পাকিস্তান সিরিজের জন্য বিসিবিকে পরিবর্তিত সূচি পাঠাল পিসিবি
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর। তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন করে সূচি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। পূর্বঘোষিত ২১ মে থেকে সিরিজ শুরুর কথা থাকলেও এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
পিসিবির পাঠানো নতুন প্রস্তাবনায় সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে ২৯ মে, ১ জুন, ৩ জুন এবং ৫ জুন। ভেন্যু হিসেবে ফয়সালাবাদ ও লাহোর রাখা হলেও বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিকেও।
পিএসএলের স্থগিত ৮টি ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের কারণে বদলেছে এই সূচি। ১৭ মে শুরু হয়ে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে পাকিস্তান সুপার লিগ। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা ছিল, যা এখন আর সম্ভব নয়।
এদিকে পাকিস্তানি ক্রীড়া সাংবাদিক সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ দলকে রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তানের মানুষ বাংলাদেশকে সম্মান করে, তারা যেন নিজেদের ঘরের মাঠেই খেলছে—এমন অনুভব হবে টাইগারদের।”
তবে বিসিবির সামনে এখনো কিছু বড় প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রথমত, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বিসিবি। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ও বিসিবির যৌথ আলোচনা শেষে। ফলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।
নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনের অনাপত্তিপত্র নিয়েও বিসিবিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যদিও তাদের আবার পিএসএল খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে পাকিস্তান সফরের আগে ১৭ ও ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত হলে দুবাইয়ে ২৪ মে পর্যন্ত অনুশীলন ক্যাম্প করবে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর। তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন করে সূচি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। পূর্বঘোষিত ২১ মে থেকে সিরিজ শুরুর কথা থাকলেও এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।পিসিবির পাঠানো নতুন প্রস্তাবনায় সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে ২৯ মে, ১ জুন, ৩ জুন এবং ৫ জুন। ভেন্যু হিসেবে ফয়সালাবাদ ও লাহোর রাখা হলেও বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিকেও।পিএসএলের স্থগিত ৮টি ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের কারণে বদলেছে এই সূচি। ১৭ মে শুরু হয়ে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে পাকিস্তান সুপার লিগ। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা ছিল, যা এখন আর সম্ভব নয়।এদিকে পাকিস্তানি ক্রীড়া সাংবাদিক সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ দলকে রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তানের মানুষ বাংলাদেশকে সম্মান করে, তারা যেন নিজেদের ঘরের মাঠেই খেলছে—এমন অনুভব হবে টাইগারদের।”তবে বিসিবির সামনে এখনো কিছু বড় প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রথমত, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বিসিবি। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ও বিসিবির যৌথ আলোচনা শেষে। ফলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনের অনাপত্তিপত্র নিয়েও বিসিবিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যদিও তাদের আবার পিএসএল খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।এদিকে পাকিস্তান সফরের আগে ১৭ ও ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত হলে দুবাইয়ে ২৪ মে পর্যন্ত অনুশীলন ক্যাম্প করবে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। ভোরের আকাশ/হ.র
৫৫ মাস পর ফুটবল ফিরছে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দেশের প্রধান এই ক্রীড়াভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলবেন ইংলিশ ফুটবল লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী। খেলতে পারেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম। জুনেই তিনি ঢাকায় আসবেন। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-সিংগাপুর ম্যাচটা নিয়ে বেশ আলোড়ন উঠছে।তবে বাফুফের সব ব্যস্ততা ১০ জুনের ম্যাচ ঘিরে। বেশ কয়েকটি কারণে এই ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি উম্মাদনা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর এই মাঠে পা পড়বে ফুটবলারদের। এ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। এ ম্যাচের টিকিট চাহিদা অনুভব করছে বাফুফে। দেশের বিভিন্ন আগ্রহী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, তাদের পরিবার বাংলাদেশ-সিংগাপুর ম্যাচ উপভোগ করতে চায়।