সংশ্লিষ্ট
বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।তবে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে। এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল। পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।মঈন খান বলেন, ৫ আগস্ট যদি সত্যিই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়, তবে সেটা যে মাসেই নির্বাচনের সময় দিক-না কেন, তা নিয়ে এত ভাবনার কারণ নাই।দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে। পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, পিআর পদ্ধতির গভীরে গেলে দেখা যাবে জনগণ একটি দলকে ভোট দিচ্ছে একজন ব্যক্তিকে নয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সংগতিপূর্ণ হবে না।তিনি বলেন, অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এক নয়, তাই পিআর পদ্ধতি এখানে কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষুধার্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে সৌদি আরব।আজ বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাফা ক্রসিং দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব সহায়তা গাজায় প্রবেশ করে। খবর আরব নিউজের।আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমানের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্র কে এস রিলিফের তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ট্রাকগুলোতে প্রধানত খাদ্যসামগ্রী ছিল, যা গাজার ক্ষুধার্ত জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত।সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮টি কার্গো বিমান ও ৮টি জাহাজের মাধ্যমে গাজার জন্য বিপুল পরিমাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি গ্যাজেট। এ সহায়তার মধ্যে ছিল প্রায় ৭ হাজার ২০০ টন খাদ্য, ওষুধ, আশ্রয়ের সামগ্রী এবং ২০টি অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সগুলো ইতিমধ্যে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ত্রাণ পাঠানোর ক্ষেত্রে শুধু ট্রাক নয়, সৌদি আরব জর্ডানের সহায়তায় গাজায় আকাশপথেও খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে। বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে এসব খাদ্য সামগ্রী ফেলা হয়—যা মানবিক সহায়তার একটি তাৎক্ষণিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাদাতাদের ওপর বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বুধবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগ থেকে এক চিঠিতে এ সতর্কতা জানানো হয়।এতে বলা হয়, আগামী দিনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।চিঠিতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সাইবার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বললো বাংলাদেশ ব্যাংক১. সার্ভার, ডেটাবেইস ও আইটি সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে।২. অপ্রয়োজনীয় পোর্ট বন্ধ এবং কমপক্ষে অনুমতি-ভিত্তিক এক্সেস নিশ্চিত করতে হবে।৩. সংরক্ষিত ডেটার গুরুত্ব অনুযায়ী নিয়মিত ব্যাকআপ ও রিস্টোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৩-২-১ ব্যাকআপ কৌশল অনুসরণে উৎসাহিত করা হয়েছে।৪. ডেটা স্থানান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে এনক্রিপশন বাধ্যতামূলক।৫. গুরুত্বপূর্ণ সব সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) চালু করতে বলা হয়েছে।৬. নিরাপত্তা নজরদারির জন্য এবং অন্যান্য সিকিউরিটি টুলস ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।৭. এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (ইডিআর), অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি সফটওয়্যারের হালনাগাদ এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।৮. সম্ভাব্য হামলার ঘটনা মোকাবিলায় ইনসিডেন্ট রেসপন্স প্ল্যান এবং বিশেষায়িত টিম প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।৯. সন্দেহজনক লগইন, ফাইল পরিবর্তন বা এক্সটারনাল সংযোগ মনিটর করতে এবং প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।১০. রিমোট এক্সেস, ভিপিএন ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টস নিয়মিত রিভিউ করে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।১১. সাইবার হামলার কোনও লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।১২. ২৪/৭ বেসিসে নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার পরিচালনায় প্রয়োজনীয় জনবল নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।১৩. সিস্টেমের উচ্চ সক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখতে লোড ব্যালেন্সার স্থাপন ও বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।১৪. প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কনটিনিউটিপ্ল্রান অ্যান্ড ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান হালনাগাদ করে তা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো— যেকোনও সম্ভাব্য সাইবার হামলা প্রতিরোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা।বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে সময়ক্ষেপণ না করে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৩৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী। মারা যাওয়া দুইজনেই পুরুষ। একজনের বয়স ৩৫ ও অপরজনের ২৫ বছর। বুধবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ১৯ হাজার ৩২৯ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক সাত শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক তিন শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট ৮১ জন মারা গেছেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুই জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশোনে এলাকার বাসিন্দা।২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অবশেষে সকল প্রতীক্ষার পালা শেষ করে সিনেমাটির ট্রেলারের দিনক্ষণ ঘোষণা করল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সান পিকচার্স। ছবিটি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ আগস্ট। ট্রেলার প্রকাশ পাবে ২ আগস্ট।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেলারের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে একটি নতুন তারকাবহুল পোস্টার। সেখানে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে রজনীকান্ত, আমির খান, নাগার্জুনা আক্কিনেনি, উপেন্দ্র রাও এবং অন্যান্য তারকাদের।