নিহত রাজীব আহম্মদ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজের আট ঘণ্টা পর ভেসে এলো পর্যটকের মরদেহ। রোববার (৮ জুন) মধ্যরাত সোয়া ১২ টায় সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) নিত্যানন্দ দাস। মৃত উদ্ধার রাজীব আহম্মদ (৩৫) চট্টগ্রাম শহরের ডিসি রোডের বাসিন্দা নজির আহম্মদের ছেলে।
নিত্যানন্দ বলেন, রোববার সকালে চট্টগ্রাম থেকে রাজীব আহম্মদ সহ ৫ বন্ধু মিলে ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। বিকাল ৫ টার দিকে তারা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান। পরে লাবণী পয়েন্টের একটু দক্ষিণে সাগরে বন্ধুরা মিলে গোসলে নামেন। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে তাদের মধ্যে ২ জন ভেসে যেতে থাকে। এসময় অন্য বন্ধুদের শোর চিৎকার শুনে লাইফ গার্ড কর্মিরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অপরজন ভেসে যায়।
নিত্যানন্দ আরও বলেন, উদ্ধার তৎপরতার এক পর্যায়ে রোববার মধ্যরাত সোয়া ১২ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর দিকের এলাকায় জোয়ারের সময় একটি মৃতদেহ ভেসে আসে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবরটি অবহিত হওয়ার পর লাইফ গার্ড কর্মিরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু'গ্রামের ২০ জনের মত আহত হয়েছে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দু'পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে বেলালাবাদ দত্তপুর বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কে অটো দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়ার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত দু গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে মীমাংসার জন্য বসে। বিষয়টি মীমাংসা না হয়ে এক পর্যায়ে ময়মনসিংহ- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের এমএন ফিলিং স্টেশনের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে দু গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।এতে ইটপাটকেল এর আঘাতে দু'গ্রামের মধ্যে উত্তরপালাহার গ্রামের কাঞ্চন (২৮), ইসরাফিল (৪৮), আলআমিন (২৫), অপু (২০), হিমেল (২৫)। দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম (৪০), শরীফ মিয়া (২৫), ফারুক (৩০), রমজান মিয়া (৩৩), ফজলুর রহমান (৫০)সহ ২০ জন আহত হন। আহতরা নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি নান্দাইলের কানুরামপুর পরিবহন পরিচালনা রোডে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী গত ১১ জুন কমিটি অনুমোদন দেন। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু'গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অটো চালকে মারধর করতেছিল মানিক আর সমুন তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার উপরে হামলা করেছে। তারা দলবল নিয়ে আক্রমণ করেছে।উত্তরপালাহার গ্রামের সজল মিয়া বলেন, আমার এলাকার ছোট ভাইদেরকে ইসলাম মারধর করছে আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলে আমাকেও গলায় ধরে। মটরযান কর্মচারী সমিতির কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তারা এমন শুরু করেছে।নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনা মীমাংসার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে।নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বার্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই কিশোরকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন (৪২) ওই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। হামলায় তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। পাশে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল হাতে থাকায় কোপ থেকে বাঁচেন, তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার মূল সূত্রপাত হয় বিয়ের যাত্রীবাহী একটি বাসকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা গ্রামের আলমগীরের মেয়ের বিয়ের বাসটি সিংগাইরের ইরতা কাশিমপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বাসে থাকা এক কিশোরীর থুতু এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে শুক্রবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন কিশোর এসে আলমগীরের বাড়ির সামনে সাউন্ড দিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। বাধা দিতে গেলে তারা আলমগীর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়।স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের মধ্যে দুই কিশোর—সিংগাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামের নীরব ও আপনকে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কাউকে আটক করিনি, স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।” অস্ত্র জব্দের বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার সামনেই ছেলেদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুরসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার (১৪ জুন) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও দুইজন।নিহতদের দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের একজন তামান্না আক্তার (২২), পিতা হাসেম আলী। অপরজন আমিনুল ইসলাম (৩৫)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে আমবোঝাই কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। ভোর ৩টার দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৫ জন নিহত হন।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এ সময় আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পদ্মা সেতুর ওপর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যাত্রীবাহী বাসের চালকসহ দুজন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে।নিহতদের একজন খুলনা সদর উপজেলার বাসিন্দা রকিব সমাদ্দার। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আহতদের মধ্যে রয়েছেন:গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির মিল্টন (২৫), নিহত রকিব সমাদ্দারের মেয়ে আয়শা সিদ্দিক (১০), খুলনা সদরের শেখ খালিদুর জামান, ফুলতলার মো. মামুন, আজাদ গাজী, মো. হাবিব শেখ, আরিফুল শেখ, হাবিব মৃধা, কামরুন্নাহার, ফরিয়াদ ইসলাম ।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ২ নম্বর পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাকের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে চালকের কেবিনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক এবং এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোরের আকাশ/হ.র