এখানে খেলছি। এটা আমার সেকেন্ড হোমের মতো। এখানকার কন্ডিশন আমি ভালোভাবে জানি, কীভাবে বল করতে হয় তা জানি। অ্যামাজনে খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে দিয়েছে। আমার জন্য এটা ভালো ম্যাচ ছিল। যেভাবে দলে অবদান রাখতে পেরেছি, দারুণ খুশি।’বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘(ব্যাটিং এবং বোলিং) দুটোই জরুরি ছিল। বিশেষ করে উইকেটে টিকে থাকা। কারণ অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ছিল। আমরা ১৬০’র ওপর স্কোর করতে পেরেছি। গায়ানার কন্ডিশনে এমন স্কোর থাকলে জেতার ভালো সম্ভাবনা থাকে। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আশা করি এখান থেকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারব।’দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স সাকিবকে যেমন আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে, তেমনি দুবাই ক্যাপিটালসও পেয়েছে দুর্দান্ত এক শুরু।ভোরের আকাশ/জাআ
ছেলেদের পেশাদার ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ বলে ৫ উইকেট নিয়েছেন আয়াল্যান্ডের অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফার। ডাবলিনে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ইন্টার-প্রভিন্সিয়াল টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে নর্থ-ওয়েস্ট ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি।১২তম ওভারের শেষ বলেই শুরু হয় নাটক। জ্যারেড উইলসনকে আউট করেন ক্যাম্ফার, ইনসুইংয়ে ভেঙে দেন অফ স্টাম্প। পরের বলেই গ্রাহাম হিউম এলবিডব্লু হন। সেখানেই ওয়ার শেষ তার।তবে এমন পরিস্থিতিতে যা হয়, হ্যাটট্রিকের কথাটা অনেক সময় ভুলেই যান বোলার। ক্যাম্ফারের ক্ষেত্রেও হলো তাই। তবে কাজটা তিনি করতে ভোলেননি। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে ফেরান ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ বানিয়ে। এরপরই সম্বিত ফিরে পান, আরে! হ্যাটট্রিকই তো করে বসলাম!ক্যাম্ফার অবশ্য সেখানেই থামেননি। এরপর একই ওভারে রবি মিলারকে আউট করেন, যিনি অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্পর্শ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ধরা পড়েন। এরপরের বলে জশ উইলসনের স্টাম্প উপড়ে যায়, ক্যাম্ফার তখন ইতিহাসের পাতায়।ক্যাম্ফার বলেন, ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারেননি কী ঘটছে। তবে নিজের পরিকল্পনা ঠিক রেখেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আরেকজন ব্যাটার থাকলেও ছয় বলে ছয় উইকেট হতো কিনা, সেটা আমি জানি না। যা হয়েছে, তাতেই খুশি।’আঙুলের চোট কাটিয়ে এটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ৩৫ বলে করেছিলেন ৫৭ রান, কিন্তু বল করেননি। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৪ বলে ৪৪ রান, এরপর বল হাতে গড়লেন ইতিহাস।ভোরের আকাশ/জাআ