ফুটবলার থেকে বিসিবি সভাপতি: বুলবুলকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত সাবেক ফুটবলাররা
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ক্রিকেট প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। তবে অনেকেই জানেন না, বুলবুলের ক্রীড়াজীবনের শুরুটা হয়েছিল ফুটবল দিয়ে। সেই সময়কার সতীর্থ ও সাবেক ফুটবলাররা বুলবুলের এই অর্জনে ভীষণ আনন্দিত এবং গর্বিত।
ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় বেড়ে ওঠা বুলবুল আশির দশকে ফুটবল খেলায় বেশ সরব ছিলেন। গেন্ডারিয়া ফেমাস, ইস্ট এন্ড ক্লাব হয়ে পরবর্তীতে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ভিক্টোরিয়ার হয়ে ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মামুন বাবু বলেন, “বুলবুল আমাদের এলাকার পরবর্তী প্রজন্মের খেলোয়াড়। খুব ভালো ফুটবলার ছিল। বিশেষ করে গোল করার দারুণ দক্ষতা ছিল তার।”
তবে ইনজুরির কারণে ফুটবল ছাড়তে হয় বুলবুলকে। মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়ার এক ম্যাচে চোট পান তিনি। সেই সময় মোহামেডানের হয়ে খেলা সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক জানান, “আমি একটা ট্যাকেল করেছিলাম, তাতেই সে ব্যথা পায়। এরপর আর মাঠে ফিরতে পারেনি ফুটবলে, মনোযোগ দেয় ক্রিকেটে।”
ফুটবল ছেড়ে ক্রিকেটে এসে বুলবুল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ অভিযানে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। ২০০০ সালে দেশের অভিষেক টেস্ট ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। খেলা ছাড়ার পর ক্রিকেট উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও আইসিসিতে।
তবে ফুটবল ছাড়লেও ফুটবলারদের সংস্পর্শ ছাড়েননি বুলবুল। বিভিন্ন সময়ে দেশে এলে জাতীয় স্টেডিয়ামে দেখা গেছে তাকে। সাবেক সতীর্থ ও বাফুফে সদস্য গোলাম গাউস বলেন, “আমাদের সময় ক্রিকেটার, ফুটবলার, হকি খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক এখনো টিকে আছে, বুলবুল তার অন্যতম উদাহরণ।”
বিশেষ করে মোহামেডানের সঙ্গে বুলবুলের সম্পর্ক ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। মোহামেডানের সাবেক গোলরক্ষক ও বাফুফে সদস্য ছাইদ হাসান কানন বলেন, “আমরা ফুটবল খেলতাম, বুলবুলরা ক্রিকেট। ফুটবল ছাড়লেও মোহামেডানের খেলা দেখতে নিয়মিত আসত। সিনিয়র ফুটবলারদের প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিল, তাই সবার কাছ থেকে বাড়তি ভালোবাসা পেত।”
সাবেক ফুটবলার বিসিবির সভাপতি হওয়ায় দেশের ফুটবল অঙ্গনেও বইছে আনন্দের জোয়ার। সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন ‘সোনালী অতীত’ বুলবুলকে সম্মাননা জানানোর পরিকল্পনা করছে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বিশ্বক্রিকেটে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে রইল ক্রিকেট বিশ্ব। টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু একটি ম্যাচ জেতেনি, তারা জিতেছে এক শতাব্দীর শেকল ছেঁড়া আত্মবিশ্বাসের লড়াই। যে দেশ ২১ বছর ধরে বর্ণবাদের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল, যে দলের নামের সঙ্গে ‘চোকার্স’ শব্দটি অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছিল, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা আজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লর্ডসে এই জয় শুধুই একটা ট্রফি নয়, এটি একটি প্রজন্মের অজস্র হতাশা, অবজ্ঞা আর অবিচারের জবাব। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হওয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮২ রান তাড়া করে জয় তুলে নেয় এবং এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক ও তার সঙ্গীরা।বর্ণবাদের অতীত থেকে শিখরে ওঠার লড়াই : ১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্বাসনে পাঠায় অ্যাপার্থেইড নীতির কারণে। