গরুর ঝুরা মাংসের রেসিপি
ঈদের দিন পার হলেও অনেকের বাসায় এখনও মাংস সংরক্ষিত আছে। রান্না মাংস ছাড়াও অনেকের পছন্দ ঝুরা মাংস।
সাধারণত মাংস জ্বাল দিতে দিতে ঝুরা হয়। কিন্তু আজকাল ফ্রিজ থাকায় মাংস বারবার জ্বাল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই ঝুরা মাংস খেতে চাইলে আলাদাভাবে তৈরি করে নিতে পারেন। কীভাবে? চলুন রেসিপি জেনে নেওয়া যাক- তৈরি করতে যা লাগবে..
গরুর মাংস- ১ কেজি
পেঁয়াজ কুচি- দেড় কাপ
আদা বাটা- ১ চা চামচ
রসুন বাটা- ১ চা চামচ
লবণ- স্বাদমতো
গোলমরিচ বাটা- চা চামচ
জিরা বাটা- ১ চা চামচ
ধনে বাটা- ১ চা চামচ
বাদাম বাটা- ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
সরিষা বাটা- ১/২ চা চামচ
এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ- কয়েকটি
তেজপাতা- ৩-৪টি
তেল- ১ কাপ
গরম মসলা- গুঁড়া ১/২ চা-চামচ।
তৈরি করবেন যেভাবে
পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। এরপর সব মসলা কষিয়ে নিয়ে মাংস তাতে দিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিন। দীর্ঘ সময় জ্বাল দিয়ে মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার মাংস নেড়েচেড়ে ঝুরা করে নিন। অল্প তেলে ১ কাপ পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে ঝুরা মাংস দিয়ে নাড়ুন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন। খাওয়ার সময় গরম করে পরিবেশন করলে বেশি ভালো লাগবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার নতুন কিছু নয়। প্রাকৃতিক এই উপাদানটির রয়েছে নানা উপকারী গুণ, যা একে কন্ডিশনার, শ্যাম্পু এমনকি হেয়ার মাস্ক হিসেবেও জনপ্রিয় করে তুলেছে। অনেকেই কাঁচা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথার ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এটি আসলেই কতটা উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক, চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহারের কার্যকারিতা—১. মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়অ্যালোভেরার রয়েছে প্রাকৃতিক ঠান্ডা ও প্রশান্তিদায়ক গুণ, যা মাথার ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি হতে পারে এক কার্যকর প্রাকৃতিক প্রতিকার।২. খুশকি নিয়ন্ত্রণে কার্যকরঅ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে অ্যালোভেরা খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হ্রাস পায়, যা খুশকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।৩. চুলে হাইড্রেশন এনে দেয়শুষ্ক ও রুক্ষ চুলের জন্য অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং চুলের ভঙ্গুরতা কমায়। ফলে চুল হয় মসৃণ, প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল।৪. চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরা চুলের ফলিকল উদ্দীপিত করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক। এর ফলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। যারা লম্বা ও স্বাস্থ্যকর চুল চান, তারা নিয়মিত চুলে অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করে এর সুফল পেতে পারেন।প্রাকৃতিক ও রাসায়নিকমুক্ত এই উপাদানটি ব্যবহারে চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে সহজেই। তবে কারও অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।ভোরের আকাশ//হ.র
বর্ষা এলেই বাড়ে মশার উপদ্রব, আর সেইসঙ্গে বাড়ে চুলকানির ঝামেলাও। মশার কামড় শুধু বিরক্তিকর নয়, বরং এটি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগের বাহক হিসেবেও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। মশার লালায় থাকা প্রোটিন শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলে, যার ফলে চুলকানি, ফোলাভাব ও লালচে দাগ দেখা দেয়।সঠিক চিকিৎসা বা প্রতিরোধ না নিলে এসব চুলকানি থেকে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। তবে ঘরোয়া কিছু সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করেই মশার কামড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে দেওয়া হলো কার্যকর কয়েকটি উপায়—কোল্ড কম্প্রেস:বরফ বা ঠান্ডা ভেজা কাপড় কামড়ের জায়গায় ১০–১৫ মিনিট ধরে রাখলে তা ফোলাভাব ও চুলকানি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।অ্যালোভেরা জেল:অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক যা প্রদাহ ও জ্বালা কমায়। আক্রান্ত স্থানে খাঁটি অ্যালোভেরা জেল লাগালে আরাম মেলে।বেকিং সোডা পেস্ট:এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি কামড়ের স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন—চুলকানি কমে যাবে।গরম চামচ পদ্ধতি:একটি ধাতব চামচ গরম পানিতে ডুবিয়ে কিছুটা গরম হলে কামড়ের স্থানে চেপে ধরুন। এটি কামড় থেকে নিঃসৃত প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে চুলকানি হ্রাস করে।অ্যাপল সিডার ভিনেগার:সরাসরি ভিনেগার কামড়ের স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে। চাইলে এতে কাপড় ভিজিয়ে হালকা করে জায়গাটিতে চেপে ধরলেও উপকার মিলবে।চুলকানি তেমন গুরুতর মনে না হলেও তা থেকে বড় ধরনের অসুবিধা তৈরি হতে পারে। তাই বর্ষার মৌসুমে মশার কামড় থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকা জরুরি, আর কামড়ের পর পরিশুদ্ধ উপায়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ।ভোরের আকাশ//হ.র
