ধূমপান ত্যাগ করার সাময়িক প্রতিক্রিয়া
ধূমপান করার কারণে আমাদের দেহের সব অঙ্গ নষ্ট করে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বলে জানান চিকিৎসকরা।
এ ছাড়া সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় সেগুলো-
* ধূমপান ত্যাগ করা ২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাত ও পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
* ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসে জমে থাকা নিকোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বোধ বাড়বে।
* ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার তিনদিনের মধ্যে আপনার ব্রঙ্কিয়াল টিউব প্রসারিত হবে। ফলে অনেক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারবেন, এনার্জি ফিরে আসবে, স্ট্রেস কমবে।
* দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে হাঁটাচলা করতে আগে যে হাঁফিয়ে উঠতেন, এই সময় থেকে তা কমে গিয়ে এনার্জি ফিরে পাবেন।
* ৩-৯ মাসের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার আর নিশ্বাস নিতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। ধূমপানের কারণে যে খুকখুকে কাশি হতো তাও অনেক কমে এসেছে। এই সময় থেকে ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ফাইবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। যা ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে পরিষ্কার রাখে।
* ধূমপান ছাড়ার ১ বছর পরও যারা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের তুলনায় আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।
* সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কোনও দিন ধূমপান না করলেও যে ঝুঁকি থাকে, ৫ বছর পর ঝুঁকির পরিমাণ ঠিক ততটাই কমে আসে।
* ধূমপানের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর ১০ বছর সময় লাগে ফুসফুসের আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ধূমপান করার কারণে আমাদের দেহের সব অঙ্গ নষ্ট করে দেয়। ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বলে জানান চিকিৎসকরা।এ ছাড়া সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় সেগুলো-* ধূমপান ত্যাগ করা ২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাত ও পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।* ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসে জমে থাকা নিকোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বোধ বাড়বে।* ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার তিনদিনের মধ্যে আপনার ব্রঙ্কিয়াল টিউব প্রসারিত হবে। ফলে অনেক স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারবেন, এনার্জি ফিরে আসবে, স্ট্রেস কমবে।* দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে হাঁটাচলা করতে আগে যে হাঁফিয়ে উঠতেন, এই সময় থেকে তা কমে গিয়ে এনার্জি ফিরে পাবেন।* ৩-৯ মাসের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার আর নিশ্বাস নিতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। ধূমপানের কারণে যে খুকখুকে কাশি হতো তাও অনেক কমে এসেছে। এই সময় থেকে ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ফাইবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। যা ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে পরিষ্কার রাখে।* ধূমপান ছাড়ার ১ বছর পরও যারা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের তুলনায় আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।* সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কোনও দিন ধূমপান না করলেও যে ঝুঁকি থাকে, ৫ বছর পর ঝুঁকির পরিমাণ ঠিক ততটাই কমে আসে।* ধূমপানের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর ১০ বছর সময় লাগে ফুসফুসের আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে।ভোরের আকাশ/আজাসা
