বাংলাদেশের বিপক্ষে আমিরাতের ঐতিহাসিক জয়
রোমাঞ্চকর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য এক বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে দলটি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই আমিরাতের প্রথম জয়। একই সঙ্গে এই প্রথমবার দুইশ রানের বেশি সংগ্রহ গড়েও হারলো বাংলাদেশ।
অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত সূচনা পায় আমিরাত। ৯.২ ওভারেই দলের স্কোর ছুঁয়ে ফেলে ১০০। মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়াসিম। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব আউট হলে ভাঙে ১০৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তানভীর ইসলাম। এরপর রিশাদ হোসেনের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। তবে ৬৪ রানে জীবন পাওয়া ওয়াসিম পরিস্থিতি সামলে নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানে থামেন তিনি।
শেষ ৩০ বলে আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। চাপের মুখে একাধিক উইকেট হারালেও শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১২ রান। হায়দার আলির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এক বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে আমিরাত।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরল। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রোমাঞ্চকর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য এক বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে দলটি।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই আমিরাতের প্রথম জয়। একই সঙ্গে এই প্রথমবার দুইশ রানের বেশি সংগ্রহ গড়েও হারলো বাংলাদেশ।অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত সূচনা পায় আমিরাত। ৯.২ ওভারেই দলের স্কোর ছুঁয়ে ফেলে ১০০। মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়াসিম। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব আউট হলে ভাঙে ১০৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তানভীর ইসলাম। এরপর রিশাদ হোসেনের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। তবে ৬৪ রানে জীবন পাওয়া ওয়াসিম পরিস্থিতি সামলে নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানে থামেন তিনি।শেষ ৩০ বলে আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রান। চাপের মুখে একাধিক উইকেট হারালেও শেষ ওভারে দরকার ছিল মাত্র ১২ রান। হায়দার আলির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এক বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে আমিরাত।এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরল। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে।ভোরের আকাশ//হ.র
বিশ্ব ফুটবলের চিরন্তন এক বিতর্ক যেন অবশেষে পেল নিষ্পত্তি। আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সংস্থা (IFFHS) এর র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, লিওনেল মেসিকেই বলা হয়েছে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। রোববার (১৮ মে) প্রকাশিত এই তালিকায় আর্জেন্টাইন জাদুকরের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ব্রাজিলের পেলে এবং আর্জেন্টিনার দিয়েগো ম্যারাডোনা।২০২২ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করার মাধ্যমে মেসি নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ধাপটিও জয় করেছিলেন। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি অর্জন করেন সেই একমাত্র ট্রফিটি, যা এতদিন তার ‘সর্বকালের সেরা’ তকমায় একধরনের সংশয় তৈরি করেছিল। এবার সেই বিতর্কেই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি টানল আইএফএফএইচএস।র্যাঙ্কিংয়ে মেসির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে রাখা হয়েছে চতুর্থ স্থানে। পাঁচ নম্বরে রয়েছেন ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ।তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন ব্রাজিলের আরেক কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিও। সপ্তমে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদান।অষ্টম স্থানটি দখল করেছেন জার্মান ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, নবমে রয়েছেন আলফ্রেডো ডি স্তেফানো, যিনি আর্জেন্টিনা ও স্পেন – উভয় দেশের হয়ে খেলেছেন। আর দশম স্থানটি দখল করেছেন ব্রাজিলিয়ান রোনালদিনিয়ো, যিনি ফুটবল বিশ্বে নিজের ভিন্নধর্মী স্টাইল এবং কারিশমায় জায়গা করে নিয়েছেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে।মেসির বিশ্বকাপ জয় অনেকটাই স্মরণ করিয়ে দেয় ১৯৮৬ সালের দিয়েগো ম্যারাডোনার ম্যাজিক। ম্যারাডোনা যেখানে ৫ গোল ও ৫ অ্যাসিস্টে ১০ গোলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, মেসিও ২০২২ বিশ্বকাপে রেখেছেন ৭ গোল ও ৩ অ্যাসিস্টে একই সংখ্যক গোল অবদানের ছাপ। ফলে, রেকর্ড দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতে ইতিহাস গড়েন এলএমটেন।মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠার পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায় তাকে সর্বকালের সেরা বলে মান্যতা দেওয়া। এবার সেই স্বীকৃতি এলো পরিসংখ্যান নির্ভর সংস্থা আইএফএফএইচএসের কাছ থেকেও। যদিও ফুটবল ভক্তদের মধ্যে ব্যক্তিগত পছন্দ ও দলীয় পক্ষপাতিত্ব সব সময়ই থাকবে, তথাপি পরিসংখ্যান ও অর্জনের বিচারে এই তালিকা এক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ//হ.র