রসুন একটি বহুল ব্যবহৃত ভেষজ উপাদান, যার বৈজ্ঞানিক নাম Allium sativum। প্রাচীন গ্রিক, মিশরীয় ও চীনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে রসুন ব্যবহৃত হতো সংক্রমণ প্রতিরোধ, হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ নানান রোগ নিরাময়ে।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, কাঁচা রসুন খালি পেটে খাওয়া হলে এর উপকারিতা আরও বেশি কার্যকর হয়। ২০১৪ সালে ‘Journal of Immunology Research’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন (Allicin) নামক সালফারযুক্ত যৌগ শরীরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।এ ছাড়া রসুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস, এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।এ কারণে অনেক পুষ্টিবিদ ও বিকল্প চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন দেখে নিই খালি পেটে রসুন খাওয়ার বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত উপকারিতাগুলো কী কী।১. হজম শক্তি বাড়ায় : রসুনে থাকা সালফার যৌগ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান হজমক্রিয়া উন্নত করে। খালি পেটে রসুন খেলে পাচনতন্ত্র সক্রিয় হয়, গ্যাস, অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজেই।২. ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) শক্তিশালী করে : রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে সহজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।৩. হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক : রসুন খালি পেটে খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।৪. ডিটক্সিফিকেশন বা শরীর পরিষ্কারে সাহায্য করে : রসুনে থাকা সালফার যৌগ যকৃৎকে সক্রিয় করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। ফলে লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা উন্নত হয়।৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : রসুন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। এটি খিদে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রসুন খেলে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার (যেমন পেট, অন্ত্র ও খাদ্যনালির ক্যান্সার) হওয়ার ঝুঁকি কমে।৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে : উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য রসুন অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তনালিগুলোকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।খাওয়ার নিয়ম :- সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ১-২ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। - চাইলে হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন, এতে গন্ধ কিছুটা কমে যাবে।সতর্কতা : রসুনের প্রভাবে কারও কারও ক্ষেত্রে পেটের অস্বস্তি, গ্যাস বা মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পরিমাণে সতর্ক থাকা জরুরি। ওষুধ সেবনরত থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।প্রতিদিন মাত্র এক বা দুই কোয়া রসুন আপনাকে বহু রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। প্রাকৃতিক এ উপাদানটি যদি নিয়মিত ও সঠিকভাবে খাওয়া যায়, তবে দীর্ঘদিন সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকা সম্ভব।ভোরের আকাশ//হ.র
আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে সুস্থ থাকা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিছু সাধারণ অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।চলুন জেনে নিই, ৫০ পেরিয়ে গেলেও সুস্থ থাকার ৫টি কার্যকর উপায়—১. ভারী নয়, হালকা ব্যায়ামেই মিলবে উপকারএই বয়সে ভারী শরীরচর্চা না করে বরং হালকা ও নিয়মিত ব্যায়ামের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।সাঁতার, প্রতিদিন হাঁটা, যোগব্যায়াম কিংবা তাই চি—এই ধরনের ধীরগতির ব্যায়াম শরীরের মাংসপেশিকে সচল রাখে এবং জয়েন্টে চাপ না দিয়ে মানসিক চাপ কমায়।২. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুনএকাকীত্ব ও সমাজ থেকে দূরে সরে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া, কিংবা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা—এসব কাজ মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।৩. প্রতিদিন কিছু মানসিক ব্যায়াম করুনশুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কেরও ব্যায়াম দরকার।ক্রসওয়ার্ড, পাজল কিংবা সুডোকু নিয়মিত খেললে স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি বজায় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মানসিক চর্চা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।৪. এখনই ধূমপান ছাড়ুনধূমপান হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।বয়স যতই হোক না কেন, ধূমপান ছাড়লে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।৫. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মাংসপেশি কমতে থাকে। এজন্য প্রতিদিনের খাবারে ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ, লিন মাংস ও মুরগির মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ উপাদান রাখা জরুরি। এতে করে শরীর থাকবে শক্তিশালী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।বয়স ৫০ পেরোলেই যে সুস্থতা ধরে রাখা কঠিন—এই ধারণা একেবারেই ভুল। দৈনন্দিন জীবনে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যুক্ত করলেই বয়স বাড়ার পরও শরীর ও মন থাকবে তরতাজা। এখনই সময় নিজেকে একটু বেশি গুরুত্ব দেওয়ার।ভোরের আকাশ//হ.র