আবরার-আবু সাঈদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছি: নাহিদ ইসলাম
কুষ্টিয়ায় পদযাত্রার পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সারারাত ধরে সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ মাইলফলক ছিলেন। আবরারের মৃত্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আবরারের মৃত্যুর প্রতিবাদে মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেই স্লোগানই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাইয়ে আবারও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পন্থী পথ দেখিয়ে গেছেন আবরার ফাহাদ। সেই পথেই জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতি করছে। সেই পথ ধরেই জুলাই গণঅভ্যুথান সংগঠিত হয়েছিল। আবরার ফাহাদ থেকে আবু সাঈদ সকল শহীদকে আমরা স্মরণ করি। তারা যেই বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল পদযাত্রার মাধ্যমে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি।
বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। এসময় এনসিপির মুখ্য সম্বনয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিন অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও নুসরাত তাবাস্সুম, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১টায় কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে বুয়েটে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপির নেতারা।
এরপর ৮ম দিনের মত জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে শুরু হয় এই পদযাত্রা। আবরার ফাহাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সড়ক পথে কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে পদযাত্রার শুরুতে কুমারখালীর আলাউদ্দিন মোড়ে পথসভা করেন।
পরে বিকেল সাড়ে তিনটায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংক্ষিপ্ত এই পথসভা থেকে কুষ্টিয়ার পথযাত্রা শেষ হয়। এরপর পদযাত্রা মেহেরপুর জেলার দিকে যায়। উল্লেখ্য, গত ১লা জুলাই রংপুর থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
“চ্যালেঞ্জ দেখে ভয় পাওয়া যাবে না; বরং তা মোকাবিলা করেই জীবনে সফলতা অর্জন করতে হবে।” — এমন মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল— “আমি কন্যাশিশু, স্বপ্নে গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি।”আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “আজকের কন্যাশিশুরা আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ও আত্মপ্রত্যয়ী। তারা নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসছে— যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। দেশ গঠনে নারী-পুরুষ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, সমাজসেবক ও নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ভিকারুন নেছা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইসরাত জাহান, প্রোগ্রাম অফিসার আঞ্জুমান আরা প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং ট্রেডের ১০ জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। নারীর আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বিতার প্রতীক হিসেবে এই উদ্যোগকে উপস্থিত সবাই প্রশংসা করেন।ভোরের আকাশ//হ.র
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর মোহনায় অবৈধ কারেন্ট জাল, দুটি মাছ ধরার নৌকাসহ ১৭ জন জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ইলিশের আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড নদী ও সমুদ্র উপকূলে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর মেঘনা নদীর মোহনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানের সময় প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২০ হাজার টাকা মূল্যের ২০ কেজি ইলিশ মাছ ও ২টি মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা সহ ১৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১ জনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হয়।পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের উপস্থিতিতে বিনষ্ট ও জব্দকৃত মাছ মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত নৌকা চাঁদপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নিকট ও আটক ১৬ জেলেকে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।ভোরের আকাশ//হর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নির্বাচিত এজিএস (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) ও জয়পুরহাটের কৃতি সন্তান মহিউদ্দিন খানকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জয়পুরহাট সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শহরের ক্যাফে অরেঞ্জ রেস্টুরেন্টে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহিউদ্দিন খান জয়পুরহাটের গৌরব ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি যে নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন, তা জেলার জন্য এক বিশাল অর্জন।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।শেষে অতিথিরা মহিউদ্দিন খানকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান এবং তার সফল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।ভোরের আকাশ//হর
সিলেটের জাফলংয়ের পরিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকায় অবৈধভাবে উত্তোলিত ৬০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করেছে টাস্কফোর্সের একটি দল। পরিবেশ রক্ষায় গঠিত এ টাস্কফোর্স বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালায়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক। অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সদস্যরা সহায়তা করেন।জব্দকৃত বালু পরে প্রকাশ্যে নিলাম প্রক্রিয়ায় ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, “জাফলং দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু এখানে অনিয়ন্ত্রিত বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।”তিনি আরও জানান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক করা এক রিটের পর আদালত জাফলংকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করেন। এরপর প্রশাসন ওই এলাকায় সব ধরনের বালু ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি চক্র এখনো অবৈধভাবে উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ//হর