মোস্তাফিজদের ১০ উইকেটে হারিয়ে প্লে–অফে গুজরাট
আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটানস। এই জয়ে শুবমান গিলের দল ছাড়াও প্লে–অফ নিশ্চিত হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসের।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি ক্যাপিটালস ৩ উইকেটে তোলে ১৯৯ রান। লোকেশ রাহুল ৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। এটি তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তবে বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি—কোনো ব্যাটারই ৩০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি।
জবাবে গুজরাট শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। ওপেনার সাই সুদর্শন ৬১ বলে ১০৮ ও অধিনায়ক শুবমান গিল ৫৩ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে মাত্র ১৯ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান। গুজরাট কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচটি জিতে নেয়। সুদর্শনের এটি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি, যা তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
এই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করা বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে বেশ কষ্ট করেছেন। তিনি ৩ ওভারে ২৪ রান দেন, কিন্তু কোনো উইকেট পাননি। তাঁর ওভারগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও উইকেটশূন্য পারফরম্যান্স দিল্লির ব্যর্থতার একটি প্রতিচ্ছবি।
এই জয়ে গুজরাট নিশ্চিত করে দিল্লির বিদায় ও নিজেদের অগ্রযাত্রা, সঙ্গে উপকৃত হয় বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাবও।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
যারা জিতবে, তারা উঠবে প্লে-অফে। যারা হারবে, তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়বে। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্স ও পেশোয়ার জালমির এমন সমীকরণ লড়াইটিকে ‘অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল’ বানিয়ে ফেলে। এমন এক ম্যাচ দিয়েই দুই বছর পর পাকিস্তান সুপার লিগে প্রত্যাবর্তন সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে নিয়েই আজ ম্যাচটি খেলেছে লাহোর কালান্দার্স। আর পেশোয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ খেলা। অবশ্য প্রথম এলিমিনেটরে খেলতে হবে লাহোরকে।দুই বছর পর পিএসএলে সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি হতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল সংশয়। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ধূলি-ঝড় ও পরে বজ্র-বৃষ্টিতে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর যখন খেলা শুরু হলো ম্যাচটি হয়ে গেছে ১৩ ওভারের।টসে জিতে সাকিবের লাহোরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পেশোয়ার। লাহোর ১৩ ওভারে করে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পেশোয়ার ১৩ ওভারে করতে পারে ৮ উইকেটে ১২৩ রান। সাতে নেমে ১৪ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ড্যানিয়েল স্যামস। নয়ে নেমে ১৪ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন আহমেদ দানিয়াল। সাকিব ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। এর আগে লাহোরের ওপেনার ফখর জামান ৩৬ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ৬০ রান। সাকিব ব্যাটিংয়ে নামেন ১১তম ওভারে। তবে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছেন এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।পেশোয়ার পেসার আহমেদ দানিয়ালকে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সাকিব। স্লোয়ার বলটিতে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৫ ম্যাচের পিএসএল ক্যারিয়ারে এই প্রথম শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব। সব মিলিয়ে ৪৪৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩১তম বার শূন্যের দেখা পেলেন প্রায় ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব।মোস্তাফিজদের ১০ উইকেটে হারিয়ে বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাবকে নিয়ে প্লে–অফে গুজরাটবল হাতে সাকিব প্রথম আক্রমণে আসেন পঞ্চম ওভারে। আগের ৪ ওভারে ৩৫ রান তোলা পেশোয়ার সাকিবের সেই ওভারে নিতে পারে মাত্র ৫ রান। বাবর আজম ও মাজ সাদাকাতরা ৫টি সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন সাকিবের ওভার থেকে। দশম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে অবশ্য ১৩ রান দিয়েছেন সাকিব। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুটি ছক্কা মারেন আহমেদ দানিয়াল।১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করল লাহোর। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেশোয়ারের।ভোরের আকাশ//হ.র
স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন ব্রাজিলিয়ান তারকা লুকাস পাকেতা। ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার এখন চরম মানসিক চাপে রয়েছেন। অভিযোগ তদন্তে বিলম্ব এবং অনিশ্চয়তার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি—এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবের কোচ গ্রাহাম পটার।ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)-এর তদন্তে চারটি পৃথক ঘটনায় পাকেতার বিরুদ্ধে স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হলুদ কার্ড দেখেছেন এবং তা নিয়ে বাজি ধরা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার পেশাদার ক্যারিয়ার চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে।তবে তদন্তের অগ্রগতি খুবই ধীর, যা পাকেতার মানসিক অবস্থা আরও খারাপ করে তুলছে। কোচ গ্রাহাম পটার জানান, সম্প্রতি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এবং ম্যাচ চলাকালীন পাকেতা অসুস্থ অনুভব করেন। পটার বলেন, “এই সপ্তাহটা তার জন্য খুব কঠিন ছিল। মানসিক চাপ থেকে সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ইউনাইটেড ম্যাচে তাকে খেলানো হয়নি। তবে সে এখন অনুশীলনে ফিরেছে এবং দলের হয়ে মাঠে ফিরতে চায়। আমরা সপ্তাহান্তে তাকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা বিবেচনা করছি।”