ইরান জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইউরোপের তিন দেশ—জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, এই তিন দেশ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে “বেপরোয়া কৌশল” গ্রহণ করছে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের একজোট হওয়া ইউরোপের বৈশ্বিক অবস্থানকে দুর্বল করবে।রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে আরাগচি জানান, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য (ই৩) এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে পারে। তবে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ার কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং তা ব্যর্থ হবে।ইরানের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তিন দেশ ৩০ দিনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। তবে আরাগচির বক্তব্য, চুক্তি ভাঙেনি ইরান; বরং যুক্তরাষ্ট্র ভঙ্গ করেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপ বাণিজ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। মার্কিন চাপের কারণে ইউরোপের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ভেঙে পড়েছে।তবে আরাগচি আশ্বাস দিয়েছেন, আলোচনার পথ এখনও খোলা। কঠোর নজরদারি ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে তেহরান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সীমিত করতে প্রস্তুত।সূত্র: আলজাজিরাভোরের আকাশ//হ.র
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৪৫ এএম
গাজায় গণহত্যা রোধে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের আহ্বান ইরান-সৌদির
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় চলমান গণহত্যা রোধে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছে ইরান ও সৌদি আরব। জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির জরুরি বৈঠকের আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পার্শ্ববৈঠকে এ বার্তা দেন।ইরানের আধা-সরকারি সংবাদসংস্থা তাসনিম এই খবর নিশ্চিত করেছে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৈঠকে বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে মুসলিম দেশগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং ইসরায়েলের বিপজ্জনক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা ঠেকাতে একযোগে কাজ করা আবশ্যক।দুই পক্ষ আরও আলোচনা করেছেন ইরান-সৌদি সম্পর্ক উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করার বিষয়ে। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি যদি একসঙ্গে এগোতে পারে, তবে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন স্থিতিশীলতার পথ তৈরি হতে পারে। এই প্রক্রিয়া দাঁড়িয়ে থাকবে সংলাপ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অন্যের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ওপর।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। নতুন স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০২:২০ এএম
একাধিক দেশে রয়েছে ইরানের অস্ত্র কারখানা দাবি ইরানি মন্ত্রীর
ইরান নিজেদের সীমান্তের বাইরে একাধিক দেশে অস্ত্র তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। তবে কোন কোন দেশে এসব স্থাপনা রয়েছে, তা তিনি প্রকাশ করেননি।শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদেহ বলেন, “আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। আপাতত সেসব দেশের নাম প্রকাশ করছি না।”তিনি আরও জানান, গত এক বছরে ইরান উন্নত ও নিয়ন্ত্রিত নতুন ধরনের ওয়ারহেডের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।এ বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন ইরানের নৌবাহিনী সম্প্রতি ওমান উপসাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে বৃহৎ সামরিক মহড়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করেছে। এর আগে জুলাই মাসে কাস্পিয়ান সাগরে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় তেহরান।১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে আধুনিক অস্ত্র কেনার সুযোগ হারায় ইরান। এরপর থেকে দেশটি স্থানীয়ভাবে অস্ত্র উৎপাদন ও পুরোনো প্রযুক্তিকে আধুনিকায়নের পথ বেছে নেয়।ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, গত জুনে ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হতো, তবে শেষ তিন দিনে ইসরাইল কোনো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারত না। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছাড়া যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হতো না।তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই সংঘাতে ইরান তাদের সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ ব্যবহারই করেনি। প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাল্লার এ অস্ত্রটি উন্নত গাইডেন্স সিস্টেমসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেদ করার প্রযুক্তি নিয়ে তৈরি।নাসিরজাদেহ দাবি করেন, সংঘাতের শুরুতে প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত হলেও শেষ দিকে ৯০ শতাংশ নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, যা ইরানের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রমাণ।অন্যদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী পাল্টা দাবি করেছে, ১২ দিনের যুদ্ধে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে।ভোরের আকাশ/হ.র
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০১:১০ এএম