বাফুফে তাদের চাওয়াটা পূরণ করতে চায়। বাফুফে মনে করে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি খেলা দেখতে চায়, তাহলে বাফুফের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো হবে। আর সেই সম্পর্ক ধরে ফুটবল উন্নয়নের পথ বের করতে চায়। অনেকে মনে করেন, এসব ক্ষেত্রে বাফুফে কতটা লাভবান হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাফুফের চেয়ে ব্যক্তিগত লাভটাই এখানে বেশি হবে, এটা অমূলক নয়। বাফুফের পরিকল্পনা বাংলাদেশ-সিংগাপুর ফুটবল ম্যাচের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা।৩১ মে শুরু হওয়ার কথা জাতীয় দলের ক্যাম্প। হামজাকে প্রথম দিন থেকেই পাওয়া যেতে পারে ক্যাম্পে। গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ঢাকায় মাত্র একদিন অনুশীলন করতে পেরেছিলেন হামজা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে তার ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলা শেষ করে এবার নির্ধারিত সময়েই ফিরবেন হামজা। শামিত সোম ঢাকায় আসবেন ৩ অথবা ৪ জুন। ১ জুন কানাডা প্রিমিয়ার লিগে তার ক্লাব ক্যাভালরি এফসির খেলা আছে। ওই ম্যাচের পরই তিনি ঢাকার বিমান ধরার জন্য লাগেজ গোছাবেন।শামিত সোমের বিষয়টি দেখভাল করছেন বাফুফের অন্যতম সহসভাপতি ফাহাদ করিম। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘শামিতের এয়ার টিকিট এখনো কনফার্ম করা হয়নি। বাংলাদেশ সময় ১ জুন তার লিগের ম্যাচ আছে। শমিত ৩ বা ৪ জুন ঢাকায় পৌঁছাবেন।’ ভোরের আকাশ/এসআই
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই স্লোগানে মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে ঝালকাঠি পৌর স্টেডিয়ামে (অনুর্ধ ১৫) ফুটবল ও এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ করা হয়েছে।এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুল রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কাওছার হোসেন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আঃ জব্বার, ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থা সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান ধলু, সাংবাদিক মোঃ উজ্জ্বল রহমানসহ প্রাক্তন খেলোয়াড় ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষকবৃন্দরা।যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত ফুটবল ও এ্যাথলেটিক্স ৮০ জন শিক্ষার্থী ছাত্র এবং ছাত্রদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম।ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুল রহমান বলেন, তৃনমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই ও প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে ফুটবল ও এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খেলোয়াড়রা জেলার নাম উজ্জ্বল করবে এই আশা করছি। ভোরের আকাশ/এসআই
আফগানিস্তানে তালেবান সরকার দাবা খেলা নিষিদ্ধ করেছে। তারা বলেছে, ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এই খেলা জুয়ার মতো, তাই যতদিন না এর বৈধতা স্পষ্ট হচ্ছে, ততদিন খেলা বন্ধ থাকবে।রোববার তালেবান সরকারের ক্রীড়া অধিদপ্তরের মুখপাত্র আতাল মাশওয়ানি বলেন, দাবা খেলা শরিয়া অনুযায়ী জুয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। এ খেলার সঙ্গে ধর্মীয় কিছু বিষয় জড়িত। যতদিন না এসব বিষয়ে সমাধান হয়, ততদিন দাবা খেলা স্থগিত থাকবে।তালেবান সরকার ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। তারা বলছে, এসব সিদ্ধান্ত শরিয়ার আলোকে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের জন্য খেলাধুলা একপ্রকার নিষিদ্ধই করে দিয়েছে তারা।কাবুলের এক চা দোকানের মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা বলছেন, তিনি এ সিদ্ধান্ত মানবেন, কিন্তু এতে তার ব্যবসার ক্ষতি হবে।তিনি বলেন, এখনকার তরুণদের তেমন কিছু করার নেই। তারা এখানে এসে এক কাপ চা খেতো আর বন্ধুর সঙ্গে দাবা খেলত। অন্য মুসলিম দেশেও তো দাবা খেলা হয়। তালেবান এর আগেও খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।গত বছর তারা মিক্সড মার্শাল আর্টস বা এমএমএ প্রতিযোগিতা নিষিদ্ধ করে। কারণ হিসেবে তারা বলেছিল, এ খেলা খুব সহিংস এবং শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ২০২১ সালেই তারা এমন আইন চালু করে যাতে মুখে ঘুষি মারা’ নিষিদ্ধ করা হয়। তখন থেকেই এমএমএ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তালেবান সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞাগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা আলোচনা চলছে। তবে তারা বলছে, ইসলামি বিধি-বিধান মেনেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