ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫ ১০:২২ এএম
আইপিএল ১৫ মে শুরু, পিএসএলও প্রস্তুত
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর একরাশ স্বস্তি ফিরেছে দুই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনেও বিশেষ করে আইপিএল ও পিএসএল ঘিরে। যুদ্ধাবস্থার কারণে স্থগিত হওয়া এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আবার শুরু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে দুই দেশের বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, ১৫ মে থেকে আবারও মাঠে গড়াতে পারে আইপিএল।
বিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা বলেছেন, ১১ মে বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ফের শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যুদ্ধের প্রভাবে ৮ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর এক সপ্তাহের বিরতি দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্টে, তাই ১৫ মে থেকে শুরু হলে বিরতি ঠিক এক সপ্তাহই হবে। এদিকে পিএসএল নিয়েও পাকিস্তানে চলছে প্রস্তুতি, যদিও কোনো নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানায়নি দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
জিও নিউজের বরাতে জানা গেছে, পিএসএলের বাকি আটটি ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের আপাতত দুবাইয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে, যেখানে তারা যুদ্ধের সময় সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে দেশি ক্রিকেটারদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আইপিএলের বর্তমান বাস্তবতায়, অনেক বিদেশি খেলোয়াড় ৯ ও ১০ মে’র মধ্যে ভারত ছেড়ে গেছেন এবং যাঁরা যাত্রাপথে আছেন তাঁদের থেমে যেতে বলা হয়েছে, যদিও কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ ও খেলোয়াড় ভারতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গুজরাট টাইটানস তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, কারণ তাদের মাত্র দুজন বিদেশি—জস বাটলার ও জেরাল্ড কোটজি—ভারত ছেড়েছেন এবং তাঁদের ফেরাতে চেষ্টা চলছে। তবে আইপিএল যদি ২৫ মে’র পর শুরু হয়, তাহলে সমস্যা হতে পারে, কারণ তখন অনেক বিদেশি ক্রিকেটারের জাতীয় দলের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ রয়েছে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের, যাদের সামনে ১১ জুন লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেক অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় আর আইপিএলে ফিরবেন না। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৫৭টি ম্যাচ শেষ হয়েছে, ৫৮তম ম্যাচটি শুরু হলেও তা মাঝপথে বাতিল হয়ে যায় এবং সেটি পুনরায় হবে কি না তা নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে এটি ছাড়া লিগ পর্বে এখনো বাকি ১২টি ম্যাচ ও ৪টি প্লে-অফ ম্যাচ। সম্ভাব্য নতুন ভেন্যু হিসেবে ভাবা হচ্ছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি শহর চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু। প্লে-অফের দৌড়ে এখনও রয়েছে সাতটি দল, আর ইতোমধ্যে বাদ পড়ে গেছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস।
ভোরের আকাশ/এসএইচ