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত করায় দীর্ঘ ২১ বছর তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকতে হয়। ১৯৯১ সালে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেলেও তাদের পথ সহজ ছিল না। এরপর ১৯৯৮ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপে বারবার ব্যর্থতা তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। ৯৯-এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সেই স্মরণীয় রানআউট, ২০০৭, ২০১৫ বা ২০১৯ বারবার দক্ষিণ আফ্রিকা হোঁচট খেয়েছে বড় মঞ্চে। তাতে তকমা জোটে ‘চোকার্স’ মানসিকভাবে ভেঙে পড়া দল, যাদের সাহস নেই চাপ নেওয়ার।সেই চোকার্সরা এবার সত্যিই চ্যাম্পিয়ন : কিন্তু এইবারের দল ছিল আলাদা। মাঠে এক অনমনীয় সংকল্পের নাম ছিল টেম্বা বাভুমা। তার উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে তিনি আজ একজন দৈত্য। ২০১৪ সালে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হন। ২০২১ সালে হন দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার রেকর্ড ঈর্ষণীয় ১০ ম্যাচে ৯ জয়। এই ম্যাচে চোট পেয়েও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেছেন, কামিন্স-স্টার্কদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। পাশে ছিলেন এডেন মার্করাম, যিনি টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শতরান করে জয় এনে দিয়েছেন। মার্করাম প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই ফিরলেন বীরত্বে মোড়া ১৩৬ রানের ইনিংস নিয়ে। বাভুমা ও মার্করামের জুটির উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা এক ঐতিহাসিক রান তাড়ায় সফল হয়।আবেগে ভাসলেন কিংবদন্তিরা : প্রাক্তন তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে কেঁদে ফেলবেন। সেই কথাই সত্যি হলো। গ্যালারিতে চোখে জল, মুখে হাসি স্মিথ, ডিভিলিয়ার্সদের মুখে ধরা পড়ল সেই স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। একটি ট্রফির জন্য এতটা দীর্ঘ অপেক্ষা, এতটা সংগ্রাম এই জয় শুধু ক্রিকেট নয়, এটা একটি জাতির শেকলভাঙার কাহিনী।ইতিহাসের পুনর্লিখন : দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট শুরু হয়েছিল ১৮৮০ সালে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর তারাই তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্ট খেলেছিল। ১৯৯২ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলে তারা প্রত্যাবর্তন করেছিল। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা। অবশেষে, ২০২৫ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রমাণ করল তারা আর চোকার্স নয়, তারা চ্যাম্পিয়ন। আর সেই শিরোপার মুকুট পরিয়ে দিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ নেতা টেম্বা বাভুমা। যে লর্ডসে একসময় খেলতে সুযোগ পেতেন না, সেই লর্ডসে গতকাল তার নেতৃত্বেই ইতিহাস লিখল দক্ষিণ আফ্রিকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
লর্ডসের সবুজ গালিচায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ব্যাট হাতে যেন ইতিহাসই লিখে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম। কঠিন উইকেটেও অসাধারণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক শিরোপার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন তিনি। সঙ্গী অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও খেলছেন আস্থার প্রতীক হয়ে।অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ২১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এখন জয়ের জন্য প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান। অপরাজিত রয়েছেন মার্করাম (১০২) ও বাভুমা (৬৫)।প্রথম দুই দিনে যেখানে ২৮টি উইকেট পড়েছিল, সেখানে তৃতীয় দিনে প্রোটিয়া ব্যাটারদের এমন দৃঢ়তা চমকে দিয়েছে সবাইকে। এক সময় যেখানে মনে হচ্ছিল এই উইকেটে রান করাই অসম্ভব, সেখানেই দৃঢ়তা আর মেজাজে অজি বোলারদের জবাব দিয়েছেন এই দুই ব্যাটার।