ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫ ১২:০১ এএম
ব্যাংক খাতে কমছে ডলারের দাম
ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম সামান্য কমেছে, যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবাহ। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গড়ে প্রতি ডলার বিক্রি করেছে ১২২ টাকা ৪০ পয়সা দরে, যা আগের তুলনায় প্রায় ৬০ পয়সা কম।
এর আগে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, যখন এর দাম বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়ায় ডলারের সরবরাহ বাড়ে এবং ব্যাংক খাতে এর চাহিদা হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দর কিছুটা নিচের দিকে নামতে শুরু করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে প্রতি ডলার ১২২ টাকা ২৫ পয়সা দরে লেনদেন শুরু হয়, যা কিছু সময়ের জন্য বেড়ে ১২২ টাকা ৫৫ পয়সায় ওঠে। তবে দিন শেষে আবার তা নেমে আসে আগের দামে। এদিন আন্তঃব্যাংক পর্যায়ে মোট ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার লেনদেন হয়।
আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ডলারের দর বাজারচালিত করে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার নজরদারিতে কঠোর অবস্থান নেয়, যার ফলে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি বা কারসাজির সুযোগ হয়নি।
বর্তমান সরকারের অধীনে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বেড়েছে। রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি এখন শুধুমাত্র আমদানির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বকেয়া ঋণ পরিশোধের চাপ কমে আসায় ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাহিদাও নেই।
টানা দেড় সপ্তাহ ধরে ডলারের দর কমতির দিকে। ফলে টাকার মান কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়ন থেকে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির চাপও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক নীতির কারণে ডলারের মান গত এক মাসে প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে। ফলে বৈশ্বিক প্রভাবেও দেশের বাজারে ডলারের দর কমছে। এ ছাড়া আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার মতো সংস্থাগুলো থেকে ঋণের অর্থ ছাড় পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কিছুটা বেড়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও স্থিতিশীল করেছে।
ভোরের আকাশ/হ.র