× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার
Image

সুস্থতার জন্য জাদুকরী মোরিঙ্গা চা!


শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থতা এবং সকলের অন্তর্ভুক্তি সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। একজন মানুষ কতক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ আছে কেউ জানে না। সুস্থ থাকার জন্য আমরা ব্যায়াম করি, জগিং করি, অন্যান্য অনেক শরীরচর্চা আরও কত কিছুই না করি। তার পরেও আমাদের প্রেসার, ওজন বেশি, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের সমস্য লেগেই থাকে।  প্রতিদিন সকালে এক কাপ মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা পান করুন। শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান দেবে ভেষজ গুণে ভরা মোরিঙ্গা ম্যাজিক চা।আচ্ছা মোরিঙ্গা চেনেন তো, এটি হচ্ছে শজনেপাতার গুঁড়া। ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। শজনে গাছের পাতা ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিলেই আপনার ম্যাজিক চা পাতা তৈরি। আর এক কাপ পানি ফুটিয়ে এক চা চামচ চা পাতা দিয়ে দুই মিনিট পর ছেঁকে নিলেই তৈরি সবুজ মোরিঙ্গা চা। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।  ১. ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই মোরিঙ্গা চা পান করলে ২. বাড়তি ওজন ঝরে ৩. প্রচুর অ্যানার্জিও পাওয়া যায়৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে৫. টাইপ টু ডায়াবেটিসে সুগারের মাত্র বশে থাকে৬. কোলেস্টেরল কমায়৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমে৮. অবসাদ দূর করে ৯. শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়১০. সম্পূর্ণ ভেষজ হওয়ায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বুঝতেই পারছেন, কেন আপন করতে হবে এই ম্যাজিক চা। চাইলে তো ঘরেই চা পাতা তৈরি করতে পারেন। আর যদি কষ্ট করতে না চান, তাহলে অনলাইনে অর্ডার করে আনিয়ে নিন।  ভোরের আকাশ/এসআই

১৯ ঘন্টা আগে

Image

একাকীত্ব থেকে বেরিয়ে আসবেন যেভাবে


মানুষ সামাজিক জীব, সঙ্গ তার চাই-ই চাই। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একজন মানুষ নানা সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে-পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী কিংবা প্রতিবেশী। কিন্তু জীবনের নানা পর্যায়ে কোনো না কোনো কারণে সেই সম্পর্কগুলোতে ফাঁক তৈরি হয়, কিছু সম্পর্ক ভেঙে যায়, কেউ কেউ দূরে সরে যায়। নিঃসঙ্গতা বা একাকিত্ব মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।একাকিত্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি আমাদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়িয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার পর ডিজিস কন্ট্রোল বা সিডিসি বলছে, একাকীত্বের কারণে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে ২৯ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে- ৩২ শতাংশ। দীর্ঘদিনের একাকীত্ব মস্তিষ্কের কিছু মনে রাখতে না পারার মারাত্মক অসুখ ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তাই একাকিত্ব দূর দূর করা উচিত।তবে আশার কথা হলো, একাকীত্ব কোনো চিরস্থায়ী অবস্থা নয়। চাইলে সচেতনভাবে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।  জেনে নিন এমন কিছু কার্যকর উপায়-পছন্দের কাজ করুন: ভালো লাগে এমন কিছু করার মতো খুঁজে বের করুন। এমন কিছু করুন যাতে খারাপ চিন্তা থেকে মনোযোগ সরে যায়।বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন: একাকীত্ব দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা। বন্ধু তৈরি করা, পরিবারকে সময় দেওয়া কিংবা পুরনো কোনো বন্ধুর সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করা মানসিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে।অচেনা মানুষকে চেনা মানুষে পরিনত করুন: অনেক সময়েই আমাদের পড়াশোনা বা কাজের জন্য কাছের মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হিসাব-নিকাশ ছাড়া, অচেনা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলাটা বেশ কার্যকর। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হলে কথা বললে একাকিত্ব সহজেই দূর হয়ে যায়।অনুভূতি প্রকাশ করুন: কথা চেপে না রেখে কথা বলার চেষ্টা করুন, আপনার অনুভূতি সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সাথে কথা বলুন।নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন: শখ মানুষের মনকে প্রশান্ত রাখে। আপনি যদি বাগান করা, ছবি আঁকা, গান গাওয়া, রান্না করা কিংবা অন্য কোনো সৃজনশীল কাজে আগ্রহী হন, তাহলে তা নিয়মিতভাবে চর্চা করুন। এগুলো মনকে ব্যস্ত রাখে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।বই পড়ুন: বইকে বলা হয় নীরব বন্ধু। একাকীত্বের সময় বই পড়া হতে পারে আপনার সঙ্গী। আত্মউন্নয়নমূলক, কল্পকাহিনি, ইতিহাস কিংবা প্রিয় লেখকের বই পড়ে আপনি নিজেকে মানসিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারেন।ঘুরতে যান: বেশিরভাগ সময় যারা একাকীত্বে ভোগে তারা কাজের বাহিরে তেমন কোথাও ঘুরতে যান না। কিন্তু আপনি যখন কোথাও ঘুরতে যাবেন তা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই চেষ্টা করবেন সময় পেলেই ঘুরতে যাওয়ার। এতে করে আপনি একা থাকলেও প্রকৃতির সঙ্গে আপনার সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে।সৃজনশীল কাজ করুন : অন্যের উপকারে নিজেকে নিয়োজিত করলে আত্মতৃপ্তি আসে এবং নিজের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। বিভিন্ন সংগঠন বা সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিলে আপনি নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন এবং নিজেকে আরো মূল্যবান মনে হবে।বেশি পরিশ্রম করুন : মানুষ যখন কাজে খুব ব্যস্ত থাকে তখন সে এমনিতেই কাজের বাহিরে অন্য কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না। তাই আপনি আপনার একাকীত্ব দূরীকরণে নিজের পেশাগত কাজের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারেন ।মনোচিকিৎসকের সহায়তা নিন: যদি আপনি একাকীত্ব থেকে নিজে বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হন, তবে দ্বিধা না করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। মানসিক সুস্থতা ঠিক রাখার জন্য এটি একটি বুদ্ধিমানের কাজ।একাকীত্বকে উপেক্ষা করলে তা ধীরে ধীরে মানুষের আত্মাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে। তাই সময় থাকতে এর প্রতিকার করা প্রয়োজন। নিজের যত্ন নেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখা এবং অন্যদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা – এই কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তুললে একাকীত্ব আপনাকে কাবু করতে পারবে না। ভোরের আকাশ/এসআই