দিনের শুরুতে প্রোটিয়ারা অবশ্য ভালো শুরু পায়নি। ওপেনার রায়ান রিকেল্টন মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে গেলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৯ রানে। এরপর উইয়ান মুল্ডার কিছুটা সময় মার্করামের সঙ্গে জুটি গড়েন। ৫০ বলে ২৭ রান করে স্টার্কের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মুল্ডার।সেখান থেকে শুরু মার্করাম-বাভুমা ম্যাজিক। অজি বোলারদের সামনে একরকম প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান দুজন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে এসেছে ১৪৩ রান। ২৩২ বল স্থায়ী এ পার্টনারশিপেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।মার্করাম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হ্যাজেলউডকে চার মেরে। এটি তার ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট শতক। ইনিংসটি সাজানো ১১টি বাউন্ডারিতে। বাভুমাও অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে, ১২৫ বল মোকাবিলায় ৫টি চার মেরে।এর আগে দিনের শুরুতে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্রুতই আউট হয়ে যান লায়ন। এরপর স্টার্ক ও হ্যাজেলউড শেষ উইকেটে ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। স্টার্ক করেন ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত মার্করামের বলে হ্যাজেলউড আউট হলে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করে ২১২ রান, জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৩৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় অজি শিবির। এখন ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আর মাত্র ৬৯ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। ভোরের আকাশ/হ.র
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের দক্ষতা ও ধারাবাহিকতায় নজর কাড়া পাকিস্তানের ব্যাটার বাবর আজম এবার নাম লিখিয়েছেন নতুন ঠিকানায়। অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশে প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছেন তিনি। সিডনি সিক্সার্স দলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটার।বিগ ব্যাশের নিয়ম অনুযায়ী, প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে প্রত্যেক দল একজন করে বিদেশি খেলোয়াড়কে সরাসরি চুক্তিতে নিতে পারে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ড্রাফটের আগেই বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করেছে তারা। শুক্রবার (১৩ জুন) সামাজিক মাধ্যমে এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করে সিক্সার্স।৩০ বছর বয়সী বাবর নিজেও এক বিবৃতিতে এই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ, এমন সফল একটি দলের অংশ হতে পারাটা দারুণ সম্মানের। আমি দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে, সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং আমার দেশের ভক্তদের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে মুখিয়ে আছি।”এখন পর্যন্ত বাবর আজম খেলেছেন ৩২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, রান করেছেন ১১ হাজার ৩৩০ — স্ট্রাইক রেট ১২৯.৩৩। ক্যারিয়ারে রয়েছে ১১টি সেঞ্চুরি ও ৯৩টি অর্ধশতক।সিডনির হয়ে বাবরের সম্ভাব্য সতীর্থদের মধ্যে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং তারকা স্টিভ স্মিথও।এদিকে বাবর ছাড়াও পাকিস্তানের আরও চার ক্রিকেটার— শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান— এবারের বিগ ব্যাশে দল পেতে পারেন। তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে ড্রাফটে। ভোরের আকাশ/হ.র
