সংশ্লিষ্ট
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে আসছে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এটি হতে যাচ্ছে এনটিআরসিএর ছয় নম্বর গণবিজ্ঞপ্তি, যা দেশের শিক্ষা খাতে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় নিয়োগ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগামী সোমবার (১৭ জুন) এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। তবে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ২২ জুন থেকে। বিজ্ঞপ্তির খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে এবং কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যা না হলে নির্ধারিত সময়েই এটি প্রকাশ করা হবে।এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এবার শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের জন্য বড় সুযোগ থাকলেও কিছু শর্ত থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। এছাড়া, যাদের নিবন্ধন সনদ তিন বছরের বেশি সময় আগে ইস্যু হয়েছে, তারাও এবারের নিয়োগের বাইরে থাকবেন।এই প্রসঙ্গে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, “আমরা বয়সসংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলি এবং এমপিও নীতিমালার বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”এই নিয়োগ কার্যক্রমে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পদের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।আগ্রহী প্রার্থীদের এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই বৈধ নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে এবং বয়সসীমা হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হবে এনটিআরসিএর নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে, যাতে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই, প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও স্বয়ংক্রিয় সুপারিশ প্রক্রিয়া যুক্ত থাকবে।উল্লেখ্য, এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যেটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন ও সুপারিশ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মূল লক্ষ্য হলো যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশে আবারও বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২২ ক্যারেট মানের সোনার নতুন দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৮ টাকা। নতুন এ মূল্য আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে কার্যকর হবে।শনিবার (১৪ জুন) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার নতুন দামের ঘোষণা দেয়।সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে পরিশোধিত সোনার (তেজাবি সোনা) মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এর আগে, চলতি মাসের ৫ তারিখেও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেসময় ২২ ক্যারেটের সোনার দাম প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।তবে, রুপার দামে এ সময় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের নির্ধারিত মূল্যেই রূপা বিক্রি হচ্ছে। ভোরের আকাশ/হ.র
ইরানের হামেদান প্রদেশের আসাদাবাদ শহরে ড্রোন হামলায় শহরের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ও এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যার মধ্যে রয়েছে আনাদুলু এজেন্সিও।নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জননিরাপত্তা পুলিশের প্রধান মেজর হাবিবুল্লাহ আকবারিয়ান এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট আমির সাইফি।প্রদেশটির পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন নাজাফি জানিয়েছেন, দুই কর্মকর্তা গোয়েন্দা ও নজরদারি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় ড্রোন হামলার শিকার হন।শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল একযোগে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায়। লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার। এতে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী নিহত হন।জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশনের তথ্যমতে, হামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন।জবাবে শুক্রবার রাতেই ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় নিক্ষেপ করে। এতে ইসরায়েলে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৭০ জন।চলমান এ পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও দুই দেশ এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
চলমান তাপপ্রবাহের মাঝে দেশের কিছু এলাকায় সাময়িক স্বস্তি এনেছে বৃষ্টিপাত। তবে গরমের প্রকোপ এখনো কাটেনি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার (১৬ জুন) থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দেশের আটটি বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।শনিবার (১৪ জুন) এক সতর্কবার্তায় এ পূর্বাভাস জানানো হয়। একই সঙ্গে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পাহাড়ি জেলাগুলোতে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও রয়েছে।আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার ফলে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারি (প্রতিদিন ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (প্রতিদিন ৮৮ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টিপাত হতে পারে।বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।এছাড়া, বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশে ডেঙ্গু ও করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৬৯ জন ডেঙ্গুরোগী। করোনা শনাক্তের সর্বাত্মক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এর মাঝেও গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৭ জন করোনা রোগী।শনিবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে।এছাড়া, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৫, (সিটি করপোরেশন বাদে) চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮ জনও ঢাকা বিভাগে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৯ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু করোনা প্রতিরোধ-সংক্রান্ত তৎপরতা প্রায় নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার তথ্য সংগ্রহ-সংক্রান্ত কাজও ঢিমেতালে চলছে। রাজধানীর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল ছাড়া দেশের কোথাও করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তের ব্যবস্থা নেই। রয়েছে কীটের তীব্র সংকট। নমুনা পরীক্ষার সুব্যবস্থা থাকলে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার অনেকগুণ বেশি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ জুন থেকে। এবার দেশের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন এবং ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন।শনিবার (১৪ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।গত বছর পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন। সে হিসাবে এবারের পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৮১ হাজার ৮৮২ জন। আসন্ন পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে শিক্ষাবোর্ড কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। নির্দেশনাগুলো হলো:১. করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে।২. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ৩. ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।৪. পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। ৫. সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।৬. সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।৭. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।৯. পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।১০. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।১১. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।১২. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। ভোরের আকাশ/হ.র
