ছবি: সংগৃহীত
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে সেখানে আটকেপড়া আরও ৩২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুটি আলাদা ফ্লাইটে ভোরে ২২ জন এবং সকালে ১০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে জুলাইয়ের শুরুতে সরকার ইরান থেকে ২৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনেছে। তাদের স্থলপথে পাকিস্তান হয়ে ঢাকায় আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান থেকে দেশে ফেরার জন্য ইতোমধ্যেই ২৫০ জন বাংলাদেশি তেহরান দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আর ইরানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশিরা ফিরতে পারবেন।
ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি আছেন। ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৬৭২ জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬৬ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।তিনি বলেন, দেশে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য সংগ্রাহকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ল্যান্ডফিল ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে উন্নত পর্যায়ের বর্জ্য শ্রেণিবিন্যাস, পুনর্ব্যবহার ও উপাদান পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মহানগরের সুদোকওয়ন ল্যান্ডফিল ম্যানেজমেন্ট করপোরেশন (SLC)-এর একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনের বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের দুটি বিদ্যমান ডাম্পিং সাইট বন্ধ ও পুনর্বাসন এবং একটি নতুন আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। কোরিয়ান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুদান ও সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। দুটি বিদ্যমান ডাম্পিং সাইট বন্ধের কাজ ১ থেকে ১.৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার পরে ২০ বছরের একটি পর্যবেক্ষণকাল থাকবে। প্রতিনিধিদল আরও জানায়, ভূমি স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে প্রথম ৫ বছর পর এসব স্থান জনসাধারণের জন্য পার্ক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা যেতে পারে।প্রতিনিধিরা অনানুষ্ঠানিক বর্জ্য সংগ্রাহকদের নতুন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে তাঁদের কর্মপরিবেশ উন্নত হয় এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ পুনরুদ্ধারে দক্ষতা বাড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র ও প্রকল্পসংক্রান্ত দলিলাদি প্রেরণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা কার্যকর করার অনুরোধ জানায়। পাশাপাশি, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক সুদোকওয়ন ল্যান্ডফিলের অভিজ্ঞতা ও মডেল বাংলাদেশে শেয়ার করার আগ্রহ প্রকাশ করে।এসএলসির প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যমান উন্মুক্ত ডাম্পিং সাইটের যথাযথ বন্ধ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস প্রকল্পের প্রস্তাবও দেয় কোরিয়ান পক্ষ।বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রেজাউল করিম, কোরিয়ার এসএলসি পরিচালক সিওক ওউ জংসহ উভয় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।বৈঠকটি ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবেন। ইইউসহ অনেকে চিঠি দিয়ে আমাদের জানিয়েছে। তবে বিগত তিন নির্বাচন নিয়ে যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক ‘ভালো’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তাদের আমরা নেব না।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কানাডিয়ার রাষ্ট্রদূত অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার। আমরা আমাদের প্রস্তুতির তথ্য জানিয়েছি। তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আমরা যে কাজ শুরু করব, এসব বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়েছে। ওনারা চান আমরা যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করি। এআইয়ের (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স) মিসইউজ নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, তারা এসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাজেশন দেবে। এছাড়া কানাডা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কমিটমেন্টের কথা শুনে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, আমরা কানাডার কাছে নির্বাচনের বিষয়ে কিছু সহযোগিতা চেয়েছি হাইকমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা সহযোগিতা করবেন।নির্বাচনের সময়সীমার বিষয়ে কানাডা হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে আপনারা যা জানেন আমিও তাই জানি। ভোট যেদিন হবে হবে তার দুই মাস আগে আপনাদেরকে আমি জানিয়ে দেব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে সেখানে আটকেপড়া আরও ৩২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ইরান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুটি আলাদা ফ্লাইটে ভোরে ২২ জন এবং সকালে ১০ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে জুলাইয়ের শুরুতে সরকার ইরান থেকে ২৮ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনেছে। তাদের স্থলপথে পাকিস্তান হয়ে ঢাকায় আনা হয়।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরান থেকে দেশে ফেরার জন্য ইতোমধ্যেই ২৫০ জন বাংলাদেশি তেহরান দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে সংঘাত থেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আর ইরানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হলে নিজ উদ্যোগেই বাংলাদেশিরা ফিরতে পারবেন।ইরানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এরমধ্যে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি আছেন। ইরানে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৬৭২ জন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৬৬ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি শুল্ক-চুক্তি করতে আগ্রহী, যা দুই দেশের জন্যই একটি উইন-উইন (উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক) সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিতে বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।তিনি বলেন, সোমবার বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে আমেরিকান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা করেছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৯ জুলাই আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন শেখ বশিরউদ্দিন।ভোরের আকাশ/এসএইচ