১ দিন আগে

Image

চুলের যত্নে কাঠের চিরুনি


সাজগোজের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ চিরুনি। চুলের সৌন্দর্য বিন্যাসে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিদিনের ব্যবহৃত এ পণ্যটি হওয়া চাই চুলবান্ধব। অন্যথায় তা হতে পারে শখের চুলের ক্ষতির কারণ। বর্তমানে অনেকে প্লাস্টিকের সাধারণ চিরুনি ব্যবহার করেন। তবে শত শত বছর আগে থেকেই কাঠের চিরুনির ব্যবহার হচ্ছে। আর কাঠের চিরুনি ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারীতাও রয়েছে। কাঠের চিরুনির ইতিহাস অনেক পুরনো। মিসর, চীন, জাপান, ভারতীয় উপমহাদেশেসহ বেশ কিছু প্রাচীন সভ্যতায় কাঠের চিরুনি ব্যবহার ছিল। আসলেই কি কাঠের চিরুনি চুলের জন্য উপকারী সে বিষয় অনেকেই জানেন না। অস্ট্রেলিয়া হেয়ার অ্যান্ড স্ক্যাল্প ক্লিনিকের এক প্রতিবেদনে কাঠের চিরুনির বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।চলুন, জেনে নিই চুলের যত্নে কাঠের চিরুনির উপকারিতা-আয়নের সমতা করে: আমাদের চুল মূলত কার্বনের যৌগ, এটি আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের মতো কার্বন দিয়ে গঠিত। প্লাস্টিক বা মেটালের চিরুনিতে সাধারণত ধনাত্মক আয়ন থাকে, যখন চুল আচড়ানোর সময় স্ক্যাল্পে ফ্রিকশন হয় তখন এই ধনাত্নক আয়নগুলো আমাদের চুলকে ফ্রিজি ও ড্রাই করে দেয়। কিন্তু কাঠের চিরুনিতে এই ঝামেলা নেই, কারণ কাঠ নিজেই তো ফাইবার যেটা কিনা কার্বন দিয়ে তৈরি। তাই কাঠের চিরুনি দিয়ে আচড়ানোর সময় চুলে আয়ন কাউন্ট নিউট্রাল থাকে এবং ফ্রিজিনেস কন্ট্রোল হয়।গ্রিজিনেস কমায়: কাঠের চিরুনির গঠনের জন্য এটি পুরো স্ক্যাল্পে সমানভাবে প্রেশার ডিস্ট্রিবিউট করে দেয়, ফলে সেবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোলে থাকে। সেবাম হলো আমাদের ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এক ধরনের তেল, যেটাকে আমরা ন্যাচারাল অয়েল বলি। সমান প্রেশার ও জেন্টল ম্যাসাজের কারণে এই সেবাম শুধুমাত্র স্ক্যাল্প নয় বরং চুলের আগা পর্যন্ত খুব ভালোভাবে ডিস্ট্রিবিউশন হয়, এর জন্য স্ক্যাল্পে খুব বেশি গ্রিজিনেস ফিল হয় না।রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: কাঠের চিরুনির দাঁতগুলো সাধারণত রাউন্ড হয়ে থাকে। আমাদের স্ক্যাল্পে বেশ কিছু আকুপ্রেশার পয়েন্ট আছে। যখনই আমরা কাঠের চিরুনি দিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করি তখন এই পয়েন্টগুলোতে প্রেশার পড়ে এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়।মোলায়েম চুল: আমাদের ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল তৈরি হয় সেটা ঠিকঠাক ছড়িয়ে দিতে পারে কাঠের চিরুনি। ফলে চুল থাকে মোলায়েম ও মসৃণ। অন্যদিকে প্লাস্টিকের সাধারণ চিরুনিতে চুলের সব তেল মাথার উপরের অংশে জমা হয় যার ফলে প্রায় প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে হয়।চুলের বৃদ্ধি: কাঠের চিরুনি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে হেয়ার ফলিকলগুলো স্টিমুলেট হয়। যখন স্ক্যাল্প পর্যাপ্ত ব্লাড সাপ্লাই পায় তখন স্বাভাবিকভাবেই সব ধরনের নিউট্রিয়েন্টের উপকারিতা পাওয়া যায়। আর পুষ্টি পেলে চুল তো দ্রুত বেড়ে উঠবেই।চুল পড়া কমায়: জট পড়া চুলে চিরুনি চালালে চুল ছিঁড়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। বিশেষ করে প্লাস্টিক বা ধাতুর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে যে স্থিরতড়িৎ উৎপন্ন হয়, তাতে চুল ছিঁড়ে ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু, কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এমন সমস্যা হয় না।খুশকি কমায়: যখন আমরা প্লাস্টিক বা মেটালের চিরুনি ব্যবহার করি, তখন স্ক্যাল্পে তুলনামূলক বেশি ফ্রিকশন হয়। এতে স্ক্যাল্পে ইরিটেশন হতে পারে। আর এই ইরিটেশন থেকে শুরু হতে পারে খুশকি। কিন্তু যখন কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা হয় তখন ইরিটেশন অনেকটাই কমে আসে।প্রাকৃতিক তেলের সুষম বণ্টন: আমাদের মাথার ত্বক থেকে প্রাকৃতিকভাবেই একধরনের তেল (সিরাম) নিঃসৃত হয়। কাঠের চিরুনি সিরামকে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত সমানভাবে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এতে চুল উজ্জ্বল দেখায় এবং অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব কমে যায়।কাঠের চিরুনি প্লাস্টিকের তুলনায় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হওয়ায় এটি পরিবেশের জন্যও ভালো।ভোরের আকাশ/এসআই

