কক্সবাজারের রামু গর্জনিয়া বাজার থেকে মায়ানমার পচারকালে স্কয়ার কোম্পানির কভার্ডভ্যান ভর্তি ২৯ কার্টুন ঔষধ সিএনজিতে লোড করে পাচারের সময় তিন জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। জব্দ করা হয় ঔষধ, কভার্ড ভ্যান ও সিএনজি। জব্দকৃত ঔষধের মূল্য ৩৫লাখ ৩ হাজার ৮৮২ টাকা,কভার্ডভ্যানের মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা ও সিএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা।২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের রামু গর্জনিয়া বাজার থেকে ঔষধ ভর্তি কভার্ড ভ্যান নিয়ে সিএনজি যোগে ড্রাইভারসহ চার পাচারকারী মায়ানমার যাত্রাকালে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে পুলিশ, বিজিবি ও ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা মালামালসহ তিনজনকে আটক করেন। এ সময় সিএনজি ড্রাইভার পালিয়ে যায়।জব্দকৃত কভার্ড ভ্যানের নাম্বার ঢাকা মেট্রো ম ৫১-৫৯৪৪ নিয়ে কচ্ছপিয়া ইউপিস্থল ৩ নং ওয়ার্ডের তিতারপাড়া টু হাইস্কুল পাড়া রোডস্থ গ্রামীণ ব্যাংকের সামনের পাকা রাস্তার উপর উল্লেখিত নাম্বারের স্কয়ার গাড়ি হতে ২৯ কার্টুন বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ মিয়ানমারের পাচারের উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠানো/ভর্তি করার সময় গর্জনিয়া ফাঁড়ির পুলিশ, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিপি এবং ডিজিএফআই এর যৌথ সমন্বয়ে অভিযান করে ওষুধ পাচারকালে মূল হোতা এবং ঘটনায় জড়িত রামু মৌলভীর কাটা নুরুল আলমের পুত্র মোঃ সালামতউল্লাহ (৩৫), ঢাকা যাদবপুর, ধামরাই ভাতকুড়ি এলাকার ইয়াছিন আলীর পুত্র তারিকুল ইসলাম (৪৮) ও নোয়াখালী জেলার,কবিরহাট থানার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত অহিদুল্লাহর ছেলে রিয়াজ উল্লাহ (৩৬)কে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় রামু মৌলভীর কাটার সিএনজি ড্রাইভার শহিদুল্লাহ (২৫) পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে তার পিতার নাম তাৎক্ষণিক ভাবে জানাযায়নি।গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান মনিরের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।জানা যায় আসামীরা পরস্পরের সহযোগিতায় গর্জনিয়া বাজার এলাকা থেকে এবং ঢাকাস্থ্ স্কয়ার কোম্পানি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সংগ্রহ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পথে মিয়ানমার পাচার করে আসছে। ঘটনার বিষয়টি পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসলে যৌথ বাহিনী সমন্বয় করে অভিযান চালানো হয়। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঔষধ জব্দ করা হয়েছে, পাশাপাশি ঔষধ পরিবহন কাজে স্কয়ার কোম্পানির একটি গাড়ি এবং একটি সিএনজি জব্দ তালিকা মোতাবেক আটক করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত ও পলাতক সিএনজি চালককে আসামি করে এস আই ফরহাদ বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রামু থানার ইনচার্জ মোঃ মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধৃত তিন আসামিকে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ।।হ,র
০১ অক্টোবর ২০২৫ ০১:২০ এএম
সেন্টমার্টিনে এক পোপা মাছের দাম ১ লাখ টাকা
সেন্টমার্টিনের সাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা মাছ। মাছটির দাম চাওয়া হয়েছিল ১ লাখ টাকা। পরে ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে আব্দুল মোনাফের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।ট্রলার মালিক আব্দুল মোনাফ জানান, আমার ট্রলারে জেলেরা সাগরে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিল। এ সময় অন্যান্য মাছের পাশাপাশি বড় আকারের একটি কালো পোপা মাছ ধরা পড়ে যার পরিমাপ বা ওজন করলে ১৮ কেজি হয়।তিনি আরও জানান, মাছটি সেন্টমার্টিন বাজারে ১ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছিলাম। পরে তা ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি। যেটি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা কিনে নেন।টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, বড় কালো পোপা মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, তার দামও বেশি। মাছটির বায়ু থলি সার্জিক্যাল কাজে ব্যবহৃত হয় বলে দাম বেশি হয়ে থাকে।ভোরের আকাশ//হ.র
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:১৫ এএম
মাদকের বিনিময়ে মিয়ানমারে যাচ্ছে পণ্য, ৭ পাচারকারী আটক
