ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫ ০৬:১০ এএম
কাঁঠালের ১২টি উপকারিতা
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল শুধুই সুস্বাদু নয়, বরং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এক কাপ কাঁঠালে রয়েছে প্রায় ১৫৭ ক্যালোরি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ গ্রাম চর্বি, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ৩ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে মিলতে পারে নিচের উপকারিতাগুলো:
১. চোখের জন্য উপকারী
কাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় সাহায্য করে।
২. হজমের সহায়ক
ফাইবারসমৃদ্ধ কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
৩. আলসারের উপশমে সহায়ক
ফলের বিশেষ উপাদান প্রাকৃতিকভাবে আলসারের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪. রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
পটাসিয়ামসমৃদ্ধ কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।
৬. ত্বকের যত্নে
ভিটামিন সি থাকার কারণে কাঁঠাল ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
৭. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কাঁঠাল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব হয়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
৮. ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বারবার প্রমাণ করে কাঁঠালের উপকারিতা রোগ প্রতিরোধে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
৯. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যানসারের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
১০. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি-এর উপস্থিতি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে করে তোলে আরও শক্তিশালী।
১১. হাড় মজবুত রাখে
কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠন ও দৃঢ়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১২. রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়ক
ফলের আয়রন শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
ভোরের আকাশ/হ.র