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে দুটি ৪ দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের ইমার্জিং দল। এই দুই ম্যাচের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।ঘোষিত দলে রয়েছেন ওয়ানডে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করা রাকিবুল হাসান, ওয়াসি সিদ্দিকীরা। সাথে মারুফ মৃধা, রিপন মন্ডলের মতো নিয়মিত পারফর্মাররাও। আরও সুযোগ পেয়েছেন ইফতেখার ইফতি, আশিকুর রহমান শিবলি, আইচ মোল্লা ও প্রীতম কুমাররা।আগামীকাল ২০ মে চট্টগ্রামে শুরু হবে প্রথম চার দিনের ম্যাচ। ২৭ মে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের ভেন্যু মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এর আগে সফরকারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ ইর্মাজিং দল।বাংলাদেশ ইমার্জিং স্কোয়াডশাহাদাত হোসেন দিপু (অধিনায়ক), ইফতেখার ইফতি, আশিকুর রহমান শিবলি, চৌধুরী রিজওয়ান, আরিফুল ইসলাম, আইচ মোল্লা, প্রীতম কুমার, মঈন খান, শফিকুল ইসলাম, ওয়াসি সিদ্দিকী, রাকিবুল হাসান, নাঈম আহমেদ, মারুফ মৃধা, রিপন মন্ডল ও মেহেদী হাসান।ভোরের আকাশ/জাআ
যারা জিতবে, তারা উঠবে প্লে-অফে। যারা হারবে, তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়বে। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্স ও পেশোয়ার জালমির এমন সমীকরণ লড়াইটিকে ‘অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল’ বানিয়ে ফেলে। এমন এক ম্যাচ দিয়েই দুই বছর পর পাকিস্তান সুপার লিগে প্রত্যাবর্তন সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে নিয়েই আজ ম্যাচটি খেলেছে লাহোর কালান্দার্স। আর পেশোয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ খেলা। অবশ্য প্রথম এলিমিনেটরে খেলতে হবে লাহোরকে।দুই বছর পর পিএসএলে সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি হতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ধূলি-ঝড় ও পরে বজ্র-বৃষ্টিতে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর যখন খেলা শুরু হলো ম্যাচটি হয়ে গেছে ১৩ ওভারের।টসে জিতে সাকিবের লাহোরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পেশোয়ার। লাহোর ১৩ ওভারে করে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পেশোয়ার ১৩ ওভারে করতে পারে ৮ উইকেটে ১২৩ রান। সাতে নেমে ১৪ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ড্যানিয়েল স্যামস। নয়ে নেমে ১৪ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আহমেদ দানিয়াল। সাকিব ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। এর আগে লাহোরের ওপেনার ফখর জামান ৩৬ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৬০ রান। সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন ১১তম ওভারে। তবে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছেন এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।পেশোয়ার পেসার আহমেদ দানিয়ালকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সাকিব। স্লোয়ার বলটিতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৫ ম্যাচের পিএসএল ক্যারিয়ারে এই প্রথম শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব। সব মিলিয়ে ৪৪৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩১তম বার শূন্যের দেখা পেলেন প্রায় ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব।মোস্তাফিজদের ১০ উইকেটে হারিয়ে বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাবকে নিয়ে প্লে–অফে গুজরাটবল হাতে সাকিব প্রথম আক্রমণে আসেন পঞ্চম ওভারে। আগের ৪ ওভারে ৩৫ রান তোলা পেশোয়ার সাকিবের সেই ওভারে নিতে পারে মাত্র ৫ রান। বাবর আজম ও মাজ সাদাকাতরা ৫টি সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন সাকিবের ওভার থেকে। দশম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে অবশ্য ১৩ রান দিয়েছেন সাকিব। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুটি ছক্কা মারেন আহমেদ দানিয়াল।১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করল লাহোর। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেশোয়ারের।ভোরের আকাশ//হ.র