ছবি : সংগৃহীত
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা সমু চৌধুরী। অসুস্থ অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মুখী শাহ্ মিসকিন মাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে এই অভিনেতার একটি ছবি দেখে উপজেলার পাগলা থানা পুলিশ গিয়ে মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করে।
পাগলা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় মামুন নামে এক যু্বক প্রথমে সমু চৌধুরীর ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করেন। তারপরই বিষয়টি মানুষের নজরে আসে।
ছবিতে অভিনেতা সমু চৌধুরীকে মাজারের পাশে একটি গাব গাছের নিচে পাটিতে গামছা পড়া অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সমু চৌধুরীর পাশে একটি পানির বোতল এবং মাথার কাছে একটি কাপড়ের পুতুল রয়েছে।
পাগলা থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ‘বিধ্বস্ত অবস্থায়’ পেয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে আসার জন্য অনেক অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি আসবেন না।
ঢাকায় উনার সহকর্মী ও পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনেছেন। তারা সেখানে আসছেন। মাজার থেকেই তারা অভিনেতাকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সমু চৌধুরী কীভাবে এখানে এসেছেন, কখন এসেছেন- এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি বলেও জানান ওসি ফেরদৌস আলম।
ছোট পর্দার অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু বিকালে বলেন, সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ার পর আমরা স্থানীয় কিছু মানুষ সেখানে পাঠাই, ঘটনার সত্যতা এবং পরিচয় নিশ্চিত করে পাগলা থানায় যোগাযোগ করি। থানা থেকে স্পেশাল ফোর্স গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
আমাদের একটা টিম সেখানে যাচ্ছে। উনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো নয়। অভিনয়শিল্পী সংঘ দ্রুত তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে রাশেদ মামুন অপু বলেন, পরিবার বলতে উনার বৃদ্ধ মা, আমরা উনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। উনার বাড়ি খুলনায়। তিনি কীভাবে সেখানে গিয়েছেন তা আমরা জানতে পারিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কে-পপ তারকা ও বিটিএস সদস্য জাংকুক খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়েছেন সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে বাসায় ফেরার পরপরই। দক্ষিণ কোরিয়ায় তার বাসায় অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করায় এক চীনা নারী ভক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (১২ জুন) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। ৩০ বছর বয়সী ওই নারী জাংকুকের বাসার মূল দরজার পাসকোড ভাঙার চেষ্টা করছিলেন। তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে দক্ষিণ কোরিয়া পুলিশ।গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, তিনি জাংকুককে সরাসরি কিছু কথা বলতে চেয়েছিলেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে এবং ভক্তের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এর আগে সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করে বুধবারই নিজের বাসায় ফিরে আসেন জাংকুক। একই দিনে তার সঙ্গে ফিরেছেন বিটিএস সদস্য আরএম, ভি ও জিমিন। ফেরার পর গিয়ংগি প্রদেশের ইয়নচন পাবলিক স্টেডিয়ামে ভক্তদের সামনে হাজির হন জিমিন ও জাংকুক। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাংকুক বলেন,’অনেক দিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম। একটু অস্বস্তি লাগছে এবং বুঝে উঠতে পারছি না কী বলব। তবে সবাইকে দেখে খুব ভালো লাগছে।’জাংকুক ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পঞ্চম পদাতিক ডিভিশনের আর্টিলারি ব্রিগেডে যোগ দিয়ে ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেন। বিটিএসের সাত সদস্যের মধ্যে এর আগে সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন জিন ও জে-হোপ। বর্তমানে শুধু সুগা রয়েছেন সামাজিক সেবামূলক সামরিক দায়িত্বে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার কেবিন ক্রু সদস্য ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রোশনি রাজেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটটি। দুর্ঘটনায় অন্তত ২০৪ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।মর্মান্তিক এই ঘটনার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিমানে থাকা ১২ কেবিন ক্রু সদস্যের কেউই বেঁচে ফিরতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রোশনি রাজেন্দ্রও। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক রবীন্দ্র চভান। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, “ডোম্বিভলির রোশনি রাজেন্দ্রের অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তিনি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। তার মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।”সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন রোশনি। ভ্রমণবিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে অর্জন করেছিলেন অর্ধলাখের বেশি অনুসারী। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণের ঝলক ও উৎসাহব্যঞ্জক কনটেন্ট নিয়মিতই শেয়ার করতেন।দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের রানওয়ে ২৩ থেকে উড্ডয়ন করে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক। ক্রু সদস্যসহ মোট আরোহী ছিলেন ২৪২ জন।এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।রোশনি রাজেন্দ্রের মৃত্যু শুধু একটি ব্যক্তিগত ক্ষতিই নয়, বরং সেইসব সাহসী পেশাজীবীদের প্রতি সম্মান জানানোর মুহূর্ত, যারা আকাশপথে লাখো যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জীবন উৎসর্গ করেন। ভোরের আকাশ/হ.র
নিজেকে ভালোবাসার বার্তা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রতিদিন নিজের শরীরকে ধন্যবাদ জানান তিনি—এমনকি দিনে শেষে গোসলের সময়ও শরীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তামান্না বলেন, “আমি সত্যিই আমার শরীরকে ভালোবাসি। ব্যস্ত দিনের শেষে যখন গোসল করি, তখন শরীরের প্রতিটি অংশে হাত বুলিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানাই। এটা শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে, কিন্তু আমি জানি প্রতিদিন সে কত কিছু সহ্য করে।”তামান্নার এই মন্তব্য নিছক ব্যক্তিগত অনুভব নয়—বরং নিজের শরীর, মন ও সৌন্দর্য নিয়ে প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট অবস্থান। আত্মবিশ্বাস আর আত্মসম্মান নিয়ে যাঁরা লড়ছেন, তাদের জন্য এই বার্তা হতে পারে এক অনুপ্রেরণা।তিনি আরও বলেন, “একটা সময় আমি ভাবতাম ছিপছিপে চেহারা মানেই সুন্দর। কিন্তু পরে বুঝেছি, ওটা আসলে আমাকে ভালো লাগাতো না। আমার সৌন্দর্যের অনুভব কখনও ওজনের ওপর নির্ভর করত না।”তামান্না জানান, ছোটবেলায় তার মধ্যেও সৌন্দর্য নিয়ে সমাজে প্রচলিত ধারণা কাজ করত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝেছেন, সৌন্দর্য কিংবা আত্মমূল্যবোধ শরীরের আকার-আকৃতিতে সীমাবদ্ধ নয়।সম্প্রতি তামান্নাকে দেখা গেছে ‘সিকান্দর কা মুকাদ্দর’ চলচ্চিত্রে, যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন অবিনাশ তিওয়ারি ও জিমি শেরগিল। ভোরের আকাশ/হ.র
বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী এবং ভারতীয় শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।বৃহস্পতিবার (১২ জুন) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইন্ডিয়ান গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুর একজন পোলো প্রেমী। সোনা নামে একটি পোলো টিমের মালিক ছিলেন তিনি। নিজে পোলো খেলেন এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার পোলো খেলার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান। চিকিৎসা নেওয়ারও সুযোগ পাননি সঞ্জয়।২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে কারিশমার বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে ছাড়াছাড়ি জন্য মুম্বাই আদালতে আপিল করেন তারা। ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিচ্ছেদ নিয়ে একটি চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেন কারিশমা-সঞ্জয়।এদিকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী কারিশমার দুই সন্তান সামাইরা ও কিয়ান তার সঙ্গেই আছেন। তবে বাবা সঞ্জয় ইচ্ছে করলেই সন্তানদের দেখতে যেতে পরতেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