লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫ ০৯:৩৪ পিএম
সন্তানের সঙ্গে নিয়ম করে লুকোচুরি খেলুন
টুকি বলুন বা লুকোচুরি, অথবা পিকাবু, এই খেলার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। নিছক খেলা নয়। এতেই লুকিয়ে সুস্থতার চাবিকাঠি। বিশেষ করে শিশুর জন্য ফ্রি প্লে বা স্বাধীন খেলাধুলা শিশুদেরকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বিকাশ করতে সাহায্য করে। শিশুদের আগ্রহ ঠিক কোন বিষয়ে বেশি তা আবিষ্কারের সুযোগ প্রদান করে খেলাধুলা। যেমন- ছবি আঁকা, রং করা, পেইন্টিং, কাটিং ও আঁঠালো আর্ট দিয়ে জোড়া লাগানো, মেক-বিলিভ গেমস বা প্রিটেনড প্লে বা ড্রেসআপ খেলা। খেলার মাঠের সরঞ্জামে খেলা, আরোহণ বা ক্লাইম্বিং, দোলনা, চারপাশে দৌড়ানো।
ফ্রী প্লে বা স্বাধীন খেলাধুলা ভাষার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে শিশুরা একসঙ্গে খোর ফাঁকে নিজের মধ্যে যোগাযোগের পরিধি বাড়ায়। পাশাপাশি তারা একে অপরকে এমন শব্দ ও বাক্যাংশ শেখায় যা তার অভিভাবকেরাও করতে পারেন না।
খেলার উপকারিতা নিয়ে শিশুদের মনোরোগ চিকিৎসক আলতাফ হোসেন বললেন, অনেক শিশুর মধ্যে দেখা যায়, সামাজিক পরিসরে ঠিক করে মিশতে পারছে না। না তারা কথা বলে, না হাসালে হাসে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক এই খেলাটি খেলার পরামর্শ দেন। এর ফলে অন্য একটি মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়া করে, সমন্বয় রেখে চলার প্রশিক্ষণ হয়। এই খেলা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে পারে।
তিনি বলেন, টুকি খেলতে খেলতে শিশুর মনে বিস্ময় তৈরি হতে থাকে। সে বোঝার চেষ্টা করে, সামনের মানুষটি কী করবেন এর পর। অন্যের মন বুঝে চলার ক্ষমতা তৈরি হয় শিশুদের মধ্যে। এর মাধ্যমে অনেক সময়ে নিজেকে অন্যের জায়গায় বসিয়ে ভাবার চেষ্টাও করে ছোটরা। তাই এই খেলা খুবই উপকারী।
তিনি আরও বলেন, কোনও বস্তু, কোনও মানুষ চোখের সামনে না থাকলেও তারা যে ফিরে আসতে পারে, এই ভরসার জায়গা তৈরি করা দরকার শিশুদের মনে। মা-বাবা কাজে গেলেও চিন্তার কিছু নেই, তাঁরা ঠিক ফিরে আসবেন, এই ধারণা তৈরির জন্য টুকি বা লুকোচুরির মতো খেলা খুব দরকারি। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ধরনের খেলা সাহায্য করে। শিশুদের মনে আস্থা তৈরি হয়। আলাদা হয়ে যাওয়া নিয়ে আতঙ্ক কমাতে পারে লুকোচুরি বা টুকি খেলা।
চিকিৎসক বলছেন, অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা বা অন্যকে খুশি করার চেষ্টা করা, বা অন্যকে কষ্ট না দিয়ে কথা বলা, এই ধরনের আচরণ তৈরি করার জন্য পিকাবুর মতো বিভিন্ন খেলাধুলোর পরামর্শ দিয়ে থাকি আমাদের রোগীদের। যে শিশুদের কথা বলার সমস্যা রয়েছে, বা অটিজ়ম স্পেকট্রাম ডিজ়অর্ডার (সামাজিক পরিবেশে কথা বলতে না পারা, একই কাজ বার বার করতে থাকা, মেলামেশা করতে না পারা) রয়েছে, তাদের জন্য এই খেলা বেশি কার্যকরী।’
ভোরের আকাশ/এসআই