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ। জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। কোথাও যেন একটু স্বস্তি নেই। এরই মধ্যে ঘুমাতে গেলে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। গরমে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুম না আসা এখনকার নিত্যদিনের দুর্ভোগ। কিন্তু শরীর যেন নিদ্রাহীনতার কোনো অজুহাতই মানে না! যতই গরম পড়ুক না কেন, নির্দিষ্ট মাত্রার ঘুম আমাদের লাগবেই।কোন দিবানিদ্রা নয়: গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা মোটেও একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো।সময়: গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে।শীতল পরিবেশ তৈরি করা: এই গরমে স্বস্তিদায়ক ঘুমের জন্য ঘর ঠান্ডা বেশ জরুরি। ঘর ঠান্ডা করার বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তা সে এয়ারকন্ডিশনার হোক বা এয়ার কুলার, অথবা ফ্যান। বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহার করতে হবে। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।ফ্যানের ব্যবহার: এসি বা এয়ারকুলার সাধ্যের বাইরে হলে ফ্যানের ব্যবহারেই ঘর ঠান্ডা করতে হবে। সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যান রাখলে তাপমাত্রা আরও একটু কমতে পারে। সঙ্গে যদি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে ভেজা কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে সেটি খানিক কুলারের কাজ করবে।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া: ঘর ঠান্ডার পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গরমে প্রবল ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যেতে থাকে। তাই রাতে ঘুমোনোর সময়ে হাতের কাছে পানির বোতল রাখবেন। যাতে বেরিয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণ করতে বেশি খাটতে না হয়। ঘন ঘন পানি না খেলে শরীর শুষ্ক হয়ে গিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দেয়।আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করুন হালকা কাপড় পরতে। এতে শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হবে না, ফলে ঘামও কম তৈরি হবে। এছাড়াও বিছানার চাদর হিসেবে বেছে নিন হালকা রঙের সুতির চাদর। এ ধরনের চাদরে আলো সহজে প্রতিফলিত হয় বলে তাপ ধরে রাখে না। তাই ঘুমের সময়ও আরাম দেয়।বিছানা: বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়। তবে গরমে ঘরের পরিবেশ গরম থাকলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়। যার কারণে মাঝে মাঝে শীত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাঁথা রাখা যেতে পারে।ঘরের আলো কমিয়ে নেওয়া: গ্রীষ্মে ঘরে যত কম সূর্যের আলো প্রবেশ করানো যায়, ততই ভালো। যে কারণে চেষ্টা করবেন দিনের শুরুতেই ঘরের পর্দা টেনে দিতে। এছাড়াও ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্ধকার ঘরে বসে থাকুন, শরীরকে অন্ধকারে রাখলে যে মেলাটোনিন উৎপন্ন হয়, তা দ্রুত ঘুম পারাতে সাহায্য করে। কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন: কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না। সেই সাথে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ অ্যালকোহল ঘুম পাড়িয়ে দিতে সাহায্য করলেও শেষ রাতে ঘুম ভাঙার প্রবণতা তৈরি করে এবং সর্বোপরি ঘুমের মান কমিয়ে দেয়।শান্ত থাকুন: ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরো দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। আর ঘুম আসলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যেতে হবে।শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন: বলা হয় যে, সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় শিশুদের। তবে পরিবারের মধ্যে ছোট কিছুর পরিবর্তনও তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা তৈরি করতে পারে। তাই তাদের ঘুমাতে যাওয়ার এবং গোসল করার সময় ও অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন। গরমের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না তাদের। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল খুব ভালো ঘুমে সহায়ক। শিশুরা যেহেতু বলতে পারে না তাই শিশু ঘুমালে তার কপাল, পিঠ এবং পেটে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে সে অতিরিক্ত গরম অনুভব করছে কিনা।ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন: বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হলে প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। কিন্তু ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ। এর কারণে দিনে দু-একবার হাই তুলতে হলেও তা আসলে স্বাস্থ্যের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। ভোরের আকাশ/এসআই