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে শুরু হচ্ছে বহুল আলোচিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫। টুর্নামেন্টটির প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৫ জুন) ভোর ৬টায়। এবারের আসরটি হচ্ছে নজিরবিহীনভাবে ৩২টি দলের অংশগ্রহণে, যা নতুন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে এই ফরম্যাট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার অংশ নিচ্ছে ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার সেরা ক্লাবগুলো। অংশগ্রহণকারী ৩২টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতি গ্রুপে থাকছে ৪টি করে দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল উঠবে দ্বিতীয় রাউন্ডে, যেখানে শুরু হবে নকআউট পর্বের উত্তেজনাকর লড়াই।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি শহরে আয়োজিত হবে এই প্রতিযোগিতার সবগুলো ম্যাচ। আসরের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জুলাই, নিউ জার্সির ঐতিহাসিক মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে একই মঞ্চে দেখতে ফুটবল অনুরাগীদের মাঝে বিরাজ করছে প্রবল উত্তেজনা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, আফ্রিকার আল আহলি, এশিয়ার আল হিলালসহ অনেক পরিচিত দল অংশ নিচ্ছে এবারের টুর্নামেন্টে।প্রথমবারের মতো সাতটি দেশ ক্লাব বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য এক নতুন ইতিহাস।ফুটবল ভক্তদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে এক মাসব্যাপী দারুণ রোমাঞ্চের উপলক্ষ।এক নজরে অংশগ্রহণকারী দলসমূহইউরোপম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বেনফিকা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, জুভেন্টাস, রেড বুল সালজবুর্গ, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদওশেনিয়াঅকল্যান্ড সিটি (অস্ট্রেলিয়া)দক্ষিণ আমেরিকাপালমেইরাস, ফ্ল্যামেঙ্গো, ফ্লুমিনেন্স, রিভার প্লেট, বোকা জুনিয়র্স, বোটাফোগোউত্তর আমেরিকামন্টেরে, সিয়াটল সাউন্ডার্স, পাচুকা, ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র, আয়োজক দেশের কোটায়), লস অ্যাঞ্জেলস এফসিআফ্রিকাআল আহলি, উইদাদ, এস্পেরান্স দে তিউনিস, মামেলোদি সান্ডাউনসএশিয়াআল হিলাল, উরওয়া রেড ডায়মন্ডস, আল আইন, উলসান এইচডিগ্রুপ পর্বের পূর্ণাঙ্গ সূচি১৫ জুন-আল আহলি-ইন্টার মায়ামি-ভোর ৬টা১৫ জুন-বায়ার্ন মিউনিখ-অকল্যান্ড সিটি-রাত ১০টা১৬ জুন-পিএসজি-অ্যাথলেটিকো-রাত ১টা১৬ জুন=পালমেইরাস- পোর্তো-রাত ৪টা১৬ জুন-বোতাফোগো- সিয়াটেল সাউন্ডার্স-সকাল ৮টা১৭ জুন-চেলসি-এলএএফসি-রাত ১টা১৭ জুন-বোকা জুনিয়র্স- বেনফিকা-রাত ৪টা১৭ জুন-ফ্ল্যামেঙ্গো- তিউনিস-ভোর ৭টা১৮ জুন-রিভার প্লেট-রেড ডায়মন্ডস=রাত ১টা১৮ জুন-উলসান এইচডি- মামেলোডি সানডাউনস-রাত ৪টা১৮ জুন-ইন্টার মিলান- মন্টেরে-ভোর ৭টা১৮ জুন-ম্যানসিটি- ওয়াইদাদ এসি-রাত ১০টা১৯ জুন-রিয়াল মাদ্রিদ-আল হিলাল-রাত ১টা১৯ জুন-পাচুকা-সালজবার্গ-রাত ৪টা১৯ জুন-আল আইন- জুভেন্টাস-ভোর ৭টা১৯ জুন-পালমেইরাস-আল আহলি-রাত ১০টা২০ জুন-ইন্টার মায়ামি- পোর্তো-রাত ১টা২০ জুন-অ্যাথলেটিকো-সিয়াটেল সাউন্ডার্স-রাত ৪টা২০ জুন-পিএসজি- বোতাফোগো-ভোর ৭টা২০ জুন-বেনফিকা- অকল্যান্ড সিটি-রাত ১০টা২১ জুন-চেলসি-ফ্ল্যামেঙ্গো-রাত ১২টা২১ জুন-তিউনিস-এলএএফসি-রাত ৪টা২১ জুন-বায়ার্ন মিউনিখ- বোকা জুনিয়র্স-ভোর ৭টা২১ জুন-ডর্টমুন্ড- মামেলোডি সানডাউনস-রাত ১০টা২২ জুন-ইন্টার মিলান- রেড ডায়মন্ডস-রাত ১টা২২ জুন-ফ্লুমিনেন্স- উলসান-রাত ৪টা২২ জুন-রিভার প্লেট- মন্টেরে-ভোর ৭টা২২ জুন-জুভেন্টাস-ওয়াইদাদ এসি-রাত ১০টা২৩ জুন-রিয়াল মাদ্রিদ- পাচুকা-রাত ১টা২৩ জুন-সালজবার্গ-আল হিলাল-রাত ৪টা২৩ জুন-ম্যানসিটি- আল আইন-ভোর ৭টা২৪ জুন-পিএসজি- সিয়াটেল সাউন্ডার্স-রাত ১টা২৪ জুন-বোতাফোগো-অ্যাথলেটিকো-রাত ১টা২৪ জুন-আল আহলি-পোর্তো-ভোর ৭টা২৪ জুন-পালমেইরাস-ইন্টার মায়ামি-ভোর ৭টা২৫ জুন-অকল্যান্ড সিটি-বোকা জুনিয়র্স-রাত ১টা২৫ জুন-বায়ার্ন মিউনিখ-বেনফিকা-রাত ১টা২৫ জুন-চেলসি-তিউনিস-ভোর ৭টা২৫ জুন-ফ্ল্যামেঙ্গো-এলএএফসি-ভোর ৭টা২৬ জুন-ডর্টমুন্ড-উলসান-রাত ১টা২৬ জুন-ফ্লুমিনেন্স-মামেলোডি সানডাউনস-রাত ১টা২৬ জুন-রেড ডায়মন্ডস-মন্টেরে-ভোর ৭টা২৬ জুন-ইন্টার মিলান- রিভার প্লেট-ভোর ৭টা২৭ জুন-জুভেন্টাস-ম্যানসিটি-রাত ১টা২৭ জুন-আল আইন-ওয়াইদাদ-রাত ১টা২৭ জুন-আল হিলাল-পাচুকা-ভোর ৭টা২৭ জুন-রিয়াল মাদ্রিদ-সালজবার্গ-ভোর ৭টা ভোরের আকাশ/হ.র