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
সন্তানের সঙ্গে নিয়ম করে লুকোচুরি খেলুন
টুকি বলুন বা লুকোচুরি, অথবা পিকাবু, এই খেলার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শিশুর বিকাশে সাহায্য করে। নিছক খেলা নয়। এতেই লুকিয়ে সুস্থতার চাবিকাঠি। বিশেষ করে শিশুর জন্য ফ্রি প্লে বা স্বাধীন খেলাধুলা শিশুদেরকে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বিকাশ করতে সাহায্য করে। শিশুদের আগ্রহ ঠিক কোন বিষয়ে বেশি তা আবিষ্কারের সুযোগ প্রদান করে খেলাধুলা। যেমন- ছবি আঁকা, রং করা, পেইন্টিং, কাটিং ও আঁঠালো আর্ট দিয়ে জোড়া লাগানো, মেক-বিলিভ গেমস বা প্রিটেনড প্লে বা ড্রেসআপ খেলা। খেলার মাঠের সরঞ্জামে খেলা, আরোহণ বা ক্লাইম্বিং, দোলনা, চারপাশে দৌড়ানো।
ফ্রী প্লে বা স্বাধীন খেলাধুলা ভাষার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে শিশুরা একসঙ্গে খোর ফাঁকে নিজের মধ্যে যোগাযোগের পরিধি বাড়ায়। পাশাপাশি তারা একে অপরকে এমন শব্দ ও বাক্যাংশ শেখায় যা তার অভিভাবকেরাও করতে পারেন না।
খেলার উপকারিতা নিয়ে শিশুদের মনোরোগ চিকিৎসক আলতাফ হোসেন বললেন, অনেক শিশুর মধ্যে দেখা যায়, সামাজিক পরিসরে ঠিক করে মিশতে পারছে না। না তারা কথা বলে, না হাসালে হাসে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক এই খেলাটি খেলার পরামর্শ দেন। এর ফলে অন্য একটি মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়া করে, সমন্বয় রেখে চলার প্রশিক্ষণ হয়। এই খেলা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে পারে।
তিনি বলেন, টুকি খেলতে খেলতে শিশুর মনে বিস্ময় তৈরি হতে থাকে। সে বোঝার চেষ্টা করে, সামনের মানুষটি কী করবেন এর পর। অন্যের মন বুঝে চলার ক্ষমতা তৈরি হয় শিশুদের মধ্যে। এর মাধ্যমে অনেক সময়ে নিজেকে অন্যের জায়গায় বসিয়ে ভাবার চেষ্টাও করে ছোটরা। তাই এই খেলা খুবই উপকারী।
তিনি আরও বলেন, কোনও বস্তু, কোনও মানুষ চোখের সামনে না থাকলেও তারা যে ফিরে আসতে পারে, এই ভরসার জায়গা তৈরি করা দরকার শিশুদের মনে। মা-বাবা কাজে গেলেও চিন্তার কিছু নেই, তাঁরা ঠিক ফিরে আসবেন, এই ধারণা তৈরির জন্য টুকি বা লুকোচুরির মতো খেলা খুব দরকারি। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ধরনের খেলা সাহায্য করে। শিশুদের মনে আস্থা তৈরি হয়। আলাদা হয়ে যাওয়া নিয়ে আতঙ্ক কমাতে পারে লুকোচুরি বা টুকি খেলা।
চিকিৎসক বলছেন, অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা বা অন্যকে খুশি করার চেষ্টা করা, বা অন্যকে কষ্ট না দিয়ে কথা বলা, এই ধরনের আচরণ তৈরি করার জন্য পিকাবুর মতো বিভিন্ন খেলাধুলোর পরামর্শ দিয়ে থাকি আমাদের রোগীদের। যে শিশুদের কথা বলার সমস্যা রয়েছে, বা অটিজ়ম স্পেকট্রাম ডিজ়অর্ডার (সামাজিক পরিবেশে কথা বলতে না পারা, একই কাজ বার বার করতে থাকা, মেলামেশা করতে না পারা) রয়েছে, তাদের জন্য এই খেলা বেশি কার্যকরী।’
ভোরের আকাশ/এসআই