এর আগে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার পর মাঠেই কেঁদে ফেলেন পাকেতা। ম্যাচ শেষে সেই কান্না সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। পরে পাকেতার স্ত্রী মারিয়া এডুয়ার্দা ফর্নিয়ের ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আমাদের পরিবার এক দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।”অভিযোগের গুরুত্ব ও এর প্রভাব নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে—এত বড় একটি অভিযোগে তদন্ত কেন এত ধীরগতিতে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি বিবেচনায় না নিলে এমন পরিস্থিতি আরও অনেক প্রতিভাবান ফুটবলারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে।এদিকে, লুকাস পাকেতা কতটা ফিট তা নিয়ে সংশয় থাকলেও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড আগামী রোববার ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগ ২০২৪-২৫ মৌসুমের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নটিংহ্যাম ফরেস্টের।তবে ম্যাচের চেয়েও বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে—লুকাস পাকেতার ফুটবলে ফিরে আসার সম্ভাবনা, না কি নিষিদ্ধ হওয়ার দুঃস্বপ্ন বাস্তব হবে? তার ভাগ্য এখন নির্ভর করছে তদন্তের পরবর্তী সিদ্ধান্তের ওপর।ভোরের আকাশ//হ.র
আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে গুজরাট টাইটানস। এই জয়ে শুবমান গিলের দল ছাড়াও প্লে–অফ নিশ্চিত হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংসের।দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি ক্যাপিটালস ৩ উইকেটে তোলে ১৯৯ রান। লোকেশ রাহুল ৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। এটি তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তবে বাকিরা সুবিধা করতে পারেননি—কোনো ব্যাটারই ৩০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি।জবাবে গুজরাট শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। ওপেনার সাই সুদর্শন ৬১ বলে ১০৮ ও অধিনায়ক শুবমান গিল ৫৩ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে মাত্র ১৯ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যান। গুজরাট কোনো উইকেট না হারিয়েই ম্যাচটি জিতে নেয়। সুদর্শনের এটি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি, যা তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস।এই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করা বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে বেশ কষ্ট করেছেন। তিনি ৩ ওভারে ২৪ রান দেন, কিন্তু কোনো উইকেট পাননি। তাঁর ওভারগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও উইকেটশূন্য পারফরম্যান্স দিল্লির ব্যর্থতার একটি প্রতিচ্ছবি।এই জয়ে গুজরাট নিশ্চিত করে দিল্লির বিদায় ও নিজেদের অগ্রযাত্রা, সঙ্গে উপকৃত হয় বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাবও।ভোরের আকাশ//হ.র
টাইব্রেকার মানেই স্নায়ুযুদ্ধ। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের ফাইনালের টাইব্রেকার ছিল বেশ নাটকীয়তাপূর্ণ। বাংলাদেশ টাইব্রেকারের এক পর্যায়ে লিড নিয়েছিল। ভারত তাদের তৃতীয় শট পর্যন্ত এক গোলে পিছিয়ে ছিল। বাংলাদেশ চতুর্থ ও পঞ্চম শট মিস করে। ভারত চতুর্থ ও শেষ শটে গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফ শিরোপা জিতেছে।ভারতের অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রোববার (১৮ মে) স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। খেলার শুরুতেই লিড নেয় ভারত। তবে তাতে ভীত না হয়ে স্বাগতিকদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে থাকে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সমতা ফেরায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। ম্যাচের প্রথম মিনিটে বাংলাদেশ গোল হজম করে। ফ্রী কিকে ভারতের ফুটবলারের শট বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন ফ্লাইট মিস করেন। এই গোলে বাংলাদেশের গোলরক্ষকের দায় অনেক। প্রথমার্ধে ভারত বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পায়। তবে রক্ষণের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ গোল হজমে করেনি। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ ম্যাচে সমতা আনে। ৬২ মিনিটে জয় আহমেদ জটলার মধ্যে গোল করেন। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ভারতের একটি শট গোললাইন সেভ করে বাংলাদেশ।সাফের বয়সভিত্তিক খেলায় নকআউটে অতিরিক্ত সময় সাধারণত থাকে না। যার ফলে খেলা গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে বাংলাদেশ প্রথমে শট নেয়। মিঠুর চৌধুরি গোল করে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন। ভারতও প্রথম শটে গোল করে। দ্বিতীয় শটে মুর্শেদ আলী গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ভারতের দ্বিতীয় শট বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন হোসেন সেভ করেন। নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশের গোলদাতা জয় আহমেদ তৃতীয় শটে গোল করলে টাইব্রেকারে স্কোর লাইন দাড়ায় ৩-১। বাংলাদেশ শিরোপার প্রায় দোরগোড়ায়। কিন্তু তখনও যে নাটকীয়তা বাকি। ভারত তৃতীয় শটে গোল করে ব্যবধান ৩-২ করে। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ শট নিতে যান অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। যিনি পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছেন। নিজে তিন গোল করেছেন আবার করিয়েছেন একাধিক। তার নেয়া শট পোস্টের উপর দিয়ে যায়। বাংলাদেশ খানিকটা চাপে পড়ে।চতুর্থ শটে ভারত গোল করে ম্যাচে ৩-৩ এ সমতা আনে। পঞ্চম ও শেষ শট নেন শাহীন আহমেদ। তার নেয়া শট ভারতের গোলরক্ষক আটকে দেন। তখনই বাংলাদেশের পরাজয়ের শঙ্কা ভর করে। কারণ পঞ্চম ও শেষ শটে ভারত গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহিন ভারতের শেষ শট আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তাতে ভারত শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে। ভোরের আকাশ/এসআই