সংগৃহীত ছবি
চীনা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এইচকিউ-৯বি ইরানের হাতে এসে পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এক আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করতে চাইছে ইরান। সেই লক্ষ্যেই চীন থেকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করেছে দেশটি।
প্রতিবেদন মতে, গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরই এইচকিউ-৯বি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চালান সরবারহ সম্পন্ন হয়।
আরেক আরব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা তেহরানের এই প্রতিরক্ষা জোরদারের প্রচেষ্টা বিষয়ে সচেতন এবং হোয়াইট হাউসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তবে ইরান ঠিক কতটা ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে তা নিশ্চিত করেননি ওই আরব কর্মকর্তারা। তবে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মূল্য তেল দিয়ে শোধ করছে।
মিডল ইস্ট আই বলেছে, চীন ও ইরানের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক যে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ তারই ইঙ্গিত দেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনে ইরানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়নি চীন ও রাশিয়া।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাঘেই এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মেহের নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনাসংক্রান্ত দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসমাঈল বাঘেই। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমেরিকান সঙ্গে কোনো বৈঠকের অনুরোধ করা হয়নি।এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা আবারও নির্ধারিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নরওয়ের ওসলোতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।এর আগে, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) এক্সিওজের বরাতে আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। নরওয়েতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। পরমাণু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফও একই রকম দাবি করেছিলেন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বা তার কাছাকাছি সময়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
চীনা ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা এইচকিউ-৯বি ইরানের হাতে এসে পৌঁছেছে। এক প্রতিবেদনে এক আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইলের হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করতে চাইছে ইরান। সেই লক্ষ্যেই চীন থেকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করেছে দেশটি।প্রতিবেদন মতে, গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরই এইচকিউ-৯বি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চালান সরবারহ সম্পন্ন হয়। আরেক আরব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা তেহরানের এই প্রতিরক্ষা জোরদারের প্রচেষ্টা বিষয়ে সচেতন এবং হোয়াইট হাউসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে ইরান ঠিক কতটা ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে তা নিশ্চিত করেননি ওই আরব কর্মকর্তারা। তবে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মূল্য তেল দিয়ে শোধ করছে। মিডল ইস্ট আই বলেছে, চীন ও ইরানের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক যে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ তারই ইঙ্গিত দেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনে ইরানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়নি চীন ও রাশিয়া। ভোরের আকাশ/জাআ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় গতকাল সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকারী ব্যক্তিরা পানির প্রবাহে ভেসে যাওয়া লোকজনকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।ক্যাম্প মিস্টিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে ২৮ জন কিশোরী ও তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে- তারা সবাই ক্যাম্প মিস্টিকের গ্রীষ্মকালীন আয়োজনে এসেছিলেন এবং এখনও ১০ জন নিখোঁজ আছেন। এছাড়াও যে ৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১০ জন শিশুর নাম-পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে নদীর দুই তীরে দেখা দেয় আকস্মিক বন্যা বা হড়কা বান। নদীর দুই তীরেই সামার ক্যাম্পের তাঁবু ফেলা হয়েছিল। ভোর ৪টার দিকে যখন হড়কা বান নদীর দুই তীরে আঘাত হানে- সে সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ফলে বন্যা আসার আগে কেউ নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে পারেনি। যে কারণে নিখোঁজ-নিহতের সংখ্যাও বেড়েছে। বন্যার সময় নদীর পানি ২৬ ফুট বেড়ে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। আবহাওয়াবিদেরা আরও বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে নদীর স্রোত, অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও কর্দমাক্ত মাটির জন্য উদ্ধার কাজে গতি আনা সম্ভব হচ্ছে না।হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী শুক্রবার টেক্সাস সফর করার পরিকল্পনা করছেন। আবহাওয়া সংস্থার বাজেট কাটছাঁটের কারণে সতর্কতা ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে বলে সমালোচকেরা যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটির কঠোর সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসরায়েলের আগ্রাসনে গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫২০ ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও সাড়ে ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি। সোমবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫২৩ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আরও ১০৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫৬ জন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৭ জনে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এই নতুন ধাপে ৬ হাজার ৯৬৪ জন নিহত ও আরও ২৪ হাজার ৫৭৬ জন আহত হয়েছেন।এই যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক আইনে জবাবদিহির মুখে পড়েছে ইসরায়েল। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