বিশ্বক্রিকেটে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে রইল ক্রিকেট বিশ্ব। টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা শুধু একটি ম্যাচ জেতেনি, তারা জিতেছে এক শতাব্দীর শেকল ছেঁড়া আত্মবিশ্বাসের লড়াই। যে দেশ ২১ বছর ধরে বর্ণবাদের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল, যে দলের নামের সঙ্গে ‘চোকার্স’ শব্দটি অবিচ্ছেদ্য হয়ে গিয়েছিল, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা আজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লর্ডসে এই জয় শুধুই একটা ট্রফি নয়, এটি একটি প্রজন্মের অজস্র হতাশা, অবজ্ঞা আর অবিচারের জবাব। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হওয়া দল দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮২ রান তাড়া করে জয় তুলে নেয় এবং এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এক কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক ও তার সঙ্গীরা।বর্ণবাদের অতীত থেকে শিখরে ওঠার লড়াই : ১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্বাসনে পাঠায় অ্যাপার্থেইড নীতির কারণে। কৃষ্ণাঙ্গদের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত করায় দীর্ঘ ২১ বছর তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত থাকতে হয়। ১৯৯১ সালে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি পেলেও তাদের পথ সহজ ছিল না। এরপর ১৯৯৮ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপে বারবার ব্যর্থতা তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। ৯৯-এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সেই স্মরণীয় রানআউট, ২০০৭, ২০১৫ বা ২০১৯ বারবার দক্ষিণ আফ্রিকা হোঁচট খেয়েছে বড় মঞ্চে। তাতে তকমা জোটে ‘চোকার্স’ মানসিকভাবে ভেঙে পড়া দল, যাদের সাহস নেই চাপ নেওয়ার।সেই চোকার্সরা এবার সত্যিই চ্যাম্পিয়ন : কিন্তু এইবারের দল ছিল আলাদা। মাঠে এক অনমনীয় সংকল্পের নাম ছিল টেম্বা বাভুমা। তার উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে তিনি আজ একজন দৈত্য। ২০১৪ সালে অভিষেক হওয়া এই ক্রিকেটার ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হন। ২০২১ সালে হন দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অধিনায়ক। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তার রেকর্ড ঈর্ষণীয় ১০ ম্যাচে ৯ জয়। এই ম্যাচে চোট পেয়েও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলেছেন, কামিন্স-স্টার্কদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন। পাশে ছিলেন এডেন মার্করাম, যিনি টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শতরান করে জয় এনে দিয়েছেন। মার্করাম প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই ফিরলেন বীরত্বে মোড়া ১৩৬ রানের ইনিংস নিয়ে। বাভুমা ও মার্করামের জুটির উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা এক ঐতিহাসিক রান তাড়ায় সফল হয়।আবেগে ভাসলেন কিংবদন্তিরা : প্রাক্তন তারকা এবি ডিভিলিয়ার্স বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে কেঁদে ফেলবেন। সেই কথাই সত্যি হলো। গ্যালারিতে চোখে জল, মুখে হাসি স্মিথ, ডিভিলিয়ার্সদের মুখে ধরা পড়ল সেই স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত। একটি ট্রফির জন্য এতটা দীর্ঘ অপেক্ষা, এতটা সংগ্রাম এই জয় শুধু ক্রিকেট নয়, এটা একটি জাতির শেকলভাঙার কাহিনী।ইতিহাসের পুনর্লিখন : দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট শুরু হয়েছিল ১৮৮০ সালে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর তারাই তৃতীয় দেশ হিসেবে টেস্ট খেলেছিল। ১৯৯২ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলে তারা প্রত্যাবর্তন করেছিল। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা। অবশেষে, ২০২৫ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রমাণ করল তারা আর চোকার্স নয়, তারা চ্যাম্পিয়ন। আর সেই শিরোপার মুকুট পরিয়ে দিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গ নেতা টেম্বা বাভুমা। যে লর্ডসে একসময় খেলতে সুযোগ পেতেন না, সেই লর্ডসে গতকাল তার নেতৃত্বেই ইতিহাস লিখল দক্ষিণ আফ্রিকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে অল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া। আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর প্রাথমিক খসড়ার ওপর এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা তার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে এ কথা বলেন।শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন জেলার আইনজীবী সমিতির নেতা, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি এবং আইন মন্ত্রণালয় ও আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর বিভিন্ন পরামর্শ দেন।আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্কার কার্যক্রমের কথা বলতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কর্মসূচি নিতে পেরেছি। সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। একটি হচ্ছে দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে অল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি করা। এই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিবর্তন ইতোমধ্যে করেছি, সেটা হচ্ছে দেওয়ানি কার্যবিধির পরিবর্তন করেছি। দ্বিতীয়ত, ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধনের কাজও দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করি এক মাসের মধ্যে এটি আইন আকারে (অধ্যাদেশ) পাস করতে পারব।’ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সংস্কারের দ্বিতীয় লক্ষ্য উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি খুব কঠিন কাজ। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটালাইজেশনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। বিচারকদের প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের মান উন্নত করার কথা চিন্তা করছেন। বিচার বিভাগের সবার সম্পদ বিবরণী সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটি নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কাজ করা হবে। এ ছাড়া আইনজীবীদের সহায়তায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দ্বিতীয় এই লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় লক্ষ্য হচ্ছে, মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে যেসব আইন আছে, সেগুলো পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।’আইনগত সহায়তা প্রদান আইন সংশোধন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় প্রথম সভায় তিনি জেনেছেন, প্রতিবছর গড়পড়তা দেশে ৫ লাখ মামলা হয়। সেখানে সরকারি আইনগত সহায়তার মাধ্যমে ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করা যায়। আদালতের তুলনায় এখানে নিষ্পত্তিতে সময় কম লাগে এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট থাকেন। এটা বড় সুযোগ।যদি আইনগত সহায়তা কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারণ, দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি এক থেকে দুই লাখে নেওয়া যাবে। এক লাখে অবশ্যই পারা যাবে। তাদের লক্ষ্য দুই লাখে নিয়ে যাওয়া। কেউ মধ্যস্থতায় সন্তুষ্ট না হলে মামলা করার সুযোগ থাকছেই বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।তিনি বলেন ‘মধ্যস্থতার জন্য আসাটা বাধ্যতামূলক করছি, মধ্যস্থতার রায় মেনে নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করছি না। কাজেই কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যাপার এখানে থাকছে না।’ভোরের আকাশ/এসএইচ