প্রতিটি বাবা-মা চান তাদের আদরের সন্তান যেন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। শিশুরা তাদের পরিবারের পাশাপাশি স্কুল, প্রতিবেশী ও বাইরের পরিবেশ থেকে বিভিন্ন জিনিস শেখে ও এভাবেই তৈরি হয় একটি শিশুর ব্যক্তিত্ব। তবে সঠিক পদ্ধতিতে অভিভাবকরা কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো শিশুদের মনে গেঁথে দিতে পারেন। শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো কৃতজ্ঞতা ও দয়াশীলতা।প্রাথমিকভাবে এটি কঠিন মনে হলেও পরিকল্পনা ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই শিশুদের মধ্যে এই গুণগুলো তৈরি করা সম্ভব। প্লিজ, দুঃখিত, স্বাগত এ ধরনের শব্দ শিশুকে বিনয়ী হতে সহায়তা করে এবং ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে শেখায়। এমন ১০টি শব্দ আছে, যেগুলোর নিয়মিত চর্চা শিশুর সামাজিক ও আবেগগত দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তার ব্যক্তিত্ব গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই ভালো আচার-আচরণ ও শিষ্টাচারগুলি শেখানো উচিত। কারণ সু-আচার-আচরণগুলি পরবর্তীতে বাচ্চাদের জন্যই উপকারি হয়ে ওঠে। এতে করে শিশুদের আত্নসম্মান বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিকতা ও ভদ্র, বিনয়ী হয়ে উঠতে সাহায্য করেজেনে নিন কীভাবে শিশুদের আরও দয়ালু ও কৃতজ্ঞতাবোধ সম্পন্ন করে তোলা যায়-তাদের জন্য রোল মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠুন: শিশুরা আপনার কাছ থেকে শেখে এবং আপনার আচরণ অনুকরণ করতে খুব পটু। তাই তাদের জন্য একটি আদর্শ রোল মডেল হোন এবং এমন উদাহরণ দিন যা তারা নিজের জীবনে যোগ করতে পারে। যেমন, কারো সাহায্য নিলে ‘ধন্যবাদ’ বলা, অন্যের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা ইত্যাদি। এভাবে তারা ভালো মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে।অন্যকে সহযোগিতা করা: সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই অন্যের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। শিশুকে শেখাতে হবে অন্য কেউ বিপদে পড়লে তাকে নিয়ে হাসি বা মজা না করে বরং সহযোগিতা করা উচিত।ধন্যবাদ বলানোর অভ্যাস: সন্তানকে ভালো আচার-আচরণ শেখানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কোনও কিছু চাওয়ার সময় ‘প্লিজ‘ বলা এবং কোনও কিছু পেলে ‘ধন্যবাদ‘ বলা শেখানো উচিত।কোনও কিছু নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া: অন্য কারও কোনও জিনিসে, এমনকি শিশুর মা-বাবার জিনিসেও হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে শেখানো উচিত। এ ছাড়া অন্য কারও জিনিস না বলে ধরা উচিত নয় এটা সন্তানকে বুঝিয়ে বলতে হবে। কারও কিছু নিলে সেটা যথাযোগ্যভাবে ফেরত দেওয়া শেখানোটাও জরুরি।শেয়ারিং বা ভাগাভাগি করে নিতে শেখা: মানুষ সামাজিক জীব। পৃথিবীতে সবাইকে একত্রে বসবাস করতে হয়। তাই সন্তানকে ছোট থেকেই শেয়ারিং বা ভাগাভাগি করে নেওয়া শেখাতে হবে। ছোট বা বড় ভাইবোন থাকলে তাদের সাথে বা আশে-পাশের বন্ধুদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত। এতে শিশুমনে বিদ্বেষ ও লোভ জন্ম নিতে পারে না।বড়দের সম্মান করা: সন্তানদের মা–বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং যেকোনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান করা শেখানো উচিত। বয়স্কদের কথা মেনে চলা, তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করা এসব শেখানোর পাশাপাশি নিজেও মেনে চলা উচিত। এতে করে আপনার সন্তান লক্ষ্য করবে এবং তারা বুঝতে শিখবে যে বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধা ভাল আচরণের ইঙ্গিত।আস্তে কথা বলা: বাচ্চাদের শেখানো উচিত যে চেঁচিয়ে বা চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয়। তাই তাদের সাথে সব সময় নমনীয় এবং কোমলভাবে কথা বলা উচিত। আপনাকে দেখে আপনার বাচ্চাও নমনীয় হতে শিখবে। এ ছাড়াও তাদের জানান যে অন্যজনের কথা বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকতে ও অপেক্ষা করতে হয়।