ইরানের তেল বাণিজ্যের ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ইরানের অবৈধ তেল বিক্রিতে সহায়তাকারী ব্যক্তি এবং কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ তথ্য জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা মেহের।পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা চীন-ভিত্তিক দুটি অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য টার্মিনাল অপারেটরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে - তারা যুক্তরাষ্ট্রের মনোনীত একাধিক ট্যাঙ্কারে ‘লাখ লাখ ব্যারেল’ ইরানি অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে।ট্রেজারি বিভাগ গ্রীক নাগরিক আন্তোনিওস মার্গারাইটিস, তার নেটওয়ার্ক এবং কোম্পানিগুলোকেও ইরানি পেট্রোলিয়াম পরিবহনের জন্য জাহাজ শিল্পে তার অবস্থানকে কাজে লাগানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। ইরানি তেল রপ্তানিতে সহায়তার অভিযোগে আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ এবং অপারেটরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন বলেছে, ‘এই পদক্ষেপগুলো তেহরানের উন্নত অস্ত্র কর্মসূচিতে অর্থায়ন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন এবং আমাদের সৈন্য এবং আমাদের মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ইরানের তেল বাণিজ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, তেহরান তাদের প্রধান আমদানিকারকদের কাছে তেল রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে বলে দেখা গেছে পরিসংখ্যানে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০১:৪২ পিএম
১৭ বিদেশিসহ তেল ট্যাংকার আটক করল ইরান
পারস্য উপসাগরে ২০ লাখ লিটারেরও বেশি চোরাচালানকৃত জ্বালানি তেল বহনকারী একটি ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। এ সময় ১৭ জন সন্দেহভাজন বিদেশিকে আটক করা হয়।সোমবার (১১ আগস্ট) ইরানি সীমান্ত পুলিশের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ আলী গৌদারজি বলেন, নৌবাহিনীর সহযোগিতায় জাস্ক বন্দরের কাছ থেকে এটি আটক করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, জড়িত ১৭ জন বিদেশি সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা জব্দ করা জ্বালানির মূল্য ৭৫৯ বিলিয়ন ইরানি রিয়াল বলে অনুমান করেছেন। গৌদারজি জোর দিয়ে বলেন, সমুদ্র ও স্থল উভয় সীমান্তে অন্যান্য সামরিক ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সীমান্ত বাহিনী চোরাচালান নেটওয়ার্কগুলোকে মারাত্মক আঘাত করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১১ আগস্ট ২০২৫ ১০:০৯ পিএম
ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও ২০ জন গ্রেপ্তার
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। শনিবার (৯ আগস্ট) দেশটির বিচার বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। ইরানের বিচার বিভাগ বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কেউ কোনো ধরনের ক্ষমা পাবে না। আর তাদের এমন বিচার করা হবে, যা সকলের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।মাত্রই ক’দিন আগে রুজবেহ ভাদী নামে নিজেদের এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে ফাঁসিতে ঝোলায় ইরান। গত জুনে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের সংঘাত চলাকালে অপর এক পরমাণু বিজ্ঞানীর তথ্য ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়েছিলেন তিনি। ওই সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান সেই বিজ্ঞানী।ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গিরি বলেছেন, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, গুপ্তচর এবং ইহুদিবাদীদের এজেন্টদের প্রতি কোনো ধরনের ক্ষমা প্রদর্শন করবে না ইরানের বিচার বিভাগ। তাদের কঠোর বিচারের মাধ্যমে এগুলো উদাহরণ হিসেবে রাখা হবে। তদন্ত শেষে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।এর আগে, গত জুনে দখলদার ইরানে অতর্তিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এ সময় গুপ্তচরদের সহায়তায় ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে তারা।১২ দিনে সংক্ষিপ্ত ওই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই ইসরায়েলি গুপ্তচর ধরতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে ইরান। গ্রেপ্তার গুপ্তচরদের দ্রুতসময়ের মধ্যে বিচার করে ফাঁসিতে ঝোলাচ্ছে দেশটি। গত কয়েক মাসে দেশটিতে অন্তত আট গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ইসরায়েলের কাছে গোপন তথ্য পাচারের দায়ে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের এক পরমাণু বিজ্ঞানী রুজবেহ ভাদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। বুধবার (৬ আগস্ট) ইরানের বিচার বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, তিনি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন।স্থানীয় গণমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের অনুসন্ধান অনুযায়ী, রুজবেহ ভাদি ছিলেন ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার অধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদস্য। গুগল স্কলার প্রোফাইলে দেখা গেছে, তিনি রিঅ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং ২০১১ সালে ইরানের সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি গবেষণাপত্রে সহ-লেখক ছিলেন। ওই গবেষণায় যাঁদের সঙ্গে কাজ করেন, তাদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত হন।আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, নিহত বিজ্ঞানী আব্দুলহামিদ মিনুচেহর ও আহমেদ জোলফাগারির সঙ্গে ভাদি ঘনিষ্ঠভাবে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের সম্পর্কে গোপন তথ্যই ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি।বিচার বিভাগের দাবি, ভাদিকে অনলাইনে নিয়োগ দেয় মোসাদ এবং যাচাই-বাছাই শেষে ‘কেভিন’ ছদ্মনামের এক কর্মকর্তা তাকে পরিচালনা করতেন। মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাকে উচ্চ-মূল্যবান সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে মোসাদ এবং একাধিক প্রযুক্তি সরঞ্জাম সরবরাহ করে—যেমন: এনক্রিপ্টেড ফোন, বিশেষ ল্যাপটপ ও ফ্ল্যাশ ড্রাইভ। প্রতিটি মিশনে সফলতার ভিত্তিতে নয়, মাসিক ভিত্তিতে তাকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হতো।সরকারি তথ্য অনুসারে, ভাদি ইচ্ছাকৃতভাবে শত্রু রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলেছিলেন। এর আগেও সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। ভোরের আকাশ/হ.র
০৮ আগস্ট ২০২৫ ১২:৪১ এএম
ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে পরিবহন-পর্যটনসহ ১২ খাতে চুক্তি সই
রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও তার প্রতিনিধি দল। এ সময় তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।লাহোর সফর শেষে রোববার (৩ আগস্ট) সকালে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।চুক্তি সই অনুষ্ঠানে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে বিচার ও আইনগত বিষয়, শিল্পখাতের সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং আঞ্চলিক সংহতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করার ভিত্তি গড়ে তোলা হয়েছে।চুক্তিগুলো জ্ঞান বিনিময়, বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান শনিবার (২ আগষ্ট) একটি উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ইসলামাবাদে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৫ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৩ এএম
পেজেশকিয়ানের সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে: শাহবাজ শরিফ
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের ইসলামাবাদ সফর সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তান এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পথ তৈরি করবে। গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এ কথা লেখেন। শাহবাজ শরিফ লেখেন, আমার ভাই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মহামান্য ডক্টর মাসুদ পেজেশকিয়ানকে পাকিস্তানে তার সরকারি সফরে স্বাগত জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।তিনি লেখেন, আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছি যা পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পথ তৈরি করবে।এর আগে শনিবার সফররত ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে স্বাগত জানানোর পর, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ তার নিজস্ব এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, পাকিস্তান এবং ইরান দুটি দেহে এক আত্মা।উল্লেখ্য,দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার পাকিস্তানে পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সফরে পেজেশকিয়ানের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল রয়েছেন, যার মধ্যে জেষ্ঠ্য মন্ত্রী এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।পেজেশকিয়ানের আগমনের পর পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরীফ এবং লাহোরে ইরানের কনসাল জেনারেল তাকে স্বাগত জানান। ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটি পেজেশকিয়ানের প্রথম পাকিস্তান সফর। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শেষবার ২৬ মে ইরান সফর করেছিলেন।ভোরের আকাশ/তাকা
০৪ আগস্ট ২০২৫ ০৩:০৮ পিএম
পাকিস্তানের সঙ্গে ১২টি সহযোগিতা চুক্তি ইরান সই করল ইরান
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান ও পাকিস্তান ১২টি সহযোগিতা চুক্তি সই করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের ইসলামাবাদের সফরের সময় রোববার (৩ আগস্ট) এই চুক্তিগুলো সই হলো।আইআরএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে চুক্তিগুলো সই হয়। দুই প্রতিনিধি দলের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে মাসুদ পেজেশকিয়ানও উপস্থিত ছিলেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তিগুলোর লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করা। এর মধ্যে বিচারিক ও আইনি বিষয়, শিল্প সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আঞ্চলিক সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।এগুলো জ্ঞান বিনিময় সহজতর করবে, বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং দুই প্রতিবেশীর মধ্যে মানুষে মানুষে সম্পর্ক জোরদার করবে বলে জানানো হয়েছে।এর আগে গতকাল শনিবার উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রতিনিধিদল নিয়ে পেজেশকিয়ান ইসলামাবাদে পৌঁছান।ভোরের আকাশ/জাআ
০৩ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৩৩ পিএম
ইরানের জাহাজ নেটওয়ার্কের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানকে আরও চাপে ফেলতে এবার দেশটির জাহাজ পরিবহন নেটওয়ার্ক ও পরিষেবা ব্যবস্থার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি মন্ত্রণালয়। ইরানের জাহাজ নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১৭ ব্যক্তি, কোম্পানি এবং জাহাজ নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।ট্রেজারি বিভাগের নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত জাহাজ পরিবহন নেটওয়ার্কের ‘পুরোধা’ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ হোসেইন শামখানি আছেন। মোহাম্মদ হোসেইন শামখানির পিতা আলী শামখানি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন উপদেষ্টা।ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাবার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ইরানের জাহাজ পরিবহন নেটওয়ার্কের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন হোসেইন শামখানি। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় বহির্বিশ্বের কাছে নিজেদের জ্বালানি তেল নিজেরা বিক্রি করতে পারে না ইরান, মধ্যস্থতাকারীদের সাহায্য নিতে হয়। এই মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং তাদের কাছে তেল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কনটেইনার ও ট্যাংকার জাহাজগুলোর বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব শামখানির হাতেই। তেল রপ্তানি খাত থেকে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে ইরান, সেক্ষেত্রেও অবদান আছে হোসেইন শামখানির।ট্রেজারি বিভাগের দাবি, শামখানি তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের ব্যবহার এবং নানা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তেল বাণিজ্য থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি ডলার তেহরানকে ‘উপহার’ দেন, যা তেহরান ব্যয় করে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।সার্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে ইরানের ১৫টি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি, ৫২টি জাহাজ, ১২ জন ব্যক্তি এবং ১৭টি দেশের ৫৩টি কোম্পানি। বিদেশি এ কোম্পানিগুলো ইরানের জাহাজ পরিবহন সংক্রান্ত বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করেছে ট্রেজারি মন্ত্রণালয়।ট্রেজারি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য বহির্বিশ্বে ইরানের তেল বিক্রিকে আরও কঠিন করে তোলা।ভোরের আকাশ/এসএইচ