ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজ
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৫৮ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলেও ওয়ানডেতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। বুধবার (৮ই অক্টোবর) আবুধাবিতে তিন ম্যাচের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৪৮.৫ ওভারে মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও একসময় আফগান বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী মিরাজ চতুর্থ জুটিতে। বিপর্যয়ের মুখে দুজনে মিলে হাল ধরেছিলেন দলের। যোগ করেন শতাধিক রান। তবে এরপর জুটিটা আর বড় হয়নি, ফিরেছেন দুজনেই।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় সাইফ হাসানের। তবে অভিষিক্ত সাইফকে রেখে ফেরেন তানজিদ তামিম। ৩.২ ওভারে একবার ক্যাচ তুলে দিয়ে বেঁচে গেলেও ইনিংস বড় হয়নি, ৩.৪ ওভারেই থামতে হয় তাকে।
আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে তামিম ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে, ফিরেছেন ১০ বলে ১০ রান করে। এক ওভার পর এসে ফের উইকেট তুলে নেন ওমরজাই, এবার ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তকে। হাশমতুল্লাহ শাহিদিকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ৫ বলে ২ রান নিয়ে ফেরেন সাবেক এই অধিনায়ক। ৬ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ।
এরপর সাইফ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে ভালো খেলতে খেলতে ফিরে যান সাইফ হাসানও। ওয়ানডে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হয়নি এই ওপেনারের। নাঙ্গোলিয়া খারোতের শিকার হয়ে আউট হন ৩৭ বলে ২৬ রান নিয়ে।
সাইফ ফিরলে ১১.৫ ওভারে ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী মিরাজ। দুজনে গড়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি। তাতে রানের গতি কম হলেও কাটিয়ে উঠছে বিপর্যয়।
আফগানিস্তান স্পিন আক্রমণের পশরা সাজিয়ে বসলেও দুজনেই দারুণভাবে দেখেশুনে খেলেন, দুজনেই পেয়ে যান ফিফটি। ৭৫ বলে দশম ওয়ানডে শতক তুলে নেন হৃদয় আর মিরাজ পঞ্চাশ করেন আরো এক বল কমে।
ফিফটি পূরণ করার পরপরই শতরানের জুটিও পূর্ণ করেন হৃদয়-মিরাজ। তবে এরপর জুটিটা আর বড় হয়নি, রান আউট হয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮৫ বলে ৫৬ রান করে শেষ হয় তার ইনিংস। তবে এরপর আরো কিছুক্ষণ লড়াই করেন মিরাজ। তবে বেশিদূর যেত্র পারেননি, ৩৮.৫ ওভারে ৮৭ বলে ৬০ করে রশিদ খানের শিকার হন বাংলাদেশ দলপতি। এরপর জাকের আলী ১০, নুরুল হাসান সোহান ৭, হাসান মাহমুদ ৫, তানজিম হাসান সাকিব ১৭, তানভীর ইসলাম ১১ ও তাসকিন অপরাজিত ৪ রান করেন। আফগান বোলারদের মধ্যে রশিদ খান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৩টি করে, গজনফার ২টি এবং খারোট ১টি উইকেট লাভ করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