লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৫ ০৮:৪৬ এএম
ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন
বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। এই দিন আমাদের দেশের মুসল্লিরা গরু বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই ঈদুল আজহার দিন গরুর মাংস পাতে পড়বে না এমন হতেই পারে না। উৎসব উপলক্ষে দুই-একবার গরুর মাংস খেলেই যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন- এমনটা নয়। তবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়ম মেনে রান্না করা এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার বিকল্প নেই। এছাড়া নির্দিষ্ট কোনও রোগ থাকলেও মানতে হবে বাড়তি সচেতনতা। এ সময় বেশ কয়েকদিন টানা গরুর মাংস খাওয়া হয়। উৎসবের সময় মাংস খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই, কিন্তু স্বাস্থ্যের কথাও সে সময় মাথায় রাখতে হবে। এবার ঈদের সময়টা আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বেশ গরম অনুভূর হতে পারে, তাই ঈদের দিন গরুর মাংস খাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। গরুর মাংস খাওয়ার আগে কিছু জরুরি তথ্য জেনে নিন।
বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান, নিজ শরীরের প্রতি কেজির জন্য ০.৮ থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন একজন সুস্থ মানুষ। অর্থাৎ কারোর ওজন যদি হয় ৬০ কেজি, তাহলে তিনি খেতে পারবেন ৪৮ থেকে ৬০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন। তবে দিনে ৭০ গ্রাম এবং সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি প্রোটিন খাবেন না।
দুইবেলা মাংস না খেয়ে চেষ্টা করুন এক বেলা খেতে।
কিডনি রোগী বা যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তারা গরুর মাংস না খেলেই ভালো করবেন। আবার হৃদরোগী, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যও গরুর মাংস এড়িয়ে যাওয়া ভালো। খেতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
গরুর মাংস রান্না করার আগে দৃশ্যমান সব চর্বি অবশ্যই ফেলে দিতে হবে।
গরুর মাংস খাওয়ার পরপরই দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাবেন না। এতে হজমের গণ্ডগোল অথবা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েসন বলছে, মাংস কাটার সময় ছোট ও পাতলা করে কাটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে যেমন কম পরিমাণে খাওয়া হয়, তেমনি ভেতরে চর্বি রয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে গরুর মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে খেতে হবে। কারণ, লাল মাংসে টিনিয়া সোলিয়াম নামে একধরনের বিশেষ কৃমিজাতীয় পরজীবী থাকে। ভালোভাবে সেদ্ধ না হলে কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
গরুর মাংস বেশি খাওয়া হলে অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে ডায়রিয়া কিংবা অ্যালার্জিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা যায় অধিক পরিমাণে লাল মাংস খেলে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাবেন। ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খান।
মাংস খাওয়ার সময় সঙ্গে সালাদ রাখুন। এছাড়া ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, মাশরুম বা পছন্দের সবজি দিয়ে মাংস রান্না করতে পারেন। এতে কম পরিমাণ মাংস খাওয়া হবে।
গরুর মাংস খাওয়ার পরপরই দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের গণ্ডগোল অথবা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাদের থ্যালাসেমিয়া বা হেমাক্রোমাটোসিস নামে রক্তরোগ আছে, তাদের গরুর মাংস খাওয়া উচিত নয় কারণ, গরুর মাংসে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আছে।
অতিরিক্ত রেড মিট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা যায় । কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খেতে হবে।
যারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ব্যতীত না খাওয়াই উত্তম।
মাংস খাওয়ার সময় সঙ্গে সালাদ রাখুন। এছাড়া ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, মাশরুম বা পছন্দের সবজি দিয়ে মাংস রান্না করা যেতে পারে। এতে কম পরিমাণ মাংস খাওয়া হবে।
ভোররে আকাশ/এসআই