দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ফের গ্রেপ্তার
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিউলের একটি আদালতের নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে রাজধানীর একটি ডিটেনশন সেন্টারে হেফাজতে নেয়। খবর আলজাজিরার।
আদালত জানিয়েছে, ইওল তদন্তাধীন অপরাধ সংশ্লিষ্ট প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কা থাকায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগেও তিনি একই ডিটেনশন সেন্টারে টানা ৫২ দিন আটক ছিলেন। প্রায় চার মাস আগে "কৌশলগত কারণে" তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিতর্কিতভাবে সামরিক শাসন জারি করার ঘটনায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। বিষয়টি এখনো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।
ইওলের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেও সরকারপক্ষ বলছে, বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বিশ্বের সবচেয়ে শীতল, শুষ্ক ও প্রায় প্রাণহীন মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে লুকিয়ে থাকতে পারে পৃথিবীর বৃহত্তম তেলের ভান্ডার। এমন দাবির পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রুশ ভূতাত্ত্বিকদের বরাতে সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।রাশিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টার্কটিকার ওয়েডেল সাগর অঞ্চলে সম্ভাব্যভাবে প্রায় ৫৫ হাজার ১১০ কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ রয়েছে। যা উত্তর সাগরে গত ৫০ বছরে উত্তোলিত তেলের প্রায় ১০ গুণ বেশি।ব্রিটিশ অধিকৃত অঞ্চল দাবি, রুশ অনুসন্ধানে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা বিশ্বওয়েডেল সাগরের যেই অঞ্চলটিতে খনিজ তেলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তা ব্রিটেনের দাবি করা "অধিকৃত অঞ্চল"-এর মধ্যে পড়ে। চিলি ও আর্জেন্টিনাও একই অঞ্চল নিয়ে দাবি জানিয়েছে। ফলে এই ‘তরল সোনা’ ঘিরে শুরু হতে পারে নতুন ভূরাজনৈতিক সংঘাত।উল্লেখ্য, ১৯৫৯ সালের অ্যান্টার্কটিক চুক্তি অনুযায়ী এই মহাদেশে খনিজ সম্পদের উত্তোলন, সামরিক কার্যক্রম ও বাণিজ্যিক শোষণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অনেকেই বর্তমানে অঞ্চল দখলের জন্য পরোক্ষ প্রতিযোগিতায় নেমেছে।রাশিয়া অ্যান্টার্কটিকায় ইতিমধ্যে পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। একইসঙ্গে তারা চীনের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তিও করেছে। এসব কার্যক্রম পশ্চিমা বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, দাবি করছে— বিজ্ঞান গবেষণার ছদ্মাবরণে রাশিয়া খনিজ দখলে আগ্রহী।অন্যদিকে চিলি ও আর্জেন্টিনা তাদের দাবিকে জোরদার করতে অ্যান্টার্কটিকায় স্কুল ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তুলছে। ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যান্টার্কটিকার ভূমিকা আগামী দশকে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত এবং হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে অ্যান্টার্কটিকার সম্ভাব্য তেল মজুদ রাশিয়ার জন্য এক কৌশলগত অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।তবে রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই খনিজ অনুসন্ধান নিছক বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশ এবং বর্তমানে কোনো বাণিজ্যিক ব্যবহার হচ্ছে না।ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অ্যান্টার্কটিকার এই বিশাল সম্পদ ভবিষ্যতের শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, ঠিক তেমনি এটি হতে পারে আন্তর্জাতিক সংঘাতের নতুন কেন্দ্রবিন্দু।ভোরের আকাশ//হ.র
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিউলের একটি আদালতের নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে রাজধানীর একটি ডিটেনশন সেন্টারে হেফাজতে নেয়। খবর আলজাজিরার।আদালত জানিয়েছে, ইওল তদন্তাধীন অপরাধ সংশ্লিষ্ট প্রমাণ নষ্ট করার আশঙ্কা থাকায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর আগেও তিনি একই ডিটেনশন সেন্টারে টানা ৫২ দিন আটক ছিলেন। প্রায় চার মাস আগে "কৌশলগত কারণে" তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।গত বছরের ডিসেম্বরে বিতর্কিতভাবে সামরিক শাসন জারি করার ঘটনায় সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। বিষয়টি এখনো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।ইওলের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেও সরকারপক্ষ বলছে, বিচারিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতেই এই পদক্ষেপ।ভোরের আকাশ//হ.র
কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দেন। পরে সেটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। যদিও দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে এখনো কয়েকদিন বাকি।ট্রাম্প শুধু কানাডা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের প্রতিও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই কানাডার কিছু পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বিশেষ করে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি শিল্পে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের সিদ্ধান্তগুলো কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।এ সপ্তাহে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কাকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প ২০টিরও বেশি চিঠি প্রকাশ করেছেন, যেখানে ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে।ট্রাম্প তার চিঠিতে শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে কানাডার ফেন্টানাইল পাচার রোধে ব্যর্থতা, দুধ শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক আরোপ এবং দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, “যদি কানাডা ফেন্টানাইল প্রবাহ বন্ধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে, তবে এই চিঠির শর্তাবলিতে পরিবর্তন আনা যেতে পারে।”তবে যুক্তরাষ্ট্র কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তথ্য অনুযায়ী, জব্দ হওয়া ফেন্টানাইলের মাত্র ০.২ শতাংশ আসে কানাডা সীমান্ত দিয়ে—বেশিরভাগই আসে মেক্সিকো থেকে।বর্তমানে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। জুনে জি৭ সম্মেলনে উভয় দেশের নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩০ দিনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান তারা। সেই সময়সীমা শেষ হবে ২১ জুলাই।এদিকে, কানাডা ট্রাম্পের হুমকির প্রেক্ষিতে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কর প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেটিকে ট্রাম্প “খোলামেলা আক্রমণ” বলে উল্লেখ করেন।ট্রাম্পের ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্টের চিঠি নিয়ে এখনই তারা মন্তব্য করতে চায় না। তবে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “এটি বৃহত্তর বাণিজ্য আলোচনার প্রক্রিয়ার অংশ।”ভোরের আকাশ//হ.র
ভূরাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যেই মালয়েশিয়ায় মুখোমুখি বসছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিকরা। আজ শুক্রবার আসিয়ান নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে কুয়ালালামপুরে বৈঠক করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি।এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দক্ষিণ চীন সাগরের আধিপত্য, বাণিজ্য শুল্ক এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুবিও-ওয়াং ই বৈঠক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করতে পারে। কারণ এটি শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত।বৃহস্পতিবার রুবিও এর আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শান্তি উদ্যোগ এবং সম্ভাব্য আলোচনার পথ খোঁজার বিষয়ে আলোচনা হয়।রুবিও জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা মূলত দুটি বিষয়ে কেন্দ্রীভূত—চীনের আঞ্চলিক তৎপরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি।তিনি বলেন, “শুল্ক এখন একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে এটি একমাত্র নয়। চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক প্রভাব নিয়েও গভীর উদ্বেগ রয়েছে আমাদের অংশীদারদের।”সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি না করা দেশগুলোর ওপর ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। এতে অনেক মিত্র রাষ্ট্র আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে।মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, চীন গোপনে রাশিয়াকে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। রুবিও বলেন, “চীন সরাসরি না বললেও, পর্দার আড়ালে রাশিয়াকে সহযোগিতা করছে। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।”এই ইস্যুটি ওয়াং ই-এর সঙ্গে আলোচনায়ও গুরুত্ব পাবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।বিশ্বজুড়ে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক চাপ বিরাজ করছে, ঠিক সেই সময়ে রুবিও-ওয়াং ই-এর এই বৈঠক কূটনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা শুধু যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র