মিয়ানমার থেকে মাদকের বিনিময়ে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি সিমেন্ট ও খাদ্য সামগ্রীসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিতিত্তে গত শনিবার রাত ১০ টায় কোস্টগার্ডের টিম চট্টগ্রামের বহিঃনোঙর সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় একটি সন্দেহজনক কার্গো বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০০ বস্তা ডাল, ১৪৭ বস্তা পেঁয়াজ, ৩৫০ বস্তা সিমেন্টসহ ৭ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।জব্দকৃত মালামাল, পাচারকাজে ব্যবহৃত বোট ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন লেঃ কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।ভোরের আকাশ//হ.র
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:০৯ এএম
কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন
‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’- এই স্লোগানকে ধারণ করে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের শীর্ষ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫।দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের সূচনা করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। এর পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি হোটেল মোটেল জোন এলাকা প্রদক্ষিণ করে লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দল, ট্যুরিস্ট পুলিশের সুসজ্জিত মোটর বাইক সহকারে র্যালিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী-কর্মী, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, স্কুল শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এই আয়োজনে অংশ নেন।এরপর সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। পরে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটনের সাথে এ জেলার সব মানুষ কোনো না কোনো ভাবে সম্পৃক্ত। আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করছি। কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে কিভাবে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করা যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।পর্যটন দিবস ও পূজার ছুটিকে সামনে রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।তিনি বলেন, কক্সবাজারের এই সময়ে এক ধরনের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে অবকাশ যাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।এদিকে পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন মোটেলসহ তারকা মানের হোটেলগুলোতে রয়েছে নানা আয়োজন। হোটেল মোটেল গুলোতে দেয়া হয়েছে ছাড়। সাজানো হয়েছে পর্যটন এলাকা।ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:৪২ পিএম
লোকে লোকারণ্য সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
লোকে লোকারণ্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল সবখানে মানুষ আর মানুষ। এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। তাতে সাগরতীর পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতে সাগর উত্তাল হওয়ায় সতর্ক রয়েছে লাইফ গার্ডকর্মীরা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নোনাজল, সবখানে মানুষ আর মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে এসব মানুষ।“শুধু সুগন্ধা পয়েন্ট নয়; কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী, শৈবাল, কলাতলী সব পয়েন্টে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। ভ্রমণে এসে এসব মানুষ মেতেছেন নোনাজলে সমুদ্রস্নান, জেড স্কি, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে। একই সঙ্গে প্রিয় মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে।”বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকরা বলেন, “সাগর উত্তাল আছে। তারপরও খুবই আনন্দিত লাগছে। কারণ বন্ধুরা সবাই মিলে এসেছি, খুবই উপভোগ করছি সাগর।” এছাড়াও আরেক পর্যটক বলেন, “কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে আলাদা কোনও উপলক্ষ লাগে না। যখনই মন খারাপ থাকে, তখনই কক্সবাজারে ছুটে আসি। কয়েকদিন সাগর, পাহাড়, কাঁকড়ার বিচরণ ও নৌকার সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরে যায়। কক্সবাজার আসলে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।পর্যটক রিজিয়া ইসলাম বলেন, “সাগর খুবই উপভোগ করি। তাই স্বামীকে নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছি। এখানে জেড স্কি, বিচ বাইক, ছবি তোলা আর নোনাজলে সমুদ্রস্নান করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করছি।” বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমনে চাঙ্গা সাগরপাড়ের ব্যবসা। সাগরপাড়ের ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে বার্মিজ পণ্যের দোকান সবখানে যেন ব্যস্ততার শেষ নেই।ব্যবসায়ী বলেন, “পর্যটকরা বালিয়াড়িতে এসে দোকানে আসছে। তারা শামুক-ঝিনুক, পার্লের সামগ্রী কেনাকাটা করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকার ওপরে বেচাবিক্রি হয়েছে।”