কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৫৮ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকায় র্যাব-১৫ এর বিশেষ অভিযানে ৩৭ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। একই অভিযানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তার (৩৪) নামে এক নারী বাড়ির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ক্যাম্প থেকে অনেকে অবৈধভাবে বের হয়ে স্থানীয় এলাকাগুলোতে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে।
এদের মধ্যে অনেকেই অপহরণ, খুন-গুমসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে, স্থানীয় কিছু বাড়ির মালিকও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের আশায় এসব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর র্যাব-১৫ টেকনাফ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রথম দফার অভিযান পরিচালনা করে। এরপর ৭ অক্টোবর রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব পানখালী এলাকায় পুনরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩৭ জন রোহিঙ্গাসহ আশ্রয়দাতা মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তারকে আটক করে।
গ্রেপ্তারকৃত মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তার পূর্ব পানখালী এলাকার বাসিন্দা এবং তার স্বামী নুর আলম ও পিতা আলি মিয়া। অভিযানকালে আরও কয়েকজন আশ্রয়দাতা বাড়ির মালিক পলাতক থাকায় তাদের খোঁজ চলছে।
র্যাব জানায়, আটককৃত রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তালিকাভুক্ত শরনার্থী হলেও ক্যাম্প ছেড়ে অবৈধভাবে লোকালয়ে অবস্থান করছিল। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা থাকায় র্যাব এবং সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে, রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসবাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাব-১৫ এর মুখপাত্র বলেন, “আমরা চাই রোহিঙ্গারা যেন ক্যাম্পের বাইরে অবৈধভাবে বসবাস না করে এবং কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে। তাই অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।”
এদিকে, টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসবাস ও অপরাধমূলক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