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা: বাচ্চারা খাওয়ার সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে নোংরা করে ফেলে, এ ছাড়া তাদের খেলনা ব্যবহারের পর যথাযথ স্থানে গুছিয়ে নাও রাখতে পারে। তাই শিশুর নিজেকে পরিষ্কার রাখার অভ্যাসটা তৈরি করতে তাদের খাওয়ার পরে নিজের প্লেট ধোয়া শেখাতে পারেন অথবা ঘরের কাজকর্মে তাদের সাহায্য করার কথা বলতে পারেন। সময়ের সাথে তারা নিজে থেকেই পরিষ্কার থাকতে শিখে যাবে।সামাজিকতা: শিশুদের শেখানো দরকার কীভাবে অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে হয়। অন্যের কথার মাঝে বাধা না দেওয়া এবং অন্যের মতামতকে সম্মান করা ছোটবেলা থেকেই শেখাতে হবে। তাই বেশি বেশি করে শিশুকে বাইরে নিয়ে যেতে হবে মানুষের সাথে মিশতে দিতে হবে।মিথ্যা না বলা: ছোট বয়স থেকেই বাচ্চাদের সৎ হয়ে উঠতে শেখান এবং বলুন কখনও যেন তারা মিথ্যে কথা না বলে। আর তাই আপনি নিজেও বাচ্চার সাথে মিথ্যা বলা ত্যাগ করুন ও তাকে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি না দেয়ার চেষ্টা করুন। কেন সত্যি কথা বলা জরুরি তা তাদের সামনে ব্যাখ্যা করুন।সহানুভূতি শেখান: কোনো বিষয় বুঝিয়ে বলার সময় শিশুকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনা বলুন। যেমন, কেউ যদি আপনার শিশুর কথায় কষ্ট পায়, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করুন – ‘তারা কেন মন খারাপ করেছে বলে তুমি মনে করো?’ এভাবে চিন্তা করা শিখলে আপনার শিশুর মনে সহানুভূতি ও অন্যকে বোঝার অভ্যাস গড়ে উঠবে।প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস করান: পরিবারে সদস্যদের মধ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আচরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। কারো দ্বারা উপকৃত হলে তা স্বীকার করা ও ধন্যবাদ দেওয়ার অভ্যাস করুন।শিশুকে ঈশপের গল্পের মতো মূল্যবোধ সৃষ্টিকারী বই পড়তে দিন: শিশুদের জন্য গল্প বা বই পড়া একটি মজার ও কার্যকরী উপায়। তারা গল্পের চরিত্রগুলো অনুকরণ করতে চায় এবং নিজেদের কল্পনা করে। তাদের জন্য একটি শক্তিশালী রোল মডেল তৈরি করুন যিনি দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং সবার প্রিয়।শিশুর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান: যখনই দেখবেন আপনার শিশু দয়াশীল আচরণ করছে, তাকে প্রশংসা করুন। যদি সে তার খেলনা অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করে, তাহলে তাকে জানান যে তার এই কাজটি আপনাকে গর্বিত করেছে। এই প্রশংসা তাকে আরও বেশি দয়াশীল হতে উৎসাহিত করবে।ভোরের আকাশ/এসআই
খাবারের সঠিক স্বাদ এনে দিতে লবণ ছাড়া যেন চলেই না। কিন্তু এই লবণ ব্যবহারের সঠিক মাত্রা জানতে হবে। অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারে শুধু খাবারের স্বাদই নষ্ট হয় না, এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের সতর্ক থাকা উচিত।অনেকেই আছে খাবার প্লেটে কাঁচা লবণ নিয়ে বসেন। ভাত খাওয়ার সময়ে লবণ না নিলে খাবারের স্বাদই নাকি পাওয়া না। চিকিৎসকরা কাঁচা লবণ খেতে যতই নিষেধ করুক না কেন, তাদের প্লেটে লবণ থাকবেই। শুধু কাঁচা লবণই নয়, নোনতা খেতেও অনেকের কাছে খুবই ভালো লাগে।বিকেল হলেই ভাজাপোড়া, চপ, শিঙাড়া, সমুচা, পাকোড়া খেতে মন চায় অনেকেরই। এই যে লবণ বা নোনতা খাওয়ার এত ইচ্ছা, এত দিন মনে করা হতো, শরীরে পানি ও খনিজ লবণের ঘাটতি হলেই বুঝি লবণ খাওয়ার ইচ্ছা হয়। কিন্তু তা নয়, এর নেপথ্যের কারণ ভিন্ন।কিন্তু ‘সল্ট ক্রেভিং’-এর আসল কারণ কী, সে বিষয়ে এখনো গবেষণা হচ্ছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য বলছে, লবণ খাওয়ার ইচ্ছার একটি কারণ হলো হরমোনের গোলমাল। অ্যাল্ডোস্টেরন নামক একটি হরমোন রয়েছে, যেটির তারতম্য হলে লবণ খাওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগে। অ্যাল্ডোস্টেরন এমন একটি স্টেরয়েড হরমোন, যা অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে বের হয়।এই হরমোনটি শরীরে রক্তচাপ ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। এর আরো একটি কাজ হলো শরীরের সোডিয়াম শোষণে সাহায্য করা এবং অতিরিক্ত পটাশিয়াম প্রস্রাবের সঙ্গে বের করে দেওয়া। এই হরমোনের তারতম্য হলে রক্তচাপ বাড়ে, শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রাও বাড়ে। সেই সঙ্গে দেখা দিতে পারে কিডনির অসুখও। তবে হরমোনের গন্ডগোল ছাড়াও লবণ বা নোনতা খাবার খাওয়ার ইচ্ছার আরো কিছু কারণ রয়েছে।