সান পিকচার্স তাদের এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ লিখেছে, ‘অপেক্ষা শেষ হচ্ছে। ট্রেলার আসবে ২ আগস্ট। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি মুক্তি পাবে ১৪ আগস্ট।’ছবির ট্রেলার প্রকাশ উপলক্ষে একটি বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে ২ আগস্ট। চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহরু ইনডোর স্টেডিয়ামে সেটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ছবির প্রধান অভিনেতা রজনীকান্ত নিজে উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্যও রাখবেন।লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘কুলি’ মূলত একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সোনার চোরাকারবারিকে ঘিরে নির্মিত। তিনি নিজের পুরনো গ্যাংকে আবার একত্র করে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন এক বৃহৎ সোনা চোরাচালান সাম্রাজ্যকে। তারকাবহুল সিনেমাটিতে থালাইভার সঙ্গে আরও দেখা যাবে নাগার্জুনা, আমির খান, উপেন্দ্র রাও, শ্রুতি হাসান, সাবিন শাহির, সত্যরাজসহ আরও অনেককেই।এছাড়া ছবিতে একটি আইটেম গানে নাচতে দেখা যাবে সুন্দরী অভিনেত্রী পূজা হেগড়েকে।ভোরের আকাশ/জাআ
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬০ জন ত্রাণের আশায় জড়ো হয়েছিলেন।বুধবার (৩০ জুলাই) টেলিগ্রামে প্রকাশিত গাজার মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে অন্তত ৩৯৯ জন আহত হয়েছে।মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মোট ৬০ হাজার ১৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬৯ জন আহত হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৭ মে ইসরায়েল নতুন সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিহত ত্রাণপ্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মানুষ। তাদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। এমন সব ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটলেও পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তি বা পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না কেউ। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে দেখা মিলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়েও সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। দেশের অন্য সব এলাকার তুলনায় রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের গত ছয় মাসের প্রতিবেদনে ঢাকার এমন অপরাধমূলক চিত্রই প্রকাশ পেয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১২১টি খুন এবং ১ হাজার ৬৮টি চুরির মামলা হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির বেশি খুন, পাঁচটি ডাকাতি ও ৪১টি ছিনতাই মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া মাসে ৭০টি চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। এর বাইরে গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছি।তিনি জানান, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপিতে ৪৪১টি টহল টিম মোতায়েন ছিল। এর মধ্যে দিনে ২৫৯ ও রাতে ২২১টি। ফুট পেট্রোল ২২১টি, মোটরপেট্রোল ২৭টি।এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়াশি অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ডাকাত, চোর, মাদক কারবারি ও পরোয়ানভুক্ত আসামি রয়েছে।তিনি বলেন, অভিযানে মোবাইল ও নগদ ১৩ হাজার টাকা, মাদক উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।গতকাল মঙ্গলবার ডিবি ওয়ারির একটি টিম ১২৩টি চোরাই মোবাইলসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং কব্জি কাটা গ্রুপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই কব্জি কাটা গ্রুপের আনোয়ারের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- নিশাত ও রাসেল ওরফে পেস্টিং রাসেল।এছাড়া গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৫ জন রিমান্ডে রয়েছে। তাদের একজনের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা কলাবাগান থানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।এদিকে অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাপক হামলা, অনাস্থা আর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পুলিশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় দুষ্কৃতকারীদের কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। দেশে জুন মাসে অন্তত ৬৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৫৯। একই সময়ে বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা। জুনে ৪১টি গণপিটুনির ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আগের মাসে ৩৪টি ঘটনায় সাতজন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছিলেন। চলতি মাসে প্রকাশিত মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) জুন মাসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে ৩৬৩টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যা গত মাসের তুলনায় ১০৫টি কম। তবে জুনে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। ধর্ষণের শিকার ৬৩ জনের মধ্যে ১৯ শিশু ও ২৩ কিশোরী রয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২ শিশু, ৭ কিশোরী ও ৮ নারী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ১ কিশোরী ও ৩ নারী। ধর্ষণের চেষ্টা ছিল ২৭টি, যৌন হয়রানি ৩৯টি, শারীরিক নির্যাতনের ৫১টি ঘটনা ঘটেছে। জুনে ২১ কিশোরী, ২৬ নারীসহ মোট ৩৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। অপহরণের শিকার হয়েছে ১ শিশু, ২ কিশোরী ও ১ নারী। এছাড়া ৩ শিশু, ৩ কিশোরী ও ৩ নারী নিখোঁজ রয়েছেন। জুনে ৩ শিশু, ৪ কিশোরী ও ৭ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৯২ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরমধ্যে ৫৫ জন শিশু-কিশোরী রয়েছে।এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। গণপিটুনির শিকার ৩০ জনকে আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জুনে ৪৯টি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধার হয়েছে। অল্পসংখ্যক ঘটনা ছাড়া সব লাশের পরিচয় অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে। মে মাসে এর সংখ্যা ছিল ৫৫। গত ১০ মাসে দেশের আট বিভাগে ১৭২ জনকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।সংস্থাটির তথ্য বলছে, কোথাও চোর-ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ এবং কোথাও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ও দোসর অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