আদমদীঘিতে নাশকতার মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার আদমদীঘিতে নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলীকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হযরত আলী উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি সান্তাহার ইউপির দুই নম্বর ওয়ার্র্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার সকালে তার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপি অফিসে ককটেল নিক্ষেপ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ আগস্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয়সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
টানা বর্ষণ এবং ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ফেনীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় রেকর্ড ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২-৩ দিন এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভারী বর্ষণের কারণে ফেনী শহরের একাধিক এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। বিশেষ করে ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, একাডেমি, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় এবং পেট্রো বাংলা এলাকা সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার শিকার। দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। অনেক এলাকার বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, "ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে।"ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, পানি নিষ্কাশনে যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
বরগুনায় ডেঙ্গু বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে, পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম (৪৫) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষিকা খায়রুন্নাহার। তিনি জানান, ডেঙ্গু শনাক্তের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসিনাকে রোববার ঢাকায় নেওয়া হয়েছিল। বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জেলায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৬০৬।এর মধ্যে বরগুনা সদরে ৩,১৭৯, পাথরঘাটায় ১৭৫, বামনায় ১১৪, তালতলীতে ৫৭, আমতলীতে ৪৩ এবং বেতাগীতে ৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২২৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যার মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন ১৫০ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, “ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি, তবে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে।”ভোরের আকাশ/জাআ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং এর পাশে পরিত্যক্ত ডেটোনেটর (বিশেষ বিস্ফোরক ডিভাইস) বিস্ফোরণে এক শিশু শিক্ষার্থীর ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন চৌহাটি গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে ।আহত শিশু ইলিয়াস (১০) চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের ছেলে। সে চৌহাটি সালাফিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়লাখনি এলাকার ডাম্পিং এলাকা থেকে শিশু ইলিয়াস খেলতে গিয়ে একটি ধাতব বস্তু পেয়ে কৌতূহলবশত তা নাড়াচাড়া করতে করতে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর মোবাইলের নষ্ট ব্যাটারির সাথে সংযোগ দিলে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে তার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে আঙুল খুলে পড়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়।পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক। আহত শিশু ইলিয়াসের বাবা আশরাফুল ইসলাম বলেন, সে খনির পাশ থেকে ওইসব ধাতব পদার্থ কুড়িয়ে এনে বাড়িতে খেলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি আমার ছেলের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পুর্ব পার্শে প্রাচীর ঘেঁষে তার কাঁটা দিয়ে ঘেরা খনির ডাম্পিং এরিয়া রয়েছে। সেখানে খনির সবধরনের বর্জ্য ও অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলা হয়। এসব বর্জ্য থেকে কয়লার সন্ধানে এলাকার লোকজন ওই ডাম্পিং এরিয়ায় প্রবেশ করে কয়লা সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে। এসব বর্জ্যের সাথে মাঝে মাঝে বিশেষ সরঞ্জাম মেলে । খনি পার্শ্ববর্তী গ্রাম চৌহাটির অনেকেই এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে ওইসব এক্সক্লসিভ ডিভাইস পেয়ে থাকে। তারা এর বেশি কিছু জানে না। অনেক সময় শিশুরা এসব বাড়িতে এনে খেলে।বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক জানান, খনির ভূগর্ভে কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিস্ফোরনের কাজে ডেটোনেটর ব্যবহার করা হয়। এগুলো খুবই স্পর্শ কাতর। এগুলো কোনটি অকেজো এবং কোনটি তাজা তা সাধারণভাবে কেউ বুঝতে পারার কথা নয়।তাছাড়া খনির বাহিরে প্রাপ্ত ডেটোনেটরে কোন সংযোগ নেই। তবে এগুলো ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকেই কোন না কোন ভাবে ধাতব বস্তু হিসেবে বা শিশুরা খেলনা হিসেবে সংগ্রহ করেছে। এ বিষয়ে আমাদের কোন সম্যক ধারণা ছিল না। ঘটনার পর আমরা জনতে পেরেছি, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।তিনি আরও বলেন, ডেটোনেটর বিস্ফোরনের বিষয়ে ইতোমধ্যে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত শিশুর বিষয়ে তিনি বলেন, আগে তার চিকিৎসা চলুক। পরে তার বিষয়ে খনি কতৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে এবং তার পাশে থাকবে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনীর একটি দল বিকেলে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে সংগৃহিত এলাকার লোকজনের কাছ থেকে শতাধিক ডেটোনেটর তাদের সংরক্ষণে নিয়ে যান। ডেটোনেটর হচ্ছে একটি ছোট বিষ্ফোরক ডিভাইস যা অন্য একটি বড় বিষ্ফোরক দ্রব্যকে বিষ্ফোরিত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত বৈদ্যুতিক বা যান্ত্রিক উপায়ে কাজ করে।ভোরের আকাশ/আজাসা
সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ট্রেনের এক যাত্রীর হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে বাহিরের দৃশ্য ধারণ করছিলেন। এ সময় রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চিহ্নিত ছিনতাইকারী ওই যাত্রীর স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।অভিযুক্ত ছিনতাইকারীর নাম মো. জুয়েল মিয়া (২৫)। সে ভৈরব শহরের কালিপুর উত্তরপাড়ার মৃত হবি মিয়ার ছেলে এবং ভুক্তভোগী যাত্রীর নাম আতিকুর রহমান।গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা শহরের মনমরা ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী যাত্রী আতিকুর রহমান ভৈরব সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর একটি টহলটিম সাড়াশি অভিযানে নামে এবং এক ঘন্টার মধ্যেই মনমরা ব্রীজ এলাকা থেকে ওই চিহ্নিত ছিনতাইকারী জুয়েল মিয়াকে আটক করে।এসময় ভৈরব থানা পুলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছিলেন। পরে আটককৃতকে ভৈরব থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান সেনাবাহিনী।ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি রেলওয়ে থানার আওতায় ঘটেছে। তাই রেলওয়ে ওসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি না নেন, তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে পাঠাব।ভোরের আকাশ/জাআ