ছবি: সংগৃহীত
দুই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। আগামী জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। নাঈম জায়গা পেয়েছেন সৌম্য সরকারের পরিবর্তে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে আবার জাতীয় দলের দরজা খুলেছে তাঁর জন্য। ১১ ম্যাচে করেছিলেন ৬১৮ রান, যা ছিল এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদও। দীর্ঘদিন চোটে ভোগার পর এখন তিনি পুরোপুরি ফিট। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের এটিই হবে প্রথম সিরিজ। মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
সৌম্য সরকারকে দলে না রাখার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, পিঠের পুরোনো চোট থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছে টেস্ট সিরিজ খেলতে। প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পর ২৫ জুন শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর ২ জুলাই শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ, ম্যাচগুলো হবে কলম্বো ও পাল্লেকেলেতে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে দল: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশকে সিরিজ জিততে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে আজ কলম্বোতে মাঠে নামছে দুই দল।বুধবার (২৫ জুন) টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।এই ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। খেলতে পারেননি জ্বরের কারণে। তাকে জায়গা দিতে গিয়ে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন জাকের আলী অনিক। এছাড়া ইনজুরির জন্য দল থেকে বাদ পড়েছেন হাসান মাহমুদও। ভোরের আকাশ/জাআ
আগামী ২০২৬ সালের জুনে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবলের মহাকাব্যিক মহারণ, বিশ্বকাপ। এই আসরের আয়োজন হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। ইতোমধ্যে ১৩টি দেশসহ এশিয়ার ইরানও নিশ্চিত করেছে টিকিট। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক উত্তেজনা ইরানের বিশ্বকাপ অংশগ্রহণকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের দূরত্ব ও বৈরি সম্পর্ক নতুন নয়। বিশেষত ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে ইরানি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তাই ইরানের ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনো দেশের প্রতি বৈষম্য না করে বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা থাকলেও, ইতিহাসে রাজনৈতিক উত্তেজনায় বিশ্বকাপ থেকে দেশকে বহিষ্কার বা বাধা দেওয়া নজির রয়েছে।বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট তিনটি দেশে হওয়ায় ইরানের ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মেক্সিকো বা কানাডাতেও আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে ‘এ’ গ্রুপ, যেখানে খেলাগুলো মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত হবে, ইরানের জন্য একটি বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে ফিফা এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।২০২২ কাতার বিশ্বকাপে একই গ্রুপে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ইতোমধ্যে মাঠে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। এইবারও রাজনৈতিক সংকটের মাঝে ইরানের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ভবিষ্যৎ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।উল্লেখ্য, ফিফা ও উয়েফা অতীতেও যুদ্ধবিধ্বস্ত বা রাজনৈতিক কারণে কিছু দেশকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে, যেমন রাশিয়া ও বেলারুশ, যুগোস্লাভিয়া। এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের অবস্থান কেমন হবে, তা নিয়েই বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।ভোরের আকাশ//হ.র
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই ম্যাচে দু’টি বড় মাইলফলক স্পর্শের সুযোগ নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস।দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে থাকার পাশাপাশি লিটন বাংলাদেশের দশম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করবেন। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে অভিষেক করা লিটন এখন পর্যন্ত খেলেছেন মোট ৪৯টি টেস্ট। তার ব্যাটিং রেকর্ডও অসাধারণ; ৩৪.২৯ গড়ে করেছেন ২৮৮১ রান, যার মধ্যে আছে ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফসেঞ্চুরি।লিটনের আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০ বা তার বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটাররা হলেন— মুশফিকুর রহিম (৯৭), মুমিনুল হক (৭২), সাকিব আল হাসান (৭১), তামিম ইকবাল (৭০), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১), তাইজুল ইসলাম (৫৪), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩), হাবিবুল বাশার (৫০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫০)।তবে লিটনের আরেকটি মাইলফলক স্পর্শের সুযোগ রয়েছে—বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটরক্ষক ডিসমিসালের রেকর্ড অর্জন। বর্তমানে মুশফিকুর রহিম ও লিটনের মধ্যে এই রেকর্ড ভাগাভাগি হয়েছে। দু’জনেরই সমান ১১৩টি ডিসমিসাল (৯৮ ক্যাচ ও ১৫ স্টাম্পিং) রয়েছে, তবে লিটনের এই কৃতিত্ব এসেছে মাত্র ৪৯ ম্যাচে, যেখানে মুশফিক খেলেছেন ৯৭টি টেস্ট।তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ, যার ৪৪ ম্যাচে ৮৭টি ডিসমিসাল (৭৮ ক্যাচ ও ৯ স্টাম্পিং) রয়েছে। চার নম্বরে আছেন বর্তমান উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান, যিনি ১১ ম্যাচে করেছেন ৩৪টি ডিসমিসাল।বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা লিটনের সামনে থাকা এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দু’টি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস।দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে থাকলেই বাংলাদেশের দশম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিটন। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল লিটনের। অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৪ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।এরপর দেশের হয়ে সর্বমোট ৪৯ টেস্ট খেলেন লিটন। ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৪.২৯ গড়ে ২৮৮১ রান করেন তিনি। লিটনের আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ৯ জন ক্রিকেটার ৫০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন। তারা হচ্ছেন- মুশফিকুর রহিম (৯৭ ম্যাচ), মুমিনুল হক (৭২ ম্যাচ), সাকিব আল হাসান (৭১ ম্যাচ), তামিম ইকবাল (৭০ ম্যাচ), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১ ম্যাচ), তাইজুল ইসলাম (৫৪ ম্যাচ), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩ ম্যাচ), হাবিবুল বাশার (৫০ ম্যাচ) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫০ ম্যাচ)।এ ছাড়া বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের মালিক হওয়ার সুযোগ রয়েছে লিটনের সামনে। বর্তমানে সর্বোচ্চ ডিসমিসালে সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের পাশেই আছেন লিটন।দু’জনেরই সমান ১১৩টি করে ডিসমিসাল আছে। ডিসমিসালে ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিংয়েও একই কাতারে মুশফিক-লিটন। দু’জনই সমান ৯৮টি করে ক্যাচ এবং ১৫টি করে স্টাম্পড আউট করেছেন। তবে মুশফিকের চেয়ে ৪৮ ম্যাচ কম খেলেছেন লিটন। মুশফিক ৯৭ ও লিটন ৪৯ টেস্ট খেলেছেন।এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টেস্ট খেলা মাসুদ ৪৪ ম্যাচে ৮৭টি ডিসমিসাল আছে। এরমধ্যে ৭৮টি ক্যাচ এবং ৯টি স্টাম্পড আউট করেছেন বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের উইকেটরক্ষক মাসুদ। চতুর্থ স্থানে আছেন নুরুল হাসান। ১১ ম্যাচে ২৫টি ক্যাচ এবং ৯টি স্ট্যাম্পিংয়ে ৩৪ ডিসমিসাল আছে নুরুল হাসান সোহানের।ভোরের আকাশ/আজাসা