লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫ ০২:৫৫ এএম
যেসব কারণে সংসার ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সহজ কাজ নয়। অনেক সময় কিছু সাধারণ অথচ অবহেলিত বিষয় পরবর্তীতে সংসার ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেসব সংকেত শুরুতে নজরে আসে না বা এলেও আমরা তা গুরুত্ব দিই না। অথচ এসব ছোট ছোট উপেক্ষা এক সময় বড় রূপ নিয়ে দাঁড়ায় বিচ্ছেদে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি বিষয় নিয়মিতভাবে চলতে থাকলে তা ধীরে ধীরে দাম্পত্য সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে। সময় থাকতে সচেতন না হলে তা শেষমেশ গড়াতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কিছু আচরণ ও অভ্যাস যা সংসার ভাঙার দিকে ঠেলে দিতে পারে—
১. অনুভূতির চাপা অভিব্যক্তি
অনেকেই বিরক্তি বা কষ্টের কথা প্রকাশ না করে চেপে রাখেন, যা ধীরে ধীরে এক ধরনের মানসিক দেয়াল তৈরি করে। সঙ্গীর প্রতি নিঃসঙ্গতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং ক্ষোভ জমতে জমতে একসময় সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে খোলামেলা ও সরাসরি কথা বলার বিকল্প নেই।
২. দোষ ধরে রাখা ও অতিরিক্ত সমালোচনা
প্রতিটি বিষয়েই সঙ্গীর দোষ ধরা বা নেতিবাচকতা খোঁজা সম্পর্কের জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি ধীরে ধীরে সঙ্গীকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। তাই ভুলত্রুটি হলে সেগুলো সুন্দরভাবে বোঝানোই শ্রেয়।
৩. সোশ্যাল মিডিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া
সঙ্গীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল স্ক্রল করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন থাকা— দাম্পত্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে। এটি সম্পর্কের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শনেরই একটি রূপ, যা ধীরে ধীরে সঙ্গীর মধ্যে অবহেলার অনুভব জাগাতে পারে।
৪. কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কৃপণতা
দাম্পত্য জীবনে একে অপরের ছোট ছোট সহযোগিতা এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অত্যন্ত জরুরি। বিছানা গোঁছানো, খাবার রান্না বা মানসিক সহায়তা— এসব কাজকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া নয় বরং ধন্যবাদ ও স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
৫. তুলনার প্রবণতা
সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করা তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাকে আঘাত করে। বন্ধু, সহকর্মী বা সেলিব্রিটির সঙ্গে তুলনার বদলে নিজের সঙ্গীর ইতিবাচক দিকগুলোকে গুরুত্ব দিন। এতে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
দাম্পত্য জীবন মানেই চর্চা, বোঝাপড়া ও সহনশীলতা। এই ক্ষুদ্র বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া না হলে তা এক সময় বড় বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে। তাই সম্পর্কের প্রতি যত্নবান হওয়াই সুস্থ সংসারের মূল চাবিকাঠি।
ভোরের আকাশ//হ.র