শিগগিরই ঘোষণা দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা
নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫২ এএম
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কবে- তা নিয়ে সবার প্রশ্ন। কেউ বলছে, সহসাই নির্বাচন হচ্ছে না। আবার কেউ বলছে, নির্বাচন হবে। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপসহ সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরপরই আলোচনায় নির্বাচন। নির্বাচন কবে হবে, প্রধান উপদেষ্টা কবে ঘোষণা দেবেন সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
ভোরের আকাশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে কাক্সিক্ষত এই নির্বাচন আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। নির্বাচনের নানা উপসর্গও দৃশ্যমান হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আর অনানুষ্ঠানিকভাবে নানা কৌশলে প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বাকযুদ্ধসহ একের পর এক প্রতিশ্রুতি ও মন্তব্য প্রদানের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে অটল রয়েছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে একই সুরে কথা বলছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের সম্ভাব্য মাস হিসেবে ডিসেম্বরকে উল্লেখ করে সেনা প্রধানের দেওয়া মন্তব্যও বিএনপিকে কিছুটা সমর্থন যুগিয়েছে।
নির্বাচনের সম্ভাব্য রোডম্যাপ নিয়ে খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বেড়েছে সংশয়। ছোট পরিসরে হলে নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে, বৃহত্তর সংস্কার হলে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন এমন বক্তব্য দিয়ে বেশ কয়েক মাস পার করেছেন প্রধান উপদেষ্ট ড. ইউনূস। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ বেশকিছু ইস্যুতে বিএনপি ও সরকারের টানাপোড়েন চলছিল। এমন সময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর বৈঠকেই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য মাস হিসেবে ‘ফেব্রুয়ারি’ এর কথা প্রকাশ পায়।
লন্ডন বৈঠক : গত ১৩ জুলাই লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) লন্ডনের পার্ক লেনের হোটেল ডোরচেস্টারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্বনির্ধারিত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৬ সালের রমজানের আগেই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার রোডম্যাপ ঘোষণার তথ্য প্রকাশ : জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, চার-পাঁচদিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। গত শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৪টি রাজনৈতিক দলের বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি আগামী চার পাঁচদিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। এর চেয়ে আনন্দের বার্তা আর কিছু হতে পারে না।’
সরকারের নির্বাচনী প্রস্তুতি : গত সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দিকনির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
সভা শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সমন্বয় করা হচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সিভিল প্রশাসনের মধ্যে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে দেওয়া হবে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে অক্টোবর ও নভেম্বর পর্যন্ত।
এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে গ্রাউন্ড লেভেলের পরিস্থিতি জানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ৫ আগস্টের পর থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও আছে। আমরা আশা করছি, এই নির্বাচনের সময় তাদের একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে, তারা মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক অপতথ্য-অপপ্রচার রোধে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ গঠন করা হবে। এখানে দ্রুততার সঙ্গে অপতথ্যগুলো তুলে ধরা হবে। কয়েক দিন আগে পুলিশের যে কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- প্রধান উপদেষ্টা সেখানে একটি মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। যাতে করে খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং সেখানে যেন প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো যায়।
উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রাউন্ড লেভেলের পরিস্থিতি জানতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিভিন্ন জেলাপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে একটা সিচুয়েশন রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা গ্রাউন্ড লেভেলের প্রকৃত সিচুয়েশন সম্পর্কে অবগত হবেন এবং সে অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে করণীয় নির্ধারণ করবেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে নির্বাচনে সমস্যা তৈরি হতে পারে এমন হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। জায়গাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার জন্যে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে সুপারিশ দেওয়ার জন্যও প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক অনেক রদবদল হবে। কিন্তু সব জায়গায় যে রদবদল হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানে রদবদল হবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ : গত ১০ জুলাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই বৈঠকের আলোচনা ও নির্দেশনার বিষয় তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এ সময় প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিলে হবে। এর অর্থ হলো নির্বাচনের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার, সেটি প্রস্তুত করতে যা কিছু প্রয়োজন, তা এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক যত প্রস্তুতি, তা ডিসেম্বরের মধ্যে নিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে (পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড) ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যেন এ সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেস সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়, সে বিষয়ে এই আট লাখ সদস্যকেই যেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কাজ করতে হবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে। সেখানে বলা হয়েছে আট লাখের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার হচ্ছেন আনসার এবং ১ লাখ ৪১ হাজার হচ্ছে পুলিশের সদস্য।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে বলা হয়েছে, ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকবে। তারা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, ১৬ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করা যায়, সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেটি হচ্ছে পুলিশ সদস্যের বডি ক্যামেরা রাখা এবং প্রতিটি কেন্দ্র যাতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আসে, সেটির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিসি ক্যামেরাগুলো যাতে মনিটরিং ঠিকমতো করা যায়, সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
চূড়ান্তের পথে জুলাই সনদ : ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, আজকের দিনসহ আর মাত্র তিন দিন সময় হাতে আছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে সনদের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজ বা কাল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২১তম দিনের আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার পর্যন্ত সেগুলোর মন্তব্যের জন্য তারা অপেক্ষা করবেন। তিনি আশা করছেন, বিভিন্ন মন্তব্য সমন্বয় করে একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে পারবেন। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেসব বিষয় ও মন্তব্যগুলো নিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলো : দেশজুড়ে এখন প্রধান আলোচনার বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথামার্ধেই হতে যাচ্ছেÑ এমন খবরে জনমনে এক ধরনের স্বস্তি দেশের সর্বত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। শোভাযাত্রাও হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৎপর অনেকে। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভিন্ন কথা বললেও তাদের স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে নেই। দল থেকে, বিশেষ করে বিএনপি থেকে কারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়েও কৌতূহলের অন্ত নেই। ছোট দলগুলো বড় কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠনের অপেক্ষায়। অনানুষ্ঠানিকভাবে নানা কৌশলে প্রার্থী নির্বাচনসহ নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে দলগুলো।
ভোরের আকাশ/এসএইচ