সাগর উত্তাল, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। তাই সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বালিয়াড়িতে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে লাইফ গার্ডকর্মীরা।সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ডকর্মী মো. রুহুল আমিন বলেন, লাখেরও বেশি পর্যটক এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। তাদের বেশির ভাগ পর্যটকই সমুদ্রস্নান করছে। কিন্তু সাগর উত্তাল, ঢেউয়ের তীব্রতাও বেশি। এত মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া মুশকিল। তারপরও ৩টি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি, সমুদ্রস্নানে পর্যটকদের নিরাপদে রাখা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:১০ এএম
মহেশখালীতে বজ্রপাতে চিংড়িঘের শ্রমিকের মৃত্যু
আশ্বিনের গুটি গুটি বৃষ্টিতে হঠাৎ বজ্রপাতে কক্সবাজারের মহেশখালীর চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন নামক যুবকের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতম।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ঘটিকার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার পশ্চিমে বৃষ্টির সাথে হঠাৎ ব্রজপাতে চিংড়িঘের শ্রমিক সুমন(২৫) নামক যুবক আহত হয়। সহপাঠিরা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ তমা সেন মৃত ঘোষণা করেন। সুমন ওই এলাকার মঞ্জুর আলমের দ্বিতীয় সন্তান।স্থানীয়ারা জানান, সুমন উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালী মাইজপাড়ার পশ্চিমে নয়াকাটা ঘোনা নামে চিংড়ী ঘেরে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়, তখন তিনি চিংড়ী ঘেরের বাসা থেকে বের হতেই বজ্রপাত সংস্পর্শ হয়ে আহত হয়। পরে সেখান থেকে অন্যান্য শ্রমিকেরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে ইউনুসখালী বাজারে পল্লী কাছে নেয়ে গেলে, সেই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর তারা চকরিয়া বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবু আহমেদ জানান- বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর শোনেন এবং উপরের মহলের নিকট জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪১ পিএম
কক্সবাজারে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের দুই কোটি নব্বই লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এ সুযোগে যাতে অপতথ্য ছড়ানো না হয়। মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।এম আবদুল্লাহ বলেন, সাংবাদিকদের প্রতিবছর ফেলোশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে। এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।এ ছাড়া সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের স্কলারশিপ প্রদানসহ সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ও সার্বিক কল্যাণে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে কল্যাণ ট্রাস্ট বলে তিনি জানান।ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে জেলা তথ্য অফিসার আবদুছ সাত্তার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ওবায়দুর রহমান শাহীন, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী বক্তব্য রাখেন।এ সময় পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি জেলার ২৪ জন গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে বিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:০৫ পিএম
মহেশখালীতে জমি বিরোধের জেরে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে আধিপত্য বিস্তার ও জায়গাজমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তির নাম শাহাদাত হোসেন দোয়েল (৪২)। তিনি মোহাম্মদ শাহঘোনা এলাকার ফজল হকের ছেলে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গাজমি নিয়ে শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গতকাল বিকেলে শাহাদাতের বড় ভাই লোকমান হোসেনের সঙ্গে সাদ্দামের কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে সাদ্দাম হোসনসহ আরও কয়েকজন শাহাদাতের ওপর হামলা চালান। এর একপর্যায়ে শাহাদাত হোসেনকে গুলি করা হয়। পরে আহত অবস্থায় শাহাদাতকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত শাহাদাতের বড় ভাই লোকমান হোসেন অভিযোগ করেন, সাদ্দামের সঙ্গে স্থানীয় ‘তারেক বাহিনীর’ লোকজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। সাদ্দাম ওই বাহিনীর নেতা এবং নিহত দোয়েলের ভাতিজা।পুলিশ জানায়, নিহত শাহাদাত হোসেন দোয়েলের বিরুদ্ধে হত্যা-অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সাদ্দামও একই ধরনের ৪টি মামলার আসামি। হত্যার ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। গতকাল রাতে জমিতে পানি চলাচলের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে শাহাদাত হোসেন দোয়েল নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১১ পিএম