যেমন, কম ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকলে ‘সল্ট ক্রেভিং’ বাড়তে পারে। যারা প্রচণ্ড ঘামেন, তাদের নোনতা খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে। প্রচণ্ড মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকেও নোনতা খাবার খাওয়ার সাধ জাগে।আবার কিছু রোগ আছে, যা থেকেও এমন ইচ্ছা হয়। তার মধ্যে একটি হলো ‘বার্টার সিন্ড্রোম’। এটি জিনগত রোগের রোগীদের শরীর থেকে সোডিয়াম দ্রুত বেরিয়ে যায়, ফলে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের তারতম্য দেখা দেয়। এই সিন্ড্রোম থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়, কিডনিতে পাথর জমার প্রবণতা বেশি হয়, রক্তচাপ যখন তখন কমে যেতে পারে।আবার ‘সিস্টিক ফাইব্রোসিস’ নামক রোগের ক্ষেত্রেও লবণ বেশি খাওয়ার ইচ্ছা হয়। এই রোগে ফুসফুস ও বিপাকক্রিয়া পুরোপুরি নষ্ট হতে থাকে।স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে কাঁচা লবণ। রান্না করা খাবারে লবণ ছিটিয়ে খেলে ক্ষতি বেশি। ফলে শরীরে রক্তচাপ বাড়ে। কম লবণও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে।আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক দুই চা-চামচ লবণ খাওয়া দরকার।অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার পর শরীরে কী প্রভাব পড়ে তার কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো-জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি: আপনি খেয়াল করে থাকবেন যে, নোনতা খাবার খাওয়ার পর মাঝে মাঝে আপনি ফুলে ওঠা বা অস্থির বোধ করেন। এটি ঘটে কারণ আপনার শরীরে নির্দিষ্ট সোডিয়াম থেকে পানির অনুপাত বজায় রাখার চেষ্টা করে। আমরা যখন অতিরিক্ত লবণ খাই, তখন কিডনি অতিরিক্ত জল ধরে রাখে। এর ফলে হাত-পা ফুলে যেতে পারে এবং অস্বস্তি বোধ হতে পারে।উচ্চ রক্তচাপ: লবণ সমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তনালী এবং ধমনীতে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। এটি অস্থায়ীভাবে রক্তচাপকে বাড়িয়ে তোলে। তবে, প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি টের পায় না, কারণ এটি জেনেটিক্স এবং হরমোনগুলোর মতো উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রবীণ লোকদের নোনতা খাবার খাওয়ার পর রক্তচাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি থাকে।তৃষ্ণা বাড়ায়: নোনতা খাবার খাওয়ার পর আপনি বেশি পানি পান করার তাগিদ পেতে পারেন। এটি আপনার দেহ সোডিয়াম ও পানির অনুপাতের ভারসাম্য রক্ষার অন্য উপায়। খুব বেশি তরল পান করাও উচিত নয়। অন্যদিকে কম পানি পান নিরাপদ স্তরের বাইরে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে, ফলে হাইপারনেট্রেমিয়া নামের একটি অবস্থার সৃষ্টি হয়।কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা: যদি আপনি খুব বেশি লবণ খান তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদে হার্টের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। রক্তের পরিমাণ বাড়ার ফলে রক্তনালীর উপর চাপ বাড়তে পারে, যার অর্থ আপনার হার্টকে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এটি উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।বেশি লবণ খেয়ে থাকলে কী করবেন-লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকলেও মাঝে মাঝে কোনো কারণে বেশি লবণ খাওয়া হয়ে যেতে পারে। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা পরিমাণের চেয়ে বেশি লবণ খান। এটি এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। যদি বেশি লবণ খেয়ে থাকেন তাহলে এটি থেকে মুক্তির কিছু উপায় রয়েছে। সেগুলো হলো-বেশি পরিমাণে পানি পান করা: পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করতে সহায়তা করে। নোনতা খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান কিডনি থেকে সোডিয়াম অপসারণ করতে সহায়তা করে এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়।ব্যায়াম: বেশি পরিমাণে লবণ খেয়ে ফেললে একটু বেশি পরিমাণে ব্যায়াম করতে হবে। এমন ব্যায়াম করুন যা শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে এবং ঘাম হয়। ঘামের মাধ্যমে সোডিয়াম শরীর থেকে বের হয়।একটি কলা খাওয়া: দেহে সোডিয়ামের প্রভাব হ্রাস করার জন্য পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, সাদা মটরশুঁটি, শাকসবজি শরীরে সোডিয়ামের নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।ভোরের আকাশ/এসআই