২ দিন আগে

Image

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী


চলছে সুস্বাদু রসালো ফল আমের মৌসুম। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আম শুধু ফল হিসেবে খাওয়াতেই শেষ নয়, আমের ব্যবহার আছে অন্য রান্নায়ও। শুধু মিষ্টি খাবারে অন্তত ২০ ধরনের নাম বলা যাবে এক নিশ্বাসে, যাতে আম ব্যবহার করা হয়। এমনকি পৃথিবীব্যাপী টক-ঝাল-মিষ্টি এমন কোনো ধরনের খাবার নেই, যাতে আম দিয়ে দু-একটি খাবার বানানো সম্ভব হয় না। আম দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন কেক, পুডিং কিংবা আমের কুলফি, শরবত তো আছেই; এর সঙ্গে আমের আচার কিংবা চাটনিও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এ ছাড়া কাঁচা আম আলাদাভাবেই ব্যবহার করা হয় হরেক রকম রান্নায়। এসবের বাইরেও আমের সালাদ, বিভিন্ন ফলের সালাদ, চিকেন সালাদ এমনকি মাংস রান্নায়ও আম ব্যবহার করা হয়। আমের ব্যবহার  নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। কাঁচা না পাকা,কোন ধরনের আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খনিজ, ভিটামিন এবং বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের আমেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কাঁচা হোক বা পাকা, রোজ একটা করে আম খেলে বরং শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা জরুরি।কাঁচা আম : কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়। পটাশিয়াম থাকার কারণে কাঁচা আম খেলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের শরবত। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল খেলে রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।পাকা আম: পাকা আমে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষ করে শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী। রোজ একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। কিন্তু অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোজ কতটা পরিমাণ পাকা আম খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেই খাওয়া প্রয়োজন।যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করনে, তাদেরকেও অতিরিক্ত পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনটি কেবল সাধারণ তথ্যের জন্য, বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।ভোরের আকাশ/এসআই

২ দিন আগে

গরমে ‘মেটাল অ্যালার্জি’ থেকে বাঁচার উপায়

গরমে ‘মেটাল অ্যালার্জি’ থেকে বাঁচার উপায়

২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৯ পিএম

আতঙ্কের নাম মিষ্টি খাবার!

আতঙ্কের নাম মিষ্টি খাবার!

২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৮ এএম