নাফ নদীতে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মো. আনোয়ার হোসেন (৫০) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার স্লুইস গেটসংলগ্ন নাফ নদে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন এসে লাশটি উদ্ধার করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ নৌ পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল হক।আনোয়ার টেকনাফ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চৌধুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানায়, রোববার ভোরে টেকনাফ পৌরসভার নাফ নদে হেচ্ছার খাল এলাকায় মাছ ধরতে যান আনোয়ার ও একই এলাকার জাফরের ছেলে মো. আয়াস (৩৫)।এ সময় বজ্রপাতে আনোয়ার নৌকা থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। সঙ্গে থাকা আয়াস অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে বাড়ি এসে পরিবারকে বিষয়টি জানান।টেকনাফ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের সাবেক নারী কাউন্সিলর নাজমা আলম বলেন, গতকাল ভোর ৫টার দিকে নাফ নদে নৌকায় মাছ শিকারের সময় বজ্রপাতে এক জেলে নিখোঁজ ছিল। সকালে পরিবারের সদস্যরা নাফ নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জেলে আনোয়ারের লাশটি উদ্ধার করেন।টেকনাফ নৌ পুলিশের পরিদর্শক আতিকুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৬ পিএম
পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারকালে আটক ১০
মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারকালে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডশনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, একটি অসাধু চক্র বাংলাদেশি পণ্যের বিনিময়ে ইয়াবা-মদ সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় কোস্ট গার্ড জাহাজ কামরুজ্জামান কর্তৃক সেন্টমার্টিন ছেড়াদ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকায় সন্দেহজনক একটি ফিশিং বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত প্রায় ৩৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১০,০০০ কেজি ডাল, ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস মশার কয়েল, ২৫০০ কেজি রসুন, ১,০০০ কেজি টেস্টিং সল্ট, ১০,০০০ পিস রয়েল টাইগার এনার্জি ড্রিঙ্কস, ২,৫০০ কেজি পেঁয়াজসহ ১০ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।জব্দকৃত মালামাল, পাচারকাজে ব্যবহৃত বোট ও আটককৃত পাচারকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি আরও বলেন, চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন লে. কমান্ডার সিয়াম-উল-হক।ভোরের আকাশ/জাআ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৮ পিএম
টেকনাফের গহীন পাহাড়ে বন্দি নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গহিন পাহাড়ের আস্তানায় বন্দি রাখা নারী-শিশুসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ২৩ জন ও শিশু ২১ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি নাগরিক।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের কচ্ছপিয়া পাহাড়ের চূড়ায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় তাদের।শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনী কর্তৃক একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ের চূড়ায় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ৬৬ জন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।উদ্ধারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েকটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, সুবিধাজনক কর্মসংস্থান, উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন, অল্প খরচে বিদেশ যাত্রা এবং বিনা অর্থে প্রেরণ করে পরবর্তীতে কর্মস্থলে কাজের মাধ্যমে খরচ পরিশোধের সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় গমনে উদ্বুদ্ধ করে টেকনাফের গহিন পাহাড়ে গোপন আস্তানায় জিম্মি করে রেখেছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের সুবিধাজনক সময়ে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উপকূল দিয়ে বোটযোগে মালয়েশিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা করেছিল।তারা আরও জানায়, পাচারকারীরা তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করছিল।অভিযান চলাকালে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের আটকের নিমিত্তে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চলমান রয়েছে।তিনি আরও বলেন, মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.